উকুন দূর করার উপায় জানতে চান অনেকে। মাথার উকুন দূর করার উপায় হিসেবে উকুননাশক শ্যাম্পু, প্রাকৃতিক উপায়, ট্যাবলেট, সাবান, লোশন, ইসলামী আমল, ইত্যাদি আলোচনা করবো ।
নামেই যার বড় পরিচয়, জালিয়ে-পুড়িয়ে করবে জীবন যন্ত্রনাময়। কুট কুট করে মাড়বে কামড়, গুট গুট করে হাটবে। কামড়ের চোটে বাবু মশাই ছুট ছুট করে পালাবে।
উকুন কি|উকুন দূর করার উপায়
আমাদের মাথায় ক্ষুদ্র একটি পরজীবীর নাম উকুন। খুব ছোট হলেও সে যন্ত্রনা দিতে কিন্তু বড়ই পটু। এরা রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। মানুষের শরীরে সাধারণত ৩ ধরনের উকুন হতে দেখা যায়। তবে আমরা যে উকুন দ্বারা সবচেয়ে ভুগে থাকি তা হলো মাথার উকুন। মাথার উকুনকে বলা হয় পেডিকিউলাস ক্যাপিটিস। তাছাড়া আরও ২ ধরনের উকুন হয়ে থাকে আমাদের শরীরে।
দেহে যে উকুন হয় এর নাম পেডিকিউলাস করপোরিস এবং দাড়ি,বগল, লোমকূপে যে উকুন হয়ে থাকে তা হলো পেডিকিউলাস পিউবিস। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন এর ছয় পা রয়েছে। আর উকুন যে ডিম পাড়ে তাকে বলা হয় নিট। এই নিট খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যা চুলের গোড়ায় শক্তভাবে এটে থাকে।
একটি উকুন জন্মলাভ করার পর সাত থেকে দশ দিনের মধ্যেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়। আর তখন সে ডিম পাড়া শুরু করে। উকুন সবোর্চ্চ ৩০০ টি ডিম পাড়তে পারে। তার মানে কত দ্রুত উকুন বংশ বৃদ্ধি করতে পারে পারে তা চিন্তা করা যায়! (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন কেন হয়|উকুন দূর করার উপায়
এর সহজ উত্তর হচ্ছে অপরিচ্ছন্নতা। যখন কেউ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে না তখনই তার উকুন হতে পারে। তাছাড়া যার মাথায় বা শরীরের উকুন হয়েছে তার সাথে বিছানা শেয়ার করলে, তার ব্যবহৃত জিনিস-পত্র যেমন, পোশাক, গামছা, টুপি, ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে একজন এর কাছ থেকে অন্য জনের উকুন হতে পারে। (উকুন দূর করার উপায়)
অনেকের ধারণা রয়েছে যে উকুন উড়ে চলে। কিন্তু না এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। উকুন উড়তে পারে না। উকুন বুকে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলে।
আমরা উকুন এর পরিচয় ও মানুষের উকুন কেন হয় জানলাম এখন আমরা জানবো উকুন দূর করতে কি কি প্রাকৃতিক উপায় অনুসরন করা যেতে পারে। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর করার উপায় নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু
উকুন দূর করার উপায় প্রাকৃতিক উপায়
উকুন দূর করার উপায় হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী হলো নিম পাতা
নিম পাতার তিতা। যে খেয়েছেন সে জানেন। মনে হয় কি জানেন উকুন নিম পাতার তিতা খেয়ে সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করে। এই জন্য উকুন দূর করতে নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করুন মাথায়। বিষয়টি আসলে এমন না। নিম পাতার তিতা খেয়ে উকুন মারা যায় এটা আমার ধারনা মাত্র। মাত্র কৈশরে পা দেয়া ছেলেটির মনে যেমন প্রশ্ন কেন মানুষ প্রেম করে তেমনি উকুনেরও মনে প্রশ্ন কেন তিতা লাগে।
নিম পাত ধুয়ে নিন। এরপর তা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। প্রয়োজন হলে অল্প কিছু পানি দিয়ে নিন। এই পেস্টটিই মাধায় ব্যবহার করুন অন্তত ৩০ মিনিট।
এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, এ্যান্টিভাইরাস, এনালেজিক,অ্যান্টিপাইরেটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল ইত্যাদি নানা গুন রয়েছে নিম পাতায়। তাই শুধু উকুন নয় এর চেয়েও বড় কোন সমস্যা দূর হবে নিম এর পরশে। তাই উকুন দূর করতে নিমের পেস্ট মাথায় ব্যবহার করা খুব ভাল একটা রেসিপি।(উকুন দূর করার উপায়)
তাছাড়া আপনি চাইলে নিম এর তেল ব্যবহার করতে পারেন। যখন শ্যাম্পু করবেন তখন শ্যাম্পুর সাথে কয়েক ফোটা নিম এর তেল মিশিয়ে নিন। এরপর তা মাথায় ব্যবহার করুন। তবে সাথে সাথে ধুয়ে ফেললেতো আর কাজ করবে না তাই বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করুন। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর করতে ব্যবহার হোক লেবুর রস
লেবুতে থাকা অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট ক্যান্সার পর্যন্ত দূর করতে পারে। আর উকুন দূর করবে লেবুর রস তাতে এত অবাক হওয়ার কিছু নেই । হ্যাঁ, লেবুর রস ভাল করে মাথার চুলের গুড়ায় লাগিয়ে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করুন।
আশা করা যায় অল্প কিছু দিন ব্যবহার করলে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন। উকুন বোধহয় টক খেয়ে সহ্য করতে পারে না। তাহলে কী উকুন মিষ্টি প্রিয় নাকি? না এইসব কিছুই না। লেবুতে থাকা নানা উপাদান এর জন্যই মূলত লেবুর রস দূর করবে মাথার উকুন। (উকুন দূর করার উপায়)
আর একভাবেও ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস। পরিমানমত লেবুর সাথে পরিমানমত মাখন মিশিয়ে ব্যবহার করুন মাথায়। তবে এইভাবে ৩০-৪০ মিনিট সময় ধরে অপেক্ষা করতে থাকুন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। আর এইভাবেই শেষ করুন উকুন মারার লেবু থেরাপি। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে রসুন এর মিশ্রন অতুলনীয়
রসুন এর ধাকে উকুন বলবে বাপরে বাপরে। হ্যাঁ, রসুন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার মাথার উকুন দূর কেরতে পারেন। কিন্তু কিভাবে ? তা এখন বলছি।
প্রথমে কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে নিন। রসুন নির্বাচন এর ক্ষেত্রে আমি সাজেস্ট করবো আমাদের দেশী রসুন বা ছোট সাইজের রসুন গুলো নেয়ার জন্য। প্রশ্ন আসতে পারে ভাই কেন ছোট রসুন নিলে কি হবে?
