JANA BUJHA

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান-মুসলীম বিজ্ঞানী-Best 2023

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান এর প্রমাণ মেলে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসায় কুসংস্কার এর সত্যতা প্রমাণ, ঔষধ আবিষ্কার, চিকিৎসা পদ্ধতির আধুনিকায়নসহ নানা ক্ষেত্রে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান-মুসলীম বিজ্ঞানী

ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চা শুরু করেন। সেই যুগে গ্রীক চিকিৎসা পদ্ধতি সবচেয়ে উন্নত ছিল এবং আস্তে আস্তে রোমানদের অবহেলার কারণে এর অবনতি হতে থাকে।

মুসলমানরা গ্রীক, মিসরীয়, খৃষ্টান, ইয়াহুদী, ভারতীয়, পারসিক ও চীনা বিজ্ঞানীদের লব্ধ জ্ঞান আহরণ করেন এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি সাধন করেন।

 নবম থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত মুসলিম বিজ্ঞানীরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে পৃথিবীর বুকে তাঁদের প্রাধান্য বজায় রাখেন। সে
সময় চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার চর্চা চলে।

 

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান

শরীরতত্ত্বে ইবনে মাসুবিয়াহ (৭৮০- ৮৫৭) সর্বপ্রথম শিম্পাঞ্জী ও বানরের শবব্যবচ্ছেদ করে গ্রীকদের দেয়া তথ্য সঠিক
কিনা জানতে চেষ্টা করেন। আল-রাযী (৮৫০-৯৩২) সর্বপ্রথম কয়েকটি স্নায়ু আবিস্কার করেন।

 

চিকিৎসা বিজ্ঞানী আলী আব্বাস (মৃত্যু ৯৯৪) সর্বপ্রথম কৈশিক রক্ত সঞ্চালনের উল্লেখ করেন। ১২শ শতাব্দীতে মিসরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সময় আবদুল লতিফ একখানি এনাটমী গ্রন্থ রচনা করে সেখানে গ্যালেনের ভুলগুলো
দেখিয়ে দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হলো, চোয়ালে একখানি হাড় আছে, দু’খানি নয়।

 

আরব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন মাথার খুলিতে ৭ (সাত) টি হাড় আছে। ১৪ শতাব্দীতে মনসূর ফকীহ বিন ইলিয়াস একখানি মনোগ্রাফ বা চিত্রে এনাটমী গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এটিই হচ্ছে এ ধরনের প্রথম গ্রন্থ। তাছাড়া কানের যে হাড়গুলোর সাহায্যে আমরা শুনতে পাই, তাও মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিস্কার ।

 

শরীরবিদ্যাতেও (ফিজিওলজী) মুসলিম বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। এঁদের মধ্যে আবূ সহলের মতে খাদ্যের হজমক্রিয়া মুখ থেকেই প্রথম শুরু হয় এবং মুখের লালাই এই হজমের কাজ শুরু করে। আবূ জাফর আল- তাবারী (৮৩৮-৯২৩) প্রথম প্রমাণ করেন যে, হজম প্রকৃতপক্ষে খাদ্যের ভাংগন।

 

আবূ মহল মাসিহী বলেছেন যে, খাদ্য ক্ষুদ্রান্ত্র থেকেই বেশী আহরিত হয়, যা এখনও সত্য বলে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান স্বীকার করে। ১০৫০- ১৬৫০ খৃ. পর্যন্ত ইবনে সিনার ‘কানূন’ ইউরোপের 

 

মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক হিসাবে নির্ধারিত ছিল। ইবনে সিনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কুসংস্কার পরিহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন। তখনকার দিনে গ্যালেনএর প্রকাশ্য বিরোধিতা করে ইবনে নাফিস (মৃত্যু ১২৮৮) প্রমাণ করেন যে, দূষিত রক্ত  হৃৎপিন্ডের ডান দিক থেকে ফুসফুসে যায়।

 

সেখানে বাতাসের সংগে মিশ্রিত পরিশুদ্ধ হয়ে পালমুনারী শিরা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হৃৎপিন্ডের বাঁ দিকের নিলয়ে পৌঁছে এবং সেখান থেকে ধমনীর সাহায্যে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়। আধুনিক বিশ্বে এর স্বীকৃতি মেলে ১৯৩৬ সালে ।

 

 

রোগবিদ্যাতেও মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান

রোগবিদ্যাতেও মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান মনে রাখার মত। ইবনে সিনা রোগ জীবাণুর আক্রমণ সম্বন্ধে প্রথম ঘোষণা করেন যে, শরীরের বাইরে থেকে জীবাণু শরীরের মধ্যে প্রবেশ না করলে সংক্রমণ হয় না এবং সংক্রামক রোগ হতে পারে না। তিনিই ঘোষণা করেন, যক্ষ্মা একটা সংক্রামক রোগ।

