কোটাসংস্কার আন্দোলন নিয়ে অবশেষে কথা বললেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এর ছেলে সোহেল তাজ। তিনি কোটাসংস্কার আন্দোলন এর সমন্বয়ক দের সাথে দেখা করতে ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আবেগ ও বিবেক এর তাড়নায় ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন।
তিনি ডিবি প্রধান এর কাছে তিনটি প্রশ্ন জানতে চেয়েছিলেন। সমন্বয়কদের কি এরেস্ট করা হয়েছে নাকি সেইফ কাস্টরিতে রাখা হয়েছে। যদি এরেস্ট করা হয় তাহলে তার কোন প্রশ্ন নেই কিন্তু যদি সেইফ কাস্টরিতে রাখা হয় তাহলে তিনি দেখা করতে চান। কিন্তু ডিবি প্রধান তাকে জানান যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেখা করতে দেয়া যাবে না।
তিনি আরও প্রশ্ন করেন যে সেইফ কাস্টরি থেকে কবে ছাড়া হবে সমন্বয়কদের । উত্তরে ডিবি প্রধান জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন।
তখন তিনি বাংলাদেশের পুলিশ, আর্মি কে জোড়ালো কণ্ঠে বলেন , ছাত্র-ছাত্রী ভাই বোনদের বুকে যেন আর একটি গুলিও ছোড়া না হয়। তিনি এই কাজকে বলেন দিজ ইজ নট রাইট।
তিনি বলেন সমস্ত সাধারণ মানুষের প্রশ্ন গুলোই তিনি করতে এসেছিলেন। এর আগে তিনি কিন্তু তার পরিচয়ও তুলে ধরেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এবং জোহরা তাজউদ্দীন এর ছেলে। সেই সাথে তিনি ২ বারের সংসদ সদস্য ছিলেন ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। আর সেই পরিচয় এর বলেই হয়ত তিনি ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন।
সাংবাদিকরা জানতে চান – আপনার কোন পদক্ষেপ আছে কি না? তিনি উত্তরে বলেন না। তবে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি বলেন তা হলো, এই ক্ষয়ক্ষতি যা হয়েছে তা কিছুই না। কেননা এইসব সম্পদতো জনগনের টেক্স এর টাকায়ই করা। যে রেল , বিটিভি , অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে তার যে ধ্বংস হয়েছে তার চেয়ে বেশী মূল্যবান মানুষের জীবন।
সম্পদ না হয় আমরাই একবার করতে পারবো কিন্তু এই যে মানুষ মারা গেল একটা প্রাণ কি ফিরিয়ে আনা যাবে। কোটি কোটি কোটি কোটি টাকার বিনিময়েও কি একটা প্রাণ ফিরিয়ে আনা যাবে?
এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের কিছু ম্যাসেজ দেন। তিনি বলেন এই দেশ তোমাদের। তোমাদেরই এই দেশ গড়তে হবে। আশাহত হওয়া যাবে না। সবসময় ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে কাজ করার আহবান দেন সোহেল তাজ। সাধারণ মানুষ এর মনের কথা গুলোই যেন বলে গেলেন সোহেল তাজ।
sobar kotha gulay jn bollen.. Dhonnobad sohel taz