কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?
কন্টেন্ট মার্কেটিং নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের বাসার চাচা ও রিন্থিয়া আপার ছোট দুটি গল্প বলা যাক। বাশার চাচা চাঁদপুর এর ইলিশ ব্যবসায়ী। সে ঢাকায় বাবু মাতবর এর কাছে মাছ পাঠাতো। বাবু মাতবর যা দাম দিত তাই তাকে নিতে হত।
অবশ্য বাবু মাতবর এর একজন চ্যালা ছিল যে ঢাকা আর চাঁদপুর মাছের জন্য যাওয়া আসাই করত। কিন্তু কিছু দিন আগে বাসার চাচার ছোট ছেলে একটা ফেইসবুক পেইজ খুলে। আর সকাল বেলা মাছের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে। ব্যাস এখন বাশার চাচার ক্রেতা সারা বাংলাদেশ জুড়ে।
রিন্থিয়ার আম্মুর জন্মদিন আগামী কাল। এখন বাজে বিকাল পাঁচটা। রাতে ১২ টার আগে আম্মাকে একটা সারপ্রাইজ দিবে রিন্থিয়া। সে চট করে ফোনটা নিল আর কিছুক্ষণ অনলাইনে খুঁজাখুঁজি করে মায়ের জন্য একটা নীল সাদা চেকের মাঝে একটা শাড়ী অর্ডার করল।
তার আম্মা ১২ টায় শাড়ী পেয়ে খুব অবাক হল । কিরে শাড়ী কই পেলি? তুইতো বাজারেও গেলি না। আম্মা এখন ফোন থাকলে আর বাজারে যেতে হয় না। এই দুইটা ঘটনা আমাদের খুব পরিচিত তাই না? এখন কন্টেন্ট নিয়ে বলি।
কন্টেন্ট এর বাংলা হলো বিষয়বস্তু। মানুষ তার প্রয়োজন পূরণের জন্য একে অন্যের সাথে নানা বিষয় আদান-প্রদান করে থাকে। আর এই আদান-প্রদানের ভিত্তি হচ্ছে তথ্য।
আর অসংখ্য তথ্যের সমন্বয়ে তৈরী হয় কন্টেন্ট বা পরিপূর্ণ বিষয়বস্তু। বর্তমান সময়ে অনলাইন দুনিয়া কন্টেন্ট এর চারণভূমি। আর এই কন্টেন্টই মানুষের দৈনন্দিন নানা প্রয়োজন পূরণ করে।
এই জন্য কন্টেন্ট কে নিদিষ্ট বা টার্গেটেড ব্যক্তি বা ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে হয়। আর পৌঁছে দেয়ার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করা হয়।
ছবি, ভিডিও, লিখিত, অডিও ইত্যাদি নানা উপায়ে ভোক্তা কন্টেন্ট পেয়ে থাকে। যা থাকে তথ্যে সমৃদ্ধ। আর এই উপায়ই হল কন্টেন্ট মার্কেটিং।
আরো পড়ুনঃ
-
মাথা ব্যাথা কারণ ও প্রাকৃতিক প্রতিকার
-
মেসার্স , ট্রেডার্স, এন্টারপ্রাইজ ও ব্রাদার্স কখন, কোথায় ব্যবহার করতে হয়
-
কিবোর্ড বিক্রি করে কোটিপতি
এখন কথা হল শুধু পৌঁছে দিলেই কি কন্টেন্ট সফল হয়? না, যে উদ্দেশ্যে কন্টেন্ট পাঠানো হয়েছে সেই উদ্দেশ্য সফল হতে হবে।
বিশেষকরে মানুষ তিনটা জিনিস অনলাইন থেকে কিনে বা পেতে চায়।
১. সেবা
২. নিজের পছন্দ বা ইচ্ছা
৩. বিনোদন
তাই কন্টেন্ট যখন ক্রিয়েট করা হচ্ছে তখন একজন ক্রিয়েটরকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আমি যে তথ্য বা বার্তা দিচ্ছি তা কারো সেবা, ইচ্ছা ও মনকে আনন্দ দিয়ে চাহিদা পূরণ করছে কিনা।
আগে মানুষ একটা পণ্য বা সেবা পাওয়ার জন্য কোন একটা বাজারে বা ঘর থেকে বের হয়ে অন্য কোথাও যেত। যেমন, জামা বা শার্ট কেনার জন্য বাজারে যেতে হত। আবার সিনেমা দেখার জন্য সিনেমা হলে যেত।
বই কেনার জন্য লাইব্রেরিতে যেত। কিন্তু এখন সিনেমা আপনার মোবাইলে, জামা- কাপড় মোবাইলে, ই- বুক আপনার মোবাইলে। তার মানে দাড়াচ্ছে বাজার এখন আপনার হাতের মুঠোয়।
আর আমরা বাজার এর সংজ্ঞা থেকে পাই- যখন কোন দুজন ব্যক্তি একে অন্যের প্রয়োজন কোন কিছুর বিনিময়ে পূরন করে তখনি তা বাজারে পরিণত হয়।