আসলে আমাদের বাজারে যেসব রসুন গুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে একটি হলো সাইজে বড় এবং অন্যটি হলো সাইজে ছোট। এই ছোট রসুন গুলোর ঘ্রাণ বা তীব্রতা তুলনামূলকভাবে বেশী। যে কারণে তা কার্যকরও বটে। (উকুন দূর করার উপায়)
একটি রসুন নিন অথবা আপনার চুলে যে পরিমাণ রসুন লাগতে পারে তা বেছে নিন। কোয়াগুলো ছাড়ানোর পর ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর পরিমাণমত লেবুর রস নিয়ে দুটো উপাদান ভাল করে মিক্সড করে নিতে হবে।
চুলের গোড়া থেকে আগা অব্দি ভাল করে এই মিশ্রণটি মাখিয়ে নিতে হবে। এইভাবে মাথায় লাগানোর পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। চাইলে গরম পানি দিয়ে ভাল করে মাথা ধুয়ে নিন। আর এইভাবে সপ্তাহে ২/৩ দিন রসুনের রস ব্যবহার করলে মাস দুই এক এর মাঝে আপনি পাবেন উকুনমুক্ত মাথা, আর যন্ত্রনামুক্ত ঘুম।
উকুন দূর করতে পেয়াজের রস ব্যবহার করুন
খেয়ে পেয়াজ এর রস, উকুন বলবে মরে গেলাম বস। তাই উকুন এর বংশ করে দিতে নির্বংশ মাথায় লাগান পেয়াজ এর রস।(উকুন দূর করার উপায়)
প্রথমে ২ টি পেয়াজ নিয়ে নিন। খোসা ছাড়িয়ে এটি ব্লেন্ড করুন। এরপর ভাল করে রসটি মাথার চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। এইভাবে সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কয়েকমাস ব্যবহার করার পর দেথবেন উকুন এর বংশ আপনার মাথা থেকে হয়ে যাবে নির্বংশ।
উকুন দূর করার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে টি ট্রি এর তেল বা চা পাতার তেল অন্যতম
উকুন দূর করতে যে চা পাতার তেল ব্যবহার করা যাবে তা আমার চিন্তাতেই ছিল না। কিছুটা অবিশ্বাস করলেও কথা কিন্তু মিথ্যা নয়। চায়ের তেল ব্যবহার করে আপনি চাইলেই উকুনমুক্ত হতে পারেন।
হয়ত সব জায়গায় এটি নাও পেতে পারেন। তাই অনলাইনে অর্ডার করেও আপনি সংগ্রহ করতে পারেন চায়ের তেল। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর কেরতে কিভাবে চায়ের তেল ব্যবহার করতে হবে? খুবই সহজ উপায়। আপনি তেলটি মাথায় লাগানোর পর সারারাত রেখে দিন এইভাবে। কোনভাবেই ধুবেন না। একবারে সকালে মাথা ভাল করে ধুয়ে নিন। আর এই তেল ব্যবহার করে আপনি কয়েকমাসের মধ্যেই উকুনমুক্ত জীবন পেতে পারেন।
উকুন দূর করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করুন মেয়োনিজ
চুল থেকে উকুন দূর করার উপায় হিসেবে অনেক চুল বিশেষজ্ঞরায় সাজেস্ট করেন মেয়োনিজ। চুলে মেয়োনিজ ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই উকুন দূর করা যাবে। (উকুন দূর করার উপায়)
অনেকে হয়ত মেয়োনিজ কেমন তা মনে করতে পারছেন না। তাই মেয়োনিজ কেমন বা কী বলে নেই। আমরা যখন রেস্টুরেন্টে খেতে যাই তখন বার্গার বা সেন্ডউইচ খাওয়ার সময় একপ্রকারের সাদা বা হালদা ফ্যাকাশে রং এর একপ্রকার ক্রিম দেয়। আর এটাই হলো মেয়োনিজ।
খাবারে টেস্ট আনার জন্য এবং সস এর পরিবর্তে মেয়োনিজ একটা বেস্ট খাবার । মেয়োনিজ ডিমের কুসুম, ভিনেগার , লেবুর রস দিয়ে তৈরী করা হয়ে থাকে। এই মেয়োনিজ আপনি প্রথমে মাথায় লাগাবেন। ভাল করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দিতে হবে।
সারারাত মেয়োনিজ মাথায় লাগানো থাকবে । যদি ১২ ঘন্টার বেশী সময় ধরে চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে আরও ভাল। তারপর মেয়োনিজ মাখানো চুলে চিড়ুনী করে নিতে হবে। যদি সমস্যা লাগে তাহলে মাথা ধুয়ে নেওয়ার সময় চিড়ুনী করতে থাকুন।
এই মেয়োনিজ এর সাথে কয়েক ফোঁটা চা পাতার তেল ও ভিনেগার মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে করে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে।
উকুন দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা
উকুন থেকে বাঁচতে অনেকেই পরামর্শ দেয় বেকিং সোডা ব্যবহারের। বেকিং সোডার সাথে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিতে হবে। এখানে বেকিং সোডা ও কন্ডিশনারের অনুপাত হবে ১ঃ৩ । পরিমানে বেকিং সোডার চেয়ে কন্ডিশনারের পরিমান বেশী হবে।
