অনেকেই আছেন বেকার হয়ে বসে আছেন। কখন সুযোগ আসবে চাকরীর তখন চাকুরী করবেন।
কিন্তু একটু মাথা খাটালে নিজেই ব্যবসা করতে পারেন খুব সহজে। তাই বর্তমানে কোন ব্যবসা
করে সবচেয়ে বেশী লাভবান হওয়া যাবে তা নিয়ে কিছু আইডিয়া শেয়ার করতে যাচ্ছি। আর এর জন্য
দরকার চোখ কান একটু খোলা রাখা। হয়ত অনেকদিন ধরে সরকারী চাকুরীর প্রত্যাশায় নিজের পরিবার
এর কাছে হয়ে যাচ্ছেন অকর্মা অথবা বেসরকারী নানা কোম্পানীতে একের পর এক ভাইভা দিচ্ছেন
কিন্তু চাকরীর আশা নেই।
![]() |
পুঁজিছাড়া ব্যবসায় লাভবান |
আমরা যারা পড়াশোনা শেষ করে বসে আছি তাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না কি করবেন,
বেকার তকমাকে মুছার জন্য। তাই এই সংকট অবস্থায় যারা আছেন তারা চাইলেই ইনকাম করতে পারেন।
আপনি হয়ত কোন কোম্পানীতে কাজ করবেন তাদের প্রডাক্ট বিক্রির জন্য। আর মাস
শেষে পনের বা বিশ হাজার টাকা বেতন পাবেন কিন্তু আপনি কোম্পানীর হয়ে সেল করেছেন এক লাখ।
এমন চাকরী যারা করেন তারা একটু চিন্তা করে দেখুন যদি প্রোডাক্ট আপনি আপনার জন্য বিক্রি করতেন তাহলে হয়ত ৬০-৭০ হাজার টাকা থাকতো আপনার
পকেটে।
আজ এমনি একটি উপায় বলতে চাচ্ছি যেখানে আপনি নিজেই প্রডাক্ট বিক্রি করবেন
কিন্তু নেই কোন টার্গট। নিজেই নিজের লক্ষ্য স্থির করে নেমে পড়তে পারেন ব্যবসায়।
অনেকেই বলবেন আমারতো পুঁজি নেই তাহলে কিভাবে আমি ব্যবসা করবো? আপনার একটাকাও
পুঁজি লাগবে না লাগবে শুধু আপনার পরিশ্রম আর মানুষের সাথে যোগাযোগ। তাহলেই পাড়বেন আপনিও
ইনকাম করতে।
ব্যবসাটা কি?
একটু চিন্তা করুনতো যখন কোভিট-১৯ চলছিল তখন কোন সেক্টর একচেটিয়া ব্যবসা
করেছে? আমরা সবাই জানি এর উত্তর। আর তা হলো- অনলাইন এর দুনিয়ায় যারা ব্যবসা করেছে তা্রাই
সফল হয়েছে ব্যবসা করে। অন্যান্য ব্যবসা যেখানে পঙ্গু হয়ে বসে রয়েছে সেখানে অনলাইন কেন্দ্রিক
ব্যবসায়ীরা রমরমা ব্যবসা করেছে। তাদের অবস্থা আরও ভাল হয়েছে। শুধু আমাদের দেশ নয় সারা
পৃথিবীর অবস্থা একই ছিল।
ব্যবসার জন্য মানুষের প্রয়োজন কি তা বোঝা খুব জরুরী। এখন সমাজের সংকট কি,
মানুষ কোন পণ্য এখন বেশী কিনবে তা বুঝতে হবে।
ধরেন, আগামীকাল থেকে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আগামী পরশু দিন থেকে কয়েল, মশারীর ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে। এর কারণ হচ্ছে মানুষের প্রয়োজন
কয়েল ও মশারি কেননা মানুষ ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে চায়।
আবার যেমন কোভিড এর সময় মাস্ক এর
ব্যবসা ছিল জমজমাট। অনেকেই শুধু মাস্ক বিক্রি করে হয়ে গেছেন কোটিপতি। তাই ব্যবসার প্রথমে
বুঝতে হবে সংকট কি, মানুষের প্রয়োজনটা কি?
আপনি কোন ব্যবসা
করতে পারেন?
এখন সারা দেশে বিদ্যুৎ এর সংকট। মানুষ গরমে অস্থির কিন্তু বাসায় ফ্যান বা
এসি চলার কোন ব্যবস্থা নেই কেননা বিদ্যুৎ নেই সারা দেশ জুড়ে। বলুনতো এখন যদি আপনি সোলার
সিস্টেম এর ব্যবসা করেন তাহলে কেমন হবে?
হ্যা, খুবই ভাল হবে সোলার এর ব্যবসা।
আমিতো সোলার নিয়ে
কিছুই বুঝি না, তাহলে ব্যবসা করবো কিভাবে?
আপনাকে সোলার নিয়ে কিছুই বুজতে হবে না তবুও আপনি ব্যবসা করতে পারবেন। যারা
সোলার এর ব্যবসা করে এমন কোন কোম্পানীর সাথে ডিল করেন যে, আমি আপনার সোলার কোম্পানীর
সোলার বিক্রি করে দিব আপনি আমাকে সেল এর উপরে কমিশন দিবেন। যদি এক দুইটা কাস্টমার সেই
কোম্পানীকে দিতে পারেন তাহলে আপনার আর তাদের পিছনে ছুটতে হবে না তারাই আপনাকে খুঁজবে।
কেননা কোম্পানী যাকে দিয়ে ব্যবসা হবে তাকেইতো খুঁজবে। তাই না?
