JANA BUJHA

আমি রাইটার তা কিভাবে বুঝবো? Best 2024

সুপ্ত মনের বাসনা রাইটার হওয়ার কিন্তু কিভাবে রাইটার হব তা অনেকেরই অজানা।কেউ কেউ আবার রাইটার কিন্তু সে বুঝতেই পারে না। তাই যারা নিজেকে রাইটার ভাবতে পার না, কিন্তু রাইটার হওয়ার গুনাবলি আছে তোমার মাঝে, তাদের জন্যই আমাদের আজকের লিখা “আমি রাইটার তা কিভাবে বুঝবো”।

 

আমি রাইটার তা কিভাবে বুঝবো?

 

 

তুমি রাইটার কিনা তা বোঝার আগে বুঝতে হবে রাইটার এর কাজটি কি? রাইটার হলে কি কি করতে হবে? কেন রাইটার হব? আর এইসব প্রশ্নের সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো। আর রাইটার হওয়ার সমস্ত বিষয়াদি নিয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ধারাবাহিকভাবে লিখে যাব। যা তোমরা যারা রাইটার বা কন্টেন্ট রাইটার হতে চাচ্ছ তাদের খুব উপকারে আসবে বলে আমরা আশা করি।

 

প্রথমেই সমস্ত রাইটারদের ২ টি ভাগে ভাগ করি।

 

১. ফিকশন (সৃজনশীল/ উপলব্ধিজাত রাইটিং)

 

আমরা যারা গল্প , কবিতা, উপন্যাস ,ছড়া লিখি তারা এই শ্রেণীতে পড়বে। সত্যিকার অর্থে রাইটার হলো যারা ফিকশান লিখে। বড় বড় কবি সাহিত্যিক বা যারা নোবেল পেয়েছেন তারা তাদের ফিকশন লিখার জন্যই রাইটার।আর এই শ্রেণীর রাইটার নিজের কল্পনা আর চিন্তা থেকে লিখে থাকেন। রাইটার যা চিন্তা করে তার পাঠক তার চিন্তায় মিলে গিয়ে সে নিজেকে খুঁজে নেয়। কল্পনা মেশানো লিখা হচ্ছে এই লিখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

 

 

২. নন ফিকশান (তথ্য নির্ভর বা গবেষনা বা কোন টপিক নির্দিষ্ট ইত্যাদি)

 

 
একটা সময় রাইটার এবং রাইটিং ছিল সখের বিষয়। কিন্তু এখন রাইটিং আস্তে আস্তে ব্যবসার পর্যায়ে পৌছে যাচ্ছে। আর যারা ননফিকশন নিয়ে কাজ করে তারা অধিকাংশ কোন বিশেষ উদ্দেশ্যকে সফল করতেই চেষ্টা করে। ধর আর্টিকেল রাইটিং এটা কি ফিকশান না কি ননফিকশন বল তো?

 

কোন গবেষক যখন গবেষণা করে তখন যে রাইটিং সে করে তা কিন্তু নন ফিকশন এর মধ্যেই পড়বে। তথ্যকে বেশী প্রধান্য দেয়া হয়। লেখকের যা মন চায় তা না বলে বাস্তবে যা আছে তা বলার চেষ্টা করা হয়। এখানে কল্পনার চেয়ে বাস্তব, গবেষনা, সত্য উপস্থাপন, বিশ্লেষণ, বিজ্ঞান ইত্যাদিকেই বেশী প্রধান্য দেয়া হয়। যদিও ফিকশন তোমার পড়তে মজা লাগবে কিন্তু ননফিকশন তোমার জ্ঞানকে বৃদ্ধি করবে। আশা করি বুঝতে পেরেছ ফিকশন আর ননফিকশন এর তফাৎটা।

 

 

আমাদের সমাজে এই দুই শ্রেণীর রাইটারই প্রয়োজন। তাই তুমি কোন টাইপের রাইটার তা আগে জানতে হবে। কেউ আছে গল্প, কবিতা ভাল লিখতে পারলেও আর্টিকেল লিখতে পারে না। আবার কেউ কেউ আর্টিকেল, কোন বস্তুর বর্ণনা নিয়ে লিখতে পারলেও একটা গল্পও তার মাথায় আসে না।