এরপর মাথায় লাগানোর পর অন্তত ১৫/২০ মিনিট এইভাবে রেখে দিতে হবে। ঘন চিড়ুনী দিয়ে তারপর চিড়ুনী করে নিলে উকুন ঝড়ে পড়বে। আর এইভাবেই আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করে উকুন এর অত্যাচার থেকে বাঁচতে পারেন। (উকুন দূর করার উপায়)
দ্রুত উকুন দূর করার উপায় হিসেবে কার্যকরী হলো নারিকেল তেল
দ্রুত উকুন দূর করতে মাথায় নারিকেল তেল ব্যবহার করা খুবই কার্যকর। নারিকেল তেল দিয়ে যে উকুন দূর করা যায় তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। নারিকেল তেল ভোজ্যতেল হিসেবে যেমন কার্যকরি তেমনি ঔষধি হিসেবে। ব্রাজিলের একদল গবেষক বলছেন যে, নারিকেল তেল ব্যবহার করলে প্রায় ৮০% উকুন দূর হওয়া সম্ভব।
কিন্তু নারিকেল তেল শুধু এইভাবে মাথায় লাগালেই হবে না। নারিকেল তেল এর সাথে লবঙ্গ তেল ও চা তেল পরিমানমত মিক্সড করে নিতে হবে। এই তেল ব্যবহারের পর মোটামুটি দীর্ঘসময় লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। আর এইভাবেও নারিকেল তেল আপনার দ্রুত উকুন দূর করে উকুন থেকে মুক্তি দেবে।
উকুন দূর করার অন্যতম উপায় হলো চুলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা
উকুন দূর করার জন্য আমরা নানা উপায় এর কথা বলে থাকলেও এই ব্যতিক্রমি উপায় নিয়ে হয়ত বলা হয় নি বা আপনওি কোথাও শুনেন নি। হ্যাঁ, কথা একদম সত্য। উকুন থেকে বাঁচতে চুলে ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি।
প্রথমে পেট্রোলিয়াম জেলি চুলের গোড়ায় লাগান। তারপর অপেক্ষা করুন সাথে সাথে ধুয়ে নিলে কোন কাজই হবে না। পেট্রোলিয়াম লাগানোর ফলে কিন্তু কেমন আঠালো আঠালো একটা বিরক্তিভাব আসতে পারে চুলে। কিন্তু যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে এইটুকুতো সহ্য করতেই হবে।
ঘন্টা দুই রাখার পর এইবার ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। আর এইভাবে কয়েকমাস পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই উকুন দূর করতে পরবেন।
হেয়ার ড্রায়ার দূর করবে মাথার উকুন
উকুন দূর করতে পারেন মাথায় হেয়ার ড্রায়ার করার মাধ্যমে। হেয়ার ড্রায়ার এর হট বাতাসে আপনার মাথার ত্বক ডিহাইড্রেট হয়ে যাবে। আর যার ফলে আপনার মাথার উকুন আর বাঁচতে পার না। এই উপায় কতটুকু কার্যকর হবে তা ব্রবহার করেই দেখে নিন। তবে এই ক্ষেত্রে খুব ভাল করে মাথা পরিষ্কার রাখা উচিৎ।
প্রাকৃতিক উপায়ে উকুন দূর করার অন্যতম উপায় হলো লবণ ও ভিনেগার এর মিশ্রণ
প্রাকৃতিক নানা উপায়ে উকুন দূর করা হয়। যেমন সবার ঘরে ঘরে পাওয়া যায় লবণ ও ভিনেগার। এই দুই উপাদান ভাল করে একসাথে মিশ্রণ তৈরী করে আপনি খুব সহজেই আপনার মাথা থেকে উকুন দূর করতে পারেন। আপনার প্রশ্ন আসতেই পারে যে কিভাবে মিশ্রণ তৈরী করবো? চা-চামোচ দিয়ে দুই চামচ লবণ এবং পরিমানমত ভিনেগার নিন। এই লবন এবং ভিনেগার ভাল করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করুন। (উকুন দূর করার উপায়)
এই মিশ্রণটি মাথার চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। অন্তত ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন এই কাজটি করতে পারেন। দেখবেন অল্প দিনের মাঝেই আশানুরুপ ফল পাচ্ছেন। উকুনমুক্ত জীবন গড়তে ভিনেগার এর নাই জুড়ি যে।
উকুন দূর করতে মাখন আর লেবুর রস চুলে মাখবো একসাথে
প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে উকুন দূর করতে মাখন আর লেবুর রস এর তুলনা হয় না। প্রথমে এককাপ এর অর্ধেক কাপ মাখন নিন তার মধ্যে পরিমানমত লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এটি ভাল করে মিশিয়ে নেয়ার পর তা মাথার চুলে ভাল করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে দিতে হবে।
এরপর ২০/৩০ মিনিট এইভাবে মিশ্রনটি লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভাল করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই পদ্ধতিটি একদিন পর পর করতে হবে। অল্প কিছু দিনের মাঝেই ভাল ফল পাওয়া যাবে।
