চোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ। কেন অমূল্য সম্পদ তা দুই মিনিটের মত চোখটা বন্ধ করে দেখুন। কি টের পেলেন তো? কিন্ত চোখের সমস্যর মধ্যে অন্যতম হল চোখ ওঠা। ফলে আজকে আমরা এর কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানব।
চোখ ওঠা রোগে করণীয়:
চোখ দিয়েই আমরা আমাদের রঙিন পৃথিবীকে দেখতে পাই। আর সে জন্যই এই চোখ নিয়ে নানা মতবাদ আর কৌতূহলে ভরপুর ছিল অতীতের অগ্রগতিশীল বিজ্ঞান।
সেইসব মন্তব্য থেকে অন্যতম একটি মন্তব্য ছিল বিজ্ঞানী টলেমির তিনি বলেন- চোখ থেকে বস্তুতে আলো যায়, ফলে আমরা দেখতে পাই। যার প্রেক্ষিতে এই বক্তব্যের বিরোধীতা করেন,এক মুসলিম বিজ্ঞানী।
তার নাম হলো আল হাইজেন। তিনি বলেন বস্তু থেকে চোখে আলো আসে ফলে আমরা দেখি। আর আমরা এখন তাই জানি।
বিজ্ঞানীদের আলোচনা আমাদের আজকের বিষয় নয়। মূলত এই অমূল্য সম্পদ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন কি করণীয় সেই বিষয়েই কিছু কথা হবে। চোখ অনেক বেশী সংবেদনশীল হওয়ায় প্রায়শই তা আক্রান্ত হয় ব্যকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা। যে কারণে চোখ নানা রোগে আক্রান্ত হয়।
চোখেরও নানা প্রকার রোগ হয় এর মধ্যে অন্যতম হলো চোখ ওঠা। ইদানিং আমাদের দেশে চোখ ওঠার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ রোগকে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস।
চোখের কনজাংটিভার নামক পর্দার প্রদাহকে চোখ ওঠা বলে। এটি মূলত ভাইরাসজনিত রোগ। সেই সাথে চোখ ওঠা অত্যন্ত ছোঁয়াচে।
এ রোগ কেন হয়?
সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার কখনো এলার্জি জনিত কারণেও চোখ ওঠা রোগ হয়ে থাকে।
আমাদের দেশের বাতাসের মধ্যে সব সময় রোগজীবাণু চলাফেরা করে এর মধ্যে কিছু কিছু সক্রিয় থাকে আবার কিছু কিছু নিষ্ক্রিয়। এরকম রোগ-জীবাণুর যদি চোখের ভেতর চলে যায় তখন চোখের প্রদাহ
দেখা দেয়। আর এটিই মূলত চোখ ওঠার প্রধান কারণ।
আরো পড়ুন:
লক্ষণ:
১. চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
২. চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা।
৩. সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা।
৪. চোখ দিয়ে পানি পড়া।
৫. চোখের কোণে ময়লা(কেতুর) জমা
৬. চোখ ফুলে যাওয়া।
৭. চোখ খচখচ করা।
প্রতিকার:
১. আক্রান্ত চোখে যেন ধুলাবালি দূষিত বাতাস ও নোংরা পানি প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২. বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
৩. হাত দিয়ে চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন।
৪. ভিড় এড়িয়ে চলুন।
৫. চোখ মোছার জন্য আলাদা পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন।
৬. আলাদা থাকার চেষ্টা করুন।
কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
১. চোখে যদি খচখচ ভাব অনেক বেশি হয়।
২. বেশি পরিমাণে কেতুর জমে বা চোখে ঝাপসা দেখলে।
৩. যদি চোখ বেশি ভুলে যায় এবং কনজাংটিভা পানি জমে।
৪. অনেকক্ষেত্রে চোখ দিয়ে রক্ত পড়ে (এটি খুব কম ক্ষেত্রেই
হয়)।
আর এসব লক্ষণ দেখা দিলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। জনশ্রুতি আছে যে চোখ ওঠা নাকি ভাল। এই রোগ এরপর চোখ এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
যদিও বিজ্ঞান বা ডাক্তার এই বিষয়ে কিছু বলেন কি না তা আমার জানা নেই। তবে যে যাই বলুক অসুস্থতাতো অসুস্থতাই।
আর অসুস্থতা থেকে মুক্ত হয়ে নিজের স্বাস্থ্য ভাল থাক সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেই আজ সমাপ্ত। চোখ ওঠার সমস্যা থেকে ভাল হোক প্রতিটি রোগী।
অনেক সুন্দর হয়েছে। ❤️
Khub Valo laglo.. onk information ase