JANA BUJHA

অলসতা দূর করার উপায় সমূহ কী?

অলসতা দূর করে নিজেকে এ্যাকটিভ করাতে যেসব উপায় সমূহ বা পন্থা অনুসরণ করা দরকার তা আজকে এই লিখার মধ্য দিয়ে আলোচিত হবে।


অলসতা দূর করার উপায় সমূহ কী?



এই পৃথিবীতে আমরা মানুষকে নানা শ্রেণীতে ভাগ করে থাকি। মানুষের চলার ধরণ, আচার-আচরণ, কথা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে আমরা ভিন্ন ভিন্ন মানুষেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির বলে দাবী করে থাকি। এর মধ্যে কেউ রাগী, কেউ হাসি-খুশী অথবা গোমড়া মুখো, কেউ পরিশ্রমী আর কেউবা অলস প্রকৃতির। কেউ থাকে চুপচাপ আর কেউ কেউ আমার মত আড্ডাবাজ।


 যে যেমনই হোক মানুষের কিছু কিছু আচরণ, অভ্যাস বা প্রকৃতি
মানুষকে জীবনের পথে সফল হতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। মানুষের তেমনি একটি আচরণ, অভ্যাস
বা প্রকৃতি হলো অলসতা। 


অলস হয়ে জীবনে কেউ সফল হয়েছেন এমনটি আমি শুনিনি, আপনি কি শুনেছেন?
যাক এইসব কথা বাদ দিয়ে এখন মূল আলোচনায় আসা যাক। 


টাইটেল দেখেই যেহেতু ক্লিক করেছেন
সেহেতেু নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই আমরা কি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। হ্যা, ঠিক ধরেছেন
আজকের আলোচনা হচ্ছে অলসতা দূর করার উপায় সমূহ কী?

 
অলসতা হচ্ছে সফলতার অন্তরায়। জীবনে আপনি সফল হবেন নাকি ব্যর্থ হবেন এটা
সম্পূর্ণটায় নির্ভর করছে আপনার কর্ম পরিকল্পনা ও সেই অনুযায়ী কর্ম বাস্তবায়ন করার উপর।


আপনি পরিকল্পনা করার পর যদি আজকের কাজটা কালকের জন্য ফেলে রাখেন তবে কি আপনি কখনও সফল
হতে পারবেন? না, পারবেন না। আর এটাই হলো সফল না হতে পারার প্রকৃত লক্ষ্মণ।


আজকের কাজ
কালকের জন্য ফেলে রাখে কারা? উত্তর আপনার আমার সকলেরই জানা। হ্যা, অলস ব্যক্তিরাই এই
কাজ করে থাকে। 


তাই যারা জীবনে সফল হতে চাচ্ছেন আবার অলসতাও দূর করতে পারছেন না। তাদের
উদ্দেশ্যে একটি চিরন্তর সত্য কথা হচ্ছে পৃথিবীতে কেউ লিজেন্ড বা মহান হয়ে জন্মগ্রহণ
করেন না। সবাই কঠোর পরিশ্রম এর মাধ্যমেই নিজেকে লিজেন্ড হিসেবে তৈরী করে।


 
অলসতা সম্পর্কে সুন্দর একটি প্রবাদ হলো – “কুকুর হয়ে চিৎকার করো, সিংহ
হয়ে গুমিয়ে থাকলে লাভ কি(!) ” অর্থাৎ আপনি যে কাজটিই জানেন না কেন, সেই কাজটি
 দিয়েই পরিশ্রমের মাধ্যমে কিছু ফলানোর চেষ্টা
করুন। আপনি অনেক বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে যদি ঘুমিয়ে দিন কাটান, তবে এতে করে আপনার এবং জাতির
জন্য কোন ফায়দা হবে কি?

