চুলকানি ও স্কেবিস রোগ কি, কিভাবে ছড়ায়, এর লক্ষণসমূহ এবং কিভাবে এব প্রতিরোধ করা যাবে তা এই লিখার মধ্যে আলোচনা করা হবে। চলুন শুরু করা যাক।
চুলকানি অতি পরিচিত ও ছোঁয়াচে চর্ম রোগ । এই রোগের পরজীবী জীবাণুর নাম সারকপটিস স্ক্যাবিই । চর্ম রোগের মধ্যে এই রোগটাই সব থেকে বেশি দেখা দেয়। বাড়িতে একজনের হলে আস্তে আস্তে অন্য সদস্যরাও এর শিকার হন ।
চুলকানি কিভাবে ছড়াবে
স্পর্শেই সাধারণত এ রোগ ছড়ায়। তাছাড়া রোগীর ব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, গামছা বা তোয়ালে, বিছানার চাদর বা বালিশ
ব্যবহার করলেও এ রোগ হতে পারে। রোগীর শরীরের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতেও স্পর্শের মাধ্যমে রোগ ছড়ায়
চুলকানি ও স্কেবিস
চুলকানি ও স্কেবিস রোগ লক্ষণসমূহঃ
১. ভীষণ চুলকায় বলেই এর নাম চুলকানি হয়েছে। এই চুলকানো আবার বেশি হয় রাতের বেলায়।
২. এ রোগ দেখা দিলে অবশ্যই আর একজন চুলকানি রোগীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস থাকবে ।
৩. চুলকানিটা সাধারণত বেশি হয় হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, কব্জির সামনে, আঙ্গুলে, নাভি ও নাভির চারদিকে, হাতে, কনুইয়ে, বগলে, পায়ে, গলার নিচে । তবে সর্ব শরীরেও হতে পারে। ছোট বাচ্চাদের গলার ওপরেও হতে পারে ।
৪. চুলকানোর স্থানে ছোট ছোট ঘা এবং পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে পাঁচড়া হয়ে যায়। পাঁচড়ার পুঁজ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে স্পর্শের মাধ্যমে ছড়াতে থাকে ।
৫. পাঁচড়ার সময় জ্বর হয় । বগলের বা কুঁচকির গ্ল্যান্ডও বড় হতে পারে ।
৬. এই রোগ থেকে কিডনির রোগ যেমন নেফরাইটস হতে পারে। নেফরাইটস হলে প্রস্রাব কমে যায়, লাল রং-এর হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায় ।
চুলকানি ও স্কেবিস রোগ জটিলতা :
(১) পাঁচড়া
(২) একজিমা
(৩) নেফ্ররাইটস
(৪) ফোঁড়া ।
চুলকানি ও স্কেবিস রোগ এর চিকিৎসা
১. ১.৫% পারমেথ্রিন (লটিক্স, ইলিমেট, স্কোবেক্স, স্কেরিন, নেস্কেব ক্রীম)
২. বেনজাইল বেনজয়েট লোশন (২৫%) গলা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত তেল মাখার মত করে প্রতিদিন গোসলের পরে মাখতে হবে। পরপর ৩ দিন অথবা
গোসল না করে আগের নিয়মে পরপর ৩ রাতে মাখতে হবে। শিশুদের বেলায় সমপরিমাণে নারিকেল তেল বা পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তারপর ৭ দিন বন্ধ রেখে আবার আগের নিয়মে ৩ দিন মাখতে হবে । এভাবে মোট ৩টা কোর্স ব্যবহার করতে হতে পারে ।
৩. পাঁচড়া বা ঘা হয়ে গেলে পেনিসিলিন বা ক্লক্সাসিলিন ট্যাবলেট বা সিরাপ ৫০ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি ওজনের জন্য দিনে ৪ বার দিতে হবে। বড়দের বেলায় ১টা করে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল (২৫০ মিলিগ্রাম) দিনে ৪ বার খেতে হবে। খালি পেটে
৫ থেকে ৭ দিন খাওয়ানো ভালো। এর মধ্যে ঘা শুকিয়ে যাবে। তার পরে বেনজাইল বেনজায়েট লোশন আগের নিয়মে ব্যবহার করতে হবে।
৪. গামা বেনজিন হেকসা ক্লোরাইড (১%) ক্রীম বা লোশন আগের নিয়মে ব্যবহার করা উত্তম ।
৫. মনোসালফিরাম (টেট্টাসল স্যলুশন)
৬. সালফার মলম (৫-১০%) আগের নিয়মে ব্যবহার করা যায় ।
চুলকানি ও স্কেবিস রোগ প্রতিরোধ
১. রোগীর চুলকানি হলে তার বিছানা, কাপড়-চোপড় আলাদা করতে হবে ।
২. দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. অন্য সুস্থ ছেলেমেয়েদের রোগীর সংস্পর্শে আসা বন্ধ করতে হবে ।
৪. রোগীর ব্যবহার করা কাপড় চিকিৎসা চলাকালে এবং চিকিৎসার শেষের দিনে গরম পানিতে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে ।
১. প্রশ্নঃ গোসল করার পর সারা শরীর চুলকায় কেন?
- পানিবাহিত অ্যারার্জির জন্য হয়ে থাকে।
- একেকজন মানুষের একেক জিনিসে অ্যালার্জি দেখা দেয়। যার গোসল এর পর বা ঐ সময় শরীর চুলকায় তার বুঝতে হবে যে তার পানিতে অ্যালার্জি।
- অ্যাকুয়োজেনিক আর্টেকেরিয়া বলে এই সমস্যাকে।
২. এলার্জির কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে?
- রেশ
- শ্বাসকষ্ট
- চুলকানি
- পায়খান
- বমি
- পেটে যন্ত্রণা
- পেট ব্যথা
- শরীর ফুল যেতে পারে।
- চোখে চুলকানি।
- শরীর লালচে দাগ হয়ে যাওয়া।
Valo…hoyeche….gd information