JANA BUJHA

তীব্র গরম কি কৃত্রিম বৃষ্টি দিয়ে হিট অফিসার বুশরা কমাতে পারবে মনে হয়

তীব্র গরমে সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে রেললাইন আঁকাবাঁকা হয়ে পড়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার বয়লার শিশু মারা যাচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে ফসল। ভাইরাল রোগ বাড়ছে। সারাদেশের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

একই সঙ্গে দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে উচ্চচাপের জলকামান দিয়ে ‘কৃত্রিম বৃষ্টিপাত’ তৈরির উদ্যোগ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান তাপ কর্মকর্তা বুশরা আফরিন। জলকামানগুলি একসময় শহরগুলিতে ধূলিকণা এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হত, কিন্তু এখন তাপ তরঙ্গ কমাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বুশরা আফরিন বলেন, এ ক্ষেত্রে শহুরে সবুজায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। কিন্তু তার জন্য এখন অলস থাকার কোন মানে ছিল না। তাই আমরা জলকামানের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টিপাত’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি, যা অল্প সময়েও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে নগরবাসীর গ্রীষ্মকালীন দুর্ভোগ কমবে।

তিনি বলেন, নগর সরকার পানীয় জল সরবরাহের উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে পথচারীদের বিশ্রামের সুযোগ দিতে ‘কুল স্পেস’-এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অবশ্যই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

উত্তর সিটির চিফ হিটিং অফিসার বলেছেন, “গত বছরে আমরা বেশ কিছু বড় উদ্যোগ নিয়েছি।” তার মধ্যে একটি হল বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ তারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটি। তারা এসব স্থানে গাছ লাগানো এবং এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে জড়িত।

 

আরো পড়তে পারেন- বুঝলে প্রিয় ক্যাপশন

 

এর পাশাপাশি, আমরা আবহাওয়া অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থা এবং এনজিওগুলির সাথে বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করব। কায়ানপুর এবং বনানীতে একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে, আমরা “শহুরে বন” তৈরি করব যা একই সাথে শীতলতা প্রদান করবে, বায়ু দূষণ রোধ করবে এবং মাটির গুণমান উন্নত করবে।

তীব্র দাবদাহে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ দেখা পাবে নগরবাসী।

 

রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁওসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’দেখা মিলবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর তাপপ্রবাহ কমাতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ তৈরির জন্য ব্যবহার করছে বড় বড় জলকামান। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার।

Leave a Comment