1 ভরি সোনার দাম কত তা জানতে যারা সার্চ করেছেন বা যারা জানার আগ্রহ থেকে এমনেতেই জানতে চাচ্ছেন সোনার বাজারের কি অবস্থা তারা জেনে যান যে 1 ভরি সোনার দাম কত।
আমাদের এই পোস্ট এর মাধ্যমে যে শুধু আপনি 1 ভরি সোনার দাম কত তা জানতে পারবেন এমন নয়। কোন সোনার কি দাম এবং কোন সোনার মধ্যে কি পরিমাণ সোনা থাকে তাও জানতে পারবেন।
1 ভরি সোনার দাম কত বিস্তারিত
একটু পরিষ্কার করেই বলছি। ধরেন আপনি ২৪ ক্যারেট সোনা কিনবেন। তাহলে এর দাম যা হবে আর ২২ ক্যারেট সোনার দামতো আর এক হবে না। আবার মনে করেন ২১ বা ১৮ ক্যারেট সোনার দামতো আর কম হবে। তাহলে কেন এই তফাত তাও একটু জেনে নেয়া ভাল। কি বলেন। তাহলে আগে চলুন আজকের দামটি জেনে নেই।
মূলত আমাদের দেশে বাজুস সোনার দাম ঠিক করে। কোন দিন বাজারে সোনর কি দাম থাকবে বাজুস কমিটি ঠিক করে দেয়। তাই আপনি যদি সোনা কিনতে যান অন্তত একবার হলেও গুগুলের কাছে জিজ্ঞেস করে যান– আজকে সোনার দাম কত বা সোনার দাম বা ২২ ক্যারেট সোনর দাম, ১ ভরি সোনর দাম, বর্তমানে স্বর্ণের দাম ইত্যাদি।
তখন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত আপডেট দামটি জেনে নিতে পারবেন। চলুন এখন দামটা আগে বলে দেই তারপর না হয় অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
বিভিন্ন প্রকার সোনা | সোনার দাম |
১ ভরি ২৪ ক্যারেট সোনা | ১১৩,০০০ টাকা (আনুমানিক) |
১ ভরি ২২ ক্যারেট সোনা | ১১১,০৪১ টাকা |
১ ভরি ২১ ক্যারেট সোনা | ১০৬০২৬ টাকা |
১ ভরি ১৮ ক্যারেট সোনা | ৯০৮৬৩ টাকা |
১ ভরি সনাতন পদ্ধতির সোনা | ৭৫৭০০ টাকা |
আমরা এখানে বিভিন্ন প্রকারের ১ ভরি সোনার দাম জেনে নিলাম এখন জানব কিভাবে সোনার হিসাব করা হয়। এই হিসাবের ভিত্তিতেই সাধারণত সোনা পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
সোনার হিসাব
স্বর্ণ এর তুলনা (ভরি) | পরিমাণ |
১ ভরি | ১১.৬৬৪ গ্রাম |
১ ভরি | ১৬ আনা |
১ ভরি | ১ তোলা |
১ ভরি | ৬৪.০৭ রতি |
১ ভরি | ৮৫.৭৩ কেজি (প্রায়) |
১ আনা | ৬ রতি |
আমাদের দেশের সোনার দামের সাথে অন্যান্য দেশের সোনার দামের পার্থক্য তুলে দেয়া হল। যেখানে অন্যান্য দেশের ১ ভরি সোনর দাম আশি হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে সেখানে আমাদের দেশে এক লক্ষ তের হাজার টাকা। প্রতি ভরি সোনাতে যদি এত তফাৎ হয় তাহলে বুঝে নেন আমাদের দেশের অবস্থাটা কি। 1 ভরি সোনার দাম কত
দেশ | সোনার দাম টাকায় | কারেন্সি চিহ্ন | সোনার দাম সেই দেশের কারেন্সিতে |
আমেরিকা | ৮২৪২৩ | USD | ৭৬০.২১৩ |
ইন্ডিয়া |
৮২৩৩১.৪ | INR | ৬৩১০৯ |
পাকিস্তান | ৮২২১৬ | PKR | ২১৩৭৩৩ |
দুবাই | ৮২৪৩০.৮ | AED | ২৭৯২.৭৫ |
সৌদি আরব | ৮২৩৯৭.৯ | SAR | ২৮৫২.৫৬ |
ইংল্যান্ড | ৮২৩২১.৬ | GBP | ৫৯৬.৬২ |
কুয়েত | ৮২৩২৮.২ | KWD | ২৩৪ |
কাতার | ৮১৮০০ | QAR | ২৭৬৬ |
আরব আমিরাত | ৮২৩৫০ | AED | ২৭৯০ |
