JANA BUJHA

গলগন্ড রোগ কেন হয়? [কারণ, ধরন, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা] Best 2024

গলগন্ড রোগ কেন হয়? [কারণ, ধরন, রোগ নির্ণয়]

 

গলগন্ড রোগ কেন হয় এই প্রশ্নটা অনেকের মনেই আসে। কিন্তু সঠিক কারণটা অনেকেই জানেন না। কিন্তু আমাদের আজকের লিখাটি পড়ার পর আপনি জানতে পারবেন গলগন্ড কি, কেন গলগন্ড রোগ হয়, গলগন্ড হওয়ার কারণ, গলগন্ড রোগের প্রতিকার, গলগন্ড রোগের এ্যালোপ্যথি, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা, গলগন্ড প্রতিরোধে সচেতনতা , গলগন্ড রোগ নির্ণয় এর পরীক্ষা বা টেস্ট ইত্যাদি। 

 

তাই আশা করি এই একটি লিখা পড়লে আপনি গলগন্ড রোগ নিয়ে একটা পুরোপুরি ধারণা পাবেন। তাই আর দেরী না করে চলুন শুরু করি। 

 

 

Table of Contents

গলগন্ড রোগ কি?


গলগন্ড হচ্ছে থাইরয়েড গ্রন্থির এমন একটি অবস্থা যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়ে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে। আমাদের দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব খুব বেশি না হলেও নেহায়েত কমও
নয়।


গলগন্ড সাধারণত ব্যথাহীন। কিন্তু এটি অস্বাভাবিকভাবে
   ফুলে গেলে আপনার শ্বাস নিতে এবং কোন কিছু গিলতে
সমস্যা হতে পারে। আর দেখতেতো অস্বাভাবিক লাগবেই।


সাধারণত আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড রোগ দেখা দেয়। 
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে সারা পৃথিবীর প্রায় ৯০% মানুষের গলগন্ড হয়ে থাকে আয়োডিনের অভাবে। তাছাড়া কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে খেতে থাকলে গলগন্ড হতেও পারে। 

 

সেই খাবার গুলো হল- ফুলকপি, পাতা কপি, ব্রকলি ও সয়া জাতীয় খাবার।  সাধারণত একজন সুস্থ্য মানুষের গলগ্রন্থির ওজন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম, কিন্তু গলগন্ড রোগীর গলগ্রন্থি প্রায় ১ কেজিও হতে পারে।  


নানা কারণ থাকলেও গলগন্ড বেশিরভাগই থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ততা বা কম উৎপাদনের জন্য দায়ী। গলগন্ডের আকার, অবস্থা, রোগীর কনডিশনের এবং কারণের উপর ভিত্তি করে রোগীকে ভিন্ন ভিন্ন নানা প্রকার চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।


গলগন্ড রোগ কত প্রকার?

১. নন টক্সিন গলগন্ড



এর সঠিক কোন কারণ এখনো উদ্ভাবন করা যায়নি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে লিথিয়ামের মত ওষুধ সেবনের ফলে এটি ঘটতে পারে। এই ধরনের গলগন্ড থাইরয়েড হরমোনের কোন প্রকার প্রভাব বিস্তার করে না।

 


২. মাল্টি নডুলার বা বিষাক্ত  গলগন্ড


এই ধরনের গলগন্ড এক বা একাধিক ছোট নোডিউল গঠনের দিকে
  ধাবিত করে। যুগলের শক্ত বা তরল ভরা পিণ্ড। এটি আকারে বড় হয়। বিবেচ্য বিষয় হলো থাইরয়েড গ্রন্থি স্পর্শ করলে গলদ অনুভূত হয়। এই ধরনের গলগন্ড সাধারণত গলগন্ডের একটি এক্সটেনশন হিসেবে গঠন করেন।

 

৩. সরল গলগন্ড

থাইরয়েড গ্রন্থি যখন শরীরের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী হরমোন উৎপাদনে ব্যর্থ হয় তখন সাধারণ এই গলগন্ড তৈরি হয়। এ সময় থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে ফুলে যায়। এবং হরমোনের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে।

 

৪. কলয়েড বা স্থানীয় গলগন্ড

এই ধরনের গলগন্ড হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে আয়োডিনের অভাব। আয়োডিন  হলো থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের প্রয়োজনীয় খনিজ। এ সমস্ত গলগন্ড তাদেরই দেখা যায় যাদের আয়োডিনের ঘাটতি বেশি পরিমাণ দেখা যায়।

 

 গলগন্ড রোগের কারণ

গলগন্ডের প্রধান কারণ হচ্ছে আয়োডিনের অভাব। থাইরয়েডকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে আয়োডিন। শরীরে যখন আয়োডিনের অভাব দেখা দেয় তখন থাইরয়েড কে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে অতিরিক্ত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। 