আমাদের সমাজে অসংখ্য অলস মানুষ রয়েছেন। যারা কথায় বড় বড় বাঘ, সিংহ শিকার
করতে পারলেও বাস্তবে ঘুমিয়েই দিন কাটান। 


তাই সেইসব মানুষ যেমন সমাজের জন্য বোঝা তেমনই
দেশ ও জাতির জন্যও। আর এই কথা চিন্তা করেই আমরা জানাবোঝা ডট কম এর রিসার্র্চ টিম অলস
লোকদের জন্য অলসতা দূর করনার ১০ টি উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি।
 

অলসতা দূর করার ১০
টি চমৎকার উপায়

১. ব্যায়াম করা 


নিয়মিত ব্যায়াম আপনার
শরীরকে সক্রিয় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধরুন, আপনার এখন কোন কিছু ভাল লাগছে
না, কিন্তু আপনি যদি তৎক্ষনাৎ টানা দশটি পুশআপ দিতে পারেন তাহলে দেখবেন যে আপনার শরীর
চাঙা হয়ে উঠেছে।


আপনার প্রোডাক্টিভিটি ক্ষমতা আরো বেগবান হয়ে উঠবে। আর নিয়মিত ব্যায়াম
অলসতার মত ব্যাধিকে খুব সহজেই মোকাবেলা করতে পারে। আর এই কথা আমার নয় এটি বিজ্ঞানসম্মত
ভাবেই প্রমানিত। তাই অলসতা দূর করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা একটি অপরিহার্য পদ্ধতি।


চাই সেটা পাঁচ মিনিটের জন্যই হোক না কেন। তাই এখন থেকে নিজের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে
যান। প্রতিদিন এর রুটিনে যুক্ত হোক ব্যায়াম।


 

২. পাঁচ সেকেন্ড
রুলস


অলসতা কাটানোর জন্য পুরো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে এই পাঁচ সেকেন্ড রুলস। “পাঁচ সেকেন্ড রুলস” নামে একটি জনপ্রিয় বই আছে
যেটির লেখক হচ্ছেন মেল রবিন।


“পাঁচ সেকেন্ড রুলস” এর নিয়মটি হচ্ছে- ধরুন,
আপনার অলসতার কারনে কোন কাজ করতে পারছেন না, ঠিক তখনই একটি কাউন্টডাউন শুরু করুন। যেমন
৫-৪-৩-২- এবং ১ বলেই আপনার কাজটি শুরু করে দিন। 



অর্থাৎ কাউন্টডাউন শেষ হবার সাথে সাথেই
নিজের মধ্যে অটোমেটিক একটা ফিল আসে যে কাজটি আমাকে এখন করতে হবে। আর সেই ফিলটি কাজে
লাগিয়ে খুব চমৎকার ভাবে নিজের অলসতা কাটিয়ে উঠা যায়।

তাই যখন কোন কাজ করার জন্য ভাবছেন,
ঠিক তখনই এই পাঁচ সেকেন্ড রুলস অনুসরণ করুন, আর কাজে লেগে পড়ুন।


 
৩. অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজের
লিস্ট তৈরী
 


অলসতা ফিজিক্যালি কোন রোগ নয়। এটা প্রকৃতিগত বা মানসিক অবস্থার জন্য
সৃষ্টি হয়। আর সফল হতে না পারার জন্য যদি কোন কারন থাকে তাহলে এটাই সেই কারন। আর আমরা
রুটিনও প্রস্তুত করে থাকি প্রকৃতিগত ভাবে। 


রুটিন প্রস্তুতকারক হিসেবে যদি কোন প্রতিযোগিতা
দুনিয়ায় থাকতো তাহলে দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা খুব সম্ভবত দ্বিতীয়টি আর খুঁজে
পাওয়া যেত না। কারন আমরা প্রতিনিয়তই নতুন নতুন রুটিন প্রস্তুত করে অভ্যস্ত।


কিন্তু
অলসরা শুধু বার বার রুটিনই করে থাকে কিন্তু আসলে কাজের কাজ কিছুই করদত পারে না। এর
অন্যতম কারণ হচ্ছে পুরো রুটিন একদিনে বা অল্প সময়ে আয়ত্ত করার চেষ্টা করা।

