চুল পড়া বন্ধ করার উপায় খুঁজছেন, তাই না? এই লিখায় চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সেই সাথে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১. চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে প্রথম গুরুত্বপায় সুষম খাদ্য গ্রহণ
চুল পড়া সমস্যা তখনই ঠিক হবে যখন আপনার খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার যথাযথ ও পর্যাপ্ত থাকবে। কারণ চুলের ভালর জন্য প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ প্রয়োজন। আর ভিটামিন ও খণিজ আসবে সুষম খাবার থেকে ।
ভিটামিন এ মাথার ত্বকে স্বাস্থ্যকর সিবাম (Sebum হল একটি তৈলাক্ত, মোমযুক্ত পদার্থ যা আমাদের শরীরের সেবেসিয়াস গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত হয়। এটিি এমন তৈলাক্ত রস যা ত্বককে আর্দ্র ও সজীব রাখতে সাহায্য করে।)
উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি গাঢ় সবুজ শাক, গোলমরিচ, আম, পেঁপে ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। (চুল পড়া বন্ধ)
দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য, মটরশুটি ইত্যাদিতে পাওয়া ভিটামিন বি১২ যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
বায়োটিন ( ভিটামিন বি গোত্রের একটি ভিাটামিন ) চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটিনের অভাবে চুল পড়া এবং চুল পাতলা হতে পারে। সাধারণত চাল, গম, বাদাম, সয়াবিন, ডাল, ডিমের কুসুম, মাশরুম, কলা , কাজু বাদামে বায়োটিন পাওয়া যায়। (চুল পড়া বন্ধ)
সুতরাং, আপনি যদি চুলের ক্ষতির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে দুধ, বাদাম, সবুজ শাকসবজি (পালং শাক) , ফল-মূল ইত্যাদি আপনার নিয়মিত খাবার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করুন। (চুল পড়া বন্ধ)
২. চুল পড়া বন্ধ করতে উচ্চ-প্রোটিন ডায়েট
প্রোটিন চুলের বিল্ডিং ব্লক। পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখা কঠিন কিছু না। প্রেটিন চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকার কিছু খাবার এর নাম এখানে উল্লেখ করা হলো- মসুর ডাল, শুকনো মটরশুটি, পনির , শিমের বিচি, স্বাদু পানির মাছ, সবুজ মুগ ডাল,সালমন ফিস, খাসির মাংস, আখরোট, বার্লি, শুটকি মাছ ইত্যাদি। এই খাবার গুলো চুল পড়া বন্ধে দারুনভাবে কাজ করবে। (চুল পড়া বন্ধ)
৩. চুল পড়া বন্ধ করতে পানি পান করুন পরিমাণমত
আমাদের জীবনে পানি প্রয়োজন নেই এমন কিছুই হয়ত নেই। আর চুল পড়া বা চুলের যত্নে পানির অবদান থাকতে পারে না এমন তো হতে পারে না। তাই চুল পড়া বন্ধে বেশী করে পানি পান করুন। তাই স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য দিনে কমপক্ষে আট থেকে বারো গ্লাস পানি পান করুন। (চুল পড়া বন্ধ)
৪. চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করুন বিভিন্ন তেল
প্রয়োজনীয় তেল ( রোজমেরি, ক্যাস্টর অয়েল, তিলের তেল, লেমনগ্রাস, সাইডার উড, বার্গামট ওয়েল, জোজবা ওয়েল ইত্যাদি) দিয়ে মাথার ত্বকে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করলে লোমকূপ সক্রিয় থাকে। এইসব তেলের একেক গুন রয়েছে আবার কোন কোন টা ভোজ্য তেল হিসেবেও খুব ভাল । তাই আপনার সমস্যা অনুযায়ী আপনি আপনার তেলটি পছন্দ করে নিতে পারেন। এই তেল নিয়ে জানতে ক্লিক করুন।
