বন্যা পরিস্থিতি বাংলাদেশ সবশেষ আপডেট নিয়ে আপনারা জোনবেন বিশেষ কিছু আপডেট। কোথায় কি হচ্ছে তার ঘটনাপুন্জ একসাথে রয়েছে। চলুন জেনে নেই।
১৯৮৮ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে যাওয়া বন্যা:বন্যা পরিস্থিতি বাংলাদেশ
এইবাবের বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। ফেনী নোয়াখালী সহ ঐ এলাকার ৮ জেলা এখন পানির নিচে। বিপদসীমার ২০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে পানি। এমন পরিস্থিতিতে কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ আর্মি উদ্ধাররত অবস্থায় রয়েছে।
ত্রাণ সংগ্রহ ও সহায়তা কার্যক্রম
এই দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা টিএসসিতে ত্রাণ সংগ্রহ করছে। কেউ মুড়ি, চিড়া বা অন্যান্য শুকনা খাবার দিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নগদ টাকা দিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টারা স্পীড বোর্ড নিয়ে যাবেন বন্যা দুর্গত এলাকায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রচেষ্টা
এর মাঝেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যাদুর্গত এলাকায় পাড়ি জমিয়েছে। নানা দিক থেকে মানুষ মানুষের জন্য ছুটে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: ৫ টি বানের নাম: প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর পরিচয়
ভারতীয় বাঁধ খুলে দেয়ার অভিযোগ:বন্যা পরিস্থিতি বাংলাদেশ
ভারত থেকে আসা পানি দিয়ে ভেসে যাচ্ছে ফেনী কুমিল্লা । ভারত যে কোন প্রকার সতর্কতা ছাড়া বাঁধ খুলে দিয়েছে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া জি ২৪ একটা নিউজ প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়েছে। “ ভারত ছাড়ল পানি, বাংলাদেশ হাবুডুবু করে আকুতি আরজি জানাচ্ছে। এই নিউজ এরপর সেই চ্যানেল এর ওয়েবসাইট হ্যাক করে বাংলাদেশী হ্যাকার রা। পড়ে অবশ্য সেই পোস্ট সরিয়ে ফেলা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও উপদেষ্টাদের জরুরি বৈঠক:বন্যা পরিস্থিতি বাংলাদেশ
এর মাঝে ড.মুহাম্মদ ইউনুস ও অন্যান্য উপদেষ্টারা জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বেশী আলোচনা হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় প্রধান উপদেষ্টা ভারতীয় হাই কমিশনের সাথে বসবেন এবং বাঁধ খুলে দেয়ার কারণ জানতে চাইবেন।
ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া:বন্যা পরিস্থিতি বাংলাদেশ
এই দিকে ভারত দাবী করছে যে তারা বাঁধ খুলে দেয় নি। এমনি এমনি বাঁধ খুলে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে তা হয়েছে। যা ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশ করেন। যা নিয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে চরম সমালোচনা। এই দিকে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যে ভারত যে কাজ করেছে তা অমানবিক।