 

 

তবে মনে রাখতে হবে, যে ফিকশনে ভাল তার দ্বারা ননফিকশন অনেকাংশে সহজ। যে ফিকশন পারে সে সত্যিকার অর্থেই জাত রাইটার। তার প্রমান হচ্ছে যারা সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তারা সবাই ফিকশন লিখার জন্যই পায়। প্রডাক্ট রিভিউ আর টুকটাক আমার মত ওয়েবসাইটে লিখা প্রকাশ করে কেউ নোবেল পায়নি। তাই আজকে ফিকশন এর জন্যই তোমার পরীক্ষা চলবে। এরপর বিশদভাবে কন্টেন্ট রাইটারদের নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের পরবর্তী লিখা আসছে কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে তাই নো টেনশন, কন্টেন্ট রাইটারদের হতাশ হতে হবে না ইনশাল্লাহ।

 

 

চল এখন রাইটার হওয়ার পরীক্ষা শুরু করি

 

  •   মন ও কল্পনার সাথেসাথে লিখতে পারা:

যদি তুমি তোমার মনে যা আসে তা খাতায়লিখতে পার তাহলে রাইটার হওয়ার অন্যতম পরীক্ষায় তুমি পাস করেছ। আর এটা যে করতে পারেসে যে সাধনার মাধ্যমে রাইটার হতে পারবে তাতে কোন সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়। আসলে একজন রাইটার কি করেন? তিনি তার মনের কথা গুলো লিখার মধ্যে দিয়ে তার পাঠকের কাছে তুলে ধরেন।

 

পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ মনের মধ্যে নানা বিষয় ভেবে থাকে। যাকে আমরা কল্পনা বলে থাকি। আর কল্পনার কোন সীমা পরিসীমা নেই। নেই কোন ধরা-বাধা নিয়ম। ভাল-মন্দ, সুবিধা–অসুবিধা চিন্তা না করেই মানুষ কল্পনা করে। আর তুমি যদি তোমার কল্পনার ভাবনাগুলো খাতায় তুলতে পার তার মানে লেখক হওয়ার প্রথম গুণ তোমার মধ্যে রয়েছে।

 

উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, মনে কর তুমি এখন নরওয়ে বসে সূর্যদয় দেখছো। কিন্তু তুমি আসলে তোমার বাসায় টেবিলে বসে আছ। কিন্তু তোমার কল্পনায় তুমি নরওয়েতে আছ। এখন ভাবতো তোমার আশেপাশে কি দেখছ? তুমি দেখছো আমার পাশে আমার ছোট ভাই তনু। সে তোমাকে বলছে ভাইয়া সূর্য দেখতে সুন্দর না। এই দেখ ভাইয়া এই একটা গাছ কত বড়। তুমি বললে আরে কথা বলিস না। ভাল করে দেখ কুয়াশার মধ্য দিয়ে আলো আসছে। তনু বললো ভাইয়া এইটাতে তুমি সুন্দরের কি দেখলে?

 

এই কথাগুলো তোমার কল্পনায় বয়ে চলছে। আর তুমি খাতা কলম নিয়ে লিখতে থাকলে। একদিন অনু আর তনু মিলে নরওয়েতে সূর্যদয় দেখতে গেল। তাদের সাথে তার মা-বাবাও ছিল। নরওয়েতে সূর্যদয় অনেক সুন্দরভাবে দেখা যায়। আর  অনু তার বইয়ে পড়েছিল সেই সূর্যদয় সম্পর্কে।

 

 

তাই এইবার অনুর সেই সুয়োগ হয়েছে কারণ তারা এখন নরওয়েতে আছে। কিন্তু অনুর ছোট ভাই তনু বলে ভাইয়া সূর্য দেখা আবার কোন সুন্দর এর বিষয় হলো নাকি? এই দেখ ঐ পাশে কত বড় একটা গাছ। দেখ ভাইয়া দেখ। অনু রেগে বলে তনু বিরক্ত করিস নাতো। দেখ ঘন কুয়াশার মাঝে একটু একটু আলো দেখা যাচ্ছে।

 