সে দিক থেকে অনলাইন এখন সবচেয়ে কার্যকর বাজার কেননা মানুষ সহজ ও কম সময়ে খুব দ্রুত তার প্রয়োজনীয় সকল জিনিস পেয়ে যাচ্ছে অনলাইনে।
এই বাজারে যেহেতু প্রত্যক্ষ মত বিনিময়ের সুযোগ নেই তাই দুই পক্ষের মতামত আদান-প্রদান এর উপায় একমাত্র কন্টেন্ট। তাই অনলাইনের বাজারে কন্টেন্ট বা তথ্য যতটা সহজ,কার্যকরি, উপায়ে ভোক্তার কাছে পাঠানো যাবে ততই সফলতার সাথে কন্টেন্ট মাকেটিং সার্থক হবে।
রিন্থিয়া যখন অনলাইন থেকে তার মায়ের শাড়ী কিনতে চায় তখন সে শাড়ির ছবি, ভিডিও দেখেছিল৷ সেই সাথে সে জেনেছিল এটা কি কাপড়, পড়তে আরাম কিনা। এই শাড়ি যারা কিনেছে তারা ব্যবহার করার পর কি বলছে ইত্যাদি নানা বিষয় দেখে রিন্থিয়া তারপর শাড়ি কিনেছিল।
এর মানে সে যে ছবি, ভিডিও, শাড়ি বিষয়ক তথ্য জেনেছিল তা হচ্ছে কন্টেন্ট। আর এই একি শাড়ি সে নানা অনলাইন দোকানে দেখলেও সেই শপের পন্যই সে কেনে যাদের শাড়ির ছবি ছিল ভাল,
ভিডিও ছিল লাইভ, কোন শাড়ি, কোথা থেকে উৎপাদন হয়েছে, যারা ব্যবহার করে তারা কি কমেন্ট করেছে ইত্যাদি সকল প্রশ্নের উত্তর সে যেখান থেকে পেয়েছে সেখান থেকেই শাড়ি কিনেছিল।
পড়ুনঃ
তারমানে যারা শাড়ি নিয়ে যথাযথ প্রেজেন্ট করেছে তারাই সফলভাবে বাজারজাত করতে পেরেছে। শাড়ির দোকান রিন্থিয়ার কাছে শাড়িটি যে নানা উপায়ে পৌছে দেয় তাই হচ্ছে বাজারজাত বা মার্কেটিং।
আবার ফেইসবুক পেইজে বাশার চাচার মাছের ভিডিও হচ্ছে কন্টেন্ট। আর ভিডিও যখন অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছায় তখন হয় মার্কেটিং।
আশা করি কন্টেন্ট আর মার্কেটিং বিষয়টি পরিষ্কার। আর এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা মানেই কন্টেন্ট মাকেটিং এর সংজ্ঞা বোঝা হয়ে গেছে। কন্টেন্টকে নানা কার্যকরি উপায়ে রিন্থিয়ার মত হাজারো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া কন্টেন্ট মার্কেটিং।
কেন কন্টেন্ট মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ:
কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব বোঝার আগে একটা গল্প বলি। বছর খানেক আগে মুক্তা তার এইচ.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে খালার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। তার খালুর ছিল বেকারীর ব্যবসা। সেখানে যে ব্যক্তি কেক বানায় তার কাছে সখ করে কেক বানানোটা শিখে নেয় মুক্তা।
কিছুদিন পর বাসায় ফিরে আসে। একদিন বিকেলে সে কেক বানানোটা প্র্যাকটিস করার জন্য একটা কেক তৈরী করে।
আর সেই কেক তার ফেইসবুকেপোস্ট করে। সেই পোস্ট দেখে রাতেই তাকে একজন নক দেয়। উনার ছেলের জন্মদিন সেই জন্মদিনেএইরকম একটা কেক বানিয়ে দিতে পারবে কিনা? কোন কিছু চিন্তা না করেই সে বলে দিল- হ্যা বানাতে পারবো।
কোন দরদাম ঠিক না করে সে তৈরী করে দিল একটা কেক। ভদ্র মহিলা তাকে ১৫০০টাকা হাতে দিয়ে বললো তুমি চালিয়ে যাও। তোমার কেক বানানোর হাতটা ভাল।
এরপর সে একটা ফেইসবুক প্যাইজ খুলে আরও কেক এর ছবি আপলোড করলো। আর অনেকেই তার কাছ থেকে কেইক কিনে নিল।
আজ একবছর পর মুক্তার মাসে কেক বিক্রি হয় প্রায় ১০০-১২০ টা যার মূল্য আনুমানিক এক লক্ষ টাকার মত। অন্যদিকে মুক্তার খালুর দোকানে সারা মাসে কেইক বিক্রি হয় ৩০-৪০ টা যার মূল্য ২৫/৩০ হাজার টাকার মত।
কি কিছু বোঝা গেল? একই পণ্য বিক্রি হচ্ছে দোকানে, তার চাহিদা আর মুক্তার প্যাইজ এর চাহিদার পার্থক্য কি বোঝা গেল?