এখন আমরা সোনা সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় জানব। কষ্ট করে পড়ে নিলে আশা করি নিজেরই উপকারে আসবে। 1 ভরি সোনার দাম কত
সোনা কী?1 ভরি সোনার দাম কত
কেউ যদি বলে আমি স্বর্ণ চিনি না তাহলে আমরা তাকে বলবো গাঁধা একটা। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমরা বেশিরভাগ মানুষই আসলেই স্বর্ণ চিনি না। সামান্য কমলা, হলুদ দেখতে চকচকে একধরনের ধাতু হল স্বর্ণ।1 ভরি সোনার দাম কত
কিন্তু এর বাইরে আমরা অনেকেই জানি না। তাই বলা যেতে পারে যে স্বর্ণ চিনলেও অধিকাংশ মানুষ সঠিক স্বর্ণ চিনি না, যে কারণে আমাদের বারবার ঠকতে হয়। তাই আজকে স্বর্ণকে আসলেই চেনার চেষ্টা করবো। জানা অজানা নানা বিষয় জানব এই লিখা পড়ার মধ্য দিয়ে।
মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে কত কিছুই না আবিষ্কার করেছে। তেমনি মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করেছে স্বর্ণ। স্বর্ণ নিয়ে কিছু তথ্য জেনে রাখি চলুনঃ
অরাম’ (Aurum) হচ্ছে স্বর্ণের রাসায়নিক নাম। স্বর্ণের বর্তমান দাম
ল্যাটিন শব্দ Aurora থেকে ‘অরাম’ এসেছে।
আর স্বর্ণের প্রতীক ‘Au’।
বিজ্ঞানের পর্যায় সারণিতে এর পারমাণবিক সংখ্যা ৭৯।
স্বর্ণের পারমাণবিক ভর ১৯৬.৯৬৬৫।
স্বর্ণের ঘনত্ব ১৯.৩০ gm/cc
স্বর্ণের দৈর্ঘ্য প্রসারণ সহগ 14×10^-6 c-
স্বর্ণের গলনাঙ্ক হচ্ছে – ১৩৩৭.৩৩ কে / যা ১০৬৪.১৮ সেলসিয়াস
স্বর্ণের স্ফুটনাঙ্ক হচ্ছে – ৩১২৯ কে/ এবং ২৮৫৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস
সাধারণত মাটির নিচে দলা আকারে বা চূর্ণ হিসেবে পাওয়া যায়। আমাদের শরীরে ০.২ মিলিগ্রাম স্বর্ণ রয়েছে। যা আমাদের রক্তে মিশে আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গোল্ড বারটির ওয়েট/ ওজন ২৫০ কেজি।
ইউক্যালিপটাস গাছের যে পাতা রয়েছে সেই পাতায় সোনার পাতলা প্রলেপ আছে।
দুবাই দেশ হিসেবে এতই ধনী যে সেখানে তাদের এটিএম বুথে শুধু টাকা নয় বরং স্বর্নের বারও উত্তোলন করা যায় এটিএম থেকে। 1 ভরি সোনার দাম কত
প্রতিদিন যে পরিমান স্বর্ণ উত্তোলন করা হয় এর অর্ধেকেরও বেশী আসে সাউথ আফ্রিকা থেকে।
স্বর্ণ দিয়ে সূতা তৈরী করা যায় যা এম্বোডায়েরির কাজ করা যায়।
বর্তমান বাজারে কয় ধরনের স্বর্ণ পাওয়া যায়?1 ভরি সোনার দাম কত
এখন বাজারে ৪ ধরনের স্বর্ণ সচরাচর পাওয়া যায়।
১. ২৪ ক্যারেট সোনা।
২. ২২ ক্যারেট সোনা।
৩. ২১ ক্যারেট সোনা।
৪. ১৮ ক্যারেট সোনা ।
৫. ১৪ ক্যারেট সোনা।
৬. ১২ ক্যারেট সোনা।
৭. ১০ ক্যারেট সোনা।
৮. সনাতন সোনা।
২৪ ক্যারেট সোনা কিঃ ২৪ ক্যারেট সোনাকে বলা হয় বিশুদ্ধ সোনা।
এতে ৯৯.৯% খাঁটি স্বর্ণ থাকে।
এতে অন্য কোন ধাতবের খাদ থাকে না।
এই স্বর্ণকে ৯৯৯ স্বর্ণও বলা হয়ে থাকে কোন কোন দেশে
২৪ ক্যারেট বেশ নমনীয় থাকে যে কারণে সহজে স্ক্রেচ পড়ে।
২২ ক্যারেট সোনা