তেল চুলের শ্যাফটে ভালভাবে প্রবেশ করতে পারে, তাই চুলের আর্দ্রতা হারাতে বাধা দেয়। চুল ক্ষতির জন্য কম সংবেদনশীল এবং ঘন এবং শক্তিশালী থাকে। বিশেষ করে ক্যাস্টর অয়েলের চমৎকার চুলের বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি চুল পড়ার জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার হিসেবে বিবেচিত হয়।(চুল পড়া বন্ধ)
কয়েক মিনিটের জন্য সামান্য তেল গরম করুন। পরিষ্কার মাথার ত্বক এবং চুলের খাঁজে আলতোভাবে ঘষুন, যাতে তেলটি প্রবেশ করতে পারে। এটি কয়েক ঘন্টার জন্য রেখে দিন, তারপর একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। (চুল পড়া বন্ধ)
৫. চুল পড়া বন্ধ করতে বাম এবং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
চুল দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। আপনি এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ balms ( কন্ডিশনার) এবং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। হেয়ার মাস্ক হিসেবে ওটস- কোকনাট ওয়েল হেয়ার মাস্ক, শিকাকাই কোকনাট ওয়েল, মেথি ও ঘৃতকুমারি কোকনাট ওয়েল ও অন্যান্য ব্যবহার করতে পারেন।
শ্যাম্পুর মতো একই সময়ে বা ধুয়ে ফেলার পরপরই বাম বা কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। বাম প্রয়োগ করার সঠিক উপায় হল এটি চুলের পুরো দৈর্ঘ্যে ছড়িয়ে দেওয়া, এটি ত্বকে না ঘষাই ভাল। প্রতি দুই সপ্তাহে একবার ভালো করে যে কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। (চুল পড়া বন্ধ)
৬. চুল পড়া বন্ধ করতে গ্রীণ টি ঘষুন
গবেষণায় দেখা গেছে যে আমাদের চুলে গ্রিন টি ঘষলে তা চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ পানিতে দুই ব্যাগ গ্রিন টি ভিজিয়ে ঠান্ডা করতে হবে এবং তারপর চুলে লাগাতে হবে । এক ঘণ্টা পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। আর এটি চুল পড়া বন্ধের অন্যতম একটি উপায়। (চুল পড়া বন্ধ)
৭. চাল ধোয়া পানিতে চুল নিয়মিত ধুয়ে নিন
চুলকে ভাল রাখতে চাল ধোয়া পানিও কাজে আসে। চাল ধোয়া পানিতে রয়েছে ভিটামিন বি, ই ও সি চুল গজাতে সাহাজ্য করে। তাই আপনার যদি চুল পড়তে থাকে তাহলে চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে চুল পড়লেও আবার গজানোর সম্ভাবনা থাকবে ।
এই বিষয়ে ডা. নেদা মেহের বলেন – চাল ভেজানো পানি চুলের জন্য আসলেই উপকারী। এই পানিতে অ্যামিনো এসিড, ভিাটামিন -বি, ভিটামিন-ই রয়েছে। যে কারণে এই পানি চুলের গোড়া শক্ত করে। তাই চুল ধোয়া পানি ব্যবহার করে চুল এর যত্ন নিতে পারেন। যা আপনার চুল পড়া সমস্যাকে কে দূর করবে। (চুল পড়া বন্ধ)
৮. সঠিকভাবে শ্যাম্পু করুন
শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার আগে ভালো করে চুল আঁচড়ান। শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরিমাণ আপনার চুলের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। খুব বেশি না লাগানো ভাল। (চুল পড়া বন্ধ)
আপনার হাতের তালুতে শ্যাম্পু রাখুন এবং একটি ফেনা তৈরি করার জন্য সেগুলি একসাথে ঘষুন। তারপর চুলের গোড়ায় শ্যাম্পু লাগান। ম্যাসেজ করায় গতি ব্যবহার করুন, শুধুমাত্র আপনার নরম আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ত্বক ঘষুণ।ভাল করে নিয়মিত চুল ধুয়ে রাখলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে যা চুল পড়া সমস্যা কে দূরে ঠেলে দিবে।