এটাই হচ্ছে কন্টেন্ট এর জাদু। একটা কেইক এর ছবি দিয়ে মুক্তা মাসে লক্ষ টাকার ব্যবসা করছে অথচ তার খালুর দোকানে সারা মাসে বিক্রি হচ্ছে ২৫/৩০ হাজার টাকার কেইক।
মুক্তার কেইক এর ছবিতো কন্টেন্ট তা আমারা জানি। আর মুক্তা যে তা প্যাইজ এর মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তা হচ্ছে কন্টেন্ট এর মার্কেটিং।
এখন বলা যাক কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব নিয়ে। কন্টেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে স্ট্র্যাটেজিক মার্কেটিং। এই মার্কেটিং শুধু পণ্য বা সেবাকে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়া নয়। কন্টেন্টকে কার্যকরী উপায়ে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়া। যে কারণেই এই মার্কেটিং এর ৪ টি ভিত্তি বা প্রধান ধাপ রয়েছে।
১. কন্টেন্ট ক্রিয়েশন
২. সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট তৈরী করা।
৩. সঠিকভাবে টার্গেটেড ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়া।
৪. কন্টেন্ট এর গ্রহণযোগ্যতা ও স্থায়ীত্ব থাকা।
যখন কোন কন্টেন্ট মার্কেটিং এই ৪ টি ধাপ পূরণ করবে তখনই মূলত তাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা যাবে। আর এই জন্যই কন্টেন্ট মার্কেটিং শুধু গতানুগতিক মার্কেটিং না হয়ে হয়েছে স্ট্র্যাটেজিক মার্কেটিং।
ব্যবসার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে পণ্যকে ভোক্তার কাছে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করা। যদি অপনার সেবা বা পণ্য সম্পর্কে ভোক্তা না জানে তাহলে আপনি যতই ভাল পন্য তৈরি করেন না কেন কোন লাভ নেই। আর এই ই-কমার্স এর বাজারে পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়ার একমাত্র উপায় কন্টেন্ট মার্কেটিং।
অনলাইনে পণ্যের ছবি, ভিডিও,টেক্সট দেখে যাচাই করে তারপরই ভোক্তা পণ্য নিতে রাজী হয়। তাই লক্ষ লক্ষ পণ্যের ভিড়ে আপনার পণ্য তখনই বিক্রি হবে যখন সেই পণ্যের কন্টেন্ট অর্থাৎ ছবি, ভিডিও বা টেক্সট ভোক্তার কাছে যথাযথ পৌঁছে দেয়া যাবে।
তার মানে ই-কমার্স ব্যবসায় একমাত্র উপায় কন্টেন্ট মার্কেটিং। কেননা এখানে যারা পণ্য বা সেবা নেয় তারা মূলত ছবি , ভিডিও বা টেক্সট এর মাধ্যমে তথ্য জানে। তারপর সেই তথ্য অনুসারে সুবিধা নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।
Øট্রেডিশনাল মার্কেটিং এ আপনি আপনার পণ্য সম্পর্কে ১ ঘন্টায় হয়ত ১০ থেকে ১৫ জন ভোক্তাকে জানাতে পারবেন। কিন্তু অনলাইনের দুনিয়ায় আপনি ৫ মিনিটেই ১০ হাজার ভোক্তার কাছে আপনার পণ্যের তথ্য পৌঁছে দিতে পারবেন।
আর এর উপায় হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং। তাই একই সাথে যেমন আপনার সময় বাঁচবে সেই সাথে কন্টেন্ট বা পণ্যের তথ্য পৌঁছে যাবে লক্ষ লক্ষ টার্গেটেড ভোক্তার কাছে।
আপনি কি রাত ১০ টায় কোন ক্রেতার কাছে আপনার পণ্য সম্পর্কে মার্কেটিং করতে পারবেন? না। গতানুগতিক মার্কেটিং এ এটা সম্ভব নয়।
কিন্তু আপনি অনলাইনের বাজারে কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে পারবেন যেকোন সময়। রাত ১ টার সময়ও আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ সাইট, প্যাইজে ভিডিও, ইমেইলের মাধ্যমে কন্টেন্ট কে পৌঁছে দিতে পারবেন ভোক্তার কাছে। যেকোন সময় মার্কেটিং শুধু মাত্র কন্টেন্ট মার্কেটিং এই সম্ভব।