 

এই কারণে গ্রন্থিটি ফুলে যায়। থাইরয়েড এর এই সমস্যার জন্যই গলগন্ড হয়ে থাকে । থাইরয়েড এর নানা লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে বুঝতে পারবেন আপনি থাইরয়েড এ আক্রান্ত। 

 

এছাড়াও আরো কিছু কারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

 

১. গ্রেভস ডিজিজ

এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যখন থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় খুব বেশি পরিমাণ হরমোন উৎপাদন করে থাকে। অর্থাৎ স্বাভাবিকের তুলনায় থাইরয়েড হরমোন বেশি উৎপাদন হয়। এটি হাইপার্থাইরয়েডিজম নামেও পরিচিত। থাইরয়েডের এই অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলেও থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।

 

২ থাইরয়েড প্রদাহ
থাইরয়েডের প্রদান হওয়ার কারণেও গলগন্ড হতে পারে। প্রদাহ দেখা দিলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

৩. হাইপোথাইরয়েডিজম

এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার ফলে থাইরয়েড হরমোন খুব কম পরিমাণ উৎপাদিত হয়।থাইরয়েডিয়ান গ্ল্যান্ড পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয় তখন এটি হাইপোথাইরয়েটডিজমের দিকে পরিচালিত করে।

স্বল্পমাত্রায় উৎপাদিত হওয়া থাইরয়েড হরমোন পিটুইটারি গ্রন্থীকে আরো থাইরয়েড উত্তেজক হরমোন তৈরি করতে উৎসাহিত করে। যার ফলে থাইরয়েড বড় হয়ে যায়।

৪ নোডুলস

 

থাইরয়েড এর ওপর কঠিন বা তরল সিস্ট দেখা দিতে পারে। এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়। এগুলো সাধারণত ক্যান্সার বিহীন।

আরো পড়ুনঃ

যেসব কারণে আপনার গলগন্ড রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে

 

১. থাইরয়েড জনিত কোন সমস্যার পারিবারিক ইতিহাস থাকলে।

২ শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি থাকলে।

৩. সাধারণ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

৪. ৪০ বছরের বেশি বয়সী বার্ধক্যের সমস্য থাইরয়েড স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

ধার বা বুকের এলাকায় বিকিরণ চিকিৎসা /থেরাপি দেয়া হয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে, প্রভাবিত হতে পারে। অর্থাৎ থাইরয়েডের কাজ করার তারতম্য ঘটতে পারে।

 

রোগ নির্ণয় এর জন্য নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রচলন রয়েছে। তবে যেসব পরীক্ষা খুব কমন ও
প্রচলিত তার কয়েকটা আলোচিত হলঃ

 

 

এন্টি বডি পরীক্ষা
গলগন্ডের সমস্যার কারণে অধিক পরিমাণ এন্টিবডি তৈরি হতে পারে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এন্টি বডির উপস্থিতি নির্ণয় করা সম্ভব হয়।

 

আলট্রাসনোগ্রাফি

এই আল্ট্রাসনোগ্রাফি সাধারণ আল্ট্রাসনোগ্রাফি থেকে কিছুটা ভিন্ন। এই পদ্ধতিতে ট্রান্সডোসার নামে পরিচিত একটি ধাতব দন্ড রোগীর ঘাড়ে অথবা গলায় স্থাপন করা হয়। 

 
তারপর শব্দ তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে রোগীর ঘাড় ও পিঠে বাউন্স করে কম্পিউটার  স্কিনে একটি ছবি তৈরি করে। এতে থাইরয়েড গ্রন্থির আকার খুব সহজে নির্ণয় করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে কার্যকরি চিকিৎসা নেয়া হয়।

 

 

থাইরয়েড স্ক্যান

 

এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোনের ভিতরে  শিরাতে ইঞ্জেক্ট করা হয়। তারপর রোগীর মাথা পিছন থেকে হেলিয়ে একটি টেবিলে শুয়ে রাখা হয়।

 

তখন একটি বিশেষ ক্যামেরা কম্পিউটারের মাধ্যমে থাইরয়েড গ্রন্থির সুস্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে
সক্ষম হয়। এই পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। এটি রোগীর থাইরয়েড গ্রন্থির আকার, অবস্থা, প্রকৃতি খুব সূক্ষ্ম এবং সুনিপুণভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম।

বায়োপসি

 

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে একটি সুইয়ের মাধ্যমে  টিস্যু  সংগ্রহ করা হয়। এবং এটি পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। এটির সাহায্যেও রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।

 