৯. গরম পানি এড়িয়ে চলুন (চুল পড়া বন্ধ)
চুলএর গঠন সূক্ষ্ম । তাই যা চুলে মানানসই নয় তা ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হতে পারে। অনেকে চুল ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু চুল ধোয়ার জন্য অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করবেন না।
তবে হালকা গরম পানি চুল ব্লিচ করে এবং সিবাম উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলোকে সক্রিয় করে। হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন যা সেবেসিয়াস গ্রন্থি নিঃসরণকে পাতলা করতে, ময়লা অপসারণ করতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সহায়তা করে।
১০. ভেজা চুল ব্রাশ করা এড়িয়ে চলুন (চুল পড়া বন্ধ)
ভেজা চুল খুব ভঙ্গুর। ভেজা চুল ব্রাশ করলে চুল ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভেজা চুলে চিরুনি দেওয়ার প্রয়োজন হলে খুব চওড়া দাঁতযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করুন। চিরুনি বা ব্রাশ ব্যবহার না করে চুল বিচ্ছিন্ন করার জন্য আপনার আঙ্গুলগুলি ব্যবহার করুন।
১১. টাওয়েল দিয়ে চুল মুছা এড়িয়ে চলুন (চুল পড়া বন্ধ)
আপনি যদি আপনার চুলকে সুস্থ রাখতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এর যত্ন নিতে হবে। তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষা এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন। কিছুটা আশ্চর্য মনে হলেও গবেষকরা এটারই পরামর্শ দিচ্ছেন।
১২.ধূমপান এড়িয়ে চলুন (চুল পড়া বন্ধ)
ধূমপান মানুষের ক্ষতি করে না এমন কোন দিক বা বিষয় হয়ত নেই। ধূমপান মানুষের মাথার ত্বকে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ হ্রাস করে, যা চুলের বৃদ্ধি হ্রাস করে। আর রক্তের পরিমান হ্রাস করলেতো অবশ্যই মাথার চুল পড়বেই।
১৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন (চুল পড়া বন্ধ)
প্রতিদিন শারীরিক কার্যকলাপের জন্য সময় বের করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো হরমোনের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং চুল পড়া কমায়।
১৪. চুল পড়া বন্ধ করতে স্ট্রেস কমান (চুল পড়া বন্ধ)
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা পারিবারিক, সামাজিক, অফিস নিয়ে নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। আর সেই জন্য অনেকেই সব কিছুর সামলাতে না পেরে মানসিকভাবে স্ট্রেসে ভুগি। আর এই স্ট্রেস এর কারণে আমাদের অনেকেরই চুল পড়ে। তাই মানসিক স্ট্রেস কমাতে নিয়মিত মেডিটেশন করা উচিৎ। নিয়মিত মেডিটেশন ও নানা ক্রিয়েটিভ কাজ যেমন, বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখা, গান গাওয়া, ছবি আকা, খেলাধুলা করা আমাদের মানসিক স্ট্রেস লেভেলকে কমিয়ে আনে। আর স্ট্রেস কমিয়ে চুল পড়া বন্ধ করুন নিজে নিজে।
১৫. আপনার মাথা ঘাম মুক্ত রাখুন (চুল পড়া বন্ধ)
যাদের মাথা ঘামে তাদের চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। তাই মাথা ঘামলে ধুয়ে ফেলুন বা মাথা মুছে ফেলুন। আবার যেসব পুরুষ গাড়ি চালাতে গিয়ে হেলমেট পরেন, তাদের মাথায় ঘাম জমে এবং চুলের গোড়া দুর্বল করে, যার ফলে চুল পড়ে। ঘাম শোষণ করতে এবং ভাঙ্গন রোধ করতে আপনার হেলমেটের নীচে ও চুলের উপরে একটি সুতির স্কার্ফ পরুন।
