JANA BUJHA

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো Best 1

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো তা জানার আগে জেনে নেই  কৃমি কি। সেই সাথে জানবো কৃমি রোগের কারণ, কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় ও কৃমি বিস্তারিত। 

অন্য প্রাণীর দেহে অবস্থান করে যে সব জীব জীবন ধারণ ও বংশবৃদ্ধি করে, তাদের পরজীবী বলা হয়। এ সব পরজীবীর মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত বড়, তাদের কৃমি বলা হয়। এরা খুব ছোট (কোন রকমে খালি চোখে দেখা যায়) থেকে কয়েক ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো তা জানার জন্য যেহেতু সার্চ দিয়েছেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন তাই আগে আমরা কৃমির ওষুধ নিয়েই বর্ণনা করছি। পরে অন্যান্য বিস্তারিত বর্ণনা করবো। 

সাধারণত অনেক ধরনের কৃমির ঔষুধ রয়েছে। তবে আমাদের দেশে সচরাচর হয় এমন কৃমি নির্মুলের (ব্রড স্পেকট্রাম) ঔষুধ এর আসল নাম (Original Name) এখানে উল্লেখ করছি।কৃমির ঔষধ

  • পাইপেরাজিন
  • পাইরেনটাল পময়েট
  • মেবেনডাজলু

 

  • লেভামিজল
  • অলবেনডাজল-ইত্যাদি 1

 

  • এ ছাড়া অন্যান্য কৃমির ঔষুধ, যেগুলো আমাদের দেশে মাঝে মধ্যে হয়, সেগুলো প্রয়োজনে জেনে নেয়া যেতে পারে।

আবার উপরে উল্লেখিত ঔষুধ-সাধারণত দু’ভাবে সেবন করা যায়-কৃমির ঔষধ

     ১. সিংগেল ডোজ বা একমাত্রা

     ২. ডিভাইডেড ডোজ বা ভগ্নাংশ মাত্রা।

আপনার ডাক্তার প্রয়োজনে এ ডোজ নির্ধারণ করে দেবেন। অবশ্যই ঔষুধ সেবনে

ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত ।

 

  • পুরাপুরি কৃমি নির্মুলে (অনেক সময়) প্রথম রোগীর ক্ষেত্রে ৩ ডোজ ঔষুধ সেবন করা উচিত। যেমন: প্রথম ডোজ এর এক সপ্তাহ পর ২য় ডোজ এবং এর ৩ সপ্তাহ পর ৩য় ডোজ। এতে আশা করা যায় ঐ ব্যক্তির সবগুলো কৃমি নির্মূল হবে।

 

পরবর্তীতে আমাদের মত দেশের জন্য বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, প্রয়োজনে প্রতি ৩ মাস পর পর এক/ডোজ করে ঔষুধ সেবন করা বাঞ্ছনীয়। অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকদের ক্ষেত্রে এর কোন প্রয়োজন নেই ।কৃমির ঔষধ

  • বাড়ীর সব সদস্যদের একসঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া উচিত ।কৃমির ঔষধ

 

  • মনে রাখতে হবে, শুধু ঔষুধ খাওয়ালে চলেবে না, রোগীকে অপরিষ্কার হাতে খাদ্যদ্রব্য বর্জনের ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চলার পরামর্শ দিতে হবে। O সূতা কৃমি রোগীর ক্ষেত্রে ঔষুধ খাওয়ার সাথে সাথে পরিধেয় কাপড়, বিছানাপত্র ধুয়ে ফেলা ও রৌদ্রে শুকানো প্রয়োজন। তা না হলে পুনরায় সেখান থেকে এ কৃমি পেটে যাবে ।

 

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালোঃপর্ব- ২

 

আমাদের দেশে কোন কৃমির প্রকোপ বেশী:

কৃমি অনেক প্রকারের আছে। আমাদের দেশে কয়েক ধরনের কৃমি রোগ সবচেয়ে বেশী। যেমন :কৃমির ঔষধ

১. কেঁচো কৃমি

২. সূতা কৃমি

৩ . চাবুক কৃমি

 

৪. বক্র কৃমি

এ ছাড়া, আরো কয়েক ধরনের কৃমিও মাঝে মধ্যে দেখা যায় । যেমন:

৫. ফিতা কৃমি

৬. বেঁটে ফিতা কৃমি

 

