JANA BUJHA

নতুন গবেষণায় প্রকাশ, কাজের চাপই দীর্ঘ অসুস্থ ছুটির আসল কারণ! কিভাবে?

অসুস্থ ছুটি কর্মক্ষেত্রের বিষাক্ত পরিবেশের কারণে মানিয়ে চলার অক্ষমতা এবং দীর্ঘ বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করে। অনেক সময়, অসুস্থ ছুটিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয়, বিশেষ করে যখন এটি পাবলিক ছুটির মাঝে একদিনের ছুটির জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের অসুস্থ ছুটি সাধারণত কর্মসংক্রান্ত চাপের প্রমাণ।

একটি গবেষণা, যা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান জার্নাল অফ প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে প্রকাশিত হয়েছে, কাজের চাপ এবং দীর্ঘ সময়ের অসুস্থ ছুটির মধ্যে সম্পর্ক তুলে ধরে। গবেষণায় বলা হয়েছে, কাজের চাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাভাসক হিসেবে কাজ করে।

 

জব কনফ্লিক্টস

যেসব নারী কর্মক্ষেত্রে মতবিরোধের মধ্যে পড়েন বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অক্ষম অনুভব করেন, তারা তাদের সহকর্মীদের তুলনায় দুই গুণ বেশি দীর্ঘ সময়ের অসুস্থ ছুটি নিতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে নারীরা প্রায়ই প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী হন, যা তাদের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করে। তাদের সিদ্ধান্তকে সাধারণভাবে অবমূল্যায়ন করা বা সহায়তার অভাবের কারণে তারা কর্মক্ষেত্রে অমূল্য এবং অক্ষম মনে করেন।

বিষাক্ত কর্মক্ষেত্র

কর্মক্ষেত্রের মতবিরোধ এবং কনফ্লিক্টসই একমাত্র কারণ নয় যেগুলি অসুস্থ ছুটির প্রভাব ফেলে; কর্মক্ষেত্রের সামগ্রিক বিষাক্ততা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন ব্যক্তি সরাসরি কোনো মতবিরোধের শিকার না হলেও, একটি চাপপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল পরিবেশের দ্বিতীয় হাতের অভিজ্ঞতা, মতবিরোধ এবং সংঘাত দেখার মাধ্যমে অস্বস্তি এবং উদ্বেগ অনুভব করা যেতে পারে, যা মানসিক ক্লান্তি এবং বার্নআউটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গবেষণাটি একটি সুস্থ কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা শুধুমাত্র সরাসরি সংঘাত এড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি ইতিবাচক, সহায়ক পরিবেশ তৈরির কথা বলেছে, যেখানে সবাই নিরাপদ, সম্মানিত এবং মূল্যবান অনুভব করে। একটি সহায়ক এবং ক্ষমতায়িত কর্মক্ষেত্র শুধুমাত্র উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে না, বরং অসুস্থ ছুটির প্রয়োজনও কমিয়ে দেয়।

Leave a Comment