এইবার এই দুটো প্যারা লক্ষ্য করে দেখ। প্রথমে তুমি তোমার মনের মধ্যে থাকা কথা গুলো লিখেছ। এরপর সেই কথা গুলোই তুমি লিখেছ কিন্তু তুমি আর তুমি নও। তুমি হয়ে গেলে অনু আর তোমার ভাই হলো তনু। আর একজন রাইটার হওয়ার প্রথম পরীক্ষা হচ্ছে এটাই যে তুমি তোমার কল্পনার বিষয়গুলো লিখতে পার কিনা। যদি তুমি যা ভাব তাই লিখতে পার তাহলে তুমি অলরেডি রাইটার হয়ে বসে আছ।

 

আরো পড়তে পারঃ

 

 

রাইটারদের বড় গুন চিন্তা করতে পারা। সধারণত আমরা অধিকাংশ মানুষ চিন্তার কৌশল জানি না। তুমি হয়ত অবাক হয়ে বলবে আরে কি বলে!!!  সবাইতো চিন্তা করতে জানে, আর আমিতো চিন্তার ঠেলায় ঘুমাতেই পারি না। চিন্তার আবার কৌশল কি? হ্যাঁ, চিন্তারও কৌশল আছে।

 

ধর তোমার বন্ধুর আগামীকাল জন্ম দিন। এখন তুমি ভাবছ যে কালকে তার জন্য কি গিফট নিয়ে যাবে। ভাবতে ভাবতে তোমার মনে হল গতবার এমন সময় আমরা অনেক ধূমধাম করে ওর জন্মদিন পালন করেছিলাম। ওর জন্য কেইকটা এনে ছিলাম বেস্ট ফুড শপ থেকে।

 

 

আচ্ছা বেস্ট ফুড এত জনপ্রিয় হলো কেন? ওদের সবগুলো খাবারই অনেক মজার। বেস্টফুড এর পাশের দোকানটা আমার বন্ধু রাহাতদের। রাহাতের বাবা অনেক গরীব ছিল কিন্তু এখন রাহাতরা কত বড় লোক। একদিন আম্মা কে নিয়ে রাহাতদের বাসায় যাব। আম্মা অবাক হয়ে যাবে যদি রাহাতদের বাসায় যায়। রাহাতের আম্মা অনেক মজার মজার পিঠা বানায়।

 

 

ভেবে দেখেছ কি হচ্ছে তোমার চিন্তায়। তুমি চিন্তা করতে শুরু করেছিলে । আগামীকালতোমার বন্ধুর জন্মদিনে কি গিফট দিবে আর এখন তুমি চিন্তা করছ রাহাতের আম্মা অনেক মজার মজার পিঠা বানায়। আমরা অধিকাংশ মানুষ এইভাবেই চিন্তা করতে থাকি। আর এইখানেই চিন্তা আর কল্পনার পার্থক্য। মনের মধ্যে যা আসছে তাই ভাবার নাম কল্পনা। কিন্তু চিন্তা হচ্ছে কোন কিছু মাথায় আসলে তার সমাধান খুঁজে বের করা। যে বিষয়টা মাথায় এসেছে তাকে নানা ভাবে প্রশ্ন করে করে কোন একটা গন্তব্যে যাওয়া।

 

 

যেমন, আগামীকাল আমার বন্ধুর জন্মদিন। আচ্ছা আমি একা একটা গিফট দিব নাকি সব বন্ধুরা মিলে গিফট দিলে ভাল হয়? না, আমি একাই দিব। কিন্তু কি দিব? গতবার আমি ওকে একটা বই গিফট করেছিলাম এইবার ওকে অন্য কিছু দিলে ভাল হবে। কিন্তু ওতো বই খুব পছন্দ করে। তাহলে বই দিলেই মনে হয় ভাল হবে। কয়দিন আগে ও বলছিল ওর একটা ভাল পারফিউম নেই। 

 

 

তাহলে কি একটা পারফিউম কিনবো? কিন্তু পারফিউম কিনতেতো অনেক টাকা লাগবে। এত টাকা আম্মু দিতে রাজি হবে কি? না না থাক আম্মুর কাছে চাইবো না। থাক ওর পছন্দের জাফর ইকবাল স্যার এর একটা বই দিয়ে দিব। তুমি নানা বিষয় মাথায় নেয়ার পর এখন একটা সিদ্ধান্তে এসেছ যে তুমি তোমার বন্ধুর জন্ম দিনে একটা বইই গিফট করবে। আর এর জন্য আগে কত কিছুই না ক্যালকুলেশন করেছ। তাই না?

