রিক্সার গঠন কেমন তা জানার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থার প্রথম উন্নতির যাত্রা শুরু হয় চাকা আবিষ্কার এর মধ্য দিয়ে। এই চাকাকে কাজে লাগিয়ে প্রথম দুই চাকার নানা প্রকার গাড়ি আবিষ্কার হয়েছিল।
এই সব গাড়ি দিয়ে অবশ্য মালামাল আনানেয়া করা হত। মানুষ এর যাতায়াত শুরু হয় অনেক পড়ে। সাধারণত তখন ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ির প্রচলন হয়। তখন কাঠ দিয়ে চাকা বানানো হলেও পরবতিতে স্টিল, প্লাস্টিক দিয়ে টায়ার এর আবিষ্কার হয়।
রিক্সার গঠন কেমনঃমূল আলোচনা
শিল্পবিপ্লব এর পর চাকার উন্নতির সাথে সাথে বিভিন্ন গাড়ির ইনজিন আবিষ্কার হয়। তখন থেকে ট্রাক, বাস, প্রিভেটকারসহ নানা গাড়ির আবিষ্কার হয়। সেই থেকে মানুষের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হয়।
আমাদের দেশে গত ৪০/৫০ বছর আগেও কোন যানবাহন ছিল না। মানুষ পায়ে হেটেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া আসা করত। রিক্সার গঠন কেমন
আর এইসব যাওয়া আসার সুবিধার জন্যই যানবাহন এর প্রচলন হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল রিক্সা। রিক্সার জন্য ঢাকা নগরী গ্রীনিচ বুকে নাম লিখিয়ে নিয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার রিক্সা আমাদের দেশে আবিষ্কার হওয়া কোন যানবাহন নয়।
রিক্সার গঠন কেমন
রিক্সা আবিষ্কারের ইতিহাস
ধারণা করা হয় ১৮৬৯ সালে মাকিন এক মিশনারি প্রথম রিক্সা আবিষ্কার করেন। তবে তিনি থাকতেন জাপানের সিমলায়। আর এর পর থেকে জাপানে অল্প কিছু দিনের মাঝে রিক্সা জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
তখনকার রিক্সা ছিল দুই চাকার। একজন মানুষ টেনে নিয়ে যেত এবং ২ জন মানুষ পেছনে বসতে পারতেন। এখন যে রিক্সাগুলো দেখা যায় সেগুলো কিন্তু আগে ছিল না।
তাহলে প্রশ্ন আসে বাংলাদেশে রিক্সা আসলো কিভাবে?
মূলত ১৯০০ সালে কলকাতায় জাপানের সেই আইডিয়া নিয়ে প্রচলন হয় রিক্সার। তখন হাতে টানা রিক্সার প্রচলন ছিল শুধু মালপত্র টানার জন্য।
তারপর ১৯১৯ সালে রেংগুন থেকে চট্টগ্রাম এ প্রথম রিক্সা আসে। কিন্তু ঢাকায় রিক্সা আসে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জ এর বিশেষ ব্যবসায়ীরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ঢাকায় রিক্সা প্রচলন শুরু করে। এরপর ৯০ এর দশকের আগে বা পরে সাইকেল এর মত পেডেল চালিত রিক্সা চালু হয়।
রিক্সার গঠন কেমন
রিক্সার গঠন কেমন তা জানার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থার প্রথম উন্নতির যাত্রা শুরু হয় চাকা আবিষ্কার এর মধ্য দিয়ে। এই চাকাকে কাজে লাগিয়ে প্রথম দুই চাকার নানা প্রকার গাড়ি আবিষ্কার হয়েছিল।