৭. ষ্টংগিলইডিস ষ্টার কোরালিস

৮. পাতা কৃমি

 

৯. ফাইলেরিয়া

১০. হাইডাটিভকৃমির ঔষধ

 

 

কৃমি রোগএর কারণ :কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

স্বাস্থ্য অসেচতনতা, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন জীবন যাপন ও খাবার, পানীয় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এ রোগ-এর অন্যতম কারণ ।কৃমির ঔষধ

 

সাধারণত কৃমির উপযুক্ত পায়খানা বেশীর ভাগ কৃমি রোগের অন্যতম উৎস। খোলা ও অবৈজ্ঞানিক পায়খানা এ রোগ বিস্তারের অন্যতম সহায়ক উৎস এবং এ উৎস পরিবেশকে দূষিত করলে সে দূষিত পরিবেশে সুস্থ মানুষের শরীরে এ রোগ ছড়ায়। যেমন:

কৃমির-ঔষধ-কোনটা-ভালো
                                                                                   কৃমির-ঔষধ-কোনটা-ভালো

 

 

আমাদের দেশে কৃমি রোগএর প্রকোপ:কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

উন্নত দেশে এ রোগ সবচেয়ে কম। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ স্বাস্থ্য অসচেতন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে বলে আমাদের দেশে এ রোগ বেশী । আবার শহর অঞ্চলের চেয়ে গ্রাম অঞ্চলে এ রোগ সবচেয়ে বেশী।কৃমির ঔষধ

 

কৃমি রোগএর বিস্তার:

এক-এক ধরনের কৃমি এক- একভাবে আমাদের দেহে প্রবেশ করে। যেমন:কৃমির ঔষধ

  • কেঁচো কৃমি:

এদের ডিম মাটিতে থাকে। সেখান থেকে কাঁচা তরিতরকারী, ফলমূল, হাতের আঙ্গুল, বাচ্চাদের খেলনা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের পেটে (অন্ত্রে) প্রবেশ করে।

 

 

  • সূতা কৃমি :

এ কৃমিরা মানুষের মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে মলদ্বারের চারপার্শ্বে ডিম পাড়ে। এখান থেকে ডিমগুলো কাপড়ে, বিছানায়, নখে এবং আঙ্গুলে লেগে যায়। হাওয়ায় ভেসে খাবারের ওপরে পড়ে। এরা সেখান থেকে ডিম গুলো কাপড়ে, বিছানায়, নখে এবং আঙ্গুলে লেগে যায়।কৃমির ঔষধ

 

হা্ওয়ায় ভেসে খাবারের উপরে পড়ে। এরা সেখান থেকে বাড়ির সকলের পেটে প্রবেশ করে। আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের মলদ্বার চুলকিয়ে সে হাতে খাওয়া দাওয়া করলে নিজের কাছ থেকে নিজেই আবার আক্রান্ত হয় ।কৃমির ঔষধ

 

আরো পড়ুনঃ পেটে ব্যাথা কমানোর  উপায় কারণ প্রতিকার 

 

ক্যাস্টর ওয়েল এর ক্ষতিকারক দিকসমূহ কী?

 

বক্র কৃমি স্ট্রংগিলইডিস স্টার কোরালিস:

এদের বাচ্চা কৃমিরা মাটিতে খালি পায়ে হাঁটার সময় পায়ের চামড়া ভেদ করে মানুষের দেহে ঢুকে পড়ে।

  • ফিতা কৃমি:

এদের বাচ্চা কৃমিগুলো গরু ও শূকরের মাংসে বসবাস করে। এই মাংস কাঁচা বা কম সিদ্ধ অবস্থায় খেলে বাচ্চা কৃমিগুলো মানুষের পেটে প্রবেশ করে। যারা এ খাবার খায়, তারা এ রোগের শিকার হতে পারে।কৃমির ঔষধ

  • বেঁটে ফিতা কৃমি:

এদের ডিম মানুষের মলে থাকে। সেখান থেকে হাতের আঙ্গুল এবং ধূলাবালিতে মিশে খাবারের সাথে আশেপাশের সকলের পেটে ঢুকে পড়ে।কৃমির ঔষধ

 

  • পাতা কৃমি:

এদের বাচ্চা কৃমিগুলো জলজ ফলমূল ও তরি-তারকারী শাপলা, পানিফল, পদ্ম ও মাখনা ইত্যাদি)-এর গায়ে লেগে থাকে। এ সব ফলমূল কাঁচা অবস্থায় দাঁত দিয়ে ছিলে খেলে বাচ্চাকৃমিগুলো মানুষের পেটে ঢুকে পড়ে ।কৃমির ঔষধ

 

  • ফাইলেরিয়া:

 ফাইলেরিয়া রোগীকে মশায় কামড়ালে বাচ্চা ফাইলেরিয়া মশার শরীরে ঢুকে পড়ে । পরে এই মশা অন্য সুস্থ লোককে কামড়ালে সে এ রোগে আক্রান্ত হয়।

 

  • হাইড্রাটিড রোগ:

সংক্রমিত কুকুরের মলে এ রোগের কৃমির ডিম বের হয়ে কুকুরের গায়ে ও আশেপাশের মেঝেতে, মাটিতে এবং কার্পেটে লেগে থাকে । সাধারণতঃ এই সংক্রমিত কুকুরকে আদর করার সময় মানুষের হাতে ও নখে কৃমির ডিম লেগে যায় ও পরে অপরিষ্কার হাতে খেলে এই ডিম পেটে ঢুকে পড়ে।কৃমির ঔষধ

 

কৃমির কারণে শরীরের বিভিন্ন উপসর্গ বা জটিলতা:কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

বিভিন্ন ধরনের কৃমি বিভিন্ন অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন:

  • কেঁচো কৃমি: এই কৃমি সংক্রমণের ফলে পেট ব্যথা, বদহজম, বমি বমি ভাব হয় অনেকগুলি কেঁচো কৃমি একসাথে জড়াজড়ি করে শ্বাসনালী এবং অন্ত্রনালী অবরোধ করে মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

মধ্যে মধ্যে এরা সফরে বের হয়ে পাকস্থলী, গলনালী, নাক-মুখ ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসতে পারে বা অন্য অনেক স্থানে গিয়ে নানা উৎপাত করতে পারে।কৃমির ঔষধ

 

অ্যাপেণ্ডিক্স এবং পিত্তনালীতে ঢুকে এরা যথাক্রমে অ্যাপেণ্ডিসাইটিস এবং জণ্ডিস সৃষ্টি করতে পারে। এদের তৈরী এক প্রকার রস রক্তের সাথে গিয়ে চুলকানি, আমবাত ও কৃমি বিকার সৃষ্টি করতে পারে। বাচ্চা কৃমিরা ফুসফুস দিয়ে যাবার সময় হাঁপানি ও নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

 

  • সূতা কৃমি: রাতে এই কৃমিরা মলদ্বারে এসে সুড়সুড়ি দেয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির মলদ্বারে চুলকানি, অস্বস্তি ও অনিদ্রা হতে পারে। এ ছাড়া এরা পেটে ব্যথা, রাতে বিছানায় প্রস্রাব, অ্যাপেণ্ডিসাইটিস ও মেয়েদের বেলায় সাদা স্রাবের কারণ হতে পারে ।কৃমির ঔষধ

 

  • চাবুক কৃমি: এই কৃমি অত্যধিক সংখ্যায় থাকলে পেট ব্যথা ও রক্ত আমাশয় হতে পারে । কোন কোন ক্ষেত্রে এরা অ্যাপেণ্ডিসাইটিস সৃষ্টি করতে পারে।কৃমির ঔষধ

 

  • বক্র কৃমি: এক-একটা বক্রকৃমি একেিদন প্রায় ১ সি. সি. পরিমাণ রক্ত চুষে নিতে পারে। একজনের পেটে প্রায়ই কয়েকশত বা কয়েক হাজার কৃমি থাকে, সে রকম অবস্থায় এই কৃমি ভীষণ রক্তশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে।

 

  • এ ছাড়া বাচ্চা কৃমিরা পায়ের যেখানে ঢুকে, সেখানে চুলকানি ও ঘা সৃষ্টি করতে পারে। কোন কোন সময় কৃমি অল্পদিন স্থায়ী হাঁপানিও সৃষ্টি করতে পারে।

 

  • পাতা কৃমি: অত্যধিক সংখ্যায় থাকলে এরা পেটে পেপটিক আলসারের মত ব্যথা উদ্রেক করতে পারে ।

 