 

গতবার আমরা বেস্ট ফুড শপে ওর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। তাহলে এইবার কোথায় গেলে ভাল হয়? শহরে নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে। ওখানে গেলেই মনে হয় ভাল হবে। কিন্তু এটাতো অনেকটা দূর হয়ে যাবে। তাহলে কি যাওয়া ঠিক হবে?

 

আর শাওনের আম্মু রাজিও হবে না, এই রাতের বেলা বাসা থেকে বের হয়ে যাব। আর ওর আত্মীয়-স্বজন রাও তো আসবে। আমরা বন্ধুরা যদি ওকে নিয়ে চলে যাই তাহলেতো শাওনের আত্মীয়-স্বজনরা বিরক্ত হবে। না তাহলে আমরা এইবার ওদের বাসায়ই আয়োজন করবো।

 

 

কি কিছু বোঝা যাচ্ছে? তুমি কি এইভাবে প্রশ্ন করে করে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক তা বুঝে বুঝে সিদ্ধান্ত নাও? যদি এইভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তা করতে পার তাহলে রাইটার হওয়া আর কে ঠেকায়। আর যদি আগের মত একটার পর একটা চিন্তা করতে থাক তাহলে শুধু চিন্তা করতে করতে জীবন পার করে দিতে পারবে কিন্তু রাইটা হওয়া তোমার কপালে নেই।

 

তাই মনে রাখ মাথায় যা আসে তাকে চিন্তা বলা যাবে না। চিন্তা হলো একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে তুমি তোমার প্রয়োজন বা উদ্দেশ্যকে পূরণ করবে। আর সেই জন্য প্রশ্ন-উত্তর মেথড ব্যবহার করে একটার পর একটা যৌক্তিক বা শিল্পের যৌক্তিকতা বের করে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। তাই সঠিক উপায়ে চিন্তা করা একজন রাইটার এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তুমি কি এইভাবে
চিন্তা করতে পার?

 

আরো পড়ুন: 

 

 

 

আজকে সকালে উঠে তোমার মনটা খারাপ। কিন্তু কেন খারাপ? গতকাল রাতে ভেবে ছিলে স্কুলে যাবে না। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে আম্মু জোড় করে তুলে নিয়ে গেল স্কুলে। প্রথমে রিকশায় উঠে তুমি মন খারাপ করে মা কে জিজ্ঞেস করলে। আম্মু, নানু কি তোমাকে খুব বেশী লবণ খাওয়াতো? আম্মুর জিজ্ঞেসা- কেন লবণ খাওয়াবে কেন?

 

 

না কিছু মনে করো না- তুমি যখন আব্বুর সাথে ঝগড়া কর তখন আব্বু আমাকে বলে, তোর মা লবণ খেয়ে বড় হয়েছে তাই তিতা কথা বের হয়। মধু মনে হয় জন্মের পর একদিনও খায় নি। আম্মু হেসে দিয়ে বলে, খুব পাকনা হইছিস। আজকে তোর আব্বু অফিস থেকে ফিরলে জিজ্ঞেস করবো। তোকে কি আসলেই এইসব কথা বলেছে কি না। আম্মু , এটা তো তোমার আর আমার মধ্যে কথা তাহলে আব্বুকে কেন বলতে হবে। আম্মু বলে মিথ্যা বলা ভাল না। তুমি তোমার আম্মুকে বললে শোন আম্মু- দিনের শুরুতে কারও ঘুম ভেঙে কষ্ট দেয়ার চেয়ে ছোট ছোট মিথ্যা বলা অনেক ভাল।

 

 

হা-হা-হা, আম্মু হাসতে হাসতে রিক্সা থেকে নেমে রিক্সা ভাড়া দিল। আর বললো – শোন আমি তোর ফরিদা আন্টির বাসায় যাচ্ছি। স্কুল ছুটি হলে আসবো। তুই থাকিস স্কুলে। আম্মু চলে যাওয়ার সাথে সাথেই তোমার বন্ধু হাসান আসলো। দুই বন্ধু মিলে আইসক্রিম কিনে খেলে। তারপর আজকের হোমওয়ার্ক নিয়ে কথা বলতে বলতে স্কুলে ঢুকলে।