২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৯১.৭ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে।
বাকী ৮ % থাকে অন্যান্য ধাতু।
তামা, নিকেল,দস্তা, রৌপ্য ইত্যাদি থাকবে মিশ্রণ হিসেবে।
অলংকার তৈরীর জন্য সবচেয়ে ভাল সোনা এটি।
এর সাথে অন্যান্য খাদগুলো থাকার জন্য স্বর্ণ শক্ত হয়। কারণ বিশুদ্ধ স্বর্ণ নরম হওয়ায় তা দিয়ে অলংকার তৈরী করা হয় না।
৯১৬ গোল্ড হিসেবে চেনা হয় এবং ডাকা হয় ২২ ক্যারেট গোল্ডকে।
২১ ক্যারেট সোনা
২১ ক্যারেট সোনার মধ্যে ২২ ক্যারেট সোনা অপেক্ষা খাদ এর পরিমাণ আরও একটু বেশী থাকে।
৮৭.৫% পিউর স্বর্ণ থাকে ২১ ক্যারেট সোনার মাঝে।
১২.৫% থাকে অন্যান্য খাদ। 1 ভরি সোনার দাম কত
সিলভার , জিংক, পেলাডিয়াম, নিকেল, এবং কপার থাকে খাঁদ হিসেবে।
৮৭৫ গোল্ড হিসেবে ডাকা হয় ২১ ক্যারেট সোনাকে।
১৮ ক্যারেট সোনা
75% খাঁটি সোনা থাকে ১৮ ক্যারেট সোনার মধ্যে।
25% অন্যান্য ধাতু থাকে খাদ হিসেবে।
সিলভার , জিংক, নিকেল, এবং কপার ইত্যাদি থাকে খাঁদ হিসেবে।
এই সোনাকে ৭৫০ স্বর্ণ হিসেবেও ডাকা হয়। 1 ভরি সোনার দাম কত
বর্তমান সময়ে যে হোইট গোল্ড বা সাদা সোনা এত জনপ্রিয় হয়েছে তা কিন্তু এই ১৮ ক্যারেট সোনা। ১৮ ক্যারেট সোনাকেই বলা হয় হোইট গোল্ড সোনা।
স্বর্ণের বর্তমান দাম
১৪ ক্যারেট সোনা
58.30% খাঁটি সোনা থাকে ১৪ ক্যারেট সোনার মধ্যে।
42.70% অন্যান্য ধাতু থাকে খাদ হিসেবে।
সিলভার , জিংক, নিকেল, এবং কপার ইত্যাদি থাকে খাঁদ হিসেবে।
এই সোনাকে ৫৮৫ স্বর্ণ হিসেবেও ডাকা হয়।
১৮ এবং ১৪ ক্যারেট সোনাই হচ্ছে হোইট গোল্ড সোনা। মানে হোইট গোল্ড সোনায় ১৪ অথবা ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 1 ভরি সোনার দাম কত
১২ ক্যারেট সোনা
50% খাঁটি সোনা থাকে 12 ক্যারেট সোনার মধ্যে।
50% অন্যান্য ধাতু থাকে খাদ হিসেবে।
সিলভার , জিংক, নিকেল, এবং কপার ইত্যাদি থাকে খাঁদ হিসেবে।
১২ ক্যারেট সোনাও হোইট গোল্ড সোনা।
সাধারণত স্থ্যপত্য কর্মে , ছবির ফ্রেম তৈরীতে, বিভিন্ন শিল্পকর্মের ডিজাইন হিসেবে এই সোনা বেশী ব্যবহার হয়ে থাকে।
স্বর্ণের বর্তমান দাম
১০ ক্যারেট সোনা
41.7% খাঁটি সোনা থাকে 10 ক্যারেট সোনার মধ্যে।
59.3% অন্যান্য ধাতু থাকে খাদ হিসেবে।
সিলভার , জিংক, নিকেল, এবং কপার ইত্যাদি থাকে খাঁদ হিসেবে।
আরো পড়ুনঃ আকাশ নিয়ে ক্যাপশন, উক্তি, কবিতা
স্বর্ণ কেনার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে1 ভরি সোনার দাম কত
বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে প্রিয় মানুষটির জন্য স্বর্ণে তৈরী কোন অলংকার উপহার দিতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি না জেনে না বুঝে হুট করে স্বর্ণের অলংকার কিনে নিলেন। এরপর দেখলেন কয়দিন পর সেই অলংকার কালো হয়ে যাচ্ছে, কালারও কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। 1 ভরি সোনার দাম কত