গলগন্ড রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা


গলগন্ড রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে আয়োডিনের অভাব। গলগন্ড রোগ থেকে প্রতিকার পেতে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। কিন্তু কিছু কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। গলগন্ড রোগ থেকে বাঁচতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির নিম্নে আলোচনা করা হলো।

 

গলগন্ড রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

 

 
পালং শাক

আমাদের অতি পরিচিত এই পালং শাকেই মিলবে গলগন্ড রোগের প্রতিকার। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন এ একজন মানুষের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

 

থাইরয়েড সমস্যার   স্থিতি আনতে ভিটামিন “এ” এর ভূমিকা রয়েছে। থাইরয়েড এন্ডোক্রাইন গ্রন্থিও থাইরয়েড  ক্ষরণের  জন্য ভিটামিন এ ব্যবহার করে থাকে। তাই ভিটামিন এ এর একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হচ্ছে পালং শাক। তাই থাইরয়েড এর সমস্যা নিরাময়ে পালং শাক  উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

 

সামুদ্রিক শৈবাল


কেল্প নামক এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল আছে, যা আয়োডিন সমৃদ্ধ। আয়োডিনের ঘাটতি পূরণে কেল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সালাদের সাথে অথবা সুপের সাথে মিশিয়ে এটি খাদ্য
তালিকায় সংযোজন করা যেতে পারে।



নারকেল তেল


থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ইস্ট্রোজেনের
  উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ইস্ট্রোজেন থাইরয়েড হরমোন ক্রিয়া কে বাঁধাগ্রস্থ করে। নারকেল তেল এই অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন এর উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করে। এবং সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসে। নারিকেল তেল বিপাকীয়  ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

 

ফলে দেহে সঞ্চিত  মেদ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। থাইরয়েড সমস্যার সমাধানের জন্য  এক কাপ দুধের সাথে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে রোজ সেবন করা যেতে পারে।
এর ফলে থাইরয়েড উৎপাদন সহনীয় মাত্রায় চলে আসার কথা।

 

 

হলুদ


আমাদের রান্নাঘরে অন্যতম একটি প্রধান মসলা হল হলুদ। এই হলুদ আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। হলুদে বিদ্যমান কার কিউমিন থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

 

সাধারণ লবণ


সাধারণ লবণে বিদ্যমান আয়োডিন থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা নিরাময়ে ভূমিকা পালন করে।
থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।

 

আদা
আদাতে বিদ্যমান জিনজেরল থাইরয়েড প্রদাহ উপশমে কাজ করে।

 

আখরোট

আখরোট এক প্রকার বাদাম। আখরোটে  রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও আয়োডিন। থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে আয়োডিন ও ম্যাগনেসিয়াম। তাই আখরোট খেলে মিলতে পারে থাইরয়েড সমস্যার সমাধান।

 

 

যোগ ব্যায়াম

যোগ ব্যায়ামের কিছু নির্দিষ্ট আসন থাইরয়েড সমস্যা দূর করতে আশ্চর্যজনক ফল দেয়। এর মধ্যে সর্বাঙ্গাসন, মৎস্যাসন, সেতুবন্ধাসন,উষ্ট্রাসন ইত্যাদি। এই আসনগুলো অত্যন্ত কার্যকর। সবশেষে অবশ্যই সবার স্মরণ রাখতে হবে।

 

এই আসনগুলো করার সময় ঘাড়ে  চাপ পড়তে পারে। তাই সর্তকতার সাথে এই আসনগুলো
করার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
থাইরয়েডের সমস্যায় যোগাসন বেশ উপযোগী। তাই প্রতিদিন এই
আসন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

গলগন্ড রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

 

 

থাইরয়েডিনাম (Thyroidinum)

গলগন্ড রোগের অন্যতম প্রধান ঔষধ এটি। বুক ধরফর করার, দিন দিন ওজন হ্রাস। গ্ল্যান্ড  ফুলে যাওয়া। নরম তুলতুলে হয়ে যাওয়া। গ্রন্থি সমূহ স্ফীত ও পাথরের মত শক্ত হয়ে যাওয়া। ইত্যাদির লক্ষণের ক্ষেত্রে থাইরয়েডিনাম অত্যন্ত কার্যকর।

 

আয়োডিয়াম (Iodium)


আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড চিকিৎসায় আয়োডিয়াম
  CM2  খুবই কার্যকর। যাদের গ্ল্যান্ড ফোলা, শক্ত যন্ত্রণাদায়ক বা ব্যথাহীন।ঠান্ডা গরমে অস্বস্তি। অল্প পরিশ্রমে কাতর।
স্বল্প পরিশ্রমে  ঘাম হওয়া।প্রচুর  ক্ষুধা অনুভূত হওয়া। প্রচুর খাওয়ার পরও স্বাস্থ্যের অবনতি। এসব ক্ষেত্রে আয়োডিয়াম অত্যন্ত কার্যকরী।

