JANA BUJHA

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন? Best 2024

আপনার কী গান শুনলে মন ভাল থাকে?  না কি থাকে না? যদি উত্তর হয় হ্যা গান শুনলে মন ভাল থাকে তবে এই লিখা আপনার জন্যই। তাই গান শুনলে কেন মন ভাল থাকে চলুন জানি। 

 

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন?

 

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন:

গান গায় আমার মনরে বুঝাই, মন থাকে পাগলপাড়া, আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া, গান ছাড়া, আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া। কেন মানুষ গানের জন্য পাগলপাড়া হয়ে যায়?

 

আর কেনইবা আমাদের মন ভাল হয়ে যায় গান শুনলে এই প্রশ্ন কি কখনই আমাদের মাথায় এসে ভ্রমরের ন্যায় ঘুরপাক করে না? 

 

যে গানের জন্য মানুষ ভাল থাকে, যে গানের মধ্য দিয়ে মানুষ নিজের অস্তিত্বকে অন্যের অস্তিত্বের সাথে মিলিয়ে-মিশিয়ে একাকার করার বাসনা খুঁজে পায়।

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

যে গান মানুষকে নিজের মত করে বাঁচিয়ে রাখে। সেই গানে কি আছে? কেনই বা মানুষ গান শুনতে এক ব্যাকুল, এইসব প্রশ্নের সমাধান খোঁজার  চেষ্টা চলবে আজকের এই লেখনিতে।

(গান শুনলে মন ভাল থাকে)

 

গান ভালবাসেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গান মানুষের চিরন্তন প্রাণের স্পন্দন। সেই আদিকাল থেকে গান মানুষের প্রাণের ক্ষুদা নিবারণ করে, মানুষকে করেছে শৈল্পিক আর সেই সাথে করেছে উদার ও মহান। 

 

 

প্রিয় একটি গান শুনে কোথায় যেন আমরা হারিয়ে যাই। একমাত্র গানের মাধ্যমেই  নিজের সাথে নিজের অন্তর আত্মার মিতালী গড়ে তোলা যায়। তাই নিজেকে নিজের মত করে ভাল রাখতে গানের বিকল্প শুধু গান।

 

গান কিভাবে তৈরী হয়:

 

সমগ্র পৃথিবীতে প্রত্যেকটি জাতির আলাদা আলাদা ভাষা। সেই সাথে রয়েছে আলাদা আলাদা অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। যার মধ্যে গান হলো অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। এই গান কিভাবে তৈরী হয়।

গানে রয়েছে –

 

১. সুর।

২. কথা।

৩. তাল।

৪. লয়।

৫. বাদ্যযন্ত্র।

 

সুর, তাল, কথা ও লয় এর সমন্বয়ে তৈরী হয় গান। এই সব কয়টির যখন পুঙ্খানুপুঙ্খ সমন্বয় ঘটে তখনই তৈরী হয় হৃদয়গ্রাহী গান। মূলত মানুষ স্বাভাবিকভাবেই একটা তাল নিয়ে বা লয় নিয়ে চলাফেরা করে।

(গান শুনলে মন ভাল থাকে)

 

হাটা, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি যে কাজই করি প্রতিটি কাজে রয়েছে একটা গতি। আর এই গতি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মানুষ পেয়ে থাকে। আর যখন আমরা গান শুনি তখন নতুন ও ভিন্ন একটা তাল/ছন্দ/লয় পাওয়া যায়। 

 

 

স্বাভাবিক একটা অবস্থা থেকে যখন অন্য আর একটা অবস্থা পাওয়া যায়, তখনই সেই নতুন অবস্থা মানুষের মধ্যে ভাল লাগার তৈরী করে।

 

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

 

আবার গানের কথার মধ্য দিয়ে মনের মাঝে সুপ্ত কথা গুলো প্রকাশ পায়। মনের মাঝে যে আকুতি, আকাঙ্খা, সুপ্ত বাসনা তা প্রকাশ করা যায় গান এর মাধ্যমে। আর যে কারণে গান শুনতে ও গাইতে ভাল লাগে।

 

 

সুরই হলো গানের মূল। সুর ছাড়া কখনও গান হতে পারে না। বিভিন্ন সুর মানুষের হৃদয়ে ভিন্ন অনুভূতি তৈরী করে। নিজের অন্তর আত্মার আকুতি প্রকাশের জন্য সুর অন্যতম মাধ্যম আবার সেই সাথে যখন যুক্ত হয় কথা, তাল ও লয় তখন গান হয়ে ওঠে পরিপূর্র্ণ।

