ফোঁড়ার কারণ করনীয় কি, ফোঁড়া কিভাবে প্রতিরোধ করবো, চিকিৎসা কি হবে, প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয় জানার মাধ্যমে ফোড়ার যন্ত্রনা থেকে বাঁচার চেষ্টা করি।
স্থানীয়ভাবে শরীরের কোন অংশে পুঁজ জমে যাহা পায়োজেনিক আবরণ দ্বারা আবৃত হয়ে কিছু ফুলার সৃষ্টি হলে, তাকে ফোঁড়া বলা হয় ।
ফোঁড়া হওয়ার কারণ
১. সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়।
২. শরীরের কোন ক্ষতস্থানে বা বিভিন্ন জায়গায় রোগ প্রতিরোধকারী কণিকার সাথে ব্যাকটেরিয়ার যুদ্ধে ক্রমানয়ে। পুঁজ উৎপন্ন হয় বা একটি বিশেষ আবরণের ভিতরে থাকে ।
৩. ক্ষত স্থানে ব্যাকটেরিয়া সরাসরি ইনফেকশন করে ফোঁড়া করতে পারে । ইনফেকশন এর জায়গা থেকে কাছে স্থানীয় কোষে বিস্তৃতির মাধ্যমে ফোঁড়া করতে পারে।
৪. লসিকা নালী পথে, বা
৫. রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ইনফেকশনের জায়গা থেকে দূরবর্তী স্থানে গিয়ে ফোঁড়া হতে পারে ।
ফোঁড়া হলে পুঁজ
তরলকৃত টিসু, মৃত লিউকোসাইটস ও ব্যাকটেরিয়া মিলিতভাবে কেই পুঁজ বলা হয়
ফোঁড়ার উপসর্গগুলো কি কি
১. ফোঁড়ার আকার অনুসারে অসুস্থতারোধ,
২. ফোঁড়ার জায়গায় তীব্র ব্যথা, টনটনে ব্যথা অনুভূত হওয়া,
৩. জ্বর,
৪. কাঁফুনি দিয়ে জ্বর আসা ।
৫. স্থানীয়ভাবে প্রদাহের লক্ষণ পাওয়া যায় ।
ফোঁড়ার জটিলতা :
১. ব্যাক টেরিমিয়া
২. সেপটিসেমিয়া ।
ফোঁড়া প্রতিরোধ
১. এন্টিবায়োটিক যেমন : টেট্টাসাক্লিন, কোট্টাইমক্সাজল ইত্যাদি (শুরুতে এন্টিবায়োটিক দিরে ফোঁড়া মিলিয়ে যেতে পারে)।
২. বিশ্ৰাম ।
৩. সম্ভব হলে, ফোঁড়ার জায়গা উঁচুতে রাখা উচিত ।
ফোঁড়ার চিকিৎসা
১. যদি পুঁজ তৈরী হয় তবে, ঐ ফোঁড়া কাঁটতে হবে এবং পুঁজবের করে ড্রেইন দিতে হবে ।
একজন জেনারেল সার্জন/ফিজিসিয়ান এর সাথে বা, হাসপাতালে সার্জারী বহিঃ বিভাগে এর সুন্দর ও যথাযথ চিকিৎসা নেয়া সম্ভব।
২. ড্রেসিং করতে হবে ।
৩. এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। প্রয়োজনে পুঁজ পরীক্ষা করে ও বিশেষ এন্টিবায়োটিক/জীবানুনাশক খাওয়া খেতে পারে ।
৪. সাধারণত এমক্সিসিলিন, ক্লক্রাসিলিন, ফ্লুক্সাসিলিন, সেপালেক্সিন, সেফ্রাডিন ইত্যাদি এন্টিবায়োটিক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কার্যকরী।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভূল :
যদি পুঁজ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে শুধু এন্টিবায়োটিক দিলে (পুঁজ বের না করে)— পরবর্তীতে ফোঁড়ার জায়গা শক্ত গোটার মত হয়ে যায় যে টাকে এন্টিবায়োমা বলা হয় ।
● টিউমার বা এনিউরিজম কে ফোঁড়া বলে ভূল হতে পারে।