JANA BUJHA

এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় লক্ষণ কারণ ব্যাথা প্রতিরোধ পরীক্ষা চিকিৎসা ২০২৩

 

এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় (Appendicitis)

এপেন্ডিসাইটস এর রোগী আমাদের আশেপাশে অভাব নেই। আমরা তারপরও এপন্ডিসাইটস সম্পর্কে তেমন জানি না। তাই এই লিখার মাধ্যমে এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা, প্রতিকার, টেস্টসহ নানা বিষয় জানবো। 

 

অন্ত্রনালীর বৃহদন্ডের প্রথম অংশ সিকামের সাথে অনেকটা ছোট কৃমির মত একটি অংশ রয়েছে যাকে এপেনডিক্স বলে । এপেনডিক্সের সংক্রমণ বা প্রদাহকে এপেনডিসাইটিস বলে। ইহা একিউট, সাবএকিউট, ক্রনিক ও রিকারেন্ট একিউট, এ কয়েকধরনের হয়ে থাকে ।

এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় লক্ষণ কারণ ব্যাথা প্রতিরোধ পরীক্ষা চিকিৎসা

 

এপেন্ডিসাইটিস এর কারণ :

অন্ত্রনালীর ভেতরটা যেমন নলের মতো ফাঁপা,
এপেনডিক্সের ভেতরটাও তেমনি ফাঁপা। এই ফাঁকা অংশের নাম লুমেন। কৃমি বা মলের ছোট টুকরো
এই লুমেনের মধ্যে ঢুকে আটকে যেতে পারে । আটকে গেলেই সমস্যা শুরু হয় । 

 

এই স্থানের রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে এবং রক্ত ও পুষ্টির অভাবে লুমেনের ঐ অংশ দূর্বল হয়ে পড়ে।

তখন অন্ত্রনালীতে বসবাসরত জীবানু এপেনডিক্সের ঔ দূর্বল অংশকে আক্রান্ত করে। ফলে বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি হয় ।

 

এপেন্ডিসাইটিস এর উপসর্গ ও লক্ষণ (Symptoms & Signs ) :

·       
পেটব্যথা : 

   রোগীর পেটে হঠাৎ
ব্যথা হয় । প্রথমে নাভীর চারপার্শ্বে ব্যথা থাকে, আস্তে আস্তে (৪-৮ ঘন্টা পর)   তলপেটের
ডান দিকে এপেনডিক্সের অবস্থা বরাবর এসে ব্যথা স্থায়ী হয়। সময়ের সাথে ব্যথার তীব্রতা  বাড়তে থাকে ।

 

·       
বমি বমি ভাব ও বমি
হওয়া :

    ব্যথার শুরুতেই বমি বমি ভাব থাকতে পারে, কখনো এক বা একাধিক বার বমিও হতে
পারে। এ     সময় রুচি কম থাকে ।

·       
জ্বর : রোগীর দেহের জ্বরও
থাকতে পারে।

 

· যেখানে ব্যাথা অনুভুত হয়:

রোগীর তলপেটে ডানদিকে হাত দিলেই ব্যথা অনুভুত
হয় (Local tenderness) এবং শক্ত অনুভুত (Muscle guard & Rigidity) হয়। এ সময়ে রবসিন সাইন ও সোয়াস টেস্ট (রোগীর শারীরিকভাবে রোগ নির্ণয়ের বিশেষ পরীক্ষা) পজেটিভ পাওয়া যায় ।

 

 

 

 

 

 
 

Ø এপেন্ডিসাইটিস এর জটিলতা :

 

  •     
    i.                   
    গ্যাংরিন (Gangrene)
  •    
    ii.       
            