Ø ই-কমার্স ব্যবসায় আপনি আপনার ক্রেতার ফোন বা ইমেইল একবার সংগ্রহ করতে পারলেই হল। ব্যাস, আপনার টার্গেটেড ভোক্তা পেয়ে গেলেন। এরপর থেকে নতুন পণ্য বা অন্য কোন তথ্য দেয়ার জন্য খুব সহজেই আপনার ভোক্তার কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন।
কেননা আপনি ভোক্তাকে আপনার কন্টেন্ট তার ঠিকানায় পাঠাতে পাচ্ছেন খুব সহজে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটিই কন্টেন্ট মার্কেটিং।
Ø কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ফলে ক্রেতা আপনার কাছে আসবে। আপনি একবার কন্টেন্ট পবলিশ করলে সেই কন্টেন্ট দেখে যার যার প্রয়োজন সে নিজে থেকেই আপনাকে খুঁজবে। আপনাকে ক্রেতার কাছে বার বার গিয়ে বলতে হবে না যে , ভাই আমার কাছে এই পণ্য আছে। আপনার কি তা লাগবে?
ক্রেতা যখন বিক্রেতার কাছে আসে তাকে বলে ইনবাউন্ড মার্কেটিং আর অন্য দিকে বিক্রেতা যখন ক্রেতার কাছে যায় তখন তাকে বলে আউটবাউন্ড মার্কেটিং।
আর আউটবাউন্ড মার্কেটিং বেশীর ভাগ সময় ক্রেতার কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং এ ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সুযোগ তৈরী হয় যা কোন বিরক্তি ছাড়ায় হুড়হুড় করে ব্যবসার গ্রোথকে বাড়িয়ে দেয়।
Øএকবার কোন কন্টেন্ট মার্কেটিং করলে অনেকদিন পর্যন্ত সেটা থেকে কাস্টমার পাওয়া যায়। ধরা যাক আপনি আজকে আপনার ওয়েবসাইটে একটি পণ্যের ছবি আপলোড করেছেন।
সেটি আবার কেন্টেন্ট মার্কেটিং করে ৫ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এখন দেখা যাবে ৩ বা ৪ মাস পরও কোন ক্রেতা আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনে নিচ্ছে।
৩ মাস আগে তার প্রয়োজন ছিল না কিন্তু এখন তার প্রয়োজন তাই সে আপনার কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করছে। তার মানে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর স্থায়ীত্ব আছে। যে কারণে একবার মার্কেটিং করে বহুদিন পণ্য সেল করা যায়।
Ø ভিজিটর থেকে বায়ার পাওয়ার অন্যতম উপায় হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং। সাধারণত আমরা কোন দরকার ছাড়া বাজারে যাই না। আর বাজারে না গেলে পণ্য কেনারতো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ব্যাপার আলাদা।
আপনি হয়ত আপনার কন্টেন্ট কে পাবলিশ করেছেন। এখন কেউ এমনিই ইন্টারনেটে এটা সেটা ঘাটাঘাটি করছে। হটাৎ করে আপনার কোন একটা পণ্য তার চোখে পড়েছে। সেই সাথে মনেও ধরেছে। যে কারণে অর্ডার করে বসলো আপনার পণ্য। দেখলেনতো কিভাবে ভিজিটর থেকে ভিউয়ার তৈরী হয়ে গেল!!
এমনি নানা সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। হয়ত সেই দিন আর বেশী দূরে নয় , মানুষ প্রয়োজনীয় সকল কিছুই কিনবে কন্টেন্ট দেখে। তাই অনলইনের দুনিয়ায় ব্যবসা বা সেবা দিয়ে নিজের ব্র্যান্ড তৈরীতে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই।
দুনিয়া ডুবে আছে কন্টেন্ট এর সাগরে
নিজের ব্র্যান্ড তৈরী হবে কন্টেন্ট মার্কেটিং
দিয়ে