JANA BUJHA

চুলকানি ও স্কেবিস রোগ কি,ছড়ানো, লক্ষণসমূহ, রোগ প্রতিরোধ 2023

চুলকানি ও স্কেবিস রোগ কি, কিভাবে ছড়ায়, এর লক্ষণসমূহ এবং কিভাবে এব প্রতিরোধ করা যাবে তা এই লিখার মধ্যে আলোচনা করা হবে। চলুন শুরু করা যাক।

চুলকানি অতি পরিচিত ও ছোঁয়াচে চর্ম রোগ । এই রোগের পরজীবী জীবাণুর নাম সারকপটিস স্ক্যাবিই । চর্ম রোগের মধ্যে এই রোগটাই সব থেকে বেশি দেখা দেয়। বাড়িতে একজনের হলে আস্তে আস্তে অন্য সদস্যরাও এর শিকার হন ।

 

চুলকানি কিভাবে ছড়াবে

 স্পর্শেই সাধারণত এ রোগ ছড়ায়। তাছাড়া রোগীর ব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, গামছা বা তোয়ালে, বিছানার চাদর বা বালিশ

ব্যবহার করলেও এ রোগ হতে পারে। রোগীর শরীরের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতেও স্পর্শের মাধ্যমে রোগ ছড়ায়

চুলকানি ও স্কেবিস

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

চুলকানি ও স্কেবিস রোগ লক্ষণসমূহঃ

 

. ভীষণ চুলকায় বলেই এর নাম চুলকানি হয়েছে। এই চুলকানো আবার বেশি হয় রাতের বেলায়।

২. এ রোগ দেখা দিলে অবশ্যই আর একজন চুলকানি রোগীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস থাকবে ।

৩. চুলকানিটা সাধারণত বেশি হয় হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, কব্জির সামনে, আঙ্গুলে, নাভি ও নাভির চারদিকে, হাতে, কনুইয়ে, বগলে, পায়ে, গলার নিচে । তবে সর্ব শরীরেও হতে পারে। ছোট বাচ্চাদের গলার ওপরেও হতে পারে ।

৪. চুলকানোর স্থানে ছোট ছোট ঘা এবং পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে পাঁচড়া হয়ে যায়। পাঁচড়ার পুঁজ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে স্পর্শের মাধ্যমে ছড়াতে থাকে ।

৫. পাঁচড়ার সময় জ্বর হয় । বগলের বা কুঁচকির গ্ল্যান্ডও বড় হতে পারে ।

৬. এই রোগ থেকে কিডনির রোগ যেমন নেফরাইটস হতে পারে। নেফরাইটস হলে প্রস্রাব কমে যায়, লাল রং-এর হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায় ।

 

চুলকানি ও স্কেবিস রোগ জটিলতা :

 (১) পাঁচড়া

 (২) একজিমা

(৩) নেফ্ররাইটস

(৪) ফোঁড়া ।

 

চুলকানি ও স্কেবিস রোগ এর চিকিৎসা

 

১. ১.৫% পারমেথ্রিন (লটিক্স, ইলিমেট, স্কোবেক্স, স্কেরিন, নেস্কেব ক্রীম)

২. বেনজাইল বেনজয়েট লোশন (২৫%) গলা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত তেল মাখার মত করে প্রতিদিন গোসলের পরে মাখতে হবে। পরপর ৩ দিন  অথবা

গোসল না করে আগের নিয়মে পরপর ৩ রাতে মাখতে হবে। শিশুদের বেলায় সমপরিমাণে নারিকেল তেল বা পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তারপর ৭ দিন বন্ধ রেখে আবার আগের নিয়মে ৩ দিন মাখতে হবে । এভাবে মোট ৩টা কোর্স ব্যবহার করতে হতে পারে ।

৩. পাঁচড়া বা ঘা হয়ে গেলে পেনিসিলিন বা ক্লক্সাসিলিন ট্যাবলেট বা সিরাপ ৫০ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি ওজনের জন্য দিনে ৪ বার দিতে হবে। বড়দের বেলায় ১টা করে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল (২৫০ মিলিগ্রাম) দিনে ৪ বার খেতে হবে। খালি পেটে

৫ থেকে ৭ দিন খাওয়ানো ভালো। এর মধ্যে ঘা শুকিয়ে যাবে। তার পরে বেনজাইল বেনজায়েট লোশন আগের নিয়মে ব্যবহার করতে হবে।

৪. গামা বেনজিন হেকসা ক্লোরাইড (১%) ক্রীম বা লোশন আগের নিয়মে ব্যবহার করা উত্তম ।

৫. মনোসালফিরাম (টেট্টাসল স্যলুশন)

৬. সালফার মলম (৫-১০%) আগের নিয়মে ব্যবহার করা যায় ।

 

 

চুলকানি ও স্কেবিস রোগ প্রতিরোধ

 

১. রোগীর চুলকানি হলে তার বিছানা, কাপড়-চোপড় আলাদা করতে হবে ।

২.  দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. অন্য সুস্থ ছেলেমেয়েদের রোগীর সংস্পর্শে আসা বন্ধ করতে হবে ।

৪.  রোগীর ব্যবহার করা কাপড় চিকিৎসা চলাকালে এবং চিকিৎসার শেষের দিনে গরম পানিতে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে ।       

 

 

১. প্রশ্নঃ গোসল করার পর সারা শরীর চুলকায় কেন?

  • পানিবাহিত অ্যারার্জির জন্য হয়ে থাকে।

  • একেকজন মানুষের একেক জিনিসে অ্যালার্জি দেখা দেয়। যার গোসল এর পর বা ঐ সময় শরীর চুলকায় তার বুঝতে হবে যে তার পানিতে অ্যালার্জি।
  • অ্যাকুয়োজেনিক আর্টেকেরিয়া বলে এই সমস্যাকে।

২. এলার্জির কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে?

  • রেশ
  • শ্বাসকষ্ট
  •  
  • চুলকানি
  • পায়খান
  •  
  • বমি
  • পেটে যন্ত্রণা
  •  
  • পেট ব্যথা
  • শরীর ফুল যেতে পারে।
  •  
  • চোখে চুলকানি।
  • শরীর লালচে দাগ হয়ে যাওয়া।

1 thought on “চুলকানি ও স্কেবিস রোগ কি,ছড়ানো, লক্ষণসমূহ, রোগ প্রতিরোধ 2023”

Leave a Comment