আমরা যারা ভোজন রসিক আছি তাদের কাছে পছন্দের তালিকার যে খাবার গুলো রয়েছে তার মধ্যে হয়ত অনেকেই কবুতরের মাংস রান্না কে প্রথম সারিতেই রেখেছেন।
কারণ কবুতরের মাংস রান্না যে কতটা মজার তা কি আর নতুন করে বলার দরকার আছে? কিন্তু আপনার কখন কবুতরের মাংস খেয়ে মন এবং পেট ভরবে? যখন রান্নাটা সেরা হবে, তাই না?
(
হ্যাঁ, আর তাই সেই সেরা রান্নাটি কিভাবে সহজেই পারফেক্ট ওয়েতে করতে পারেন তাই আজকে বলবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
(
(কবুতরের মাংস রান্না)
কবুতরের মাংস রান্না করতে কি কি উপকরণ লাগে:
(
১. কবুতর-১ টি
২. পেঁয়াজ বাটা-২ চা চামচ
৩. আদা বাটা-২ চা চামচ
(
৪. তেজপাতা-২/৩ টি
৫. গরম মসলা- ২/৩ টুকরা
৬. এলাচ-২/৩ টি
৭. দারুচিনি-২/৩ টি
৮. গোলমরিচ দানা-৩/৪ টি
৯. ধনিয়া গুড়া- ১ চা চামচ
১০. হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
১১. মরিচের গুঁড়া- ৩ চা চামচ
১২. আস্ত কাঁচামরিচ- ৩/৪ টি
(
১৩. পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
১৪. রসুন কুচি- ১/২ কাপ
১৫. তেল- ১/২ কাপ
১৬. গরম মসলা গুড়া- ১/২ চা চামচ
১৭. জিরা গুড়া- ১/২ চা চামচ
১৮. লবণ- পরিমাণ মত
আরো পড়ুনঃ
-
শিশুর যত্নে করণীয় কী
-
জলপাই দিয়ে ছোট মাছ রান্না এর সহজ উপায়
-
চুঁইঝাল দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার সেরা উপায়
কবুতরের মাংস রান্না এর প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে নিন। তেল গরম হয়ে আসলে এতে এলাচ, গরমসলা, তেজপাতা, দারুচিনি, গোলমরিচের দানা
ছেড়ে দিন।
(ক তরের মাংস রান্না)
এরপর এক এক করে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, হলুদ, মরিচ,ধনিয়ার গুঁড়ো ও ১/২ চা চামচ লবণ দিয়ে হালকা একটু পানি দিয়ে মসলাটা ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
মসলা থেকে তেল ছেড়ে দিলে কবুতরের মাংস দিয়ে, কিছুক্ষণ নেড়ে অল্প সামান্য পানি দিয়ে মসলার সাথে মাংসটা ভালোভাবে কষিয়ে নিন। (কবুতরের মাংস রান্না)
১০ মিনিট পর কষানো মাংসে অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে ঝোলে বলক আসার আগ পর্যন্ত ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অপেক্ষা করুন। তরকারিতে ভালোভাবে বলক আসলে একে একে কিউব করে কাটা পেঁয়াজ ও রসুন কুঁচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিন।
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে আস্ত কাঁচামরিচ, গরম মসলা ও জিরা গুড়া দিয়ে কিছুক্ষণ পরপর নাড়তে থাকুন। ঝোলের পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে তেল ছেড়ে দিলে আরও কিছুক্ষণ দমে রাখুন।
নামানোর আগে লবণ চেখে নিন। এরপর গরম গরম নামিয়ে পরিবেশন করুন দারুন মজাদার কবুতরের মাংস ভুনা। (
(
কবুতরের মাংস রান্নার টিপস্:
১. কবুতরের মাংসে রসুন ও পেয়াজ কিউব করে কেটে দিবেন। এক্ষেত্রে পেয়াজ-রসুন অবশ্যই মাংস কসানো হলে পানি দেওয়ার পর যখন ঝোলে বলক চলে আসবে তখন দিবেন। এতে পেয়াজ রসুন আস্ত থাকবে এবং খেতে ভাল লাগবে। (
(কবুতর মাংস রান্না)
২. কবুতরের মাংসে রসুন বাটার পরিমাণ সামান্য দিয়ে কিউব করে কাটা রসুনের পরিমাণ বেশি দিন। এতে মাংস খেতে ভাল লাগবে। (
৩. যারা ঝাল কম খান তারা চাইলে কাঁচামরিচ বাদ দিতে পারেন। তবে নামানোর আগে কাচামরিচের ঘ্রাণ কবুতরেরে মাংসে একটি ভিন্ন স্বাদ এনে দেয়। এক্ষেত্রে চাইলে আপনারা প্রথমে গুড়ো মরিচের পরিমাণ কম দিয়ে পরে কাাঁচামরিচ দিয়ে ঝালটি ব্যালেন্স করতে পারেন। (
এইভাবে মাংস রান্না করে খেয়ে দেখুন কতটা ভাল লাগে। তবে কবুতরের মাংসের মতন অন্যান্য মাংস রান্নার উপায় আমরা আস্তে আস্তে নিয়ে আসবো। সেই সাথে নানা মজার মজার রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে। আমরা
কবুতর নিয়ে লিখলাম এই জন্য যে আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা কবুতরের মাংস খুব পছন্দ করেন। আর বিশেষ করে আমার কবুতরের মাংস খুব পছন্দ। তবে কবুতরের মাংস রান্নার আগে কবুতরের মাংসের বাজার দাম জেনে নিবেন। কারণ এর যেমন মজা তেমন দাম। ভাল জিনিসের দামত একটু বেশী হবে এটাই স্বাভাবিক। আশা করবো আপনারা অন্য আর কি নিয়ে লিখা পেতে চান তা কমেন্টে জানালে খুব ভাল হয়। তাহলে নতুন রাধুনী তৈরীতে আমরা কিছুটা হলেও অংশগ্রহণ করতে পারতাম। যাক অবশেষে কথা হলো কবুতরের মাংষ রান্না করে খাওয়ার পর জানাবেন কেমন হলো আপনাদের তরকারী। একটা ভাল রান্না আপনার সমস্ত দিনকে করতে পারে ভাল। কেন না ভাল একটা মজাদার খাবার যে কোন সময় আপনার মনকে ভাল করে দিতে পারে। তাই রান্না শুরু।