শিশুর যত্নে করণীয় কী (What to do in baby care) করতে হবে তা নিয়ে অনেক মায়েরাই চিন্তিত থাকেন। তাই শিশুর খাদ্য, পোশাক, গোসল, বয়স অনুসারে করনীয় নানা বিষয় আজ আলোচনা হবে।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হয়ে গড়ে উঠবে তখনি যখন তার সঠিক পরিচর্যা হবে। আর সেই পরিচর্যার শুরুটা হয় শিশুর জন্মের পর থেকে। শিশুকে যত্ন করার মাধ্যমে তাকে বড় করে তুলতে পারাটা মা-বাবার জন্য বড় চ্যালেন্জ। শিশু সন্তানের মা-বাবা আমরা অনেকেই কিন্তু কিভাবে শিশুর যত্ন নিব তা আমরা অনেকেই জানি না।
তাই শিশুর যত্নে করণীয় বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে আমারা আমাদের শিশুকে সুসন্তান হিসেবে
গড়ে তুলব।
শিশুকাল কে বিভাজন : শিশুর যত্নে করণীয়
একটি সদ্যজাত শিশু বা একজন পাঁচ বছরের বয়সী শিশুর বৈশিষ্ট্য কি এক? কখনোই না। তাই শিশুর যত্নের সুবিধার্থে
শিশুর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে শিশুকাল কে বিভাজন করেছেন গবেষকগণ। (What to do in baby care)
v জন্ম থেকে ২৮ দিন
= নবজাতক কাল
v ২৮ দিন থেকে দুই
বছর = অতি শৈশব
v দুই বছর থেকে ৬ বছর
=প্রারম্ভিক শৈশব
v ৬ বছর থেকে ১০/১১
বছর =মধ্য শৈশব
নবজাতকের যত্ন :শিশুর যত্নে করণীয়
জন্ম থেকে ২৮ দিন । একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ২৮ দিন সময়টাকে নবজাতক কাল ধরা হয়। নবজাতক একটি নতুন অতিথি। যাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে এই সময়টাতে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি । তাই নবজাতকের যত্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। (শিশুর যত্নে করণীয়)
ক. জন্মের পরপরই তাৎক্ষণিক পরিচর্যা : শিশুর যত্নে করণীয়
একটি শিশুর জন্মের পরপরই যে জিনিসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে নবজাতকের কান্না। যাকে গোল্ডেন মিনিট বলে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই শিশুকে কান্না করতে দিন। তারপর আসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়টি।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই নবজাতকের শরীর সুতি পরিষ্কার ও নরম কাপড়ে মুছে ফেলতে হবে। জন্মের পরে এক মিনিটের মধ্যেই নারি কাটতে হবে । গর্ভজাত তরল পদার্থ শরীরে লেগে থাকলে খুব দ্রুত দেহে তা বের হয়ে যায়। তাই মা ও শিশুর স্কিন টু স্কিন সম্পর্ক অর্থাৎ মায়ের সংস্পর্শে শিশুকে রাখতে হবে । অর্থাৎ শূন্য থেকেই শিশুর যত্নের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
খ.খাবার :
নবজাতকের খাদ্য কি হওয়া উচিত? এই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর হবে মায়ের বুকের দুধ । জন্মের পর নবজাতকের উষ্ণ কাপড়ে ঢেকে যত দ্রুত সম্ভব শালদুধ খেতে দিন। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে তা মৃত্যুর থেকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়া এতে থাকা গ্লুকোজ, প্রোটিন, চর্বি শিশু শরীর উষ্ণ করে। দুধ খেলে হালকা ব্যায়াম হয় বলে শিশুর শরীর নিজ থেকেই উত্তাপ তৈরি করা শুরু করে।
নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ ব্যতীত অন্য কিছু, যেমন -মধু, চিনির পানি ইত্যাদি পান করতে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে থাকেন অনেক ডাক্তার।
গ. ঘুম :
একটি নবজাতক প্রতিদিন১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ঘুমোতে পারে। তারা একবারে তিন থেকে চার ঘন্টার বেশি ঘুম সময় ঘুমাতে পারে না। (শিশুর যত্নে করণীয়)
