এই সময় মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়সমূহ কেন জানা দরকার তা কি বলার দরকার আছে? মনে হয় নেই। কেননা এইবার ডেঙ্গুতে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ মারা গেছেন। শুধু ডেঙ্গুনয় অন্যান্য মশাবাহীত রোগ গুলোও দেখা দিচ্ছে।
তাই আমাদের উচিৎ অসুস্থ হওয়ার আগেই সতর্কহওয়া। সেই সতর্ক হওয়ার জন্যই আমাদের জানা দরকার কিভাবে মশাকে আমাদের কাছ থেকে বহু দূরে রাখবো। তাইতো আমাদের আজকের লিখার বিষয় মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো কি।
মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়সমূহ
- লেবু ও লবঙ্গঃ
লেবু কোন কাজে লাগে না বলেন? আপনি সুন্দর থাকতে চাচ্ছেন লেবু প্রয়োজন, ভিটামিন এর সমস্যা, চুল পড়া, খাদ্যকে সুস্বাদু করতে এই রকম আরও কত কিছুতেই তো লেবুর ব্যবহার হয় যা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আজ বলবো লেবুর অন্যরকম এক ব্যবহার এর কথা। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন লেবু।হ্যাঁ, কিছুটা অবাক হলেও এটাই সত্য। একটা লেবুকে চাকু বা দা দিয়ে কেটে দুই ভাগ করেনিন। এরপর ৭-৮ টি লবঙ্গ এতে গেথে দিন। লবঙ্গের ফুল এর মত অংশটি যেন বাহিরে বের হয়েথাকে সেটা লক্ষ্য রাখুন। নাক ফুলের মত লবঙ্গের ফুল বের করে লেবুতে ঢুকিয়ে রাখলে যে মশা দূর হয় তা একবার ব্যবহার করেই দেখুন। ফল পেতে আশা করি নিরাশ হতে হবে না।
মশা তাড়ানোয় লবঙ্গের উপকারীতা:
-
লবঙ্গ পানিতে ভিজিয়ে রাখাঃ
লবঙ্গ পানিতে মিশিয়ে মশা তাড়াতে পারবেন। প্রথমেপাঁচ গ্রাম লবঙ্গ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাকতে হবে। ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই হবে। এরপর এই মিশ্রণটি আপনার শরীলে মেখে নিন। আর এই উপায়ে মশা আপনার কাছ থেকে ১০ হাত দূরে থাকবে। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়সমূহ)
- লবঙ্গ:
লবঙ্গ কত কিছুতেই না ব্যবহার হয়ে থাকে। লবঙ্গদিয়ে আরা নানা উপায় রয়েছে যে উপায়ে মশা দূর করতে পারবেন আপনার ঘর থেকে। প্রথমে আপনি এক গ্লাস পানি নিন। এরপর এতে ৫ গ্রাম লবঙ্গ মিশিয়ে নিন। আর সেই মিশ্রণটিকে ১৫ মিনিট এইভাবে রাখুন। দেখবেন একটা সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। আর এই সুগন্ধ আপনার শরীরে মেখে নিন। মশা আপনার ধারে কাছে আসতেও ভয় পাবে।
মশা তাড়ানোয় নিম, নারিকেল তেল ও তুলসীর পাতা:
- তুলসী গাছ ও তুলসী পাতাঃ
তুলসী গাছ মানুষের কত ভাল বন্ধু তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু তুলসী যে মমার এত বড় শত্রু তা কি জানা ছিল আপনার? বাসায় তুলসী গাছ রোপন করুন দেখবেন মশার উৎপাত কমে গেছে।
তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি কিছু তুলসী পাতা এবং তুলসী গাছের কিছু ফুল কুঁচি কুঁচি করে কেটে বাসার নিরাপদ স্থানে রেখে দেন। নিজের অনুমান অনুসারে তুলসী পাতা ও ফুল ব্যবহার করবেন। আর এই উপায় অবলম্বনে দেখবেন মশা বাহিনী পগার-পাড়
হয়ে গেছে। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়সমূহ)
- পানির সঙ্গে তুলসীর শিকরের মিশ্রণঃ
প্রথমে পানির মধ্যে তুলসীর শিকর কেটে সিদ্ধ করতে হবে। আর সেই শিকর দিয়ে ভাল করে মুখ বা শরীর ধুয়ে নিতে হবে। আর ঘুমানোর আগে যদি এটি করেন তাহলে রাতে মশা কেন অন্য কোন পোকামাকড় আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
- নিমপাতা পোড়ানোঃ
কাঠ-কয়লার আগুনে নিম পাতা পুড়ালে মশা দূরে থাকবে। কিন্তু এটা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু জেনে রাখলেতো আর ক্ষতি নেই তাই না? বাজারে অনেক কয়েল দেখা যায় যাদের গায়ে দেখবেন নিম এর ছবি আঁকা। এর মানে কি এটাই বুঝাচ্ছে যে নিম পুড়লে মশা পালায়?
