JANA BUJHA

কানপাকা রোগ কেন হয় এর কারণ লক্ষণ জটিলতা চিকিৎসা Best 2023

কানপাকা রোগ কেন হয় এর কারণ, লক্ষণ, জটিলতা ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করবো। এই রোগ (Otitis Media) শিশুদের সবচেয়ে বেশি হয়। 

কানপাকা রোগ কেন হয় এর কারণ লক্ষণ জটিলতা চিকিৎসা
কানপাকা রোগ কেন হয় এর কারণ লক্ষণ জটিলতা চিকিৎসা

 

কানপাকা রোগ কেন হয়

শিশুদের বেলায় শ্বাসনালীর উপরিভাগের রোগ হতে কান পাকার উৎপত্তি হয়ে থাকে । তাছাড়া কানে দূষিত পানি ঢুকলে,কোন কারণে কানের পর্দা ফেটে গেলে বা ধাক্কা লেগে রক্তক্ষরণ হলে, সর্দি-কাশির সময়ে শিশুরা গোসল করলে,

 

শিশুদের শোয়ানো অবস্থায় দুধ খাওয়ালে কানের মধ্যে দুধ ঢুকে কান পাকা রোগ হতে পারে। সাধারণত ষ্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েন্‌জা, ষ্টাফাইলোকক্কাস ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে কান পাকা রোগ হয় । তবে ভাইরাসও এ রোগ ঘটাতে পারে ।

 

কানপাকা রোগ লক্ষণসমূহ :
কানের ভিতরে খুব ব্যথা হবে, সেই সাথে জ্বর দেখা দেবে, কান ভারী ভারী মনে হবে এবং শুনতে অসুবিধা হবে বা কানে তালা লেগে যাবে । শিশুরা সাধারণত কান টানাটানি করবে, অসহিঞ্চু খিটখিটে হয়ে উঠবে ও খেতে চাইবে না । কান দিয়ে পুঁজ, কখনও কখনও রক্তও পড়তে পারে ।

 

কানপাকা রোগ এর জটিলতা:


কানপাকা রোগ থেকে নানান জটিল রোগ দেখা দিতে পারে । যেমন
১. মেনিনজাইটিস:
2. মস্তিস্কের শিরায় রক্ত জমাট হওয়া
;
3. মুখের মাংসপেশীর প্যারালাইসিস:
4. খিঁচুনী-এগুলো শিশুদের বেশি দেখা যায় ।

 

 আরো পড়ুনঃ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চোখের যত্ন নিতে ৬ টি উপায়

কানপাকা রোগ এর চিকিৎসা 

১. এমপিসিলিন বা ক্লক্সাসিলিন ইনজেকশন-৫০-১০০ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি ওজনের জন্য মাংসপেশীতে, দিনে ৬
ঘন্টা পর পর ৭-১০ দিন দিতে হবে।

২.ইনজেকশন প্রোকেন পেনিসিলি-৪ লাখ ইউনিট মাংসপেশীতে দিনে একবার ৬-৭ দিন দেওয়া যেতে পারে ।

৩. এমপিসিলিন বা ক্লক্সাসিলিন ক্যাপসুল বা সিরাপ মুখেও দেওয়া যায় ৬- ৭ দিন । ১ ইফিড্রিন ফোঁটা দিনে ৩/৪ বার দিতে হবে।

৪. কানের ফোঁটাও ব্যবহার করা যায় তবে সে ক্ষেত্রে কানে পুঁজ জমা থাকলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় না। ঘন ঘন নরম তুলা দিয়ে কান পরিষ্কার করতে হবে।

৫. জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা সিরাপ দেওয়া যায় ।
 

কানপাকা রোগ প্রতিরোধঃ


যাদের কান পাকা আছে, তারা পুকুরে ডুব দিয়ে গোসল করবে না। যদি বাড়িতে তোলা পানিতে গোসল করে বা
মাথা ধোয়
, তাহলে তুলা সরিষার তেল বা পানিতে ভিজিয়ে চিপে ফেলে কানে দিতে হবে ও গোসল শেষে ফেলে দিতে
হবে ।

শোওয়ানো অবস্থায় শিশুকে কোনমতেই দুধ খাওয়ানো উচিত নয় । সর্দি হলে বা কান বন্ধ হলে নাক বন্ধ করে কান ফুলানো উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে নাকে ইফিড্রিন ফোঁটা বা এ্যন্টিবায়োটিক ও এসপিরিন খাওয়া উচিত ।

 

1 thought on “কানপাকা রোগ কেন হয় এর কারণ লক্ষণ জটিলতা চিকিৎসা Best 2023”

Leave a Comment