 

আল-রাযী সর্বপ্রথম বসন্ত ও হাম রোগের বিবরণ দেন। ইবনুল খাতিব (১৩১৩-১৩৭৮) প্লেগকে একটা সংক্রামক রোগ বলে ঘোষণা করেন। ১১শ শতাব্দীতে আল- জুরমানী সর্বপ্রথম গলগন্ড ও চক্ষু বাইরের দিকে বিস্ফোরিত হওয়া সম্পর্কে ঘোষণা দেন।

 

একই শতাব্দীতে ইবনে যোহার সর্বপ্রথম চুলকানির জীবাণু আবিস্কার করেন । বাহাউদ্দৌলা (মৃত্যু ১৫০৭) প্রথম হুপিং কাশি রোগের জীবাণু নির্ণয় করেন।

 

 আরো পড়ুনঃ

কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চোখের যত্ন ৬ টি উপায়!

রোযার উপকার প্রমান করে আমাদের ইসলামী চিকিৎসক

আমাদের দেশের একজন ইসলামী চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক মুহাম্মদ গোলাম মুয়ায্যম ১৯৫৮-৬০ সালে রোযার উপর সর্বপ্রথম গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণাতে আমরা জানতে পারি যে, রোযা উপকার ছাড়া শরীরের কোন ক্ষতি করে না।

 

তিনি ১৯৫৯ সালের রমযান মাসে রোযাদার ও বেরোযাদারদের পাকস্থলীর এসিড পরীক্ষা করে প্রমাণ করেন যে, রোযায় এসিড বৃদ্ধির তুলনায় হ্রাস পায় অনেক বেশী ।

 

শিশু চিকিৎসা ও মানসিক চিকিৎসায় অবদান

আল-রাযীকে শিশু চিকিৎসার জনক বলা হয়। ইবনে সিনা ও আল-রাযী মানসিক রোগ চিকিৎসা বিদ্যাও প্রতিষ্ঠা করেন। জ্বর কমানোর জন্য ইবনে সিনা প্রথম পানিপট্টির প্রবর্তন করেন। সর্বপ্রথম প্লুরিসী রোগের বর্ণনা করেন আলী আব্বাস। নিউমোনিয়া রোগের সর্বপ্রথম বর্ণনা করেন হাজী পাশা (মৃত্যু ১৪১৭)।

 

 

শল্যবিদ্যাতে মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অবদান

শল্যবিদ্যাতে মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ছিলেন অগ্রদূত । আল-রাযী চামড়া সেলাইর জন্য সিল্কের সুতার প্রথম ব্যবহার করেন। তিনি ছাগলের, ভেড়ার অন্ত্রের তৈরি সুতার সাহায্যে সেলাইর প্রবর্তন করেন। {চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান}

 

১০ম শতাব্দীতে আবুল কাশিম আজ-জাহারাবী তাঁর ঐতিহাসিকগ্রন্থ “কিতাবুত তাসরিফ’ রচনা করে শল্যবিদ্যাতে বিশেষভাবে অবদান রাখেন। অস্ত্রোপচারেরঅনেকগুলো যন্ত্র আবিস্কার করে তিনি আজও বিখ্যাত হয়ে আছেন । আবুল কাশিম আজ-জাহারাবী গলগন্ড, হাড়ভাংগা ও হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের সাহায্যে  খাতনাও তাঁর প্রবর্তন। 

 

সিজারের সূচনা করেন মুসলীম বিজ্ঞানী

এ ছাড়া তিনি সিজারিয়ান অপারেশনও করতেন। মায়ের পেট থেকে মৃত শিশু কেটে বের করাও তিনি জানতেন। ইবনে সিনাও সিজারিয়ান অপারেশন করতেন। ইবনে সিনা শরীরের অংগে ক্ষতের চিকিৎসায় ৩টি নিয়ম মেনে চলার উপদেশ
দেন। এগুলো হচ্ছেঃ

 

১. রক্তপাত বন্ধ করা,

২. উপযুক্ত ঔষধ ও পথ্য দিয়ে তাড়াতাড়ি সারানোর ব্যবস্থা করা এবং

৩. যাতে পচন না ধরে সে ব্যবস্থা করা কিংবা পচন ধরলে উক্ত স্থান কেটে ফেলে
দেয়া।

 

আলী আব্বাস (মৃত্যু ৯৯৪) সর্বপ্রথম সার্জারীতে ব্যান্ডেজ করার রীতি প্রচলন করেন। ইবনে যোহার সর্বপ্রথম খাদ্যনালীতে নকল টিউব দিয়ে খাওয়ানোর পদ্ধতি চালু করেন। চক্ষুরোগের অস্ত্রোপচার করে বিশেষভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ইবনে সিনা, খলীফা আলুমু হুসেন, আম্মার ইবন আলা এবং ইবনে হায়যাম। আলী আব্বাস কিভাবে মূত্রনালীতে ক্যাথিটার ব্যবহার করতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