- নিমের তেল ও নারিকেল তেলঃ
নিমের তেল ও নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে আপনারশরীরে লাগিয়ে নিন। নিমের তেল ব্যবহারে একসাথে কয়েকটি কাজ হবে। আপনার যদি এ্যালার্জি, চুলকানি থাকে তবে নিমের তেল ব্যবহারে উপকার পাবেন। মশা যেমন আপনাকে ধরবে না তেমনি অন্যান্য রোগ থেকেও মুক্তি পাবেন নিম ওে নারিকেল তেল এর মিশ্রণ ব্যবহার করলে। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
মশা তাড়ানোয় লেমন গ্রাস ও চা-পাতা
- চা-পাতা পুড়ানোঃ
আমরা প্রতিদিন যা কিছু ব্যবহার করি তার অনেক কিছুই ফেলে দেই। কিন্তু ফেলা দেয়া জিনিসও যে আমাদের কাজে লাগতে পারে তা আমরা কয়জনই বা জানি। ঠিক তেমনি চা পানের পর চা-পাতা আমরা ফেলে দেই । কিন্তু চা পাতা না ফেলে যদি রোদে শুকিয়ে নেই তাহলে কিন্তু ফেলে দেয়া চাপাতা মশা তাড়ানোর কাজে লাগাতে পারি। শুকনো চাপাতা পুড়ালে মশা বাপ-বাপ বলে দৌড়াবে। তাই ব্যবহৃত চাপাতা রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর আগুনে পুড়িয়ে মশা দূর করুন আপনার বাসা থেকে। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়সমূহ)
- লেমন গ্রাস লাগানঃ
আপনার বাড়িতে লেমন গ্রাস লাগাতে পারেন মশা দূর করার জন্য। সাইট্রোনেলা ওয়েল নামে একধরনের ওয়েল বের হয় লেমন গ্রাস থেকে। আর এটি তৈরী করে একধরনের সুগন্ধ। যে সুগন্ধ মশাকে আপনার বাড়ির আশে পাশে আসতে দিবে না। আপনি যেখানে বেশী সময় কাটান সেখানে রাখতে পারেন লেমন গ্রাস এর টবটা। আর এটি দেখতেও কিন্তু কম সুন্দর নয়। একদিকে যেমন মশা দূর করলেন অন্য দিকে বাসার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারলেন।
আরো পড়ুনঃ
- সুগন্ধির ব্যবহারঃ
মশারা সুগন্ধি খুব অপছন্দ করে। আর সুগন্ধি আপনার ও আমার কাছে খুবই পছন্দ। তাই না? আর সেজন্যই মশা তাড়াতে শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। একদিকে যেমন আপনার মন থাকবে ফুরফুরা তেমনি মশাও মড়বে উড়াদূরা।
- পুদিনা পাতা ব্যবহারঃ
মশা দূর করতে পুদিনা পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরফলে মশা আপনার ঘর থেকে দৌড়ে পালাবে। পুদিনার গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। তাছাড়া পুদিনা পাতা পানিতে সিদ্ধ করতে পারেন।
এর ভাপ ঘর থেকে মশাকে দূর করবে। আপনি চাইলে পুদিনা তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এক কথায় পুদিনা পাতা হচ্ছে মশার শত্রু। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
- লাল,নীল, কাল রঙের কাপড় না পড়াঃ
লাল,নীল ,কালা বাড়াবে মশার জ্বালা। হ্যাঁ, কিছুটা কাকতালীয় মনে হলেও এটাই সত্য। মশারা সাধারণত গাঢ় রঙের প্রতি আকর্ষিত হয়। তাই আপনি মশা থেকে বাঁচতে উজ্জ্বল কালার এর জামা-কাপড় পড়া বাদ দেয়া ভাল। খুব হালকা বা সফট কালারের জামা পড়তে পারেন।
- ধূপ-ধুনো ব্যবহারঃ