এই সব গাড়ি দিয়ে অবশ্য মালামাল আনানেয়া করা হত। মানুষ এর যাতায়াত শুরু হয় অনেক পড়ে। সাধারণত তখন ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ির প্রচলন হয়। তখন কাঠ দিয়ে চাকা বানানো হলেও পরবতিতে স্টিল, প্লাস্টিক দিয়ে টায়ার এর আবিষ্কার হয়। রিক্সার গঠন কেমন
শিল্পবিপ্লব এর পর চাকার উন্নতির সাথে সাথে বিভিন্ন গাড়ির ইনজিন আবিষ্কার হয়। তখন থেকে ট্রাক, বাস, প্রিভেটকারসহ নানা গাড়ির আবিষ্কার হয়। সেই থেকে মানুষের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হয়।
আমাদের দেশে গত ৪০/৫০ বছর আগেও কোন যানবাহন ছিল না। মানুষ পায়ে হেটেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া আসা করত। রিক্সার গঠন কেমন
আর এইসব যাওয়া আসার সুবিধার জন্যই যানবাহন এর প্রচলন হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল রিক্সা। রিক্সার জন্য ঢাকা নগরী গ্রীনিচ বুকে নাম লিখিয়ে নিয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার রিক্সা আমাদের দেশে আবিষ্কার হওয়া কোন যানবাহন নয়।
ধারণা করা হয় ১৮৬৯ সালে মাকিন এক মিশনারি প্রথম রিক্সা আবিষ্কার করেন। তবে তিনি থাকতেন জাপানের সিমলায়। আর এর পর থেকে জাপানে অল্প কিছু দিনের মাঝে রিক্সা জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
রিক্সার গঠন কেমন
তখনকার রিক্সা ছিল দুই চাকার। একজন মানুষ টেনে নিয়ে যেত এবং ২ জন মানুষ পেছনে বসতে পারতেন। এখন যে রিক্সাগুলো দেখা যায় সেগুলো কিন্তু আগে ছিল না।
বাংলাদেশে কিভাবে রিক্সার প্রচলন হলোঃ রিক্সার গঠন কেমন
তাহলে প্রশ্ন আসে বাংলাদেশে রিক্সা আসলো কিভাবে?
রিক্সার গঠন কেমন
মূলত ১৯০০ সালে কলকাতায় জাপানের সেই আইডিয়া নিয়ে প্রচলন হয় রিক্সার। তখন হাতে টানা রিক্সার প্রচলন ছিল শুধু মালপত্র টানার জন্য।
তারপর ১৯১৯ সালে রেংগুন থেকে চট্টগ্রাম এ প্রথম রিক্সা আসে। কিন্তু ঢাকায় রিক্সা আসে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জ এর বিশেষ ব্যবসায়ীরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ঢাকায় রিক্সা প্রচলন শুরু করে। এরপর ৯০ এর দশকের আগে বা পরে সাইকেল এর মত পেডেল চালিত রিক্সা চালু হয়। রিক্সার গঠন কেমন
এরপর আরও আধুনিক রিক্সা আসে। ব্যাটারী চালিত। সেখানে আর প্যাডেল দিতে হয় না। বিদ্যুৎ এর সাহায্যে চার্জ দিয়ে এটা ব্রবহার করা হয়। এই রিক্সার আবার দাম পড়ে যায় বেশী। আমাদের দেশের প্রায় সকল এলাকায় রিক্সা চালু আছে। রিক্সার গঠন কেমন
Read More …… আকাশ নিয়ে ক্যাপশন