তার মানে দাড়াচ্ছে আপনি যে অলংকার কিনেছেন তা আসল স্বর্ণ নয়। আর প্রিয় মানুষটির খুশীর জন্য তাকে উপহার দিলেন আর সেই মূল্যবান উপহার দুই নাম্বার হওয়ার জন্য আপনার সম্পর্ক আরও অবনতি হল।
তাই স্বর্ণ কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে। চলুন জেনে নেই খুঁটিনাটি সেই বিষয় গুলো-
কত ক্যারেট এর সোনা কিনতে যাচ্ছেনঃ স্বর্ণের মধ্যে খাদ থাকে। খাঁদ না থাকলে বরং সমস্যা। কিন্তু প্রশ্ন হলো কতটুকু খাঁদ থাকতে হবে। মূলত ২৪ ক্যারেট এর যে স্বর্ণ তাতে খাঁদের পরিমাণ ০.১ পরিমান। যেখানে মূলত ৯৯.৯ পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে।
কিন্তু এই স্বর্ণ দিয়ে কোন অলংকার তৈরী করা যায় না।
আবার ২২ ক্যারেট এর সোনায় থাকে ৯১.৬% খাঁটি স্বর্ণ এবং ২১ ক্যারেটে থাকে ৮৭% খাঁটি সোনা। এই দুই ধরনের স্বর্ণ দিয়েই মূলত স্বর্ণের অলংকার তৈরী করা হয়ে থাকে। মূলত একদম খাঁটি সোনা মানে ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে অলংকার 1 ভরি সোনার দাম কত
তৈরী হবে না কারণ এই সোনা অত্যন্ত নরম। যাকে কোন শেইপ দেয়া যাবে ঠিকই কিন্তু নরম হওয়ার কারনে সহজে আবার অন্য শেইপ নিয়ে নিবে। আবার খাঁদ এর মাত্রা বেশী হয়ে গেলেও কিছু দিন পর স্বর্ণের যে কালার তা হারাতে থাকবে।
তাহলে করণীয় কী? কিভাবে বুঝবো যে কোন স্বর্ণে কতটুকু খাঁদ রয়েছে। খাঁদ বেশী থাকা যেমন ভাল না আবার স্বর্ণে খাঁদ এর পরিমাণ একবারে কমম থাকাও ভাল না।
ভেজাল স্বর্ণ না খাঁটি স্বর্ণ তা যেভাবে বুঝবোঃ1 ভরি সোনার দাম কত
স্বর্ণে মিশানো খাঁদের উপর যেহেতু নির্ভর করে ভেজাল আর খাঁটির তাই তা পরীক্ষা করার জন্য স্পেকট্রোমিটার নামে একটা যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্রে স্বর্ণ পরিমাপের পর যন্ত্রই বলে দিবে যে স্বর্ণে কতটুকু
খাঁদ রয়েছে আর কতটুকু আসল স্বর্ণ। তাই কেনার সময় দোকানদারকে বলবেন আপনাকে যেন স্পেকট্রাম মেশিনে মেপে এবং আপনাকে দেখিয়ে স্বর্ণ দেয়। তাহলে কিছুটা হলেও প্রতারণা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
দরদাম করাঃ
আমাদের অনেকেই আছেন যারা স্বর্ণের দরদাম তেমন করতে চান না। কিন্তু এটা করা বোধহয় ঠিক না। আপনার যতই টাকা থাকুক আসল দাম জেনে তারপরই সোনা কিনুন। আর দরদাম করে পণ্য কেনাও সুন্নত। স্বর্ণের বর্তমান দাম
তৈরীর উপর বিশেষ মূল্য ছাড়:
বিশেষ ছাড়ের কথা বলে ব্যবসায়ীরা আপনাকে নকল সোনা ধরিয়ে দিতে পারে। ধরেন এক দোকানে যে টাকায় সোনা কিনছেন অন্য দোকানে মুজুরি মূল্য ফ্রী। তাহলে আপনি ফ্রী পেয়ে সেই দোকানেই স্বর্ণ কিনতে যাবেন।
1 ভরি সোনার দাম কত
তাই সেই দোকানের স্বর্ণটা কেমন তা আগে পরীক্ষা করুন। ফ্রী পেলাম আর ঝটপট কিনে নিলাম এমনটা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই বিশেষ মূল্য ছাড় এর ফাঁদে পা দিবেন না। তবে সব প্রতিষ্ঠান যে ঠক বা প্রতারক হবে তা কিন্তু নয়। মূল কথা আপনারা যেন ফঁদে পা না দেন সেই জন্যই এত কথা।