 

(গান শুনলে মন ভাল থাকে)

 

আর এই সব কিছুর সমন্বয়ে গান মানুষের প্রাণে দেয় দোলা,মনে দেয় প্রশান্তি, প্রকাশ করে হৃদয়ের সুপ্ত আকুতি।

 

 

বিভিন্ন প্রকারের গান:

 

সারা পৃথিবী জুড়ে নানা প্রকারের, নানা আঙ্গিকের,নানা তালের ও ভিন্ন ভিন্ন সুরের গান রয়েছে। যেখানে যেমনই গান থাকুক না কেন কথা, সুর, তাল, লয় ও বাদ্যযন্ত্র প্রত্যেক গানেই ব্যবহার হয়।

 

 

আমাদের দেশে  জারি- সারি, ভাটিয়ালি, বাউল গান, নজরুলসঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, দেশাত্মবোধক, গীত, আধুনিক গানসহ আরও নানা ধরনের গান রয়েছে।

 

 

আর এইসব গান ভিন্ন ভিন্ন সুর, তাল, লয়ে তৈরী হলেও তা মানুষের আত্মার আকুতিকেই প্রকাশ করে থাকে। নানা ধরনের গান আমাদের সংস্কৃতিকে নিয়ে গেছে শিকড় থেকে শেখড়ে।

 

(গান শুনলে মন ভাল থাকে)

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

এই নানা প্রকারের সুর বা গান মানুষকে নানাভাবে প্রভাবিত করে।  প্রভাবক দুই ধরনের হতে পারে, ইতিবাচক-নেতিবাচক। এটি নির্ভর করে তার শ্রোতার প্রেজেন্ট অবস্থা ও মন মানসিকতার ওপর।

 

 

গানের উৎপত্তি:

গানের উৎপত্তি সম্পর্কে বলতে গেলে সুদীর্ঘ আলোচনা করতে হবে। যেহেতু আমরা আমাদের আলোচনার বিষয়ে গান কেন মানুষের মনকে প্রভাবিত করে বা গান শুনলে কেন মানুষের মন ভাল হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো, তাই এখন গানের উৎপত্তি নিয়ে যৎ সামান্য আলোচনা করবো।


আদি যুগের মানুষ অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কথা বলতো। এই অঙ্গভঙ্গির সাহায্যে তারা শিকারের পদ্ধতি পরিকল্পনা ইত্যাদি একজন অন্যজনকে ব্যক্ত করতো। এভাবে শিকার পরবর্তী সময় কিভাবে শিকার করা হলো তা দেখানো হতো।

 

এটি পর্যায়ক্রমে চলমান থাকতে থাকতেই নৃত্যের উৎপত্তি। নৃত্যের সাথে সাথে তারা নানা প্রকার শব্দ যোগ করতে থাকে। তারা গাছের শক্ত শুকনো ডাল দিয়ে কাঠের গুঁড়ির ওপর আঘাত করে ঠক্ঠক্ শব্দ উৎপন্ন করে যা এক প্রকার শাব্দিক তাল তৈরি করে।

 

 

আর এভাবে তৈরী হলো বাদ্যযন্ত্র সহযোগে পরিবেশনা। ঐ সময়ে শিকারীরা শিকারে যাওয়ার পর ঐ প্রাণীকে বিভ্রান্ত করার জন্য সেটির ডাক কে অনুকরন  করতো।

 

 

কখনো উচ্চস্বরে আবার কখনো নিম্নস্বরে আর কখনো বা মাঝারি। আবার দূরবর্তী মানুষকে ডাকার জন্য উচ্চস্বর ব্যবহার করত। এইভাবে নানাভাবে ডাক দেয়া থেকেই সুরের উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।

 


আর এখন আমরা আধুনিক সময়ে যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গান করছি সেখানেও বিভিন্ন প্রাণীর ডাক থেকে গানের স্বর নেওয়া হয়েছে।

 

 

 

যেমন ময়ূরের ডাক থেকে  ষড়জ, ভেকের থেকে ঋষভ, ছাগলের থেকে গান্ধার,ক্রৌঞ্চের থেকে ধৈবত এবং হস্তীর ডাক থেকে নিষাদ। এতে করে এটাই প্রমাণ হয় যে, প্রকৃতি থেকেই গানের উৎপত্তি। যা সময় বাড়ার সাথে সাথে আর মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের জন্য উন্নতি লাভ করছে খুব দ্রুততার সাথে।

 

(গান শুনলে মন ভাল থাকে)

গানের প্রভাব:

 

গান শোনার সময় কিছু কিছু শব্দ হঠাৎ মনকে নাড়া দেয়। গানের কিছু কিছু সুর শুনে শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে। কেমন যেন শিহরন জাগে শরীরে। এটি কেন হয়?