উকুন দূর করা দরকার? মাথায় লাগান অলিভ ওয়েল আর আপেল সিডার ভিনেগার
উকুন দূর করতে আরও একটি মিশ্রন হলো অলিভ ওয়েল ও আপেল সিডার ভিনেগার। মাথার উকুন দূর করতে ভিনেগার এর তুলণা হয় না। তাই আপেল সিডার ভিনেগার এর সাথে অলিভ ওয়েল এক সাথে মিক্সড করে তৈরী করুন মিশ্রণ।
এর সাথে রসুন বাটাও যোগ করে নিতে পারেন। এরপর ২/৩ ঘন্টা চুলে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে নিন চুল। দেখবেনন এই উপাদান ব্রবহারের পলে খুব অল্প দিনের মাঝেই আপনি উকুন দূর করতে সফল হয়েছেন। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালকোহল
উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে আনন্দ বাজার পত্রিকা বলে চুলে অ্যালকোহল দেয়ার জন্য। চুলে অ্যালকোহল দিলে উকুন দম বন্ধ হয়ে মারা যায়। আমার মনে হয় উকুন মনে হয় নেশা করা পছন্দ করে না তাই দম বন্ধ গয়ে মারা যায়।
আসলে এই প্রক্রিয়ার আদৌ উকুন মরে কি না তা আমাদের অজানা । তাই যাদের অ্যালকোহল ব্যবহার করার মত পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে তারা তা চেক করে দেখতে পারেন কিন্তু ভুলেও মাথার দেয়ার পরিবর্তে নিজে খেয়ে নিবেন না কিন্তু। অ্যালকোহল খেলে উকুন মরবে না বরং মাথায় ঘষলে দু একটা মরতেও পারে। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর হবে যদি ভেজা চুলে চিড়ুনী করেন
উকুন দূর করতে পারবেন যদি ভেজা চুলে চিড়ুনী করেন। ভিন নিগুয়েন নামের এক গবেষক বলেন কেউ যদি ভোজা চুলে চিড়ুনী করে সেক্ষেত্রে সে অল্প কিছু দিনের মাঝেই মাথা থেকে চুল দূর করতে পারবে।
চুল ভেজা অবস্থায় তাতে কিছুটা কন্ডিশনার মাখিয়ে চিকন চিড়ুনী দিয়ে মাথা আচড়িয়ে নিন। এরফলে আপনি ভাল ফল পাবেন। সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন এই কাজটি করতে পারেন।এইভাবে কিছুদিন করার মাধ্যমে আপনি চুল থেকে উকুন দূর করতে পারবেন বলে আশা রাখি।
উকুন দূর করতে সম্পূর্ণ কার্যকরী না হলেও অনেকাংশে কার্যকর উপায় হলো চিকন দাঁতের চিড়ুনী দিয়ে চুল আঁচড়ানো। চিকন দাঁতের চিড়ুনী দিয়ে চুল আঁচড়ালে বড় বড় যেসব উকুন
রয়েছে তা ঝরে পড়ে এবং তা সহজেই মারা যায়। কিন্তু এই উপায়ে উকুন এর ডিম ঝরে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম।
তাই চিকন দাঁতের চিড়ুনী দিয়ে চুল আঁচড়ালে অন্তত কিছুটা হলেও রেহায় পাওয়া যাবে উকুন থেকে। তাই উকুন মুক্ত থাকতে চাইলে প্রতিদিনই একবার করে চিড়ুনী করে দেখুন। পুরোপুরি না হলেও কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে উকুন এর অত্যাচার থেকে।
উকুন দূর করার প্রাকৃতিক উপায়গুলো আলোচনা করার পর এখন আমরা আলোচনা করবো এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে।
আরো পড়ুন:
উকুন দূর করার উপায় (ঔষধ)
উকুন দূর করতে যে ঔষধ সেবনে আপনার কোন ডাক্তারের পরামর্শ দরকার হবে না। যেটা ব্যবহার অত্যন্ত নিরাপদ সেই ঔষধ এর পরামর্শই প্রথম দিচ্ছি। ড. তাসনিম জারা একবাক্যে এই লোশন সাজেস্ট করেন। শুধু আমাদের দেশে নয় সারা পৃথিবীতে এই ঔষধটি খুব জনপ্রিয়।
এটি ব্যবহার এর ফলে আপনার মাথার প্রায় ৯৫% উকুন মারা যাবে বলে আশা করা যায়। তাহলে উকুন মারার এই ঔষধটির নাম কী?
Alice Lotion/ এরাইস লোশন- (উকুন দূর করার সেরা ঔষধ)
-
এটি ইভারমেকটিন টপিকেল লোশন।
-
পরিমাণ- ৬০ গ্রাম
-
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- স্কয়ার ফার্মাসিটিকেলস লিমিটেড
-
দাম – ১৩০ টাকা
-
কম্পোনেন্টস- ০.৫০%
-
Alice এর আরও দুটি ট্যাবলেটও রয়েছে।
-
একটি ট্যাবলেট 6 mg এবং অন্যটি 12 mg
-
এর জেনেরিক ইভারমেকটিন
-
দাম- প্রতি পিস ১০ টাকা এবং এক পাতা ১০০ টাকা
-
কোম্পানী – স্কয়ার ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেড
12 mg Alice এর আরও দুটি ট্যাবলেট
-
এর জেনেরিক ইভারমেকটিন
-
দাম- প্রতি পিস ২০ টাকা এবং এক পাতা ২০০ টাকা
-
কোম্পানী – স্কয়ার ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেড
এলাইস লোশন কিভাবে ব্যবহার করলে উকুন দূর করা যাবে?
