এই বিশাল দুনিয়ায় মানুষ কত কিছু করছে, কেউ পানিকে প্রসেস করে হয়ে গেছে সফল ব্যবসায়ী, আর কেউ আবর্জনা বিক্রি করে হয়ে গেছে কোটিপতি। কি মনে হচ্ছে ঠিক বলছি না? চলুন তবে আজকে জেনে নেই কিবোর্ড বিক্রি করে কিভাবে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি…..
আমি একদিন এক লোককে দেখলাম সেলুন থেকে চুল সংগ্রহ করছে। জিজ্ঞেস করলাম ভাই চুল দিয়ে কি করবেন? উত্তরে যা শুনলাম তাতে অবাক না হয়ে থাকা গেল না। (কিবোর্ড বিক্রি)
উনি সেলুন এর কাটা চুল গুলো বিদেশে রপ্তানী করেন। তারপর তিনি চলে গেলে, যে ছেলেটা আমার চুল কাটছিল ও বললো ভাই, উনি অনেক টাকা পয়সার মালিক। কেমন ইনকাম উনার? ছেলেটা বললো তাতো বলতে পারবো না। কিন্তু উনার নিজের বাসা আছে মগবাজারে।
আর একদিন ইউটিউবে দেখি একজন লোকের সাক্ষাৎকার হচ্ছে। তিনি মাছের ফেলে দেয়া আঁশ বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে এখন সফল ব্যবসায়ী। রীতিমতো অবাক হলাম। তাহলে আসলেই কি ফেলনা জিনিসে খেলনা হয়? আর সেই খেলনা বিক্রি করে অনেকই জীবনে সফল হয়?
কিবোর্ড বিক্রি করে কোটিপতি
এখন মূল কথায় আসি। এই দু-একটি বিষয় উল্লেখ করলাম এই জন্য যে, মানুষ কত ভাবেই ব্যবসা করে সফল হচ্ছে। আর এই সফলতার পেছনে কাজ করেছে তাদের ইউনিক আইডিয়া ও সঠিক উপায়ে লেগে থাকা।
যে কোন ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব যদি সঠিক পরিকল্পনা থাকে এবং সেই সাথে থাকে ইউনিক চিন্তা। যেমন, মাছের আঁশ বিক্রি করে ইনকাম করা এই রকম চিন্তা সবাই করে না। কিন্তু যে করেছে এবং লেগে ছিল
তিনি হয়েছেন সফল ব্যবসায়ী।
ফেলে দেয়া চুল, মাছের আঁশ বা ময়লা বিক্রি করে যদি মানুষ সফল ব্যবসায়ী হতে পারে তাহলে কম্পিউটার কিবোর্ড নিয়ে ব্যবসা করে আপনি কেন সফল হবেন না? কিবোর্ড বিক্রি
প্রশ্ন হলো কিবোর্ড নিয়েতো অনেক কোম্পানিই ব্যবসা করছে তাহলে আমি কি এমন করলে এই ব্যবসায় সফল হতে পারবো? কিবোর্ড বিক্রি
এই জন্য প্রয়োজন একটি ইউনিক আইডিয়া। আর আজকে সেই আইডিয়াটিই শেয়ার করতে যাচ্ছি। তবে যে কেউ হয়ত এই ব্যবসাটি করতে পারবে না৷ কিন্তু যিনি করবেন তিনি অবশ্যই সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
কিবোর্ড বিক্রি
প্রক্রিয়া:
আমাদের কাজের প্রয়োজনে আমরা কম্পিউটার কিংবা লেপটপে টাইপিং করি। প্রযুক্তির উন্নয়নে কম্পিউটার এখন আমাদের দৈনন্দীন জীবনের অন্যতম ব্যবহার্য বস্তু। কিবোর্ড বিক্রি
আমদের অফিসে কিংবা নিজের প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় নানা কাগজ তৈরিতে টাইপিং করতে হয়। আবার অনেকের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে টাইপ করার মাধ্যমে।