 
তাই সব কাজকে একসাথে না করে  অগ্রাধিকারের
ভিত্তিতে কাজের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী লিস্ট তৈরি করতে হবে। আর এটি সফলতার পথে দারুণ
একটি পদ্ধতি।


এর ফলে যে কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা আর চোখের অন্তরাল হয় না। কাজের
ধারাবাহিকতা এবং প্রফেশনালিজম বজায় থাকে। তাই সবসময় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজের লিস্ট
তৈরি করুন অতঃপর কাজ শুরু করুন।

আরো পড়ুনঃ

 

৪. টাইমার ব্যবহার 

অধিকাংশ সময়ই এমন হয় যে, আমরা একটি কাজ করছি তো করছিই এবং করেই চলেছি। এটা
মারাত্মক বাজে একটি অভ্যাস। বিশ মিনিটের কাজে দুই ঘন্টা অতিবাহিত করে ফেলি।



আর এই অতিরিক্ত
সময়ের অপচয়ের কারনে আমরা জীবনে খুব ভাল একটা কিছু করতে পারি না। আর তাই এই সময় অপচয়
থেকে মুক্তির একমাত্র প্রন্থা হলো টাইমার ব্যবহার করা। আপনি বিশ মিনিটের কাজের সময়
বিশ মিনিটের টাইমার সেট করে কাজে নেমে পড়ুন।


অতঃপর দেখবেন ঐ কাজটা ঠিক বিশ মিনিটের
আগেই সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। আর এই পদ্ধতিতে কাজ করলে দেখবেন যে, আপনার মূল্যবান সময়ের
অপচয় একেবারেই রোধ হচ্ছে। আর সময় বাচিয়ে আপনি কিছু অতিরিক্ত সময়ও পাচ্ছেন অন্য আর একটি
কাজ করার জন্য।


 

৫. মোবাইলের নোটিফিকেশন
বন্ধ রাখা
 


 আলসেমি করে সময় নষ্ট করার সবচেয়ে
বড় মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল। এটা নিয়ে খুব চমৎকার একটি কথা আছে যে “মোবাইল যখন তারে
বাধা ছিল তখন আমরা ছিলাম মুক্ত, আর এখন মোবাইল মুক্ত কিম্তু আমরাই হয়ে গেছি মোবাইলে
পুরোপুরি যুক্ত”
 

 অর্থাৎ মোবাইল যখন টেলিফোন অবস্থায়
তারে বাধা ছিল তখন আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতাম। কিন্তু এখন মোবাইল ব্যাটারি চালিত
এবং বহনযোগ্য হওয়ার কারনে আমরা নিজেরা মোবাইলে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছি। যতই গুরুত্বপূর্ণ
কাজ আমরা করতে থাকি না কেন মোবাইলে নোটিফিকেশন আসলে মোবাইল হাতে নিতেই হয়।


 কারন মোবাইলের নোটিফিকেশনগুলো খুব
দৃঢ়ভাবে আমাদের আকর্ষণ করে। আর মোবাইল হাতে নিলে বিনোদনের ভুতে ধরবেই। 


আর সেখান থেকে
শুরু হয় সময় অপচয় এবং আলসেমী। আর তাই ছোট বড় যে ধরনের কাজই হোক না কেন কাজ চলাকালীন
ফোন বন্ধ রাখা আলসেমী দূর করার জন্য ফরজ হিসেবে ধরে নিতে হবে।


৬. সহজ কাজ দিয়ে
শুরু করা
 


কাজ আরম্ভ করার প্রথমেই যদি কঠিন কাজ চলে আসে তাহলে আলসেমী আসাটা অস্বাভাবিক  কিছু নয়। তাই দিনের শুরুতে এমন একটি কাজ নির্ধারণ
করতে হবে যেন ঐ কাজটি খুব সহজেই শেষ করা যায়। এর ফলে এমনিতেই পরবর্তী কাজগুলো শুরু
করার স্পৃহা বৃদ্ধি পাবে।
 