ঘরে যদি ধূপ এর ধোয়া দিয়ে দেন তাহলে মশার পাছায় পড়বে লাথি। মশা তখন খুঁজবে পালিয়ে যাওয়ার সাথী। ধূপ এর ধোয়া মশা কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না। তাই বিশেষ করে সন্ধ্যা সময় ঘরে ধূপ দিতে পারেন। আবার এই ধূপ এর সাথে নিম পাউডার, নারিকেল এর ছোলা পুড়ালে মশা আপনার ঘরের আশেপাশে আসার সাহসই পাবে না।
পড়ুনঃ
- মাউথওয়াস ও এ্যাপসাম সল্টঃ
মাউথওয়াস ও এপসম লবন একসাথে মেশালে মশা বলবে বাপরে বাপরে। একটা মাউথওয়াস কিনুন বাজার থেকে এরপর এর সাথে ৩ কাপ এপসাম মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিনে দুই বার আপনার ঘরে ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে করে আপনার ঘর থেকে মশা পালাবে।
- লবঙ্গ তেল ও আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহারঃ
লবঙ্গ তেলের সাথে আপেল সিডার ভিনেগার এর মিশ্রণ করুণ। এরপর তা আপনার শরীরে ভাল করে মাখিয়ে নাক ডেকে ঘুমাতে যেতে পারেন। কেননা যেহেতু মশা আপনাকে ধরবে না সেহেতু নাক ডেকে ঘুমালে কোন সমস্যা নেই।
- রসুন ছিটিয়ে দিন ঘরের কোনায় কোনায়ঃ
রসুন এর গুনগান আর কার্য়কারীতা বলে বোঝানোর মত নয়। এই রসুন যে মশা দূর করতে কাজে লাগে তা কে জানতো। প্রথমে আপনি কিছু রসুন কুঁচি, কুচি করে কেটে পানিতে গরম করুন। এরপর এই পানি আপনার ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন। এতে করে মশা আর আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
- কফি পুড়ানোঃ
আপনি শুকনো কফি গুড়ো আগুনে পুড়াতে পারেন। একটা একটি ফুয়েল পেপার ব্যবহার করতে পারেন কফি পুড়ানোর জন্য। কফির যে গন্ধ তা মশা সহ্য করতে পারে না। তাই মশা দূর করতে আজই বাসায় থাকা কফি পুড়িয়ে দেখতে পারেন।
- কর্পূরঃ
কর্পূর এর এক ধাক্কায়, মশা তুমি পালিয়ে যাবে কোথায়? কর্পূর ব্যবহার করে আপনি চাইলেই মশা মুক্ত বাসা গড়তে পারেন। বাজার থেকে কর্পূর ট্যাবলেট কিনতে পারেন। এরপর সেই গুড়া বা ট্যবলেট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
সেই পানির মিশ্রণ থেকে যে গন্ধ আসবে তা মশা সহ্যই করতে পারে না। তাই সহজেই মশা দূর তরতে চাইলে কর্পূর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করুন।
- ভ্যানিলা পাউডার:
ভ্যানিলা পাউডার দিয়েও আপনি মশা দূর করতে পারবেন। প্রথমে একটা বেবি লোশন নিন এরপর ভ্যানিলা পাউডার এর সাথে ভাল করে মিশিয়ে আপনার শরীরে লাগিয়ে নিন। তাহলে মশা আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
তাছাড়াও আপনি ভ্যানিলা পাউডার পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। এই পানি আপনি আপনার সারা ঘর বা বাড়িতে স্প্রে করে দিয়ে দিতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনি মশামুক্ত বাসস্থান গড়তে পেরেছেন। জাদু যেমন আচমকা কাজ করে, ঠিক তেমনি এই পদ্ধতিটিও মশা তাড়াতে এই একইভাবে কাজ করবে।