এই যে লিখাটা পড়ছেন এই জন্যও কিন্তু কিবোর্ড দিয়ে টাইপ করতে হচ্ছে। তাই কিবোর্ড এর প্রয়োজনীয়তা হয়ত আর বলার প্রয়োজন নেই। কিবোর্ড বিক্রি
আরো পড়ুনঃ
তাহলে প্রশ্ন হলো ব্যবসাটা কিভাবে করবো। আমরা যখন টাইপ করি তখন মাউস ব্যবহার করি একবার, আবার কিবোর্ড দিয়ে লিখি, আবার মাউস ব্যবহার করি এরপর আবার কিবোর্ড।
কোন লিখা হাইলাইট করতে, ফন্ট ছোট বড় করতে, কালার করতে, বোল্ট করতে আমরা মাউস ব্যবহার করে থাকি। আর এই ব্যাপারটা বিরক্তিকর এবং একই সাথে সময় ক্ষেপনো করে বটে।
যদি এমন একটা কিবোর্ড হয় যেখানে মাউস থাকবে কিবোর্ড এর মধ্যেই। লেপটপে যেমন মাউস এর বোর্ড আলাদা থাকে তেমন যদি কিবোর্ড এর মাঝেও মাউস বোর্ড সংযুক্ত থাকে তাহলে বারবার হাত সরিয়ে এক্সটার্নাল মাউস ব্যবহার করতে হবে না। যার ফলে টাইপিং অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আর ভোক্তা গ্রাহক হিসেবে আমিতো এটা প্রথমেই বেছে নিব। কেননা প্যারা যত কম কাজ তত সহজ। আর কাজ যত সহজ, সফলতা তত বেশী। তাই কোন ব্যক্তি যে কিনা এমন কিবোর্ড তৈরী করতে পারবে তার সফলতা আর ঠেকায় কে। কিবোর্ড বিক্রি
তাই যে আমার লিখাটা পড়ছেন আপনি যদি এই আইডিয়াটা কাজে নাও লাগাতে পারেন তবুও আপনার পরিচিত কাওকে শেয়ার করুন। এমন কেউ হয়ত এমন আইডিয়া নিয়ে ভাল কিছু করতেও পারে। যার ফলে আমার আপনার মত সাধারণ ক্রেতা অনেক উপকৃত হবে।
এমনি জীবন সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আমরা জানাবোঝা পরিবার আপনাদের সাথে আছি। তাই আমাদের সাথে থেকে উৎসাহ দিয়ে ভাল কিছু করার অনুপ্রেরনা যোগাবেন , সেই আশা নিয়েই আজ এই পর্যন্ত। ভাল থাকবেন সবাই। কিবোর্ড বিক্রি
যখন এমন কিবোর্ড বাজারে আসবে তখন ক্রেতা হিসেবে আপনি কি করতেন? হ্যাঁ, এই কিবোর্ডটাই আপনি খুঁজছেন যেটা আপনার কাজকে সহজ করবে এবং আপনার মূল্যবান সময় সাশ্রয় করবে। আর যে কারণে আপনার, আমার মত অনেকেই এই কিবোর্ডটাই কিনবে।
কিবোর্ড বিক্রি
কেননা আলাদা করে মাউস ব্যবহার করতে হবে না। কিবোর্ডই আপনার মাউসের কাজ করবে। তাই যিনি এই লিখাটা পড়ছেন যদি আপনি এই ব্যবসা নাও করতে পারেন অন্তত পরিচিত কাওকে আইডিয়াটা শেয়ার করতে পারেন।
কেউ না কেউ যদি এই আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে তিনি যেমন সফল হবেন সেই সাথে সাধারণ ব্যবহারকারী বা ক্রেতা হিসেবে আমরাও টাইপিং এর সময় বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত হব।
কিবোর্ড বিক্রি
সত্যিই আইডিয়াটা ইউনিক।