৭. প্রতিযোগী খুঁজে বের করা


 আপনি যেই সেক্টরেই কাজ করছেন না
কেন ঐ সেক্টরে সবচেয়ে ভালো কাউকে আপনার প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচনা করুন। 

তার থেকে ভালোভাবে
কাজগুলোর ডেলিভারি করার চেষ্টা করুন অথবা তার থেকে ভাল আউটপুট দেয়ার চেষ্টা করুন। 


প্রতিযোগী
হিসেবে কাউকে ধরে নিলে ঐ প্রতিযোগী যখন আপনার থেকে ভাল এবং বেশি কাজ করে ফেলবে তখন
আপনার মধ্যেও, আপনার কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার স্পৃহা জন্মাবে। 


তাই এখনি আপনার জন্য
একজন যোগ্য এবং ভালো প্রতিযোগী খুঁজে বের করে নিন। দেখবেন অলসতা দূর হতে বাধ্য। কেননা
মানুষ যখন প্রতিযোগীতা করে তখন জয়ী হতে যাই করুক না কেন তার কাছে তা তেমন কঠিন মনেই
হয় না।


 

৮. আপনার গোলটি অন্যজনের
সাথে শেয়ার করা
 


আপনি যখনই একটি কাজ করতে যাচ্ছেন না কেন আপনার পরিচিত কাউকে অথবা পাবলিক্যালি
ফেইসবুক, টুইটার অথবা ইনস্টাগ্রামে আপনার গোলটির কথা সবার সাথে শেয়ার করে রাখুন।


যেহেতু
সবাই আপনার গোলটির কথা জানে সেই কারণে আপনার নিজের মধ্যেই সময়মত কাজটি ডেলিভারি দেওয়ার
খুব সুন্দর একটি তাগিদ জন্মাবে। যেহেতু সবাই আপনার কাজটি কবে সম্পন্ন হবে তা জানতে
চাইবে, তাই সময়মত কাজটি সম্পন্ন করতে পারলে নিজের কাছেও ভাল লাগার অনুভূতি তৈরী হবে।


আর কাজটি না করতে পারলে খারাপ লাগার অনুভূতির জন্মাবে। তাই আপনার গোলটি যদি সবার সাথে
শেয়ার করার মত হয় তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। কারন খারাপ লাগার অনুভূতিকে
সবাই ভয় পায়। তাই এই পদ্ধতিটা কাজে লাগাতে পারেন।
 
আরো পড়ুনঃ

৯. কর্মস্থান গোছালো
রাখা
 


 আপনার কর্মস্থান যেমনই হোক না কেন
কাজের জায়গাটি অবশ্যই গোছালো এবং পরিপাটি রাখা উচিত। কর্মস্থান গোছালো না থাকলে আলসেমি
আসবেই। নিজেকে প্রডাক্টিভ এবং সক্রিয় রাখার জন্য গোছালো কর্মস্থানের বিকল্প কিছু হতে
পারেনা।


অগোছালো কর্মস্থানে ক্রিয়েটিভ এবং
প্রডাক্টিভ আইডিয়া জেনারেট হওয়া অসম্ভব। অফিস কিংবা বাসা যেখানেই কাজ করেন না কেন
আপনার কর্মস্থানকে পরিপাটি রাখা উচিত।


কর্মস্থান গোছানো থাকলে মন ভালো থাকে এবং মন ভালো থাকলে অ্যাক্টিভিটি বৃদ্ধি
পায়। তাই অবশ্যই কাজের শেষে কর্মস্থান গুছিয়ে রাখতে হবে যেন পরবর্তী দিন সম্পূর্ণ
পজিটিভ মাইন্ড নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।


 

১০. বড় বড় কাজগুলোকে
ছোট ছোট করে টার্গেটে ভাগ করে নেয়া
 


যখনই আমাদের সামনে কোন বড় কাজ এসে উপনীত হয়, তখনই আমরা ঘাবড়ে যাই এবং
আলসেমি শুরু করি। আর ঠিক এই কারণেই বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করে নিতে হবে। 