১৬. একটি ভাল hairstyle নির্বাচন করুন (চুল পড়া বন্ধ)
আপনি যদি আপনার চুল হারাতে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই নানা রকম চুলের স্টাইল ছেড়ে দিতে হবে। আর চুল ছোট করে রাখতে হবে চুল। বেশী বড় চুল পড়ে বেশী। তাছাড়া নানা রকম চুলের স্টাইল যেমন পনিটেল, ব্রেইড এবং কৃত্রিম চুলের স্টাইলগুলি চুলে টান দেয় বা চুলের ফলিকলগুলিতেও টান দেয় যা শেষ পর্যন্ত চুল পড়ার কারণ হয়ে দাড়ায়।
১৭. আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন (চুল পড়া বন্ধ)
স্বাস্থ্য সমস্যা চুল পড়ার সতর্কতামূলক লক্ষণ। স্বাস্থ্যকর চুল নিশ্চিত করতে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, উচ্চ জ্বর এবং সংক্রমণের সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে ভুলবেন না।
১৮. আপনার ওষুধ দেখুন (চুল পড়া বন্ধ)
কিছু ওষুধ যেমন কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ, রক্ত পাতলা করার ওষুধ ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ার কারণ হতে পারে। আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তার এবং আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে চুল পড়ার বিষয়ে অবগত করুন। আর ওষুধ সেবনের আগে জেনে নিন সেই ওষুধে চুল পড়বে কিনা। সেই অবস্থায় আপনার ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
১৯. রাসায়নিক এড়িয়ে চলুন (চুল পড়া বন্ধ)
আমরা অনেকেই চুলে রাসায়নিক ব্যবহার করে কালার করে থাকি। এইসব রাসায়নিক এবং স্থায়ী রঙ আপনার চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। যখন চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় তখন কালারিং বা চুলের অন্যান্য চিকিৎসার ফ্রিকোয়েন্সি হ্রাস করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২০. পর্যাপ্ত ঘুম (চুল পড়া বন্ধ)
স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস চুলের অনেক সমস্যা দূর করে। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
২১. ক্যাপ ব্যবহার করুন (চুল পড়া বন্ধ)
সূর্যের রশ্মির সংস্পর্শে আসার কারণেও চুল পড়তে পারে। কড়া সূর্যের রশ্মি চুলের খাদকে শুষ্ক করে, ভঙ্গুর করে চুল পড়ে যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো উপায় হল রোদে বের হওয়ার সময় চুল ঢেকে রাখা। তাই রোদে যাওয়ার পর ক্যাপ পড়ে বের হোন।
২২. ঘুমানোর আগে চুলকে গুছিয়ে ঘুমান
যদি আপনার চুল লম্বা বা মাঝারি দৈর্ঘ্যের হয় তবে ঘুমানোর আগে আপনার চুল বেণি করা উচিত। ফলে চুল জটলা এবং ফ্রিজি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এটি চুল ভাঙা এবং চুল পড়া রোধ করবে।
২৩. যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন (চুল পড়া বন্ধ)
প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম শরীরের প্রতিটি কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে।
বজ্রাসন, সর্বাঙ্গাসন, হালাসন এবং কপালভাতি এবং অনুলোম ভিলোমের মতো প্রাণায়ামের
মতো যোগাসন চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই আসনগুলি আমাদের শরীরবৃত্তিয় সিস্টেমকে সচল রাখে। এইসব ব্যায়াম এর ফলে সঠিক অক্সিজেন এবং রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে চুলের ফলিকলগুলি পুষ্ট হয়।