-
প্রথমে মাথার চুল শুকানো অবস্থায় থাকতে হবে। ভেজা অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না।
-
এলাইস লোশনটি ৬ মাস এর বেশী যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে।
-
মাথার তালুতে ভাল করে লোশন ঘষতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে মাথার তালু থেকে চুলের গোড়া এবং তারপর পুরো মাথার চুলে ভাল করে লাগাতে হবে।
-
এরপর ১০ মিনিট এইভাবে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে।
-
কিন্তু শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধোয়া যাবে না।
-
এই লোশন লাগানোর পর ২৪ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করতে হবে।
-
এই একটি টিউব মাত্র একবার ব্যবহার এর জন্য। একাধিকবার ব্যবহার করা উচিৎ হবে না।
উকুন দূর করার লোশন এলাইস ব্যবহার করতে যে যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
এই লোশন ব্যবহারে কিছু সতর্কতাও অবলম্বন করা উচিৎ। শুধু মাথায় লাগালেই হবে না।
-
চোখে যেন না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চোখে গেলে জালাপুড়া করার সম্ভাবনা থাকবে।
-
শিশুরা যেন না খেয়ে ফেলে খেয়াল রাখতে হবে।
-
গর্ভবতী মহিলারা ব্যবহার করার সময় ডাক্তারের পরামর্শমত ব্যবহার করা উচিৎ।
-
শুষ্ক জায়গায় লোশনটি রাখা উচিৎ।
-
একবারই ব্যবহার করে ফেলতে হবে পুরোটা।
এলাইস ব্যবহার করতে যে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে
-
অকুলার হাইপারেমিয়া ( চোখের রোগ)
-
চোখের জ্বালাপোড়া ভাব।
-
চুলের খুশকী
-
ত্বকের জালাপোড়া হওয়া
-
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
-
তেমন মারাত্মক কোন সমস্যা হওয়ার কথা না উকুন দূর করার এই লোশন ব্যবহার করার ফলে। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর করার উপায়ে আরও একটি ঔষধ- Licnil Lotion
-
জেনেরিক- এটি ইভারমেকটিন টপিকেল লোশন।
-
পরিমাণ- ৬০ গ্রাম এবং ১১৭ গ্রাম
-
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- Eskayef (এস.কে.এফ) ফার্মাসিটিকেলস লিমিটেড
-
দাম – ৬০ গ্রাম- ১৩০ টাকা আর ১১৭ গ্রাম- ২১০ টাকা
-
কম্পোনেন্টস- ০.৫০%
লিকনিল লোশন কিভাবে ব্যবহার করলে উকুন দূর করা যাবে?
-
প্রথমে মাথার চুল শুকানো অবস্থায় থাকতে হবে। ভেজা অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না।
-
এলাইস লোশনটি ৬ মাস বয়সের বেশী যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে।
-
মাথার তালুতে ভাল করে লোশন ঘষতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে মাথার তালু থেকে চুলের গোড়া এবং তারপর পুরো মাথার চুলে ভাল করে লাগাতে হবে।
-
এরপর ১০ মিনিট এইভাবে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে।
-
কিন্তু শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধোয়া যাবে না।
-
এই লোশন লাগানোর পর ২৪ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করতে হবে।
-
এই একটি টিউব মাত্র একবার ব্যবহার এর জন্য। একাধিকবার ব্যবহার করা উচিৎ হবে না।
উকুন দূর করার লোশন Licnil ব্যবহার করতে যে যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
এই লোশন ব্যবহারে কিছু সতর্কতাও অবলম্বন করা উচিৎ। শুধু মাথায় লাগালেই হবে না।
-
চোখে যেন না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চোখে গেলে জালাপুড়া করার সম্ভাবনা থাকবে।
-
শিশুরা যেন না খেয়ে ফেলে খেয়াল রাখতে হবে।
-
গর্ভবতী মহিলারা ব্যবহার করার সময় ডাক্তারের পরামর্শমত ব্যবহার করা উচিৎ।
-
শুষ্ক জায়গায় লোশনটি রাখা উচিৎ।
-
একবারই ব্যবহার করে ফেলতে হবে পুরোটা।
Licnil Lotion ব্যবহার করতে যে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে
-
অকুলার হাইপারেমিয়া ( চোখের রোগ)
-
চোখের জ্বালাপোড়া ভাব।
-
চুলের খুশকী
-
ত্বকের জালাপোড়া হওয়া
-
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
-
তেমন মারাত্মক কোন সমস্যা হওয়ার কথা না উকুন দূর করার এই লোশন ব্যবহার করার ফলে।
Permethrin Cream/ পারমেথ্রিন ক্রিম ব্যবহার করা যাবে উকুন দূর করতে
-
জেনেরিক- পারমেথ্রিন ক্রিম
-
অন্যান্য কোম্পানীর পারমেথ্রিন ক্রিম এর নাম ও দাম
এই ক্রিমগুলো খোস-পাঁচড়া এবং মাথার উকুন দূর করতে ব্যবহার করা হয়। মাথার ইকুন দরে করতে যেভাবে ব্যবহার করতে হবে।
-
প্রথমে ক্রিম থেকে কিছু পরিমাণ বা পরিমানমত ক্রিম নিয়ে একটি বাটিতে রাখতে হবে।
-
তারপর এর মধ্যে নারিকেল তেল মিশাতে হবে।
-
ক্রিম এবং নারিকেল তেলের পরিমান হবে ১ঃ৫ ।
-
তারপর মাথার চুলে ভাল করে তেল মেশাতে হবে এবং আধাঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।
-