একটা
টার্গেট সামনে রেখে কাজ করলে  সেখানে আলসেমি
কাজ করার উপায় থাকে না। তাই আমাদের উচিত যখনই কোন বড় বা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হবে
সেই কাজকে ছোট ছোট বা কয়েকটা ভাগে ভাগ করে কাজটি শুরু করা।


 
আপনি আলসেমি করে আজকে আপনার কাজটি ফেলে রেখেছেন। কিন্তু অন্যদিকে আপনার
প্রতিদ্বন্দ্বী তার কাজটি শেষ করে অন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে এবং আপনার থেকে শক্তিশালী
হয়ে উঠছে। 


এর থেকে ভয়াবহ কোন খবর আর হতেই পারে না আপনার জন্য। কেউ একজন খুব চমৎকার
ভাবে বলেছিলেন  “জীবন হলো বাইসাইকেলের
মতো, চালাতে হয়, নইলে থেমে থাকে”। 


আপনার জীবন সাইকেল আলসেমি করে যদি মরীচিকাকে
খেতে দেন সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। যখন সময় নষ্ট করে জীবনকে নষ্ট করে দিচ্ছেন তখন
কি করে সফলতার আশা করেন।


ছোট্ট একটি হিসেবের মধ্য দিয়ে আজকের লেখাটার ইতি টানি। কারন অনেক লিখে ফেলেছি
আর এত বড় লেখা আলসেমির কারনে অনেকেই পড়বেনা। বর্তমান সময়ে মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর।


এবার
কিছু যোগ বিয়োগ করি চলেন-  বাল্যকাল আর পৃথিবীর
হাওয়া বাতাস বুঝতে বুঝতেই আমাদের চলে যায় বিশ বছর। তো বাকি থাকল ৫০ বছর। এখান থেকে
বৃদ্ধকাল হিসেবে বাদ দেন ২০ বছর, কারণ ৫০ বছর বয়সের পর কারো থেকে প্রোডাক্টিভ কিছু
তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
 

আর বাকি থাকল ৩০ বছর। এবার প্রতিদিন আপনি যদি গড়ে ৮ ঘন্টা করে ঘুমান তাহলে
সর্বমোট ঘুমের মধ্যে দিয়ে আপনার প্রায় ১০ বছর চলে যাবে। বাকি থাকল ২০ বছর। 


এবার আপনার
গোসল, খাওয়া দাওয়া বাবদ আরো বাদ দেন ২ বছর। তাহলে থাকছে ১৮ বছর।  আপনার ফ্যামিলিকে সময় দেয়া, বন্ধু বান্ধবদের সময়
দেয়া বাবদ আরো বাদ দেন ৩ বছর। তাহলে সর্বশেষ আপনার হাতে থাকছে কাজ করার মতো মাত্র পনেরো
বছর।


এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন আপনার সময়টাকে কি আলসেমিতে পার করবেন নাকি এক্ষুনি
কাজে লেগে পড়বেন। আর হ্যা সবশেষে বলা উচিৎ অলসতা দূর করার জন্য এই কাজ গুলোকে প্রতিদিন
করুন এবং একটা অভ্যাস গড়ে তুলুন।


যতক্ষণ না এই কাজ গুলো সম্পন্ন করতে না পারার জন্য
আপনার মধ্যে খারাপ লাগা তৈরী হচ্ছে ততক্ষণ অব্দি আপনি সফল হতে পারবেন না। আর খারাপ
রাগা তখনই তৈরী হবে যখন এই কাজগুলো আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

 
আমাদের অন্য আর একটি লিখার কাজ চলছে তা হলো – কিভাবে অভ্যাস গঠন করতে হয়।
তাই জীবন সংশ্লিষ্ট নানা প্রশ্নের সমাধান পেতে জানাবোঝা ডট কম এর সাথেই থাকুন।

কারণ
জানাবোঝা পরিবার নিজেরা ভাল কিছু গড়তে চেষ্টা করে আর অন্যরাও ভাল কিছু করুক সেই প্রত্যাশাই
করে। 

Leave a Comment