২৪. আকুপ্রেসার (চুল পড়া বন্ধ)
আকুপ্রেসার চুলের বৃদ্ধিকে যথেষ্টভাবে উদ্দীপিত করে। বালায়ম, যা একটি আকুপ্রেসার থেরাপি। এই থেরাপি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে।
এই ভঙ্গির জন্য, আপনাকে পদ্মাসনে বসতে হবে এবং আপনার আঙ্গুলগুলি একে অপরের মুখোমুখি রাখতে হবে। আপনার আঙ্গুলগুলি আপনার অন্য আঙ্গুল থেকে দূরে রাখুন এবং এক হাতের নখ অন্য হাতের সাথে ঘষুন। নিশ্চিত করুন যে আপনি শুধুমাত্র নখের বিস্তৃত অংশ একসাথে ঘষেছেন। আর চুল পড়া বন্ধ করতে বালায়ম ভালভাবে কাজ করে।
২৫. চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান (চুল পড়া বন্ধ)
আপনার চুল পড়া হঠাৎ, বা ক্রমাগত অথবা ধীরে ধীরে হলে আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করতে দ্বিধা করবেন না। আপনি চিরুনি বা ব্রাশ করার পরে যদি প্রচুর পরিমাণে চুল পড়া লক্ষ্য করেন, অথবা যদি আপনার চুল পাতলা হয়ে যায় বা পড়ে যায় তাহলে দেরী না করে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
চুল পড়া বন্ধের নানা উপায় উপরে আলোচনা করা হলেও এখন আমরা আরও কিছু বিষয় আলোচনা করবো যা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন।
২৬. রসুন, পেয়াজ, আদার রস এর ব্যবহার (চুল পড়া বন্ধ)
রসুন, পেয়াজ ও আদার রস মাথায় ব্যবহার করুন। এই উপাদান গুলোর রস রাতের বেলায় ভাল করে মাথায় লাগিয়ে নিন। তারপর সকাল বেলা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন অল্প কিছু দিন ব্যবহার এর ফলে আপনি ভাল ফল পাচ্ছেন।
২৭. মেথির পেস্ট ব্যবহার করুন (চুল পড়া বন্ধ)
মেথির উপকারের কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মেথির ব্ল্যান্ড করে চুলে ব্যবহারে যে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় তা কি আমরা জানি? হ্যা, মেথি একটি পাত্রে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে সেই মেথি ব্ল্যান্ড করে চুলের গোড়ায় লাগান। কয়েকদিনের মধ্যেইা আশপানুরুপ ফল পাবেন ইনশাল্লাহ।
২৮. নিমপাতার ফুটন্ত পানির ব্যবহার (চুল পড়া বন্ধ)
প্রথমে একটি পাত্রে ২০-২৫ টি নিমপাতা নিন। তারপর এই পাতা গুলোতে লিটার পরিমাণ পানি নিয়ে সিদ্ধ করুন। আর এই গরম পানিটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। এরপর সপ্তাহে অন্তত ১ থেকে ২ বার চুল ধোয়ার পর এই পানি দিয়ে আবার চুল ধুয়ে নিন। আর নিমপাতার পানি দিয়ে চুল ধোয়ার ফলে আপনার চুলের খুশকি এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
২৯.চুল পড়া বন্ধে দারুন কার্যকরি আলুর রস (চুল পড়া বন্ধ)
আলুর রস ব্যবহার করে আপনি দারুন ফল পেতে পারেন। কয়েকভাবে আলুর রস ব্যবহার করে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আলু ব্ল্যান্ড করে এর রসটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। আধাঘন্টা থেকে একঘন্টা রাখার পর ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। আর এইভাবে ১০-১৫ দিন টানা আলুর রস ব্যবহারে আশা করা যায় একটি ভাল ফল পাবেন।
তারপর আলু ও একটি পেয়াজ একসাথে ব্ল্যান্ড করুন। সেখান থেকে রসটি নিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া আলুর রস আরও কিছু উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন, আলুর রস ও নারিকেল তেল একসাথে নিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। আবার । আলুর রস, একটি ডিমের কুসুম, ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। এতে করেও ভাল ফল পাওয়া যাবে। তাই আলুর রস ব্যবহার আপনার চুলের জন্য খুবই ভাল।