- মৌরি, তুলসী এবং ইউক্যালিপটাসের তৈল:
মৌরি, তুলসী এবং ইউক্যালিপটাসের তৈল দিয়ে যে কোন মশা তাড়াতে পারবেন নিমিষে। আপনিএই তেল এর ৭-১৫ ফোটা তেল ভাল করে পানিতে মিশিয়ে নিন। এরপর আপনি তা পুরো বাড়িতে স্প্রে করে দিন। আর দেখবেন আপনি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই মশা আপনার কাছ থেকে পালাবে। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
- দারুচিনির তেল:
দারুচিনির তেলও মশা দূরে রাখতে সহায়তা করবে। এটি শুধু মশাই নয় আরশলা এবং তেলাপোকাকে দূরে রাখবে । এর জন্য আপনাকে দারুচিনির তেল শরীরের ভালো করে মাখতে হবে।
- কেরোসিন তেল স্প্রে করাঃ
কিছুটা কেরোসিন তেল নিন। এরপর এতে কর্পূর মিশিয়ে নিন। কর্পূর আর কেরোসিন মেশানো হয়ে গেলে তা স্প্রে করুন আপনার বাসার আনচে-কানাচে। তাহলে দেখবেন আর মশা থাকছেই না আপনার রুমে। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
- বাতি জ্বালানোঃ
সনাতন বা হিন্দু ধর্মালম্বীরা প্রায়ই মাটির প্রদীপ বা পিতলের ছোট প্রদীপ জ্বালায় তাদের ধর্মীয় কাজ করার জন্য। তো আপনি যদি এইরকম প্রদীপ আপনার বাসায় জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে মশা দূর হতে পারে। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
কিন্তু কথা আছে, প্রদীপ জ্বালানোর আগে আপনি কিছুটা রসুন বাটা, কিছুটা তেজপাতা গুড়ো, কর্পূর গুড়ো এবং সেই সাথে সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এই মিশ্রণটি সরিষার তেলের মধ্যে ডুবানো থাকবে। তারপর আপনি যখন এই প্রদীপটি জ্বালিয়ে দিবেন তখন দেখতে পাবেন আপনার বাড়ি থেকে মশা সব উধাও হয়ে গেছে।
- হলুদ লাইট জ্বালানোঃ
বাসায় সাদা লাইট না জালিয়ে হলুদ আলোর লাইট ব্যবহারে মশা কিছুটা কমতে পারে। আর এই আলোতে টিকটিকরা পোকা খেতে ভাল সক্রিয় হয়ে উঠে। তাই শুধু মশা নয় সেই সাথে অন্যান্য পোকামাকড়ও খেয়ে ফেলে টিকটিকি।
তাই বাসায় সাদা আলোর লাইটের চেয়ে হলুদ আলোর লাইট ব্যবহার করা ভাল, এতে করে খুব বেশী না হল্ওে কিছুটা মশার উপদ্রব কমবে বলে আশা করা যায়। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
- ক্যাটনিপ ওয়েলঃ
শরীলে ক্যাটনিপ ওয়েল মাখলে আপনার কাছে মশা আসতে ভয় পাবে।
- ফ্যান চালিয়ে রাখলেঃ
ফ্যান চালিয়ে রাখলে আপনার যে মশা ধরবে না তা বরার কিছু নেই। তারপরও শুধু মনে করিয়ে দেয়ার জন্য এখানে শুধু উল্লেখ করলাম। ফ্যান এর বাতাসে মশা হবে কপোকাত। (মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়)
- মশারির ব্যবহারঃ
মশার কাছ থেকে বাঁচতে মশারির ব্যবহার তা নতুন নয়। আর এটা বলারও কিছু নেই। তবুও লিখার খাতিরে লিখা আর আপনাদের মনে করানোর খাতিরে মনে করানো। তবে মশারি টানানোর পর মশারি ভাল করে গুজে নিবেন এটা শুধু মনে করিয়ে দেয়া যেতে
পারে।