 

এইটা তোমার গল্প। এখন এর সাথে অন্য আর একটা নতুন ঘটনা তুমি যোগ কর। যদি এই ঘটনার সাথে নতুন আরও ঘটনা তুমি যোগ করতে পার তাহলেই তুমি রাইটার।

 

তোমার সুবিধার জন্য কিছু ধারণা দিচ্ছি। যেমন, তুমি আর তোমার আম্মু রিকশা করে স্কুলে যাচ্ছ। হঠাৎ করেই কাকতালীয়ভাবে তোমার নানার সাথে দেখা। যিনি তোমাদের বাসার দিকেই যাচ্ছে। এরপর তুমি নানাভাইকে দেখে আম্মুকে বললে আম্মু আজকে আর স্কুলে না যাই। নানাভাই আসছে একটু ঘুরতে বের হবো। এরপর নানাভাই এর সাথে কি হল? বাকীটা তুমি লিখার চেষ্টা কর।

 

 

অন্য আর একরকম হতে পারে। তুমি আর আম্মু স্কু্লের দিকে যাচ্ছ। হঠাৎ করে দেখলে কয়েকজন ছেলে অন্য একটা ছেলেকে পেছন থেকে তাড়া করছে। আর ঠিক তোমাদের রিকশার সামনে এসে ছেলেটা পড়ে গেল। বাকি ছেলে গুলো সেখানেই পড়ে যাওয়া ছেলেটোকে মারতে শুরু করেছে। তোমার আম্মু রিকশা থেকে নেমে যারা মারধর করছে তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। এরপর ভাব কি হতে পারে?

 

 

তুমি আর আম্মু স্কুলে যাচ্ছ। হঠাৎ করে রিকশা উল্টে গিয়ে তুমি ব্যাথা পেয়েছ। তখন তুমি আম্মুকে বললে তোমাকে আগেই বলেছিলাম আজকে স্কুলে যাওয়ার দরকার নাই। তুমি ব্যাথা পেয়েছ বলে তোমার আম্মু কান্নাকাটি শুরু করে দিল। এরপর তুমি লিখার চেষ্টা কর। কি হতে পারে এরপর?

 

তুমি আর তোমার আম্মু রিকশা করে স্কুলে যাচ্ছ। হঠাৎ তোমার বাবা ফোন দিল তোমার আম্মুকে। আর আম্মু তোমাকে খুব করে বকা দিচ্ছে। পড়াশোনা করিস না, খালি সারাদিন খেলা আর খেলা। এমন সময় ফোন আসাতে বিরক্তি নিয়ে ফোন রিসিভ করে আম্মু। তখন বাবা বললো শোন খুশীর সংবাদ আছে। কি হয়েছে?

 

 

আরে আজকে আমার প্রমোশন হয়ে গেছে। আম্মু, প্রচন্ড রাগ থেকে হঠাৎ করে হেসে বলে সত্যি বলছো তুমি? ফোন রাখতেই, তুমি জিজ্ঞেস করলে আম্মু কি হয়েছে? আরে তোর আব্বুর প্রমোশন হয়ে গেছে। আম্মু তাহলে আজকে আর স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। চল বাবার অফিসে গিয়ে বাবাকে সারপ্রাইজ দিয়ে আসি। এরপর তুমি লিখার চেষ্টা কর, কি হতে পারে এরপর?

 

 

দেখেছ, কিভাবে ঘটনা গুলো ঘটছে? কোনটা আনন্দ, কোন টা আতঙ্ক, আর কোনটা অন্যকে সাহায্য করা, কোনটা দুঃখ, কোনটা শুধুই বাবা-মায়ের শাসন নিয়ে ঘটে যাচ্ছে ঘটনা। অথচ বাস্তবে তোমার সাথে কিছুই ঘটে নি। তোমার আম্মু তোমাকে স্কুলে দিয়ে আসে আর তিনি চলে যান তোমার আন্টির বাসায়। আর তুমি আইসক্রিম খেয়ে বন্ধুর সাথে গল্প করেতে করতে স্কুলে চলে যাও। আর এই বাস্তবকে কেন্দ্র করে তুমি যদি এইভাবে নতুন নতুন ঘটনা যোগ করতে পার তাহলে বুঝে নিবে তোমার রাইটার হওয়ার শতভাগ যোগ্যতা আছে।