৩০. দই, মধু ও লেবুর রস আপনার চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে (চুল পড়া বন্ধ)
একটা পাত্রে পরিমাণমত দই নিন। তারপর এতে মধু মিশিয়ে নিন। এই দুটি উপাদান ভাল করে একসাথে মেশান। এরপর লেবুর রস মিশেয়ে একটি মিশ্রণ তৈরী করুন। আর এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণ ব্যবহারে আপনার চুলের আর্দ্রতা ফিরে পাবে এবং খুশকি দূর হবে।
সেইসাথে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। এই মিশ্রণটি আপনার চুলের জন্য খুবই ভাল। প্রথমে মাথার চুলে দিয়ে রাখুন। চুল শুকিয়ে আসলে ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। ২-৩ সপ্তাহ এই প্যাকটি ব্যবহার এর ফলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে ইনশাল্লাহ।
৩১. চুল পড়া বন্ধ করতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন (চুল পড়া বন্ধ)
শুধু চুল পড়া বন্ধ নয় আমাদের নানা উপকারে আসে অ্যালোভেরা। কিভাবে চুল পড়া দূর করতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করবেন? প্রথমে একটি অ্যালোভেরা নিন এর যে জেলটি বা রসটি তা ছুড়ি দিয়ে আলাদা করুন। যে জেলটি পাওয়া যাবে তা পরিমাণমত নিয়ে একটি তেলের সাথে মিশিয়ে বা মেশানো ছাড়াই চুলে ব্যবহার করতে পারেন। ঘন্টা খানিক রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন। কিছু দিন ব্যবহারে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা।
৩২. মেহেদি ও সরিষার তেল ব্যবহার (চুল পড়া বন্ধ)
আমরা অনেকেই চুলে মেহেদি দিয়ে থাকি। এই মেহেদি ও সরিষার তেল একসাথে ফুটিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরী করুন। এই মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে তা আপনার চুলে ব্যবহার করে দেখুন। সাধারণত ২৫০ মিলি সরিষার তেল এর সাথে ২৫-৩০ টি মেহেদি পাতা ফুটিয়ে নিতে পারেন। অথবা পরিমাণ মত নিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি দারুনভাবে আপনার চুল পড়া বন্ধে কাজে দিবে।
৩৩. চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করুন জবা ফুল (চুল পড়া বন্ধ)
চুল পড়া বন্ধ করতে ভাল কাজে আসে জবা ফুল। প্রথমে ৭-৮ টি জবা ফুল নিন সেই সাথে সমপরিমাণ জবা ফুলের পাতাও নিন। তারপর আধ কাপ নারিকেল তেলের সাথে জবা ও পাতা ফুটিয়ে নিন।
ফুটানোর পর একটি মিশ্রণ তৈরী হবে আর সেই মিশ্রণটি ঠান্ডা করুন। এই মিশ্রণটি একসাথে মিক্সড করে তারপর ব্যবহার করুন আপনার চুলে। এইভাবে সপ্তাহ দুই ব্যবহার করার ফলে আপনি চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
৩৪. নারিকেলের দুধ (চুল পড়া বন্ধ)
নারিকেলের তেল এবং নারিকেলের দুধ চুলের জন্য বেশ উপকারী। নারিকেলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য চুলকে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক এর আক্রমন থেকে রক্ষা করে। তাই নারিকেল তেল ও নারিকেল এর দুধ ব্যবহারে ভাল ফল পেতে পারেন।
এখন বলি কিভাবে নারিকেল এর দুধ তৈরী করবেন। নারিকেল একটি পাত্রে নিয়ে ভাল করে ছেঁচে নিন। এরপর সেখান থেকে রসটা মানে দুধটা নিয়ে একটা পাত্রে রাখুন। তারপর এটি আপনার চুলে ব্যবহার করুন। সপ্তাহ দুই ব্যবহার এরপর আশা করা যায় ভাল ফল পাবেন।