অনেক সময় ঘুমানোর ফাঁকে ফাঁকে অনেকবার খাওয়ানো, আরাম দেওয়া বা জামা বদলানোর কাজগুলো অভিভাবকদের করতে হবে। বাচ্চা যেখানে ঘুমায় সে জায়গাটা নিরাপদ রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় বাচ্চার মাথা ও মুখ যেন ঢাকা না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঘ. পোশাক পরিচ্ছেদ:
নবজাতকের জন্য সুতি কাপড়ের পোশাকই শ্রেয় । এ সময় বাচ্চাদের প্রজনন অঙ্গ বা রিপ্রোডাক্টিভ স্ট্রাকচার অনেক নরম ও কোমল হয় । তাই ডাইপার বা কাপড় পড়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে তা আরামদায়ক এবং শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন কিনা।
ঙ.গোসল :
৭২ ঘন্টার আগে সাধারণত শিশুকে গোসল দিতে ডাক্তাররা বারণ করে থাকেন। ততদিন পর্যন্ত শিশুর গা মুছে দিতে হবে। গোসল করানোর সময় হলে শিশুকে গোসল করাতে হবে।( শিশুর যত্নে করণীয়)
তার জন্য হালকা কুসুম গরম পানিতে শিশুর শরীর আস্তে আস্তে ধৌত করতে হবে। নবজাতককে খুব সতর্কতার সাথে গোসল করাতে হবে, যেন কানে ও নাকে পানি না ঢুকে।
চ. শোয়ানো :
ডাক্তার স্পক নামে একজন বিখ্যাত শিশু ডাক্তার ছিলেন । তিনি একটি বই লিখেন বেবি এন্ড চাইল্ড কেয়ার। এই বইটিতে লেখা ছিল শিশুদেরকে চিত করিয়ে না ঘুমিয়ে উপর করে ঘুমাতে দিতে হবে।(শিশুর যত্নে করণীয়)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঘুমের মধ্যে শিশু যদি বমি করে তাহলে সেই বমি তখন শাসনালীতে আটকে গিয়ে শিশুর শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চিত করে ঘুমাতে দিলে শিশু একদিকে মাথা বেশিক্ষণ রাখছে। যার ফলে শিশুর মাথা গোল না হয়ে চ্যাপ্টা হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু পরবর্তীতে এই কথাগুলো ওযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন প্রমাণ করেন বিজ্ঞানীরা । বিজ্ঞানীরা ডাক্তার স্পোকের কথাটির বিরুদ্ধে যুক্তি দাঁড় করায় যে চিত করে ঘুমালেও শিশুর মাথা চ্যাপ্টা হলেও শিশু যখন বসা শুরু করে তখন তা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায় ।
আর যদি বমি করে, সেটা সে গিলে ফেলতে পারে বা কাশি দিয়ে বের করে দিতে পারে। তাই শিশুদের চিত করে ঘুমাতে দেওয়া শিশুদের ঘুমানো সঠিক নিয়ম।
ছ.সতর্কতা:
শিশুর আশেপাশে ধূমপান করা উচিত নয়। সাথে যদি ধুমপাই ব্যক্তি এক বিছানায় ঘুমায় তাহলে শিশুর মৃত্যুর সম্ভাবনা
বেড়ে যায় অর্থাৎ শিশুর আশেপাশে যারা থাকেন তাদের ধূমপান ছেড়ে দেওয়াই সবচেয়ে শ্রেয়।
আরো পড়ুনঃ
অতি শৈশবে শিশুর যত্ন : শিশুর যত্নে করণীয়
২৮ দিন থেকে দুই বছর। এই সময়টি শিশুর বাড়ন্ত বয়সের একটি পর্যায়। ছয় মাসের পর থেকে শিশু উচ্চতায়
বারে, ওজনে বাড়ে, মানসিক চিন্তাশক্তি বাড়ে। পরিবারের মানুষ গুলোর ব্যবহার প্রভাব ফেলে তার এই বাড়ন্ত বয়সটিতে। তাই এই সময়টিতে তার একটু বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।( শিশুর যত্নে করণীয়)
ক. ঘুম:
সব বয়সের মানুষের জন্য ঘুম প্রয়োজনীয় একটি চাহিদা । যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন এর মতে তার থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমানো এবং এর থেকে দুই বছর বয়সী শিশুদের ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
খ.পুষ্টিকর খাবার :
অতি শৈশবকালীন সময়ে শিশু যদি ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে এবং তখন যদি বিশেষ কোনো কারণ দেখতে না পান তাহলে ধরেই নিতে পারেন আপনার শিশু খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে। এবং বুঝতে হবে আপনার শিশুর বৃদ্ধি খুব তাড়াতাড়ি হচ্ছে । এতদিনে সে নিশ্চয়ই হাটতে শিখেছে। বসতে শিখেছে। এটাই বৃদ্ধি।(শিশুর যত্নে করণীয়)
