যারা ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা এখানে বিস্তারিত জানতে পারবেন আশা করি। এখানে ক্যান্সার এর কারণসহ বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সার এর কারণগুলো এখানে তুলে ধরা হল।
ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি তার বিস্তারিত
ক্যান্সার একটি জটিল এবং বহুমুখী রোগ, যার প্রধান কারণ হলো ডিএনএতে পরিবর্তন বা মিউটেশন। যখন একটি সেলের ডিএনএতে কোনো পরিবর্তন ঘটে, তখন সেটি স্বাভাবিক সেল থেকে ক্যান্সার সেলে রূপান্তরিত হতে পারে।
ক্যান্সার সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধাপে ঘটে, এবং প্রতিটি ধাপেই মিউটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রবন্ধে, আমরা ক্যান্সারের কারণগুলো এবং ডিএনএর মিউটেশন কিভাবে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক হয়, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
১. ডিএনএতে মিউটেশন এবং ক্যান্সারের উদ্ভব
ডিএনএ হলো একটি সেলের জীবনের নির্দেশিকা, যা সেলটিকে কিভাবে কাজ করতে হবে, বৃদ্ধি ও বিভাজন করতে হবে তার তথ্য দেয়। একটি সেলের ডিএনএতে যখন মিউটেশন ঘটে, তখন সেটি সেলের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়। এই ব্যাঘাতের ফলে সেলটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা শেষে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়।
২. মিউটেশন কিভাবে ক্যান্সার সৃষ্টি করে?
ডিএনএ মিউটেশন একটি সেলকে ক্যান্সার সেলে রূপান্তরিত করতে পারে বিভিন্ন উপায়ে। নিচে কিছু প্রধান উপায় আলোচনা করা হলো:
রপবর্ধনকে অনুমোদন করা:
যখন একটি জিনের মিউটেশন ঘটে, তখন সেটি সেলটিকে দ্রুত বৃদ্ধি ও বিভাজনের নির্দেশ দিতে পারে। এর ফলে সেলটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে এবং অনেক নতুন সেল তৈরি হয়, যেগুলির সকলেরই একই মিউটেশন থাকে। এই দ্রুত বৃদ্ধি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক হয়।
নিয়ন্ত্রিত সেল বৃদ্ধিকে থামাতে ব্যর্থ হওয়া:ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
স্বাভাবিক সেলগুলি জানে কখন বৃদ্ধি থামাতে হবে যাতে প্রতিটি সেল প্রকারের সঠিক সংখ্যা থাকে। কিন্তু ক্যান্সার সেলগুলি সেই নিয়ন্ত্রণসমূহ হারিয়ে ফেলে। টিউমার দমনকারী জিনে একটি মিউটেশন ক্যান্সার সেলগুলিকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি এবং সঞ্চয় করতে অনুমতি দেয়, যা শেষ পর্যন্ত টিউমারের সৃষ্টি করে।
ডিএনএ এর ভুলগুলি মেরামত করার সময় ভুল করা:
ডিএনএ মেরামতকারী জিনগুলি সেলের ডিএনএতে থাকা ভুলগুলি খুঁজে বের করে এবং সংশোধন করে। তবে, যখন এই মেরামতকারী জিনে মিউটেশন ঘটে, তখন অন্যান্য ভুলগুলি সংশোধিত হয় না। এর ফলে, সেলগুলি ক্যান্সার সেলে রূপান্তরিত হতে পারে এবং এর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।
৩. ক্যান্সারে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ মিউটেশন:ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
উপরের মিউটেশনগুলো ক্যান্সারে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ মিউটেশন। তবে আরও অনেক ধরনের মিউটেশন রয়েছে, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সহায়ক হতে পারে। এদের মধ্যে কিছু মিউটেশন সেলটির স্বাভাবিক কার্যক্রমকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, ফলে সেলটি ক্যান্সারে পরিণত হয়।
৪. ক্যান্সারের মিউটেশন কিভাবে ঘটে?