 

 

এই পুরো ব্যাপারটির নাম ফ্রীসো, ফ্রেঞ্চ ভাষার এই শব্দের অর্থ শিহরিত হওয়া। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এরকম হতে পারে কিন্তু গানের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে থাকে। কেন এমন হয়? এটা কি স্বাভাবিক না কি অস্বাভাবিক?

 

 

চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রায় পাঁচ যুগ যাবৎ বিজ্ঞানীরা গানের মাধ্যমে মানুষের সুস্থ হওয়ার কারণ খোঁজেন আর সেই গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ। যদিও এখন পর্যন্ত বিজ্ঞান দিয়ে এর পুরোপুরি সঠিক ফলাফল  নিরূপণ করা যায়নি কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

 

 

মানুষের স্মৃতির সাথে তাল,লয়, সুর এর একটা সম্পর্র্ক রয়েছে। গান সেই স্মৃতিকে আন্দোলিত করে। হয়ত গানের কোন কথা, বা সুর শ্রোতার জীবনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয় বা কোন বিশেষ সময়ের অনুভূতিকে আন্দেলিত করে।

 

আর যখন গানের কোন লাইন, সুর শব্দের সাথে চিন্তার, আবেগের, মানসিকতার মিল পড়ে যায় তখনই শরীর শিহরিত হয়ে উঠে।

 

 

এর ভাল উদাহরণ হতে পারে প্রেম নিয়ে গাওয়া গান গুলি। মানুষ যখন প্রেম করে তখন তার ধ্যানে-জ্ঞানে থাকে প্রিয় মানুষটি।

 

 

আর গানের কথা যখন প্রিয় মানুষকে প্রেম নিবেদনের কথা গুলোই বলে বা প্রিয় মানুষকে অনুভবের কথা বলে তখন শ্রোতার চাওয়া আর গানের কথা একেবারে মিলেমিশে একাকার। সেই কারণেই প্রেমিকরা গান শুনতে ব্যাকুল থাকে।

 

 

আবার যে প্রিয় মানুষটিকে হারিয়েছে সে শুনতে চায় বিরহ- বিচ্ছেদ এর গান।আবার গান যদি আমাদের আশা, আকাঙ্খার বিপরীতে কথা বলে তাহলে আমরা একেবারে কষ্টে ভেঙ্গে পড়ে।  এক্ষেত্রে সুর কিংবা গান আমাদের মানসিক অবস্থার উপর ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

 

 

 

এক কথায় মানুষ তার আপন চাওয়া-পাওয়া, অনুভূতিগুলো গানের মাধ্যমে প্রকাশ করে বা ভাগাভাগি করে একটা চরম আনন্দ পেতে চায়। আর সেই আনন্দ কারও মনে প্রভাব বিস্তার করে আবার কারও শরীরে। তাই কেউ গান শুনে হাসে. কেউ বা কাঁদে আর কারও শরীর শিহরীত হয়।

 

 

আরো পড়ুন:

 

বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারটি আরো ভালভাবে বোঝার জন্য এক গবেষণা চালিয়েছেন। আর গবেষণার প্রয়োজনে তারা একটি পরীক্ষা চালান।

 

পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২০ জন মানুষের মধ্যে ১০ জন নির্দিষ্ট কিছু গান শুনে শিহরিত হয়েছিল। ঐ সময় তাদের মস্তিষ্কে ডিফিউশন টেন্সর  ইমেজিং (ডি টি আই), এম আর আই এর সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

 

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

এতে দেখা যায় যাদের শরীর শিহরীত হচ্ছে তাদের ব্রেন ফাইবার অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের আবেগের পরিমাণ অন্যদের তুলনায় একটু বেশি।

 


