বর্তমানে কর্মব্যস্ত মানব জীবনে যত সময় যাচ্ছে মানুষের ব্যস্ততা তত বাড়ছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য চাকরি বা ব্যবসার কাজ করতে করতেই দৈনন্দিন কাজ করার সময় পাচ্ছে না মানুষ। সেইজন্যই দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে মানুষ হাঁপিয়ে পড়ছে।
ডাল ভুনা সহজে করা যায় কিভাবে
দৈনন্দিন জীবনের কাজের মধ্যে একটি প্রধান কাজ হল রান্নাবান্না করা। যেটি অনেক সময়ের ব্যাপার, সেই সময়কে মাথায় রেখেই সহজভাবে ও সুস্বাদু করে রান্না করার জন্যই আমরা রান্নার বিভিন্ন রেসিপি, তরকারী ও টিপস এন্ড ট্রিকস নিয়ে হাজির হয়েছি বরাবরের মত। আজকে আমরা শিখবো কিভাবে ঝটপট মসুরের ডাল ভুনা করতে হয়।
উপকরণ|ডাল ভুনা সহজে করা যায়
১. মসুরের ডাল- চায়ের কাপে এক কাপ।
২. পিয়াজ – দুটি
৩. রসুনের কোয়া- চারটি
৪ কাঁচা মরিচ- পাঁচ বা ছয়টি (ঝাল
খাওয়ার উপর ডিপেন্ড)
৫. হলুদ গুড়ো- আধা চা–চামচ
৬. লবণ- পরিমাপ মত।
৭. তেল – পরিমাপ মত।
৮.তেজপাতা – পরিমাপ মত।
৯.গরম মসলা- পরিমাপ মত।
আরো পড়ুনঃ
১০. ধনেপাতা – পরিমাপ মত।
১১.পানি-
পরিমাপ মত।
প্রস্তুত প্রণালী|ডাল ভুনা সহজে করা যায়
প্রথমে একটি কড়াইয়ে ১ কাপ ডাল ধুয়ে ঢেলে নিন। এরপর এতে এক এক করে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, রসুন কুচি, তেজপাতা ইত্যাদি দিয়ে দিন।
হাতের তালুতে দেড় চা চামচ পরিমাণ তেল ঢালুন এবং সকল উপকরণ ডালের সাথে হাত দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। হাত দিয়ে মেখে ডালের পরিমাণে দ্বিগুণ পরিমাণ পানি মিশ্রণটিতে ঢেলে দিন। এর পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মিডিয়াম আচে পাত্রটি বসিয়ে দিন চুলার উপর।
১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য চুলায় বসিয়ে রাখুন দেখবেন ডাল সিদ্ধ হয়ে গেছে। ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে ধনেপাতা কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন ঝটপট মসুরের ডাল ভুনা।
টিপস এন্ড ট্রিকস|ডাল ভুনা সহজে করা যায়
১. ডালে কখনো শুকনা মরিচের গুঁড়ো দিবেন না। এতে এর রং ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. হলুদ পরিমাণে খুবই সামান্য দিবেন কারণ মসুরের ডালের নিজস্ব একটি রং থাকে এতে হলুদের পরিমাণ অল্প হলেই সুন্দর একটি রঙ ফুটে ওঠবে।
৩. ডাল হয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে পরিমিত পরিমাণ ধনেপাতা দিন । শুরুতেই দিবেন না। এতে ধনেপাতার এর নিজস্ব রং এবং ঘ্রাণ বাজায় থাকবে।
ব্যাচলরদের জন্য চমৎকার হয়েছে।