ডিএনএতে মিউটেশন বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:
- জেনেটিক পরিবর্তন: বংশগতভাবে পাওয়া জেনেটিক পরিবর্তন, যা পূর্বপুরুষদের থেকে প্রাপ্ত হয়, ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
- পরিবেশগত কারণ: দূষণ, রেডিয়েশন, এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ ডিএনএতে মিউটেশন ঘটাতে পারে।
- আচরণগত কারণ: তামাক সেবন, অ্যালকোহল ব্যবহার, এবং অপুষ্টি ডিএনএ মিউটেশন ঘটাতে পারে, যা ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ায়।
নিচে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কারণের তালিকা দেওয়া হলো, যা সাধারণত ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক হতে পারে:ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
১. ডিএনএ মিউটেশন
- বংশগত মিউটেশন: কিছু ক্যান্সার জেনেটিকভাবে প্রাপ্ত হতে পারে, যা পূর্বপুরুষদের থেকে গিয়ে থাকে।
- অধিক মিউটেশন: সেল বিভাজনের সময় ডিএনএতে ভুল হওয়া।
২. পরিবেশগত কারণ
- রেডিয়েশন: অতিরিক্ত সূর্যের আলো বা এক্স-রে রেডিয়েশন ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ায়।
- রাসায়নিক পদার্থ: অস্বাস্থ্যকর রাসায়নিক পদার্থ, যেমন অ্যাসবেস্টস, বেনজিন ইত্যাদি।
৩. আচরণগত কারণ
- তামাক সেবন: সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ায়।
৪. জীবাণু ও ভাইরাস
- এইচপিভি (HPV): মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) গর্ভাশয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস: লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
৫. খাদ্যাভ্যাস
- অপুষ্টিকর খাদ্য: বেশি তেল-গোস্ত, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- কম ভিটামিন ও ফাইবার: ফাইবার ও ভিটামিনের অভাব ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৬. শারীরিক কার্যকলাপ
- অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. হরমোনাল পরিবর্তন
- হরমোন থেরাপি: কিছু হরমোনাল থেরাপি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৮. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
- ইনফ্লেমেটরি অবস্থা: দীর্ঘমেয়াদী ইনফ্লেমেটরি অবস্থা, যেমন ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ।
৯. জেনেটিক স্নায়ু
- জেনেটিক স্নায়ু: কিছু ক্যান্সার জিনগতভাবে অস্বাভাবিক হতে পারে।
১০. জীবাণু সংক্রমণ
- হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি: পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
এই কারণগুলো ক্যান্সারের বিভিন্ন প্রকারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত পরীক্ষা করিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
১. পেটের ক্যান্সার (Stomach Cancer)
- হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ইনফেকশন: এই ব্যাকটেরিয়া পেটের প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা পরে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: বেশি পরিমাণে নোনতা, টিকিয়া বা কনসার্ভেটিভ খাদ্য গ্রহণ।
- পেটের দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ: ক্রনিক পেটের প্রদাহ (গাস্ট্রাইটিস) ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- ধূমপান: ধূমপান পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল পেটের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
MPOX কি বাংলাদেশে আসতে পারে, কি বলছে who
২. স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer)
- হরমোনাল পরিবর্তন: এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের স্তরের অস্বাভাবিকতা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- বংশগততা: পরিবারে স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- প্রথম মাসিক শুরু এবং মেনোপজের বয়স: প্রথম মাসিক শুরু খুব তাড়াতাড়ি অথবা মেনোপজ পরে হওয়া স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৩. ফুসফুসের ক্যান্সার (Lung Cancer)
- ধূমপান: ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
- পেশাগত এক্সপোজার: অ্যাসবেস্টস, বিয়ারিয়াম এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে থাকা।
- এনভায়রনমেন্টাল পলিউশন: বাতাসের দূষণ ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- জেনেটিক প্রেডিসপোজিশন: পরিবারে ফুসফুস ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৪. লিভারের ক্যান্সার (Liver Cancer)
- হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদী হেপাটাইটিস ইনফেকশন লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অ্যালকোহল অপব্যবহার: অতিরিক্ত অ্যালকোহল লিভারের ক্ষতি করে, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
- লিভারের সিরোসিস: লিভারের দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ এবং ক্ষতি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: উচ্চ ফ্যাটযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫. অণ্ডকোষ ক্যান্সার (Testicular Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- বংশগত সমস্যা: পরিবারের ইতিহাসে অণ্ডকোষ ক্যান্সারের উপস্থিতি।
- বিকৃত অণ্ডকোষ: স্বাভাবিক অবস্থায় অণ্ডকোষ না থাকার কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- হরমোনাল সমস্যা: কিছু হরমোনাল সমস্যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৬. কলোরেক্টাল ক্যান্সার (Colorectal Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ফাইবারের অভাব এবং বেশি পরিমাণে লাল মাংস বা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ।
- পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কলোরেক্টাল ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
- ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ: ক্রোনস ডিজিজ বা আলসারেটিভ কলাইটিস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৭. মূত্রনালী ক্যান্সার (Bladder Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- ধূমপান: ধূমপান মূত্রনালী ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