1 ভরি সোনার দাম কত
কয়েক দোকান ঘুরুনঃ অনেকেরই পরিচিত কেই হয়ত স্বর্ণের ব্যবসা করে আর আপনি গিয়ে তার কাছ থেকে অফলংকার কিনে নিয়ে আসেন।
এটা করতে পারেন যদি ব্যবসায়ী একান্তই আপনার বিশ্বস্ত হয়। তবে ভাল হয় বেশ কিছু দোকান দেখে, কথা বলে যাচাইবাছাই করে তারপর অলংকার কেনা। তাই বেশ কিছু দোকান যাচাই-বাছাই করে তারপর স্বর্ণ কিনুন।
পাথরযুক্ত স্বর্ণ
সোনার গয়নায় পাথর যেন চোখকে আরও বেশী আকর্ষণ করে। পাথর এর জন্য স্বর্ণ দিয়ে তৈরী অলংকার যতই দেখতে সুন্দর হোক না কেন আপনার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ ভাল স্বর্ণ কেনা। দেখতে সুন্দর হলেই
যে স্বর্ণ ভাল হয়ে যাবে তার কোন কারণ নেই। তাই দেখতে সুন্দর, নানা বাহারি রংয়ের পাথরে মোড়ানো স্বর্ণ কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করে নিবেন, যে স্বর্ণটা কিনছি তা কি আসল নাকি এত কোন ভেজাল আছে।
1 ভরি সোনার দাম কত
স্বর্ণ কিনে বিনিয়োগ করাঃ
স্বর্ণ কিনে অনেকে ব্যবসা করতে চান। আর ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। যদি আপনি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে সবসময় বাজারের খবর রাখতে হবে। কোথা থেকে ভাল স্বর্ণ কিনতে পারেন তার খোঁজখবর রাখা জরুরি।
1 ভরি সোনার দাম কত
আর যদি আপনি দেশের বাহিরে কারও সাথে লিংক রাখতে পারেন তাহলে হয়ত আরও ভাল খবর এবং ভাল দামে স্বর্ণ কিনতে পারবেন। তাই স্বর্ণ কিনে বিনিয়োগ ভাল ব্যবসা বটে কিন্তু আপনাকে এক্ষেত্রে চৌকোষ হতে হবে। স্বর্ণ ব্যবসায় যেমন লাভ তেমনই লস এরও সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ভেজাল স্বর্ণ কিনেন তাহলে আপনার ব্যবসায় লাল বাত্তি জলবে।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিবিএস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয় যদি ব্যবসায়ীরা মোটা দাগে ৫ টি বিষয়কে মাথায় রেখে ব্যবসার উদ্দেশ্যে আগায় তাহলে ধোঁকার হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশী।
১. ডিলারের সুনাম :
স্বর্ণ কেনার আগে প্রসিদ্ধ ডিলারকে বেছে নেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে বাজারে ব্যবসা করে আসছে। কারণ বাজারে ফেইক এর অভাব নেই। যেহেতু সহজে দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন না যে কোনটা আসল স্বর্ণ আর কোনটা নকল স্বর্ণ তাই খ্যাতনামা ডিলারের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনলে কিছুটা হলেও নিশ্চিত থাকতে পারেন। স্বর্ণের বর্তমান দাম
২. বিশুদ্ধতা : 1 ভরি সোনার দাম কত
ভাল ডিলারের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনলেই আপনার দায়িত্ব শেষ না। আপনি নিজে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে নিন। আপনি কি উদ্দেশ্যে স্বর্ণ নিচ্ছেন এবং কোন স্বর্ণ নিচ্ছেন তা যাচাই-বাছাই করে নিন।