আধাঘন্টা পরে ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে।
-
এক সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারবেন। দুই সপ্তাহ ব্যবহার করার পর দেখবেন মাথার উকুন সব মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।
উকুন দূর করতে এই চিকিৎসাটি কার্যকর হবে বলে আশা রাখি।
উকুন দূর করার শ্যাম্পু
উকুন দূর করার শ্যাম্পু ব্যবহার করে অনেকে উকুন দূর করেছেন। উকুন শালা যেতেই হবে। আশা করি আমাদের এই লিখা পড়বার পর যেকোন উপায়েই হোক আপনার মাথার উকুন দূর হবেই। (উকুন দূর করার উপায়)
তাই এখন আমারা উকুন দূর করার শ্যাম্পুর বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। যে শ্যাম্পুটি প্রথমেই আলোচনা করবো তা হলো –
English Anti-Lice Shampoo 125 ml- উকুন দূর করার শ্যাম্পু
উকুন দূর করতে যে শ্যাম্পুটি সবচেয়ে বেশী আমাদের দেশে প্রচলিত তা হলো English Anti-Lice Shampoo । আপনি যে কোন ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া গুগুলে সার্চ দিলে নানা অনলাইন শপ থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
যেমন Daily shopping, osudpotro, medcare bd, epharma . com, daraz সহ আরও নানা শপ। এটির ১২৫ মিলির একটা কৌটা বা বোতল রয়েছে এবং অন্যটি হলো ছোট মিনি প্যাকেট।
১. কোম্পানী – ইংলিশ
২. দাম- ১২৫ মিলি- ১১০- ১৩০ টাকা
৩. ছোট প্যাকেট- ৬ – ১০ টাকা
-
এই শ্যম্পু তৈরীতে সবচেয়ে বেশী এবং সক্রিয় যে উপাদানটি ব্যবহার হয় তা হলো পাইরেথ্রিন ও পারমেথ্রিন এবং অন্যান্য কীটনাশক যৌগ।
-
সোডিয়াম লরিল সালফেট থাকে শ্যাম্পুতে যা ময়লা, তেল এবং উকুন দূর করে মাথা থেকে।
-
ইমালসিফায়ার – যা তেল এবং পানির উপাদাকে একত্রে করতে সাহায্য করে।
-
সুগন্ধি।
উকুননাশক শ্যাম্পু ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
-
প্রথমে মাথার চুল ভাল করে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। (উকুন দূর করার উপায়)
-
পুরো মাথা জুড়ে শ্যাম্পু লাগান। বিশেষ করে মাথার তালুতে এবং চুলের গোড়ায় ভাল করে শ্যাম্পু ঘষে নিন। এটা খুব ভাল করে হওয়া উচিৎ।
-
এইভাবে ৬-১০ মিনিট এর মত রাখুন এবং মাথায় ভাল করে শ্যাম্পু লাগাতে থাকুন।
-
তারপর আবার গরম পানিতে মাথা ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন চোখে না যায়।
-
স্যাঁতস্যাঁতে থাকা অবস্থায় চিকন চিড়ুনী দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়িয়ে নিন।
-
প্রতিবার চিড়ুনী টানার পর টিস্যু বা তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ভাল করে চিড়ুনী মুছে নিন। অথবা পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে নিন।
-
অবশেষে ভাল করে মাথা মুছে নিন। (উকুন দূর করার উপায়)
Scully Anti-lice Shampo- উকুনকে দূর করার কার্যকর শ্যাম্পু
-
এই শ্যাম্পু মাথার উকুন দূর করতে খুব কার্যকরি।
-
পারমেথ্রিন মূল উপাদান দিয়ে সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত ভাল একটি হলুদ কালারের শ্যাম্পু।
-
এর ১০০ মিলি এবং ২০০ মিলির দুটি বোতল পাওয়া যায়।
-
প্রস্তুতকারক দেশ হলো – থাইল্যান্ড
-
দাম- ৫৫০ থেকে ৮৯০ পর্যন্ত।
Mediker Anti Lice Treatement Shampoo 50 ml- উকুননাশক সেরা শ্যাম্পু
-
তিন দশক ধরে একচেটিয়া মাথার উকুন দূর করতে এই শ্যাম্পু বাজারে বিক্রি হচ্ছে সমানতালে। (উকুন দূর করার উপায়)
-
এই শ্যাম্পু প্রস্তুত করতে প্রধান উপাদান নারিকেল তেল, নিম এবং কর্পূর ।
-
প্রস্তুতকারক দেশ – ভারত
-
৫০ মিলির দাম – ২৫০ টাকা
-
অনলাইনে লাইফটড নামক শপে পাওয়া যাবে। তাই গুগুলে সার্চ দিলেই হবে।
Hafif Anti lice Shampoo – দূর করবে চিরতরে উকুন
-
50 ml বোতল পেয়ে যাবেন।
-
Hafif Brand এর অন্যতম প্রডাক্ট।
-
এটি ভারতীয় শ্যাম্পু।
-
বাংলাদেশের দারাজ অনলাইন শপ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। দারাজে ২৯ টি রেটিংসহ ৪.৮ রেটিং রেইট নিয়ে আছে।
-
এই ৫০ মিলির দাম – ৫৫০ টাকা
Stop Lice Shampoo- 200 ml / উকুন নাশক শ্যাম্পু
-
উকুননাশক শ্যাম্পু হিসেবে মাঝামাঝি মারকিং নিয়ে আছে এই শ্যাম্পু।
-
খুব ভাল বা খুব খারাপ তেমন কোন রিভিউই পাওয়া যায় নি।
-
৫০ মিলি শ্যাম্পুর দাম ৫৫০ টাকা ।
-
এই শ্যাম্পুর বিশেষত্ব হলো এটি স্পেশাললি শিশুদের জন্য।
এছাড়া উকুন দূর করার আরও কিছু শ্যাম্পু
যেগুলো হয়ত খুব সহজে বাংলাদেশের মার্কেটে পাবেন না। বিশেষ করে আমাজন, ওয়ালমার্ট, ই-বে তে পাবেন। তাই বিস্তারিত না দিয়ে শুধু নামগুলো উল্লেখ করলাম। বিস্তারিত দেখতে অনলাইনে সার্চ দিয়ে দেখুন এবং কিনুন। (উকুন দূর করার উপায়)
-
Nix Ultra- All in one shampo
-
Lice- shield Shmpoo and Conditioner.