 

আর গল্প বা ঘটনা কিভাবে হাসি-কান্না, আতঙ্ক, বেদনা, শাসন ইত্যাদি অবস্থাকে প্রকাশ করে তাতো নিশ্চয় আগের ঘটনা গুলোর মাধ্যমে বুঝেই গেছ। এখন এইভাবে বাস্তব ঘটনাগুলোর সাথে তুমি চিন্তা করে নতুন নতুন ঘটনা যোগ করে দেখ। যদি নতুন ঘটনা যোগ করে লিখতে পার তাহলে তুমি রাইটার।

 

 

  • অন্য কারও লিখা পড়লে তা নিজের মত করে সাজানো
 
মনে কর তুমি কোন একজন রাইটার এর লিখা পড়ছ। সেটা গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নিউজ, প্রবন্ধ বা অন্য যে কোন লিখা হতে পারে। আচ্ছা কখনও কি এমন হয়েছে যে, তোমার কাছে মনে হয়েছে এই লিখাটা এইভাবে না লিখে অন্য রকম হলে ভাল হতো। যদি অন্য কারও লিখা পড়লে আবার তুমি নিজের মত করে সাজাও তাহলে তুমি ধরে নাও রাইটার হওয়ার পথ তোমার জন্য খোলা। এখন এই অভ্যাসটাকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে আর লিখার চেষ্টা করতে হবে।

 

কি? ব্যাপারটা কি কঠিন মনে হচ্ছে? কোন সমস্যা নেই একটা উদাহরণ দিলেই একদম পানির মত সহজ হয়ে যাবে।

 

ধর, তুমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ছুটি গল্পে পড়ছ। ওখানে ফটিক তার মামার সাথে শহরে চলে যায় এবং সে দুরন্তপনা ছেড়ে শহরের আবদ্ধ জীবনে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারছিলনা। অবশেষে ফটিক অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এখন তুমি যখন পড়ছ তখ্ন অন্যভাবে চিন্তা কর।

 

ফটিক একবার তার মার সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায় । এরপর ট্রেনে উঠে শহরে চলে যায়। কিন্তু তখন সে একটা ছেলেধরার পাল্লায় পড়ে এবং তাকে নিয়ে যেতে চায়। এমন সময় কলকাতা শহরে তার মামার সাথে দেখা হয় এবং মামার সাথে তাদের বাসায় চলে যায়। এরপর মামা ফটিককে অনেক দিন তার বাসায় রেখে দেয়। অবশেষে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসায় তার আর ভাল লাগে না। আবার মামা তাকে একা যেতেও দিবে না। অবশেষে ফটিক অসুস্থ হয়ে মারা যায়।

 

 

ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছ? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গল্পে বলেছেন শহর থেকে তার মামা আসে। মামা ফটিককে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে যায়। আর ফটিক শহরে যাওয়ার জন্য সেচ্ছায় তার মামার সাথে রওনা হয়। কিন্তু তুমি গল্পের ছক তেরী করেছ অন্যভাবে। যেখানে ফটিক তার মার সাথে রাগ করে ট্রেনে উঠে এবং ভুল করে শহরে চলে যায়।

 

 

আর শহরে চলে যাওয়ার পর সে বুঝতে পারে যে, সে যেটা করেছে তা ঠিক নয়। আর তখন তার মামাকে সে স্টেশানে দেখতে পায়। তারপর মামার সাথে মামার বাসায় চলে যায়। এরপর শহরের আবদ্ধ জীবনে থেকে সে অসুস্থ হয়ে মারা যায়।

 

 