১২শ শতাব্দীর ইবনে জুহর তাঁর ‘কিতাবুত তায়সির’ গ্রন্থে প্রথম শ্বাসনালীর অস্ত্রোপ্রচারের কথা উল্লেখ করেন। শল্য চিকিৎসার জন্য রোগীকে বেহুঁশ করার প্রবর্তন করেন মাসুরিয়া আল মাবদী (৯২৫-১০১৫)।

 

এছাড়াও পবিত্র কুরআন মজীদে মৌমাছি ও মধু প্রসংগে বলা হয়েছে, “এর পেট থেকে বের হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়। যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই এই ঘটনায় চিন্তাশীল মানুষের জন্য আছে গবেষণার খোরাক।

 

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান-মুসলীম বিজ্ঞানী

 

হাদীস শরীফে একাধিকবার মধু প্রসংগ এসেছে। মধুর ব্যবহারের কথা রাসূল (সাঃ) বলেছেন স্বাস্থ্যরক্ষা তথা রোগ নিরাময়ের স্বার্থে। এক লিটার দুধে আছে ৬২০ ক্যালরী অথচ সমপরিমাণ মধুতে আছে ৩২০০ ক্যালরী। মধুর মধ্যে পানি, শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, এসিড ও খনিজ রয়েছে। মধুর একটা বড় গুণ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা। ভেষজ বিদ্যাতে মধু শত শত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। (চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান)

 

একটি হাদীসে পাওয়া যায়, “অগণিত রোগের নিরাময়ে কালিজিরা মূলবান । উদে হিন্দী কাঠ (গিরিমল্লিকা ফুল গাছের কাঠ) সম্পর্কেও রাসূল (স.) বলেছেন যে,“এতে একাধিক রোগের চিকিৎসা রয়েছে।

 

আল-রাযীর ‘সাইয়েদাত আত-তীব্ব’ ভেষজ বিদ্যার উপর নিবেদিত। আল- রাযী তাঁর অন্য একটি গ্রন্থ ‘খাওয়াস আল-আসিয়া’-তে চিকিৎসা ব্যবস্থায় রাসায়নিক দ্রবাদির ভূমিকার মূল্যায়ন করেছেন। আল- রাযী মনে করতেন ভেষজ চিকিৎসা যা রাসায়নিক

 

দ্রব্যের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেক্ষেত্রে গবেষণাগারের পরীক্ষা অপরিহার্য। তাঁর ভাষায় “যতক্ষণ পরীক্ষিত সত্য প্রমাণিত না হয়, ততক্ষণ কোন দ্রব্যের বিশেষ কোন গুণাগুণ আদৌ আমাদের বিশ্বাস করে নেয়া উচিত নয়।

 

তিনি সর্বপ্রথম বমি দমনের ঔষধ তৈরি করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন মলমও তৈরি করেন । আল-বেরুনীকে কেউ কেউ “ফাদার অব ফার্মেসী ইন ইসলাম বলে থাকেন। তিনি ভেষজ বিদ্যাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে, “ভেষজ বিদ্যা বলতে সাধারণত ঔষধের ধর্ম, তার কার্যপ্রণালী ও এদের প্রক্রিয়াকেই বোঝায়।”( চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান)

 

ইবনে সিনার কানূন-এর দ্বিতীয় খন্ডের নাম “ভেষজ বিজ্ঞান। তাঁর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হলো হৃৎপিন্ডের “ছন্দবৈষম্য দূরকারী ঔষধ জারনাব।” এর কাজ অনেকটা কুইনডিন, লিডোকেন বা এ জাতীয় ঔষধের মত। (চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান)

 

ইবনুল বায়তার হচ্ছেন তের শতকের বিখ্যাত ভেষজ বিজ্ঞানী। তাঁর লেখা গ্রন্থের একটা হচ্ছে “কিতাবুল হাময়ে ফিল আদাবিয়াতিল মুফরাদাত। এ গ্রন্থে তিনি বর্ণনানুক্রমে ১৪০০ টি ঔষধের বর্ণনা দেন। এর উপর ভিত্তি করেই ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়া (বিপি) লিখিত হয় ।

 

 চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান একনজরে
  • আল-রাযী (৮৫০-৯৩২) সর্বপ্রথম কয়েকটি স্নায়ু আবিস্কার করেন।
  • চিকিৎসা বিজ্ঞানী আলী আব্বাস (মৃত্যু ৯৯৪) সর্বপ্রথম কৈশিক রক্ত সঞ্চালনের উল্লেখ করেন।
 