গ্রাম থেকে শহরে সকল এরিয়াতে রিক্সা করে মানুষ আসা-যাওয়া করে। খুবই জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো – কম ভাড়ায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায়। আবার রিক্সা প্রস্তুত করতে খুব বেশী একটা খরচও হয় না।
রিক্সার-গঠন-কেমন
রিক্সার গঠন কেমনঃ প্রাথমিক অবস্থায়
রিক্সা আবিষ্কার এর সূচনা থেকে রিক্সার গঠন আলোচনা করা উচিৎ
১. প্রধমে রিক্সা ছিল হাতল ওয়ালা।
২. বড় বড় কাঠের চাকা দিয়ে তৈরী করা হত।
৩. রিক্সার মাঝে বসার জন্য গদি বা সিট। যা ছিল বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কাঠের তৈরী। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে নারিকেল এর ছোলা দিয়ে তৈরী। রিক্সার গঠন কেমন
৪. লম্বা দুটি হাতল এর সাথে রিক্সার বডি বা বসার আসনটি পেরেক দিয়ে যুক্ত ছিল।
৫. যাত্রী রোদ বা ছায়া থেকে বাঁচার জন্য ছিল হুট বা ছাওনী।
৬. সেই ছাউনীর পর্দা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরী।
৭. হর্ণ হিসেবে একধরণের বেলুনে তৈরী বাঁশি ছিল। যাতে চাপ দিলে পেপু আওয়াজ করতো। সেই আওয়াজ শুনে রাস্তার মানুষ দূরে সরে যেত এবং বুঝতে পারত যে রিক্সা আসছে।
৮. মূলত কাঠ, বেত, বাঁশ, কাপড়, প্লাস্টিক ইত্যাদি ছিল মূল উপকরণ রিক্সা তৈরীর জন্য।
রিক্সার গঠন কেমনঃ আধুনিকায়ন
১. রিক্সায় ব্যবহার করা হলো ৩ চাকা।
২. সামনে হাতল , মাঝে চালক এর বসার সিট, এরপর যাত্রীদের বসার জায়গা।
৩. সামনে হাতল এ থাকত একটি বেল , যা পিতল বা কাসার তৈরী। রিক্সার গঠন কেমন
৪. হাতল গুলো থাকে স্টিল এর। হাতল দুটো কিছুটা পেছনের দিকে বাঁকানো।
৫. চাঁকা গুলো রাবার বা প্লাস্টিক এর তৈরী যাকে টায়ার বলে। এই টায়ার হুলো এ্যালুমিনিয়ামে বা স্টিলে তৈরী চাকার গায়ে আটকানো থাকে।
৬. সামনের হাতলে ব্র্যাক চাপার জন্য থাকে দুটি ব্র্যাক হাতল। এই ব্র্যাক চাপার মাধ্যমে সানের চাকা ও পেছনের দুই চাকা চেপে ধরে রিক্সা থামানো যায়। রিক্সার গঠন কেমন
৭. এরপর সাইকেল এর বডির মতন বডি। রিক্সা চালক এর বসার জন্য একটি সিট রয়েছে। এই সিট আবার নিচ থেকে স্টিলের রড দিয়ে জোড়া লাগানো।
৮. এরপর যাত্রীর বসার জায়গা। সেখানে সাধারণত ২ জন বসা যায়।
৯. সিটের পেছনে একটা শির দ্বারা আছে যেখানে কিছু টা হেরান দেয়া যায়। আর এই হেরান দেয়া জায়গা কেউ কেউ আবার বসে যায়।
১০. রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য রয়েছে রিক্সার হুট। এই হুট গুলো সাধারণত বাঁশ বাকিয়ে তৈরী করা হয়। তারপর রেকসিন/ প্লাস্টিক এর ছাউনী দিয়ে দেয়া হয়।
১১. নিচে পেছনের অংশে রিক্সার গায়ে সুন্দর করে ফোক আর্ট করা হয়। যা অসাধারণ সুন্দর।
১২. চাকা থেকে যেন পানি বা ময়লা ছিটে না আসে তাই চাঁকার উপরে থাকে বাঁকানো চাকার শেপের মতন ঢাকনী।