ছয় মাস সময় থেকে শিশুকে ঘরে তৈরি তার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন খাবারই দেওয়া যাবে। তবে প্রথমে তার খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য রাখাটায় ভালো ।
সেটি হতে পারে ভাত, ভাতের মার, সুজি। তারপর আস্তে আস্তে সেই খাবারের সাথে প্রোটিন ও ফ্যাট যোগ করতে হবে। প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে ডাল, ডিম, মুরগির মাংস ।
রান্না করার সাধারণ আমরা যে তেল ব্যবহার করি স্নেহ বা ফ্যাট জাতীয় খাদ্য হিসেবে সেই তেল কে ব্যবহার করতে হবে।শুরুতে বাচ্চাদের ঘি মধু দেওয়া উচিত নয়।
গ.শারীরিক যত্ন :
অন্যান্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি শিশুর শারীরিক যত্নের ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেমন শিশুর নখ ঠিকমতো
কাটা হলো কিনা, কান পরিষ্কার, চোখ পরিষ্কার ইত্যাদি। শিশুর চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে নিয়মিত ভালোভাবে শিশুদের উপযোগী সেম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে।
ত্বকে এক্সট্রা ভার্জিন গ্রেড নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সাবান শ্যাম্পু
তেল ব্যবহারের আগে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে ভালো।
ঘ.খেলাধুলা ও ক্রিয়াকলাপ:
অতি শৈশবের শিশুরা খেলাধুলা করে পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখবে। আপনাকেও অনেক সময় সে খেলায় মেতে থাকতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন খেলতে গিয়ে আঘাত না পায়। তার সাথে বিভিন্ন শব্দের খেলা খেলতে হবে। এবয়সের শিশুদের প্রতি খুব যত্নশীল হতে হবে।
প্রারম্ভিক শৈশব :২ থেকে ৬ বছর।
তাহলে আপনি অবশেষে আপনার ছোট সোনার জন্মদিনের কেকটি দ্বিতীয়বারের মতো কাটতে যাচ্ছেন । কোন সন্দেহ নেই যে আপনাকে এখন সম্ভবত বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হবে । কারণ দুই বছর বয়সী শিশুটি এখন থেকে আরো বেশি স্বাধীন ও জেদী হয়ে উঠবে।(শিশুর যত্নে করণীয়)
ক.ভাষা শেখানো:
শিশুটি দুই বছর বয়সে তিন চারটি শব্দকে একই সাথে বেঁধে একটি বাক্য গঠন করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আপনাকে
আপনার শিশুর সাথে বেশ অর্থপূর্ণ আলাপচারিতা চালিয়ে যেতে হবে।
খ.আচরণ:
আপনার ২৪ মাস বয়সী শিশুটি সবসময় আপনার প্রত্যাশা মত আচরণ হয়তো করবে না ।যখন সে তার মতো করে কোন কিছু করতে না পারে তখন তার মাঝে হয়তো তীব্র হতাশার উদ্রেক হতে পারে এবং সে রাগে ফেটে পড়তে পারে ।আপনাকে এই পরিস্থিতি গুলো সামাল দিতে হবে খুব সতর্কতার সাথে।(শিশুর যত্নে করণীয়)
গ.পারিপার্শ্বিক জগত :
আমাদের লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন ঘটেছে। খেলাধুলা জায়গা নেই। আবার পরিবারও খুব ব্যস্ত। তাই বাচ্চাদের ফোন
দিয়ে শান্ত করে রাখাটা আমাদের কাছে সহজ সমাধান। কিন্তু এতে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হচ্ছে শিশুরা উন্মুক্ত স্থানে খেলার সুযোগ না পেয়ে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ঘ.ধাপে ধাপে কাজ শেখানো:
শিশুকে তার বয়স অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিতে হবে। যে কাজটির প্রতি তার আগ্রহ বেশি সে কাজটি আগে করতে দিন। অন্যথায় শিশুটি কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।(শিশুর যত্নে করণীয়)