  • ফিতা কৃমি: গো-ফিতা কৃমি সাধারণত খবু একটা ক্ষতি করে না। তবে যখন তখন মলদ্বার দিয়ে এই কৃমির শরীরের কিছু অংশ বের হয়ে আশ্রয়দাতাকে লজ্জাষ্কর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এরা ক্ষুদামন্দা ও পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।

 

  • বেঁটে ফিতা কৃমি: এ কৃমি ক্ষুধামন্দা, পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার কারণ হতে পারে। এ ছাড়া এদের উপস্থিতির জন্যে মাথাধরা, মাথাঘোরা, এমনকি খিঁচুনিও দেখা দিতে পারে।

 

  • স্টংগিলইডিস স্টারকোরালিস: বক্র কৃমির মত এরা পায়ে চুলকানি ও ঘা করতে পারে। এ ছাড়া এরা হাঁপানি, নিউমোনিয়া, পেটে পেপটিক আলসার-এর মত ব্যথা ও ঘন ঘন পাতলা পায়খানার কারণ হতে পারে।কৃমির ঔষধ

 

  • ফাইলেরিয়া: এ রোগে কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন জ্বর, পা বা হাত ফোলা, কুচকি বা বগলের গ্রন্থি ফোলা, অণ্ডকোষ ব্যথা বা ফোলা, এমনকি দুধের মত সাদা প্রস্রাবও হতে পারে। বহুদিন ধরে এ রোগ চলতে থাকলে পা ফুলে ভীষণ মোটা হয়ে গোদের সৃষ্টি করতে পারে।

 

  • হাইড্রাটিড কৃমি: এ রোগের কৃমি যকৃত, ফুসফুস, মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য স্থানে বড় হতে পারে। তরল পদার্থে ভরা ছোট ছোট বলের আকারে এরা ধীরে ধীরে বড় হয়ে ফুটবলের পরিমাণ ধারণ করতে পারে। এদের হাইড্রাটিড সিষ্ট বলা হয়।কৃমির ঔষধ

 

  • এরা যকৃত ও বুকে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। কফের সাথে রক্ত এমনকি এসব সিষ্টের টুকরোও বের হতে পারে। এই সিষ্ট ফেটে গিয়ে এর ভেতরের তরল পদার্থ রক্তের সাথে মিশে গেলে হঠাৎ করে রক্ত চাপ কম এবং নাড়ীর গতি দ্রুত হয়ে রোগীর হাত-পা ঠাণ্ডা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে ।

 

 কৃমি রোগের ব্যাপারে কিছু বহু প্রচলিত কুসংস্কার অজ্ঞতা ভূল ধারণা:

  • এটা কি সত্য যে ইলিশ মাছ বা অত্যধিক মিষ্টি খেলে কৃমি হতে পারে?
  • ইলিশ মাছ বা অত্যধিক মিষ্টি বা অন্যান্য খাবার খেলে কৃমি হতে পারে-এ রকম ধারণা একেবারেই অমূলক।
  • এটা কি ঠিক যে কৃমির ঔষুধ ঠাণ্ডা বা বৃষ্টির দিনে খাওয়ানো উচিত নয়?
  • আজকাল যেসব কৃমির ঔষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাদের সবগুলোই মোটামুটি নিরাপদ। গরম, ঠাণ্ডা বা বৃষ্টির দিনে যে কোন সময়ে প্রয়োজনে ঔষুধ সেবন করা যায়, এতে কোন অপকার নেই।

 

  • তবে এসকেরিয়েটিক ক্রাইসিস (Ascariatic Crisis) বা কৃমি উতলা হলে কৃমির ঔষুধ-এর সাথে অন্য ঔষুধও সেবন করতে হয় ।

কৃমির ঔষধ

 

  • অনেক সময় বলতে শোনা যায় যে, পেটে কিছু কৃমি না থাকলে মানুষ বাঁচতে পারে না ধারণা কি ঠিক?
  • এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। কিছু কিছু পরজীবী যা অত্যন্ত ছোট, যাদের আমরা ব্যাকটেরিয়া বলে থাকি, অন্ত্রে তাদের কারো কারো উপস্থিতি মানবদেহের জন্যে উপকারী। কিন্তু কৃমি জাতীয় পরজীবীরা কোন উপকার করে বলে জানা নেই; বরং এদের উপস্থিতি মানবদেহের জন্যে খুবই ক্ষতিকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।

 