আরো পড়ুনঃ
৩৫.অলিভ ওয়েল, জিরা ও মধু মিশ্রণ
পরিমাণমত অলিভ ওয়েলে ১ চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রাখুন। সেই জিরাগুলো মোটামুটিভাবে ৫-৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তারপর এটি ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমত মধু মিশিয়ে নিন। আর সেই অলিভ ওয়েল, মধু ও জিরার মিশ্রণ এর তেলটি আপনার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। আর এইভাবে আপনি ১ ঘন্টা রাখার পর মাথা ধুয়েফেলুন।
৩৬. আমলকি ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ
আমাদের নানা উপকারে আসে আমলকির তেল। তবে সেটি যদি আপনি আপনার চুলে লাগান তবে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং সেই সাথে চুল পড়া সমস্যা থেকে পাবেন মুক্তি। আসুন জেনে নেই কিভাবে আমলকি ও নারিকেল তেল একসাথে করে আমলকির তেল তৈরী করতে হবে।
প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণমত নারিকেল তেল নিন। এরপর এর মধ্যে আমলকি কুচিকুচি করে কেটে ছেড়ে দিন। হালকা আঁচে আগুনে জাল দিতে থাকুন এবং আস্তে আস্তে আমলকি ও নারিকেলের মিশ্রণটি নাড়াতে থাকুন। একটা সময় দেখবেন আমলকির কালারটি পুরো মিশ্রণটিতে ছড়িয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর তা নামিয়ে ফেলুন।
আমলকি যে ফ্যাটি এসিড রয়েছে তা আপনার চু্লের জন্য বেশ উপকারী। আমলকির যে ভিটামিন সি রয়েছে তা আপনার চুলের অকালপক্বতা দূর করবে । তাই চুল ভাল রাখতে ও চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করুন আমলকি ও নারিকেল এর তেল।
৩৭. হেয়ার ড্রায়ার এর ব্যবহার বন্ধ করুন
আমরা অনেকেই তাড়াতাড়ি চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কখনও ভাবি না এটি আমাদের চুলের জন্য কতটা ক্ষতিকর।
চুলের গঠন ও ত্বক অনেক সূক্ষ্ন হয়। তাই যখন গরম বাতাস চুলের ত্বকে লাগে তখন চুল অনেক পড়ে যায়। তাই চুল পড়া থেকে মুক্তি পেতে হেয়ার ড্রিায়ার ব্যবহার বন্ধ করুন।
৩৮. ক্যাস্টার ওয়েল
চুল পড়া বন্ধ করার অন্যতম উপায় হলো ক্যাস্টার ওয়েল। এই তেল সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী তেল। তাই আপনি শুধু এই তেল ব্যবহার করতে পারবেন না।
নারিকেল তেল বা ওলিভ ওয়েল এর সাথে এই তেল মিক্সড করে ব্যবহার করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে ভাল ফল পাচ্ছেন। আর চুল পড়া থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।
৩৯. কলা, তেল ও মধুর মিশ্রণ
কলার মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট, প্রাকৃতিক তেল ইত্যাদি যা চুল পড়া বন্ধ করার অন্যতম উপায় হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। আপনি প্রথমে দুটি কলা নিন। তা একটি পাত্রে রেখে তার মধ্যে পরিমাণমত নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন।
একটা মিশ্রণ তৈরী করে এর মধ্যে আবার পরিমাণমত মধু মেশান। এরপর ভাল করে মিশ্রণটি তৈরী করুন। একদম মিক্সড হওয়ার পর চুলে লাগান। চুলে কিছুক্ষণ এর মধ্যে শুকিয়ে যাবে। ২০-৩০ মিনিট রাখার পর মাথা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। আর এই প্রক্রিয়ায় কিছু দিন চলতে থাকলে দেখবেন ভাল ফল পাচ্ছেন।
৪০. ই ক্যাপসুল মিক্সড করা হেয়ার মাস্ক