- প্রফেশনাল এক্সপোজার: বিশেষ করে রাসায়নিক পদার্থ যেমন অ্যানিলিন ডাই, যা রং এবং টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস: দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিস মূত্রনালী ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল মূত্রনালী ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৮. অগ্নাশয় ক্যান্সার (Pancreatic Cancer)
- ধূমপান: ধূমপান অগ্নাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: বেশি পরিমাণে তেল-গোস্তযুক্ত খাবার গ্রহণ।
- ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ওজন অগ্নাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- জেনেটিক প্রেডিসপোজিশন: পরিবারের ইতিহাসে অগ্নাশয় ক্যান্সারের উপস্থিতি।
৯. অপারদণ্ড ক্যান্সার (Ovarian Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- হরমোনাল পরিবর্তন: প্রাথমিক মাসিক শুরু এবং দেরিতে মেনোপজ হওয়া।
- পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অপারদণ্ড ক্যান্সারের ইতিহাস
- গর্ভাবস্থার অভাব: যারা জীবনে গর্ভবতী হননি, তাদের ঝুঁকি কিছুটা বেশি হতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: বেশি পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ।
আরো পড়ুন: ক্যান্সার এর লক্ষণ
১০. মুখের ক্যান্সার (Oral Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- ধূমপান: সিগারেট বা সিগার ধূমপান মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- এইচপিভি (HPV): মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- মুখের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি: মুখে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি বা প্রদাহ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
১১. মেলানোমা (Melanoma):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- অতিরিক্ত সূর্যের আলো: অতিরিক্ত UV রেডিয়েশনের সংস্পর্শে থাকা।
- পিঠে মেলানোমা: কোলার ফ্রিজ বা সূর্যস্নানের অভ্যাস।
- মেলানোমার পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মেলানোমা থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- নিখুঁত ত্বক: পাতলা ত্বক এবং ফেয়ার ত্বক মেলানোমার ঝুঁকি বাড়ায়।
১২. লিউকেমিয়া (Leukemia):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- বংশগত পরিবর্তন: পারিবারিক ইতিহাসে লিউকেমিয়া থাকা।
- অবহেলিত এক্সপোজার: কিছু রাসায়নিক পদার্থ এবং কেমোথেরাপি চিকিৎসা।
- পরিবেশগত দূষণ: অতিরিক্ত রেডিয়েশন এবং বায়বীয় দূষণের সংস্পর্শে থাকা।
- জেনেটিক রোগ: কিছু জেনেটিক রোগ যেমন ডাউন সিনড্রোম লিউকেমিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
১৩. থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- হরমোনাল পরিবর্তন: থাইরয়েড হরমোনের পরিবর্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- বংশগত পরিবর্তন: পরিবারের ইতিহাসে থাইরয়েড ক্যান্সার থাকা।
- মুখ্য রেডিয়েশন: মাথা ও ঘাড়ের রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- নির্দিষ্ট গলগণ্ড সমস্যা: দীর্ঘমেয়াদী গলগণ্ড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
১৪. প্রোস্টেট ক্যান্সার (Prostate Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- বংশগততা: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
- বয়স: প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
- হরমোনাল পরিবর্তন: অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন স্তরের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: বেশি পরিমাণে লাল মাংস ও চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ।
১৫. ইসোফ্যাগিয়াল ক্যান্সার (Esophageal Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- ধূমপান: ধূমপান ইসোফ্যাগিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল ইসোফ্যাগিয়াল ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
- মুখের প্রদাহ: দীর্ঘমেয়াদী এসোফ্যাগাইটিস (ইসোফেগাল প্রদাহ) ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ।
১৬. কালানাশ ক্যান্সার (Laryngeal Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- ধূমপান: ধূমপান কালানাশ ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
- অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- এইচপিভি (HPV): কিছু উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এইচপিভি প্রকারকালানাশ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
১৭. কিডনি ক্যান্সার (Kidney Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ওজন কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিডনি ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- উচ্চ রক্তচাপ: দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
১৮. শরীরের অন্যান্য ক্যান্সার (Miscellaneous Cancers):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- কনজাংটিভাল ক্যান্সার (Conjunctival Cancer): অতিরিক্ত সূর্যের আলো এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
- বোন ক্যান্সার (Bone Cancer): কিছু জেনেটিক পরিবর্তন এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ।
- স্কিন ক্যান্সার (Skin Cancer): অতিরিক্ত সূর্যের রশ্মি, বিশেষ করে UV রেডিয়েশন এবং পটেনশিয়াল জেনেটিক ফ্যাক্টর।
১৯. সারকোমা (Sarcoma)
- বংশগততা: কিছু জেনেটিক অসুস্থতা যেমন লায়াম-লি সিনড্রোম এবং নেইভ-রুন সিনড্রোম সারকোমার ঝুঁকি বাড়ায়।
- প্রফেশনাল এক্সপোজার: অতিরিক্ত এক্সপোজার যেমন অ্যাসবেস্টস বা রাসায়নিক পদার্থ।
২০. প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার (Pancreatic Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: উচ্চ চর্বিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ।
- ধূমপান: ধূমপান প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- বংশগত ইতিহাস: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২১. ব্লাড ক্যান্সার (Blood Cancer):ক্যান্সার হওয়ার কারণ গুলো কি কি
- অতিরিক্ত রেডিয়েশন: অতিরিক্ত এক্সপোজার যেমন কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি।
- জেনেটিক অবস্থান: কিছু জেনেটিক অসুস্থতা যেমন ডাউন সিনড্রোম।