    পারফোরেশন (Perforation) / অন্ধ্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া
 
  •  
    iii.                
    পেরিটোনাইটিস (Peritonitis)
  •  
    iv.                
    শক (Shock)
  •    
    v.                
    এপেনডিকুলার লাম্প (Appendicular Lump)

 

এমনকি এ সমস্ত জটিলতা তাৎক্ষনিক রোগীর মৃত্যুও
হতে পারে।

 

পরীক্ষা
নিরীক্ষা (Invesligation) :

  • ·       
    রক্ত পরীক্ষা,
  • ·       
    এক্সরে
 
  • ·       
     আলট্রাসনোগ্রাফী

ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ নির্ণয়ে কিছুটা সহায়তা
হয় ।

 

Ø এপেনডিসাইটিস এর চিকিৎসা :

অপারেশন—সাজারী-এ
রোগের জন্য ইমার্জেন্সী এপেনডিসেকটমী অপারেশনই আসল চিকিৎসা (২৪ ঘন্টার মধ্যে)।

 

  • কনজারভেটিভ চিকিৎসা (অক্সনার সেরিন রেজিম)
    :

যদি রোগীর-

  • ·       
    এপেনডিকুলার লাম্প তৈরী হয়ে যায়,
  • ·       
    রোগীর অবস্থা সন্তোষজনক না হলে,
  • ·       
     যেখানে অপারেশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই,

সে সমস্ত ক্ষেত্রে, কনজারভেটিভ চিকিৎসা করা হয় ।

 

নিয়মিত চেক আপ 

(ক) মুখে কিছু না খাওয়ানো,

(খ) রাইলস টিউব দেয়া

(গ) সাকশন দেয়া

(ঘ) স্যালাইন দেয়া

(ঙ) ব্যথা নাশক ইনজেকশন ও সিডেশন দেয়া

(চ) এন্টিবায়োটিক দেয়া, পলাত

(ছ) বাওয়েল (Bowel) সচল রাখার ব্যবস্থা করা

 

 

প্রোপাইলেকটিক এপেনডিসেক্টমী আপারেশনঃ

  1. রিকারেন্ট এপেনডিসাইটিস যাতে না হয়,   

দীর্ঘ মেয়াদী ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যেখানে এ রোগ হলে মারাত্মক অবস্থা
হতে পারে, সে সমস্ত পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের যেমন-জাহাজে কর্মরত ব্যক্তির) আগেই
প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে এ অপারেশন করানো হয়ে থাকে ।

এপেনডিসাইটিস কেন হয় (Appendicitis)

এপেন্ডিসাইটস এর রোগী আমাদের আশেপাশে অভাব নেই। আমরা তারপরও এপন্ডিসাইটস সম্পর্কে তেমন জানি না। তাই এই লিখার মাধ্যমে এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা, প্রতিকার, টেস্টসহ নানা বিষয় জানবো। 

 

অন্ত্রনালীর বৃহদন্ডের প্রথম অংশ সিকামের সাথে অনেকটা ছোট কৃমির মত একটি অংশ রয়েছে যাকে এপেনডিক্স বলে । এপেনডিক্সের সংক্রমণ বা প্রদাহকে এপেনডিসাইটিস বলে। ইহা একিউট, সাবএকিউট, ক্রনিক ও রিকারেন্ট একিউট, এ কয়েকধরনের হয়ে থাকে ।

 

এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় লক্ষণ কারণ ব্যাথা প্রতিরোধ পরীক্ষা চিকিৎসা

 

 

এপেনডিসাইটিস এর কারণ :

অন্ত্রনালীর ভেতরটা যেমন নলের মতো ফাঁপা,
এপেনডিক্সের ভেতরটাও তেমনি ফাঁপা। এই ফাঁকা অংশের নাম লুমেন। কৃমি বা মলের ছোট টুকরো
এই লুমেনের মধ্যে ঢুকে আটকে যেতে পারে । আটকে গেলেই সমস্যা শুরু হয় । 

 

এই স্থানের রক্ত
সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে এবং রক্ত ও পুষ্টির অভাবে লুমেনের ঐ অংশ দূর্বল হয়ে পড়ে। তখন
অন্ত্রনালীতে বসবাসরত জীবানু এপেনডিক্সের ঔ দূর্বল অংশকে আক্রান্ত করে। ফলে বিভিন্ন
উপসর্গের সৃষ্টি হয় ।

 

 