-
Lice free kit
-
Rid Daily Defense lic
-
Mata Piojos Lice Shampoo.
-
Schooltime nic and lice Shampoo. ( Best for baby)
-
Vamouse Daily Shampoo lice defense.
-
Socozy boo Lice Scaring Shampoo.
-
Babo Botanicals Lice Repel Shampoo.
-
Clear lice head lice Treatment Shampoo.
-
ParaNix Anti lice Shampoo.
আরো পড়ুন:
উকুন দূর করার উপায় – সাবান
আমরা এখানে উকুন দূর করার প্রাকৃতিক ,ভেষজ, শ্যাম্পু, ট্যাবলেট সহ নানা বিষয় আলোচনা করেছি। এখন মাথা থেকে উকুন দূর করার উপায় হিসেবে কিছু সাবান এর বিষয়ে আলোচনা করবো।
উকুন দূর করার সাবান- Permiscab Soap
১. এই সাবানে পারমিথ্রিন রয়েছে ১.০% , এ্যালোভেরা – ৪.০% ,গ্লিসারিন আই.পি – ৩.৫ % , টিটিানিয়াম ডি অক্সাইড সহ পারফিউম এবং কালার রয়েছে।
২. এর নেট ওজন – ৭৫ গ্রাম
৩. প্রস্তুতকারক দেশ ভারত
৪. আপনি টিপটপ মার্ট থেকে এই সাবান সংগ্রহ করতে পারেন।
৫. যোগাযোগ নাম্বার- 01831- 04 39 53
উকুন নাশক আর একটি সাবান – Scabnil Anti lice and Anti Scabies Soap
১. এই সাবানে পারমিথ্রিন রয়েছে ১.০% , এ্যালোভেরা – ৪.০% ,গ্লিসারিন আই.পি – ৩.৫ % , টিটিানিয়াম ডি অক্সাইড সহ পারফিউম এবং কালার রয়েছে।
২. এর নেট ওজন – ৭৫ গ্রাম
৩. TFM- ৭৬% গ্রেড ১ নাম্বার সাবান
৪. সংগ্রহ করতে পারেন- skin medicated product bd ফেইসবুক পেইজ থেকে
উকুন নাশক সাবান – Millat Anti-lice Soap
-
মিল্লাত কোম্পানীর তৈরী অন্যতম একটি সাবান।
-
এটি উকুন দূর করতে বাংলাদেশী কোম্পানীর তৈরী বেশ জনপ্রিয় সাবান।
-
উকুন নাশক মিল্লাত সাবান এর কথা বললে যে কোন সুপার শপ বা কসমেটিক এর দোকানে পাওয়ার কথা।
-
তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হলে এই মেইলে যোগাযোগ বা হেল্প লাইনে কথা বলতে পারেন- mawintl@yahoo .com
উকুন নাশক সাবান – Head lice Soap
-
এই সাবানে পারমিথ্রিন রয়েছে ১ %
-
প্রস্তুতকারক কোম্পানী- Psychotropics India Ltd
-
এর নেট ওজন – ৭৫ গ্রাম
-
ভারতীয় রুপিতে এর দাম – ৬০ রুপি (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন নাশক সাবান – Permilite Anti Lice and Scabies Soap
১. এই সাবানে পারমিথ্রিন রয়েছে ১.০% , এ্যালোভেরা – ৪.০% ,গ্লিসারিন আই.পি – ৩.৫ % , টিটিানিয়াম ডি অক্সাইড সহ পারফিউম এবং কালার রয়েছে।(উকুন দূর করার উপায়)
২. এর নেট ওজন – ৭৫ গ্রাম , ১০০গ্রাম এবং ১২৫ গ্রাম এর সাবান রয়েছে।
৩. এটি ভারতের Elegant Cosmed pvt ltd ( গুজরাট) এর তৈরী সাবান ।
৪. এটি ভারত সহ বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, জর্জিয়া, মায়ানমার, সুদান, শ্রীলঙ্কা , ইয়েমেনে পাওয়া যাচ্ছে।
উকুন নাশক সাবান – Zeroscab bar / permithrin Soap
১. এটি পালসনস ডার্মা প্রাভেট লিমিটেড এর তৈরী সাবান।
২. ১০০ গ্রাম ওজন এর সাবান এভেলেভেল
৩. ভারতের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়।
৪. ভারতীয় রুপিতে এর দাম ১৩৭ রুপি।
৫. এই সাবানের কিছু সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যেমন- রেশ, লালচে ভাব চামড়ায়, ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যাওয়া।
এছাড়া আরও কিছু উকুন দূর করার ভারতীয় সাবান রয়েছে। যে গুলো বাংলাদেশেও একটু খুঁজলে পাওয়া যাবে।
-
Permed Soap.
-
Perbizo Soap.
-
Zeroscab Bar.
-
Scabper Soap.