আমরা নানা হেয়ার মাক্স ব্যবহার করে থাকি আমাদের চুলের জন্য। তখন আপনি এইসব হেয়ার মাস্ক এর সাথে যদি ই-ক্যাপসুল মিক্সড করে নেন তাহলে খুব উপকার পাবেন। বাজারে নানা কোম্পানীর ই-ক্যাপসুল রয়েছে।
সেইসব ই-ক্যাসুল আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া আপনি নারিকেল তেল বা ওলিভ ওয়েল তেলের সাথেও ই-ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। আশা করা যায় চুল পড়া বন্ধ হবে আপনার যদি এইভাবে ই-ক্যাপসুল ব্যবহার করেন।
৪১. ঘি ও কাঁজুবাদাম হেয়ার প্যাক
চুল পড়া বন্ধ করার আর একটি কার্যকরি উপায় হচ্ছে ঘি ও কাজুবাদাম এর মিক্সড হেয়ার প্যাক। প্রথমে একটি প্যানে ঘি নিয়ে গরম করুন। কিছুক্ষণ পর ঘি তরলে পরিণত হতে থাকবে। তারপর সেই ঘির মধ্যে কাজুবাদাম তেল কয়েক চা চামচ এবং সেই সাথে কাজুবাদাম গুড়ো মিক্সড করতে পারেন।
এরপর আগুনের হালকা আঁচে তা নাড়াতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর তা নামিয়ে ঠান্ডা হলে চুলে লাগিয়ে ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি লাগানোর ৩০-৪০ মিরিট পর মাথা ভাল করে হালকা গরম পানিতে বা শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। আর এটি কিছু দিন ব্যবহারের ফলে আপনি চুল পড়া সমস্যা থেকে ভাল ফল পাবেন।
৪২. কালোজিরা ও ওলিভ ওয়েল এর মিশ্রণ
আপনি চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা ও ওলিভওয়েল এর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে আপনি একটি প্যানে বা পাত্রে ওলিভ ওয়েল নিন তা হালকা আঁচে গরম করতে থাকুন। কিছুক্ষণ গরম করার পর এর মধ্যে কালোজিরা দিয়ে দিন পরিমাণমত।
গরম করতে থাকা অবস্থায় দেখবেন তেলের কালারটি বদলাতে শুরু করেছে। ১৫-২০ মিনিট গরম করার পর তা নামিয়ে রাখুন। এরপর আপনি তা ব্যবহার করুন আপনার চুলে। ৩০ মিনিট চুলে ব্যবহার করার পর তা ভাল করে ধুয়ে নিন।
৪৩. হট ওয়েল ট্রিটমেন্ট
আমরা সাথারণত নরমাললি মাথায় তেল দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনি হট ট্রিটমেন্ট করতে গেলে প্রথমে কয়েক প্রকার তেল একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেল, ওলিভওয়েল, ক্যাস্টার ওয়েল, ইত্যাদি তেল একসাথে নিয়ে পরিমাণমত মেশাতে হবে। এরপর তাতে গরম করে নিতে হবে। হালকা গরম তেল আপনার মাথায় লাগাতে হবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে আপনি এইসব নিয়ম, কাজ গুলো অনুসরন করতে পারেন। আর কিছু দিন এইভাবে নিয়ম করে চুল এর যত্ন নিলে খুব ভাল ফল পাবেন। তাই আশা করি এই লিখার মাধ্যমে আপনি চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়, চুল পড়া বন্ধ করতে নানা খাবার, তেল, হেয়ার মাস্ক, ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যা আপনার একটু হলেও কাজে লাগবে। ধন্যবাদ এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে আমাদের লিখা পড়ার জন্য।
পোস্ট ট্যাগঃ চুল পড়া বন্ধ করার তেল, চুল গড়া, মেয়েদের চুল পড়ার কারণ, মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার, চুল পড়া বন্ধ করার ওষধ, অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, ছেলেদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার,চুল পড়ার ডাক্তারি চিকিৎসা, অতিরিক্ত চুল পড়া কিসের লক্ষণ, নতুন চুল গজানোর উপায়।