২৪ ক্যারেট না কি ২২ নাকি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ নিচ্ছেন তা যাচাই বাছাই করে নিন। তাই একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনাকে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে এবং বিশুদ্ধ স্বর্ণ চেনার সকল কলাকৌশল আপনাকে জেনে নিতে হবে।
৩. ওজন দেখে কিনুন : 1 ভরি সোনার দাম কত
আপনি যখন স্বর্ণ কিনবেন তখন স্বর্ণের বার ও কয়েন হয়ত কিনবেন আপনি। যেহেতু ওজন এর সামান্য তারতম্য হলেই দাম অনেক পরিবর্তন হয়ে যায় তাই কেনার আগে ওজনটা ভালভাবে বুঝে নিন। স্বর্ণের বার মূলত ট্রয় আউন্সে পরিমাপ করা হয়।
একটা স্বর্ণের বার মূলত ৪০০ বার আউন্স হয়ে থাকে। আর কয়েন ১ ট্রয় আউন্স , ১/২ ট্রয় আউন্স, ১/৪ ট্রয় আউন্স এবং ১/১০ ট্রয় আউন্স ওজনের হয়। তাই ওজনটা ভাল করে পরীক্ষা করে তারপর স্বর্ণ কিনুন।
৪.হলমার্ক দেখে নিনঃ
হলমার্ক দেখে স্বর্ণ কিনুন। যতই আপনি নামিদামী প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণ কিনুন না কেন অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে স্বর্ণ কিনতে হবে। আর সেই জন্য আপনি প্রথমেই স্বর্ণের গায়ে হলমার্ক দেখে নিন। আরও একটি কাজ করতে পারেন, চৌম্বক দিয়ে স্বর্ণ পরীক্ষা করে নিতে পারেন। স্বর্ণ চৌম্বক দ্বারা আকর্ষণ হবে না। 1 ভরি সোনার দাম কত
৫. প্রিমিয়াম মূল্য : স্বর্ণের মূল্য অবশ্যই প্রিমিয়াম থাকবে। আসল স্বর্ণ কখনই অল্প মূল্যে বিক্রি হবে না। যদি তা হয় তাহলে বুঝতে হবে কোথাও সমস্যা আছে। আসল সোনা প্যাকেটজাত হয় এবং এর মধ্যে উৎপাদনের তারিখও লিখা থাকে। তাই কেনার সময় এসব বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি আগামীতে বাজার কেমন থাকবে বা কেমন হতে পারে তাও মাথায় রাখতে হবে।
স্বর্ণ ব্যবহারে উপকারিতা কি?1 ভরি সোনার দাম কত
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কর
নিরাময় করে ক্ষত
ত্বকের সমস্যা দূর করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
চিকিত্সায় স্বর্ণ ব্যবহার
মেনোপজের সময় উপকারী
নারীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতেই নয় স্বর্ণ ব্যবহার হয় আপনার স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতেও । শুধু নিজের সমৃদ্ধির জন্য নয় বা সম্পদ হিসেবেই নয় স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে ব্যবহার হয় স্বর্ণ। তাই এখন জানব স্বর্ণ ব্যবহার এর উপকারগুলো-
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:
স্বর্ণে প্রদাহ বা ক্ষত বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে একজন চিকিৎসক একটা পরীক্ষার মাধ্যমে এটি প্রমাণ করেন।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের ফোলাভাব ও শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। স্বর্ণের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যে কারণে প্রদাহ ঠিক করতে স্বর্ণ কার্যকরি ভূমিকা রাখে। তবে এই বৈশিষ্ট্য যে শুধু স্বর্ণে পাওয়া যায় তা না অন্যান্য ধাতু যেমন তামাতেও এই বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
নিরাময় করে ক্ষত: 1 ভরি সোনার দাম কত
বহু আগে থেকেই শরীরে ক্ষত সারাতে স্বর্ণ ব্যবহার হয়ে থাকে। সাধারণত স্বর্ণ ব্যবহার করে সংক্রামন রোধ করা হয়ে থাকে। তাই স্বর্ণের ব্যবহার বহুদিক থেকে। তবে প্রদাহ , ক্ষত নিরাময়ে তা ভালভাবে কার্যকর। 1 ভরি সোনার দাম কত
ত্বকের সমস্যা দূর করে: 1 ভরি সোনার দাম কত
শুনলে হয়ত অবাক হবেন যে স্বর্ণ আপনার ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে। স্বর্ণ আপনার ত্বকের ফুসকুরি,ক্ষত,একজিসা, ছত্রাকের সংক্রামণ দূর করতে পারে। ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা রয়েছে।
অ্যান্টি-এজিং প্রভাব:1 ভরি সোনার দাম কত
সোনা কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে বলে মনে করা হয়, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটি সূক্ষ্ম রেখা এবং বলির উপস্থিতি হ্রাস করতে অবদান রাখতে পারে, কিছু অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার ফর্মুলেশনগুলিতে সোনাকে একটি চাওয়া-পাওয়া উপাদান হিসাবে তৈরি করতে পারে।
ত্বক উজ্জ্বল করা:1 ভরি সোনার দাম কত
কিছু স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট দাবি করে যে তাদের পণ্য ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে কারণ তাদের প্রডাক্টে সোনা মিশ্রিত রয়েছে। সোনার কনা থাকার কারণে তা ত্বকের মধ্যে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
1 ভরি সোনার দাম কত
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
অবিশ্বাস্য হলেও নাকি সত্য যে স্বর্ণের অলংকার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এভাবেই স্বর্ণ মানুষকে রোগ থেকে রক্ষা করে।
চিকিত্সায় স্বর্ণ ব্যবহার:1 ভরি সোনার দাম কত
আকুপাংচারের মতো চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে স্বর্ণ। আকুপাংচারের চিকিত্সকরা শরীরে শক্তি প্রবাহ বাড়াতে এবং ব্যথা কমাতে স্বর্ণের টিপড সূঁই ব্যবহার করেন। শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং ফোলা নিরাময়ে এটি বিশেষভাবে কার্যকর হয়।
1 ভরি সোনার দাম কত
মেনোপজের সময় উপকারী:
গবেষকরা বলেছেন, স্বর্ণ শরীরের বিভিন্ন সমস্যা যেমন শীতল হয়ে যাওয়া কিংবা হঠাৎ জ্বর আসা থেকে রক্ষা করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, যেসব মহিলার মেনোপজের সময় চলছে তাদের প্রবলেম কমাতেও পারে স্বর্ণের গহনা।
সবমিলে কথা হলো স্বর্ণ আপনাকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করবে।