ঙ. নিরাপত্তা:
নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে কিছু কিছু বিষয়ের প্রতি আমরা সজাগ থাকবো। যেমন সিঁড়ির গেইট আপনার শিশুর পড়ে যাওয়া এড়াতে খুব প্রয়োজনীয়। শিশু যেন দুর্ঘটনা না ঘটাতে পারে তাই কারেন্ট এর চুলা, গ্যাস খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে।(শিশুর যত্নে করণীয়)
পড়ুনঃ
মধ্য শৈশবের শিশুর যত্ন : ৬ থেকে ১২ বছর(শিশুর যত্নে করণীয়)
এটি শিশুর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। কারণ এই সময় শিশুর শৈশব ও কৌশলের মধ্যবর্তী কালীন
সময়। তাই আমাদেরকে তাদের বয়স অনুযায়ী সকল চাহিদাগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
ক.পুষ্টি:
যদি আপনি প্রথম পাঁচ বছর বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন খাদ্যের বিষয়ে ,তাহলে কিন্তু ছয় বছর বয়স
থেকে সে আপনার কথা শুনবে না ।
আমরা অনেকে আছি যারা বাচ্চার কান্নাকাটি আবদারের জন্য বাহির থেকে খাদ্য এনে দিচ্ছি। কোক, চিপস, বিস্কুট, চানাচুর, চকলেট। ৬ থেকে ১২ বছর । খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় ।
এ বয়সে আপনার শিশুর ওজন যেন না বাড়ে সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। খেলাধুলায় অভ্যস্ত রাখতে হবে। পাঁচ থেকে ১০ বছরে শিশুদের ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এবং আইরন এর চাহিদা আছে । তাই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার ,যেমন- ডিম, দুধ, মাংস, ডাল, ফলমূল ,প্রচুর পরিমাণে সবজি খেতে দিন।
খ: শিক্ষা:
অবশেষে শিশুর বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু হয় । কিন্তু গ্রামে দেখা যায় শিশু বিদ্যালয় না গিয়ে ক্ষেতে খামারে কাজ করছে। শহরের কলকারখানা গুলোতেও এই চিত্র লক্ষ্য করা যায় । তবে বর্তমানে মানুষ সচেতন হচ্ছে। মা বাবা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনেক সময় পড়াশুনা নিয়ে অসুস্থ এক প্রতিযোগিতার উদ্রেক হচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতামূলক পড়াশুনা নয় বরং শিশুর পড়াশুনা কে করতে হবে আনন্দদায়ক। যাতে করে সে একজন শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
গ.মানসিক সুস্থতা :
একটি শিশুর শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার বিষয়টি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ । তার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে তাকে খোলা মাঠে খেলতে দিতে পারেন । (শিশুর যত্নে করণীয়)
খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখা, ছবি আঁকা, গান শোনানো, গল্প বলা, কবিতা বলা এগুলো তার কল্পনাশক্তি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শিশুকে মানসিক প্রশান্তি জুগাবে।
এইভাবে বিভিন্ন ধাপে আপনার আমার শিশুরা বেড়ে উঠবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো আপনি আপনার শিশুকে কতটুকু চেনেন। সব শিশুকে একভাবে যত্ন নিলে হবে না। আপনি আগে আপনার শিশুর গতিবিধী বোঝার চেষ্টা করুন। সেই অনুযায়ী ঠিক করতে হবে কিভাবে শিশুকে ম্যানেজ করতে হবে।(শিশুর যত্নে করণীয়)
তবে সন্তান এর মতের বিরুদ্ধে বা চাপিয়ে দিয়ে কোন কাজ করানো উচিৎ নয়। যতদূর সম্ভব তাকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে কাজ করাতে হবে। শিশুকেও তার মতামতের মূল্যায়ন করতে হবে। আর এইভাবেই আমাদের প্রতিটি ঘরে ভাল সন্তান গড়ে উঠবে বলে জানাবোঝা পরিবারের বিশ্বাস।