বিজ্ঞানীরা বলেন তাই এদের মধ্যে গানের সাহায্যে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার ঘটনাও বেশি দেখা যায়। অবশ্য অনেকে বোঝার চেষ্টা করেন যে ফ্রীসো এবং ব্যক্তিত্বের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা
হ্যাঁ অবশ্যই সম্পর্ক আছে ব্যক্তিত্ব, গান এবং ফ্রীসো এই তিনটি বিষয় একই সূত্রে গাঁথা।

 

 

শরীর শিহরীত তখনই হয় যখন সেই শ্রোতার গান ভালো লাগে এবং ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। আর গান তখনই ভালো লাগে যখন ব্যক্তিত্বের সাথে সেই গানের কোন লাইন বা কোন কথা ইত্যাদি মিলে যায়।

 

 

গান শুনলে ভালো বোধ হয় এবং ভালোলাগে অনেকেরই। তবে ভালোলাগা ছাড়াও গানের আরো গুণ রয়েছে।

 

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

গান দুশ্চিন্তা ও ধকল থেকে মুক্তি দেয়। ট্রেন্ডস ইন কগনেটিভ সায়েন্স জার্নালে গানের প্রভাব নিয়ে প্রায় ৪০০ প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে।

 

আর সেগুলোতে এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছে যে, গান মানুষের দুশ্চিন্তা, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে।

 

 

গান মস্তিষ্কের অনুশীলন করায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহজাবিন হক বলেন,

 

মানব মস্তিষ্কের যে অংশ আনন্দ উৎফুল্লবোধের জন্য কাজ করে গান সেই অংশকে উজ্জীবিত করে। ফলে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। আর যারা গাইতে পারেন তাদের ক্ষেত্রে এটি আরও দ্রুত কাজ করে।

 

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

গান মানসিক অবস্থা ভাল করতে সাহায্য করে, মানুষকে আশাবাদী করে তোলে, মানসিক শক্তি জুগিয়ে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,

 

 

যারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে তাদের মানসিক স্থিতি আনতেও গানের ভূমিকা রয়েছে। সেই সাথে গান চিন্তা শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

 


গান মনকে বিষণ্নও করে

মানসিক অবস্থার ওপর কোনো কোনো ক্ষেত্রে গানের নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় গান শুনে মানুষের মধ্যে  দুঃখবোধ বেড়ে যায়।

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

অনেকে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। মস্তিষ্কের যে অংশ দুঃখবোধ বা বিষণ্নতা কে নিয়ন্ত্রণ করে গান সেখানেও প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে।

 

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ মানসিক অবসাদে ভুগছে। যাদের মধ্যে অনেকেই বাসবাস করেন আমাদের দেশে। আর তাদের সুস্থতায় ব্যবহার হতে পারে গান কিন্তু সবার জন্য যে তা সমানভাবে কার্র্যকর হবে তা ভাবা ঠিক নয়।

 

 

পড়ুনঃ 

 

 

গান আমাদের ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি ঘটায় সেইসঙ্গে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্ট  রোগ মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

 


ইউনিভার্সিটি কলেজ  অব লন্ডনের অধ্যাপক ডেইজি ফ্যনকোর্ট বলেন গান গাইলে কোর্টিসেলের মত হরমোন বা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমে যায়।  এটি এনডোরফিন হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে।

 

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

এই হরমোনের উপর আমাদের ম্যাজাজ ভালো থাকা, না থাকা নির্ভর করে। তাই মেজাজ ভালো রাখতে নিয়মিত গান শুনা যেতে পারে।

 

 

সবশেষ কথা হলো, গান যে আমাদের মন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে তাতে সন্দেহ থাকার কোন কারণ নেই।

 

তবে ক্ষতির চেয়ে যে লাভের পরিমাণ বেশী তাও বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে। তাই নিজের গতানুগতিক চলাফেরা থেকে একটু ভিন্ন অনুভূতি পাওয়ার জন্যই মানুষ গান ভালবাসে। সেই ভালবাসা মানুষের শূধু ভাললাগা নয় নিজেকে ভাল রাখতেও ব্যবহার হয়। তাই কবির ভাষায়-

 

গানে গানে যত কথা , সবইতো আমার

কেউ বুঝুক আর নাইবা বুঝুক

কমলো আমার হৃদয়ের হাহাকার।

গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন

0 thoughts on “গান শুনলে মন ভাল থাকে কেন? Best 2024”

  1. সুন্দর লিখা। আমি গানই শুনি না। খুব মন খারাপ থাকলে শুনি। কিন্তু আমার মনই খারাপ হয় না তেমন

    Reply

Leave a Comment