মানব শরীরের
সকল অঙ্গই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু অঙ্গ রয়েছে যেগুলোতে অসুবিধা তৈরী হলে অনেক
সময়ই অচল হয়ে ঘরে পড়তে হয়। আর সেই রকম একটা অঙ্গ আমাদের পা। যদি পায়ে ব্যাথার মত কোন
সমস্যা তৈরী হয় তখন কিন্তু রেস্টে চলে যেতে হয়। আর পায়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে
হাঁটু। আজ হাঁটু ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়েই কিছু কথা হবে।
সারাবেলা
হাটাহাটি বা অন্য কোন পরিশ্রম সাধ্য কাজতো আমরা কম বেশী সবাই করি। তাই সে কারণে অনেকেরই
হাঁটুতে ব্যাথার মত সমস্যায় প্রায়ই পড়তে হয়। এই ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন
আঘাত জনিত ব্যথা, বাতের ব্যথা,অথবা হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলেও ব্যাথা হয়। আবার
হাঁটুর জয়েন্ট এর কাছে কারটিলিস নামের যে নরম হার থাকে সেখানে ক্ষয় দেখা দিলেও হাঁটুর
ব্যথা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে হাঁটুর ব্যথা হলেই নিয়মিত ব্যথার
ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
তাই চলুন এখন জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে হাঁটুর
ব্যথা দূর করা যায়।
১ মরিঙ্গা
ওয়েল
মরিঙ্গা বা সজনের তেল ব্যথা উপশম্য বেশ উপকারী। আমাদের
দেশে এটি অপ্রতুল হলেও বিশ্বে এর কদর রয়েছে ব্যাপক। বিভিন্ন বড় বড় সুপার শপ এ একটু
কষ্ট করে খুঁজলে মরিঙ্গাতেল পাওয়া যায়। এর দাম হয়তো একটু বেশি কিন্তু উপকারের দিক
থেকে তা সামান্যই মনে হয়। তেল নিয়মিত মালিশ করলে হাঁটুর ব্যথা খুব দ্রুত দূর হয়।
২ গরম পানির সেক
গরম পানির সেক নিতে পারেন হাঁটুর ব্যথায় খুব উপকার হয়। দিনে দুইবার গরম পানির সেক নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
৩ আকন্দ পাতার
সেক
আকন্দ পাতায় খাঁটি সরিষার তেল মালিশ করুন। এটি মৃদু আঁচে গরম করুন। কর্ম অবস্থায় এটি দিয়ে হাঁটুতে
মালিশ করুন। ব্যথা খুব দ্রুতই কমে যাবে।
৪ আইসব্যাগ
ব্যবহার
বরফের মাধ্যমে ঠান্ডা সেক নিতে পারেন। একটি কাপড়ে বরফ বেঁধে তা মালিশ করতে পারেন। এতে হাঁটুর ব্যথা
খুব দ্রুত কমে যাবে।
৫ মেসেজ
সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল গরম করে হাঁটুতে মেসেজ করতে
পারেন। অলিভ ওয়েল এর নানা উপকার রয়েছে কিন্তু হাঁটু ব্যাথাতেও যে অলিভ কাজে দিবে তা
জানা ছিল না।
৬ দুধ ও আখরুটের মিশ্রণ
দুই কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বাদাম, সামান্য
হলুদ গুঁড়ো এবং এর সাথে যোগ করুন আখরোটের গুড়ো। এই মিশ্রণটি খুব ভালোভাবে ফোটাতে থাকুন।
এতক্ষন ফোটাবেন যতক্ষণ না এই মিশ্রণটি অর্ধেক হয়ে যায়। টানা দুই মাস দিনে একবার করে
এই মিশ্রণ পান করুন।
খুব দ্রুতই সেরে যাবে আপনার হাঁটুর ব্যথা।
এছাড়া বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকম ব্যথা নাশক মলম মালিশ করতে পারেন।
ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে
ভুলবেন না কিন্তু।