-
Nixiper Soap
আশাকরি নিজেকে উকুনমুক্ত রাখতে এই সাবান গুলো আপনাকে সাহায্য করবে।
উকুননাশক শ্যাম্পু, সাবান, তেল , লোশন ব্যবহারের পরও যদি দেখা যায় যে উকুন দূর হচ্ছে না সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা ট্যাবলেট সাজেস্ট করে থাকেন।
Ivermectin ( Tablet) – উকুনদূর করার চূড়ান্ত সমাধান
১. মারাত্মক পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হলে এই ঔষধ সেবন করা হয়।
২. তবে ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া ট্যাবলেট খাওয়া উচিৎ নয়।
৩. এই ট্যাবলেট ব্যবহারের জন্য ওজন এর উপর খেয়াল রাখতে হবে।
-
যদি ওজন ১৫- ২৪ কেজি হয় তাহলে ১ টা ৩ মিলি/ কেজি ট্যাবলেট
-
যদি ওজন ২৫- ৩৫ কেজি হয় তাহলে ১ টা ৬ মিলি/ কেজি ট্যাবলেট
-
যদি ওজন ৩৬- ৫০ কেজি হয় তাহলে ১ টা ৬ মিলি/ কেজি ট্যাবলেট
-
যদি ওজন ৫১- ৬৫ কেজি হয় তাহলে ২ টা ৬ মিলি/ কেজি ট্যাবলেট
-
যদি ওজন ৬৬- ৭৯ কেজি হয় তাহলে ২ টা ৬ মিলি/ কেজি + ১ টি ৩ মিলি/কেজি ট্যাবলেট
-
যদি ওজন ৮০ কেজির বেশী হয় তাহলে ৩ টা ৬ মিলি/ কেজি ট্যাবলেট
সাধারণত এই নিযমে খাওয়া হয় যা মেডেক্স অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া। তারপরও অনুরোধ রইল ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। (উকুন দূর করার উপায়)
৪. এই ট্যাবলেট খালি পেটে খেতে হয়।
৫. কিছু সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যেমন- পেশী ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, পায়ের পাতা লাল হয়ে যাওয়া, পেটে ব্যাথা, ক্ষুধা মন্দা ইত্যাদি। (উকুন দূর করার উপায়)
৬. যদি আপনি গর্ভবতী, অন্য কোন পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত, হাঁপানির সমস্যা এবং মদ্যপ হন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারকে আগে জানান। তাহলে সেই অনুযায়ী ডাক্তার আপনার চিকিৎসা করবেন।
আমাদের দেশে বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন নামে এই ঔষধ পাওয়া যায়। নিচে কিছু নাম দেয়া হল-
এখানে বেশ কিছু ঔষধ কোম্পানীর নাম তুলে ধরা হলো। যাদের ট্যাবলেট গুলো ডাক্তার আপনাকে উকুন দূর করার উপায় হিসেবে সেবন করতে সাজেস্ট করবে। তবে মনে রাখবেন ট্যাবলেট খাওয়ার আগে ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া উত্তম। (উকুন দূর করার উপায়)
উকুন দূর করার হোমিও চিকিৎসা
উকুন দূর করতে (উকুন দূর করার উপায়) আমরা এ্যালোপ্যাথি, প্রাকৃতিক নানা উপায় আলোচনা করেছি। এখন আলোচনা করবো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে। হোমিও ঔষুধ খেয়ে এবং মাথার চুলে ব্যবহার করার মাধ্যমে উকুন দূর করা যায়।
staphysagria Q ওষুধ ব্যবহার করে মাথার সমস্ত উকুন দূর করুন
-
প্রথমে এই ওষুধটি ১০ মিলি পরিমাণ নিন।
-
অন্য আর একটি বোতলে ৫০ মিলি পরিমাণ নারিকেল তেল নিন।
-
ভাল করে ঝাকিয়ে নারিকেল তেল ও ওষুধ মিক্সড করে তারপর মাথায় ব্যবহার করুন।
-
দিনে দুইবার এই তেল ব্যবহার করতে হবে।
-
দুপুরে গোসলের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
Staphysagria 30 – উকুন দূর করার হোমিও (খাওয়ার) ঔষধ
-
এটি খাবার আগে খেতে হবে।
-
দিনে দুবার খেতে হবে।
-
খাবার আগে জিবে ৩ ফোটা করে দিতে হবে।
-
দু-সপ্তাহ মাথায় দেয়ার তেলটি এবং এই ঔষধটি খেলে ইনশা্ল্লাহ উকুনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
উকুন দূর করার দোয়া/ উকুন দূর করার আমল
“অন্নাজ মি ইজা হাওয়া মা দল্লা চো হি বু কু ম ও মা গো ওয়া”
-
এই আয়াত দুটি ঘুমানোর আগে ১৭ বার পড়তে হবে।
-
আয়টি পড়ে দুই হাত একত্রে করে ( যেভাবে দোয়া ধরা হয়) পুরো মাথা মাসাহ করতে হবে।
-
আয়াত দুটো টানা ৭ দিন পড়তে হবে।
-
সূরা আন- নাজম এর প্রথম ও দ্বিতীয় আয়াত।
-
এই্ভাবে আমল করলে ইনশা্ল্লাহ কয়েকদিনে মাথা থেকে উকুন দূর হয়ে যাবে।
সবশেষ কথা হলো, উকুন দূর করার উপায় আমরা আলোচনা করলাম কিন্তুে এইসবই যে আপনার কাজে আসবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে একেকজনের একেকটা উকুন দূর করার উপায় কাজে দেয় । তাই আপনার যদি শ্যাম্পু ব্যবহারে উকুন দূর হয় অন্য জনের হয়ত সাবান ব্যবহারেই উকুন দূর হয়ে যাবে। সর্বপরি কথা, যদি পরিত্রান না পান তাহলে ডাক্তার এর কাছে যেতে ভূলবেন না।
Khub valo likha….onk tottho ase