১৩. রিক্সার বডিতে মূলত লোহা, পিতল, কাসা, প্লাস্টিক, রেকসিন, বাঁশ, বিভিন্ন কালার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ভালবাসার ছন্দ/ কষ্টের স্ট্যাটাচ? প্রেমের কবিতা
রিক্সার গঠন কেমনঃ বর্তমান
১. রিক্সায় ব্যবহার করা হয় ৩ চাকা। চাকার সাইজ হয়ে গেছে আগের চেয়ে ছোট।
২. সামনে হাতল , মাঝে চালক এর বসার সিট, এরপর যাত্রীদের বসার জায়গা। এখন জায়গাটা একটু বেশীই থাকে।
৩. সামনে হাতল এ থাকে একটি বেল , যা পিতল বা কাসার তৈরী।
৪. হাতল গুলো থাকে স্টিল এর। হাতল দুটো কিছুটা পেছনের দিকে বাঁকানো।
৫. চাঁকা গুলো রাবার বা প্লাস্টিক এর তৈরী যাকে টায়ার বলে। এই টায়ার হুলো এ্যালুমিনিয়ামে বা স্টিলে তৈরী চাকার গায়ে আটকানো থাকে।
৬. সামনের হাতলে ব্র্যাক চাপার জন্য থাকে দুটি ব্র্যাক হাতল। এই ব্র্যাক চাপার মাধ্যমে সানের চাকা ও পেছনের দুই চাকা চেপে ধরে রিক্সা থামানো যায়।
রিক্সার-গঠন-কেমন
৭. এরপর সাইকেল এর বডির মতন বডি। রিক্সা চালক এর বসার জন্য একটি সিট রয়েছে। এই সিট আবার নিচ থেকে স্টিলের রড দিয়ে জোড়া লাগানো।
৮. এরপর যাত্রীর বসার জায়গা। সেখানে সাধারণত ২ জন বসা যায়।
৯. সিটের পেছনে একটা শির দ্বারা আছে যেখানে কিছু টা হেরান দেয়া যায়। আর এই হেরান দেয়া জায়গা কেউ কেউ আবার বসে যায়।
১০. রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য রয়েছে রিক্সার হুট। এই হুট গুলো সাধারণত বাঁশ বাকিয়ে তৈরী করা হয়। তারপর রেকসিন/ প্লাস্টিক এর ছাউনী দিয়ে দেয়া হয়।
১১. নিচে পেছনের অংশে রিক্সার গায়ে সুন্দর করে ফোক আর্ট করা হয়। যা অসাধারণ সুন্দর।
১২. চাকা থেকে যেন পানি বা ময়লা ছিটে না আসে তাই চাঁকার উপরে থাকে বাঁকানো চাকার শেপের মতন ঢাকনী।
১৩. রিক্সার বডিতে মূলত লোহা, পিতল, কাসা, প্লাস্টিক, রেকসিন, বাঁশ, বিভিন্ন কালার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
১৪. আগের রিক্সার গঠনের চেয়ে এখনকার রিক্সায় মূল যে পার্থক্য তা হলো এটি ব্যাটারী চালিত।
১৫. কয়েকটা চার্জ ব্যাটারী দিয়ে তৈরী করা হয় এই রিক্সা। কারেন্ট দিয়ে ব্যাটারী চার্জ করা হয়।
এই ভাবেই দিন দিন রিক্সার গঠনে পরিবর্তন আসছে। একদিন দেখা যাবে নতুন অন্য কোন গঠনের রিক্সা বের হয়ে গেছে। যেটা আরও সহজ। এখন আর রিক্সা নেই। যেহেতু অটোমেটেড মেশিন বসানো হয়েছে সেহেতু এখন এই রিক্সাকে বলা হয় অটো রিক্সা। এই অটো রিক্সা এখন অনেক জনপ্রিয় কারণ
আগের পায়ে পেডেল দিয়ে চালানো রিক্সা থেকে এটি অনেক সহজ, সময় কম লাগে এবং পরিশ্রম নেই বললেই চলে। যাক সবশেষে কথা দিন দিন প্রযুক্তির উন্নয়নে রিক্সার আকার গঠন পরিবর্তন হয়েছে। একটা সময় হয়ত আসবে যখন উন্নতির ধারাবাহিকতায় রিক্সাই থাকবে না।