বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মারাত্মক এবং বিপদজ্জনক প্রাণীটির নাম সমুদ্র- বোলতা বা সি-ওয়স্প (Sea-wasp)। এটি চিরনেক্স ফ্লেকারি (Chironex Fleckeri) নামক এক ধরনের জেলিফিশ( Jelly Fish) বিশেষ। এদের সরু সরু শূড়ের(Tentacle) সামান্য ঘর্ষণ লাগলে যে কোন প্রাণী ৫ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মারাত্মক এবং বিপদজ্জনক প্রাণী:
এদের শূঁড়গুলোর গায়ে হাজার হাজার অতি সূক্ষ্ম সূচের মতো কোষ আছে। এগুলি সামান্য স্পর্শেই শিকারের গায়ে কেউটে সাপের মতো মারাত্মক বিষ ঢেলে দেয়। উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি সমুদ্রে প্রচুর চিরনেক্স ফ্লেকারির দেখা মেলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনা থেকে ফ্লোরিডা কিজের দক্ষিণ পর্যন্ত আটলান্টিক সমুদ্র উপকূলে এজাতীয় অসংখ্য জেলিফিশ দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিম আফ্রিকা এবং ভারত মহাসাগরের সমুদ্রেও এরা ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
(বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মারাত্মক এবং বিপদজ্জনক প্রাণী)
সমুদ্র বোলতা ঘন্টা কৃতির বর্ণহীন জীব। এদের শরীর প্রায় ৯০% পানি পূর্ণ থাকে। খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলে সমুদ্রতীরে এবং খারীর অল্প পানিতে এগুলোকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
এই সমুদ্র বোলতা দৈর্ঘ্য ৪ সেন্টিমিটার থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত এবং উচ্চতায় ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের বেগুনি অথবা নীল রঙের শুঁড় থাকে। শুঁড়গুলি ঘন্টাকার শরীরের মধ্যে গোটান থাকে।
আরো পড়ুনঃ
বেরিয়ে এলেই শুধু এগুলিকে দেখা যায়। এই শূঁড় গুলির দৈর্ঘ্য ১২০ সেন্টিমিটার পর্যন্তও হতে পারে। একটি শূঁড়ে ৭৫০,০০০ টির মতন সূচাকৃতি কোষ থাকে।
(বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মারাত্মক এবং বিপদজ্জনক প্রাণী)
এগুলোর সাহায্যে এরা শিকারের দেহে বিষ প্রবেশ করিয়ে দিতে পারে। এগুলি তাদের খাদ্য সংগ্রহ এবং আত্মরক্ষায় সাহায্য করে।
যে কোন প্রাণী এদের শূঁড়ের সামান্য সংস্পর্শে এলেই ক্ষণিকের মধ্যে মারা যায়। এদের বিষে অসহ্য জ্বালা ও যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়।
(বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মারাত্মক এবং বিপদজ্জনক প্রাণী)
দুর্ভাগ্যক্রমে এখনো পর্যন্তবিজ্ঞানীরা এই বিষের যথার্থ প্রতিষেধক আবিষ্কার করে উঠতে পারেননি। এ কারণে বিষুব অঞ্চলের নাতিশীতোষ্ণ জলে সাঁতার কাটার সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
(বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মারাত্মক এবং বিপদজ্জনক প্রাণী)
ভাগ্যিস আমাদের সমুদ্রে এই প্রাণী নাই