  • আরব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন মাথার খুলিতে ৭ (সাত) টি হাড় আছে।
  • কানের যে হাড়গুলোর সাহায্যে আমরা শুনতে পাই, তাও মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিস্কার ।
 
  • আবূ সহলের বলেন খাদ্যের হজমক্রিয়া মুখ থেকেই প্রথম শুরু হয় এবং মুখের লালাই এই হজমের কাজ শুরু করে।
  • ইবনে নাফিস (মৃত্যু ১২৮৮) প্রমাণ করেন যে, দূষিত রক্ত  হৃৎপিন্ডের ডান দিক থেকে ফুসফুসে যায়
 
  • ইবনে সিনা বলেন যক্ষ্মা একটা সংক্রামক রোগ।
  • আল-রাযী সর্বপ্রথম বসন্ত ও হাম রোগের বিবরণ দেন।
  • ইবনে যোহার সর্বপ্রথম চুলকানির জীবাণু আবিস্কার করেন ।

     

 
  • আল- জুরমানী সর্বপ্রথম গলগন্ড ও চক্ষু বাইরের দিকে বিস্ফোরিত হওয়া সম্পর্কে ঘোষণা দেন। 
  • বাহাউদ্দৌলা (মৃত্যু ১৫০৭) প্রথম হুপিং কাশি রোগের জীবাণু নির্ণয় করেন।
 
  • রোযায় এসিড বৃদ্ধির তুলনায় হ্রাস পায় অনেক বেশী যা প্রমাণ করেন ইসলামী চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক মুহাম্মদ গোলাম মুয়ায্যম।
  • আল-রাযীকে শিশু চিকিৎসার জনক বলা হয়।
 
  • জ্বর কমানোর জন্য ইবনে সিনা প্রথম পানিপট্টির প্রবর্তন করেন।
  • নিউমোনিয়া রোগের সর্বপ্রথম বর্ণনা করেন হাজী পাশা (মৃত্যু ১৪১৭)।
 
  • সর্বপ্রথম প্লুরিসী রোগের বর্ণনা করেন আলী আব্বাস। 
  • আবুল কাশিম আজ-জাহারাবী গলগন্ড, হাড়ভাংগা ও হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের সাহায্যে  খাতনাও তাঁর প্রবর্তন।( চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান)
 
  • আবুল কাশিম আজ-জাহারাবী মায়ের পেট থেকে মৃত শিশু কেটে বের করাও তিনি জানতেন। ইবনে সিনাও সিজারিয়ান অপারেশন করতেন। 
  • আলী আব্বাস (মৃত্যু ৯৯৪) সর্বপ্রথম সার্জারীতে ব্যান্ডেজ করার রীতি প্রচলন করেন।
 
  • ইবনে যোহার সর্বপ্রথম খাদ্যনালীতে নকল টিউব দিয়ে খাওয়ানোর পদ্ধতি চালু করেন। 
  • আল রাজী সর্বপ্রথম বমি দমনের ঔষধ তৈরি করেন। (চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান)
 

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের সকল অবদান এখানে আলোচনা করা সম্ভব নয়। মধ্যযুগে
মুসলমানরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে সাফল্য লাভ করেছিলেন তার মূলে ছিল “ইকরা
। আজ আমাদের জ্ঞান সাধনায় সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ইকরা-র অভাব।

 

 আরো পড়ুনঃ

শিশুর ওজন কম হলে করনীয় ও কম জন্ম ওজনের শিশু

আমাদের (চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান) অতীতের গৌরবকে আবার অর্জন করতে হলে আল-কুরআন এবং হাদীস থেকে বৈজ্ঞানিক সত্যের অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে এবং মুসলিম বিজ্ঞানীদের লেখা বই-যা আজও স্পেন, ইস্তাম্বুল,  মুসলিম তুর্কিস্থানসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে

 

আছে, তা সংগ্রহ করে মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে। তাছাড়া এর সাথে নতুনভাবে গবেষণা চালাতে হবে আরও উন্নতি করার লক্ষ্যে।

 

এ ব্যাপারে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যৌথ ব্যবস্থা নিলে এবং ‘ইকরা’ বা জ্ঞান অর্জনের আমল করলে আবার ইনশাআল্লাহ অতীতের গৌরবকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং বিশ্বের মুসলমানরা সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে প্রথম কাতারে দাঁড়াতে পারবে ।

বিঃদ্রঃ- এই লিখাটি ইসলামী ফাউন্ডেশন এর প্রকাশিত বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমান কিছু বিজ্ঞানীদের অবদান এর কথা বলা হয়েছে এমন একটা ভিডিও দেয়া হলঃ-

 

0 thoughts on “চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান-মুসলীম বিজ্ঞানী-Best 2023”

Leave a Comment