এপেনডিসাইটিস
এর উপসর্গ ও লক্ষণ (Symptoms &

 Signs ) :

 

·       
পেটব্যথা : 

   রোগীর পেটে হঠাৎ
ব্যথা হয় । প্রথমে নাভীর চারপার্শ্বে ব্যথা থাকে, আস্তে আস্তে (৪-৮ ঘন্টা পর)   তলপেটের
ডান দিকে এপেনডিক্সের অবস্থা বরাবর এসে ব্যথা স্থায়ী হয়। সময়ের সাথে ব্যথার তীব্রতা  বাড়তে থাকে ।

 

·       
বমি বমি ভাব ও বমি
হওয়া :

    ব্যথার শুরুতেই বমি বমি ভাব থাকতে পারে, কখনো এক বা একাধিক বার বমিও হতে
পারে। এ     সময় রুচি কম থাকে ।

·       
জ্বর : রোগীর দেহের জ্বরও
থাকতে পারে।

 

· যেখানে ব্যাথা অনুভুত
হয়:

রোগীর তলপেটে ডানদিকে হাত দিলেই ব্যথা অনুভুত
হয় (Local tenderness) এবং শক্ত অনুভুত (Muscle guard & Rigidity) হয়। এ সময়ে
রবসিন সাইন ও সোয়াস টেস্ট (রোগীর শারীরিকভাবে রোগ নির্ণয়ের বিশেষ পরীক্ষা) পজেটিভ
পাওয়া যায় ।

 

 

 

 

 

 
 

Ø এপেনডিসাইটিস এর জটিলতা :

i.    গ্যাংরিন (Gangrene)

ii.  পারফোরেশন (Perforation) / অন্ধ্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া

iii.   পেরিটোনাইটিস (Peritonitis
iv.    শক (Shock) 

v.    
এপেনডিকুলার লাম্প (Appendicular Lump)

 

এমনকি এ সমস্ত জটিলতা তাৎক্ষনিক রোগীর মৃত্যুও
হতে পারে।

 

পরীক্ষা নিরীক্ষা (Invesligation) :

  • ·       
    রক্ত পরীক্ষা,
  • ·       
    এক্সরে
  • ·       
     আলট্রাসনোগ্রাফী

ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ নির্ণয়ে কিছুটা সহায়তা
হয় ।

 

Ø এপেনডিসাইটিস এর চিকিৎসা :

অপারেশন—সাজারী-এ
রোগের জন্য ইমার্জেন্সী এপেনডিসেকটমী অপারেশনই আসল চিকিৎসা (২৪ ঘন্টার মধ্যে)।

 

  • কনজারভেটিভ চিকিৎসা (অক্সনার সেরিন রেজিম)
    :

যদি রোগীর-

  • ·       
    এপেনডিকুলার লাম্প তৈরী হয়ে যায়,
  • ·       
    রোগীর অবস্থা সন্তোষজনক না হলে,
  • ·       
     যেখানে অপারেশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই,

 সে সমস্ত ক্ষেত্রে, কনজারভেটিভ চিকিৎসা করা হয় ।

 

নিয়মিত চেক আপ 

(ক) মুখে কিছু না খাওয়ানো,

(খ) রাইলস টিউব দেয়া

(গ) সাকশন দেয়া

(ঘ) স্যালাইন দেয়া

(ঙ) ব্যথা নাশক ইনজেকশন ও সিডেশন দেয়া

(চ) এন্টিবায়োটিক দেয়া, পলাত

(ছ) বাওয়েল (Bowel) সচল রাখার ব্যবস্থা করা

 

 

প্রোপাইলেকটিক এপেনডিসেক্টমী আপারেশনঃ

·       
রিকারেন্ট এপেনডিসাইটিস যাতে না হয়,

·       
দীর্ঘ মেয়াদী ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যেখানে এ রোগ হলে মারাত্মক অবস্থা
হতে পারে, সে সমস্ত পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের যেমন-জাহাজে কর্মরত ব্যক্তির) আগেই
প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে এ অপারেশন করানো হয়ে থাকে ।

Leave a Comment