আরো পড়ুনঃ
আমি কাস্টমার কোথায়
পাব?
আপনার আশেপাশে অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে যাদের মাথায় সোলার এর চিন্তা দিয়ে
দিতে পারেন। আপনি নিজে পরিবারের জন্য নিতে পারেন। যদি সোলার কোম্পানীর সাথে আপনার আগে
এমন ডিল হয় তাহলে দেখবেন যখন আপনি আপনার জন্য সোলার ক্রয় করছেন তখন কমদামে কিনতে পারছেন।
কেননা কে ক্রয় করছে তা মূল বিষয় নয়। আপনি সেল দিয়ে দিচ্ছেন তাই আপনার কমিশন আপনি পেয়ে
যাবেন।
আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন তবে
সেখান থেকে শহরের দিকে গিয়ে সোলার কোম্পানীর নামে মার্কেটিং করতে পারেন। কয়েকদিন একটু
চেষ্টা করলে অবশ্যই বিক্রি হবে ইনশাল্লাহ। কেননা মানুষের এখন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তাই
একটু নিজের মাথা খাটিয়ে আপনি ইনকাম এর রাস্তা খুঁজে পেতে পারেন।
যদি একটি সোলারও বিক্রি না করতে পারেন তাতেও কোন সমস্যা নেই। ২/৩ মাস সোলার
এর বিষয়ে মানুষের সাথে কথা বললে আপনি কিছুটা হলেও বুঝে যাবেন সোলার নিয়ে। এরপর যখন
অন্য কোন চাকুরী করতে যাবেন তখন এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে এটা সিভিতে যোগ করতে পারবেন।
আপনার এক্সপেরিয়েন্স শূন্য সিভির চাইতে সোলার কোম্পানীর হয়ে ৩ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা
যোগ করা ইতিবাচক হবে বলেই আমার মনে হয়। অন্য কোন কোম্পানীতে চাকরী নিতে গেলে নিশ্চয়
আপনাকে জিজ্ঞেস করবে না যে আপনি কয়টা সোলার বিক্রি করতে পেরেছিলেন। জিজ্ঞেস করবে সোলার
নিয়ে কি কাজ করেছেন। তখন আপনি সোলার নিয়ে নিশ্চয় দু- এক কথা বলতেই পারবেন বলে আমার
বিশ্বাস।
পড়ুনঃ
কোন সোলার কোম্পানরি
সাথে যোগাযোগ করবো?
এই প্রশ্নটা করা আর নিজেকে বোকা বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া একই কথা। কেননা গুগুল
আছে যেখানে সব পাওয়া যায় সেখানে। আপনি গুগুলে সোলার কোম্পানী ইন বাংলাদেশ লিখলেই অনেক
কোম্পানী পেয়ে যাবেন। যেকোন কোম্পানীর কন্টাক পারসন এর নাম্বার দেয়া থাকবে সেখান থেকে
কথা বলতে পারেন।
তবে বড় কোম্পানীর চেয়ে মাঝারী বা ছোট কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করলেই মনে
হয় ভাল ফিড ব্যাক পেতে পারেন। ফোন দিয়ে বললেই হবে আমি আমার বাসার জন্য সোলার নিব তখন
তারাই বাকী কথা বলবে। আর সেই সুযোগে বলে নিবেন আমি যদি আপনাদের প্রডাক্ট আমার এলাকায়
বিক্রি করতে চাই তাহলে কি করতে হবে।
আমার কাছে কাস্টমার আছে। ব্যস আপনার
কাজ শেষ।
আমার পরিচিত একজন এর নাম্বার এখানে দিচ্ছি যিনি সোলার নিয়ে কাজ করে। কোন
হেল্প লাগলে ফোন দিয়ে কথা বলতে পারেন। আর সে নিজেও যেহেতু সোলার ব্যবসা করে হয়ত তার
কাছেও এই ধরনের অফার পেতে পারেন।
মোবইল নাম্বার- ০১৭৭৩-১১২১৭৫
সবশেষ কথা হলো ছোট ছোট বিন্দু মিলেই সাগর হয়। আপনার আজকের চেষ্টা হয়ত কাজে
নাও লাগতে পারে কিন্তু সোলার এর উদ্দ্যেশে ৫ জন মানুষের সাথে কথা হলেতো ৫ জন মানুষে
এর যে কারও মাধ্যমে আপনি যে কোন সহযোগিতা পেতে পারেন। মনে রাখা উচিৎ যারা ব্যবসা বা
একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে তারা কেউই আপন ভাই বোন নয়। তারপরও একে অপরে মিলে ইনকাম
করছে। তাই বেকার না থেকে চেষ্টা করুন। দেখুন আল্লাহই রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন। সবশেষ
কথাটা হলো, যেহেতু এখন বিদ্যুৎ এর সংকট তাই এখন সোলার ব্যবসায় ভাল ফিডব্যাক পাওয়া যাবে
সেটাইতো স্বাভাবিক।