 

 

 

স্পঞ্জিয়া(Spongia)


যেসব শিশুর জন্মগত থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে স্পঞ্জীয় অত্যন্ত কার্যকর।
যাদের গ্ল্যান্ড বড় ও শক্ত। ঘুমের মাঝে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বড় গোলগণ্ড। রাতে
  কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়। তাদের ক্ষেত্রে স্পঞ্জিয়া খুবই কার্যকর।

 

নেট্রাম মিউর(Natrum Mur)


যেসব রোগী অত্যাধিক লবণ গ্রহণ করে থাকেন। ওদের জন্য এই ওষুধ অত্যন্ত উপযোগী।
ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না, গরম প্রিয়,প্রচুর ক্ষুধা,কিন্তু খাবার গ্রহণে অনিচ্ছা। শরীর শুকিয়ে যাওয়া। নারীদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় মাথাব্যথা। ইত্যাদি ক্ষেত্রের নেট্রাম মিউর অত্যন্ত কার্যকর।

 

গলগন্ড রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা


আপনার থাইরয়েড সমস্যা কতটুকু
  এবং  কতটা গুরুতর এর উপর নির্ভর করে আপনারচিকিৎসা।
আপনি যদি হাইপোথাইরয়েডিজমে ভোগেন তবে আপনার ডাক্তার আপনাকে একটি থাইরয়েড হরমোন প্রতিস্থাপনের ঔষধ দিতে পারে। গলগন্ডের অবস্থাভেদে ডাক্তার  আপনাকে এসপিরিন বা
কার্টিকোস্টেরয়েড গ্রহণ করার পরামর্শ দিতে পারেন।

 

 

সার্জারি করা


অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে আপনার থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সম্পূর্ণ ফেলে দেওয়া হতে পারে। ফলে আপনাকে সারাজীবন থাইরয়েড হরমোনের ঔষধ সেবন করতে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ১০ জনের ভেতর একজনের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
  বাকি ৯ জনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষণীয়।


কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার ক্ষেত্রে অস্ত্র পাচার করা যেতে পারে। কোন কারনে গলা ফুলে গেলে।
কণ্ঠস্বর বসে গেলে। খাদ্যনালী ও
  শ্বাসনালী এর উপর চাপ দিচ্ছে এমন ক্ষেত্রে। গলা ফোলার কারণে গিলতে কষ্ট হলে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে।

 

 

এ ধরনের কিছু ঝুঁকি যাদের খুব বেশি পরিমাণ হয় এবং যাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে। তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারগণ অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।যাদের থাইরয়েড ক্যান্সার আছে তাদের অস্ত্র পাচারের কোন বিকল্প নেই।

 

এখানে যেসব চিকিৎসার কথা আলোচনা করা হলো তা অবশ্যই কোন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করার অনুলোধ রইল। কেননা আপনার রোগ এর কি অবস্থা আছে তা ডাক্তারই ভাল বুঝতে পারবেন। আমরা এখানে যে সব বিষয় গুলো তুলে ধরেছি তা মূলত ডাক্তাররা যে সব চিকিৎসা করেন তাই। তাই সমস্যা গুরুতর হলে ডাক্তার পরামর্শ বাধ্যতামূলক।

 

তাই সবশেষে যা বলা প্রয়োজন তা হলো রোগ হওয়ার আগে সচেতনতাই সবচেয়ে শ্রেয়।

 

এখানে গলগন্ড রোগ কেন হয়, গলগন্ড হওয়ার কারণ, গলগন্ড রোগের চিকিৎসা, গলগন্ডের এ্যলোপ্যথি ও হোমিও চিকিৎসা, গলগন্ড রোগ নির্ণয়, গলগন্ড রোগের নানা প্রকার, গলগন্ড রোগের ঝুঁকি ইত্যাদি নানা বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।

 

আর এই বিষয় গুলো জানার পর যিনি রোগী তিনি তার রোগটা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং যিনি রোগী নয় তিনি গলগন্ড রোগ নিয়ে নিজে সচেতন হবেন এবং পরিবারের সকলকেও সচেতন করতে পারবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।

 

 

আশাকরি এই লিখাটা কিছুটা হলেও উপকারে এসেছে। তাই জানাবোঝা পরিবারের সাথেই থাকুন আর এই রকম জানা-অজানা নানা বিষয় জেনে নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করুন। ধন্যবাদ আপনাকে। 

 

 

0 thoughts on “গলগন্ড রোগ কেন হয়? [কারণ, ধরন, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা] Best 2024”

Leave a Comment