  • মল পরীক্ষা না করে রোগীকে কৃমির ঔষুধ দেয়া কি যুক্তিযুক্ত:
  • মল পরীক্ষা করে রোগীকে কৃমির ঔষুধ খাওয়ানোই ভাল । কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা মল পরীক্ষা না করে কৃমির ঔষুধ দিয়ে থাকি। যেমন:

১. রোগী যদি বলে, তার মলের বা বমির সাথে ইদানিং কেঁচো কৃমি বরে হয়েছে।

২. রোগী যদি বলে যে, তার পায়খানার রাস্তা চুলকায় বা মাঝে মাঝে মলের সাথে সূতা কৃমি বের হয়।

৩. মল পরীক্ষার সুযোগের অভাব কিন্তু কৃমি আছে বলে সন্দেহ।

  • মল পরীক্ষার পর কৃমির ডিম নেই বলে রিপোর্ট পেলে কি পেটে কৃমি থাকতে পারে?
  • এ রকম পরিস্থিতিতে প্রায়ই দেখা যায়। বিশেষ করে সূতা কৃমির বেলায়। স্ত্রী জাতীয় সূত্য কৃমি গর্ভ অবস্থায় পেটে (অস্ত্রে) বসবাস করে; কিন্তু ডিম ছাড়ার আগে তারা মলদ্বার দিয়ে বাইরে বের হয়ে এসে মলদ্বারের চারপাশের চামড়ার উপরে ডিম পাড়ে। এ কারণে এদের ডিম মল পরীক্ষায় না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

 

  • গর্ভ অবস্থায় কৃমির ঔষুধ খাওয়ানো কি ঠিক?
  • যদিও আজকাল অনেক নিরাপদ কৃমির ঔষুধ বেরিয়েছে, তবু অন্য অনেক ঔষুধের মত কৃমির ঔষুধও গর্ভ অবস্থায় প্রথম তিন মাসে না খাওয়ানই ভাল ।

 

  • এক ব্যক্তি কি এক সমযে একাধিক কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারে ?
  • হাঁ, একই ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারে। বস্তুত এ রকম অবস্থা আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায়।

 

জনসাধারণ কিভাবে কৃমি রোগ প্রতিরোধ করতে পারেনঃকৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

কৃমি রোগ প্রতিরোধ করা জনসাধারণের উপরই নির্ভর করে। বস্তুত সব সভ্য ও উন্নত দেশই জনসাধারণের সহায়তায় এ রোগকে নির্মূল করতে সমর্থ হয়েছে । এ রোগ নির্মূল করতে হলে নিজে পরিষ্কার থাকুন, নখ ছোট রাখুন।

 

মল ত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ভাল করে পরিষ্কার করুন। প্রত্যেকবার খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন । গ্রামের জনসাধারণকে উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগ করা থেকে নিবৃত্ত করুন এবং বিজ্ঞানসম্মত লেট্রিন যেমন : ওয়াটার ল্যাট্রিন, মাটিতে গর্ত করে ল্যাট্রিন নির্মাণ ও ব্যবহারে সচেষ্ট করুন। খালি পায়ে ময়লা কাদাযুক্ত মাটিতে হাঁটা এবং লেট্রিন-এ যাওয়া পরিহার করুন । মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচান ।

খোলা জীবনুযুক্ত দূষিত খাবার ও পানীয় এবং মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গ বসে- এমন খাবার থেকে বিরত থাকুন; বিশুদ্ধ খাবার ও পানীয় গ্রহণে সচেষ্ট হউন। কাঁচা ফলমূল, তরি-তরকারী ও সালাদ জাতীয় খাবার, কাবার আগে ভালমত গরম পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার না করে খাবেন না। কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ গোশ্ত খাবেন না । শিক কাবাব খাবার আগে তা খুব ভালমত ঝলসানো কিনা, পরখ করে দেখুন।

 

খাবার আগে বাসনপত্র, প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি খুব ভালভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন । আপনার জন্যে যারা রান্না করেন, থানা-বাসন পরিষ্কার করেন বা আপনার বাড়িতে কাজ করেন, এমন সবার নখ ছোট রাখতে ও সাবান ব্যবহার করতে বাধ্য করুন এবং দরকারমত এদের কৃমির চিকিৎসা করিয়ে নিন। কুকুরকে আদর করা বা কুকুরের সাথে খেলা করা থেকে বিরত থাকুন ।

Leave a Comment