বুঝতে পারলে এখন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গল্পে যে পরিণতির কথা বলেছেন তা সবই ঠিক আছে কিন্তু তুমি মাঝখানে অন্যভাবে গল্পটি সাজিয়েছ। আর এইভাবে অন্যের গল্প পড়ার সময় যদি তুমি নিজের মত করে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে পার,  তাহলে তুমি ধরে নিতে পার  রাইটার হওয়ার সম্ভাবনা তোমার মধ্যে আছে। তাই যখনই কিছু পড়তে থাকবে তা নিজের মত করে সাজাতে পার কিনা তা দেখবে। আর এভাবে যদি প্র্যাকটিস করতে থাক তাহলে দেখবে একদিন রাইটার হয়ে গেছ।

 

পড়ুনঃ

 

 

পুনরায় কোন কিছু লিখতে পারা

 

একজন রাইটার এর অন্যতম গুন হল রি-রাইট করতে পারা। ধর তুমি কোন একটা লিখা পড়ছ। সেটা কোন একটা নিউজ, আটিকেল, প্রোডাক্ট রিভিউ, চিঠি বা অন্য যেকোন লিখা হোক না কেন সেটা তুমি তোমার মত করে লিখবে। বিষয়বস্তু একই থাকবে কিন্তু তুমি তোমার ভাষায় লিখবে। তাহলে অন্যের লিখাটা তুমি তোমার মত লিখতে পারলে ধরে নিতে পর যে, রাইটার হওয়ার জন্য খুব বেশী কষ্ট করতে হবে না তোমাকে।

 

আর এই রি-রাইট এর কাজটি তুমি আনন্দের সাথে মজা নিয়েই করতে পারবে। পরীক্ষার পড়ার মত জোড় করে করতে হবে ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। তাই কারও লিখা পুনরায় নিজের মত লিখতে পারা হলো একটা অন্যতম পরীক্ষা রাইটার হওয়ার জন্য। কিন্তু মাথায় থাকতে হবে লিখার মূল বিষয় যেন না বদলে যায়। আর যদি বিষয় বদলে যায় তাহলেতো আর কথায় নেই। তুমি রাইটার হওয়ার মধ্যম স্টেইজে আছ।

 

 

এখন আস নিজের লিখা রি-রাইট করার ব্যাপারে। ধর তুমি আজকে কোন একটা কবিতা, ঘটনা, গল্প লিখেছ। কিছুক্ষণ পর বা আগামীকাল আবার নতুন করে লিখতে পারবে? হ্যা, এটাই পরীক্ষা। আবার নতুন করে নতুন চিন্তা নিয়ে আগের লিখাটি লিখার চেষ্টা কর। যদি এই পরীক্ষায়ও তুমি সফল হয়ে যাও, তাহলে তুমি যে রাইটার তাতে আর কোন সন্দেহ রাখার দরকার নেই।

 

এখন বলতে পার, আরে এইগুলো পারলেই কি রাইটার হওয়া যায়? আরও গুন থাকতে হবে। আমি তোমার সাথে একমত কিন্তু যেকোন রাইটার তার প্রথম জীবনে এই ধরণের কাজ গুলোই করত। এরপর আস্তে আস্তে নিয়মিত প্র্যাক্টিস করার মাধ্যমে তারা বড় রাইটার হয়েছেন। তাই পুনরায় লিখা বা রিরাইট করার মাধ্যমে তুমি বুঝতে পারবে যে, তুমি রাইটার হতে পারবে।

 

আমি রাইটার তা কিভাবে বুঝবো?

 

 

  • বাক্য ও শব্দ নিয়ে খেলতে পারা

একজন রাইটার এর অন্যতম ক্ষমতা হলো বাক্য ও শব্দ গঠনে। যারা ভাল রাইটার তারা বাক্য ও শব্দ নিয়ে খেলতে পারেন। একই বাক্যকে তারা নানাভাবে লিখতে পারেন। যেমন ধর তুমি কোথাও ইচ্ছা শব্দটা পেয়েছ। কিন্তু ইচ্ছা শব্দেরই আর একটা সমার্থক শব্দ হলো প্রয়াস। উদাহরণ- আমার রাইটার হওয়ার ইচ্ছা আমাকে বহুদূর নিয়ে যাবে। আর একদিন আমি সফলতার শিখড়ে যাবই, ইনশাল্লাহ।

 

 

ঠিক এই বাক্যটাতেই তুমি যদি লিখ- আমার লেখক হওয়ার প্রয়াসই আমাকে দূর থেকে বহু দূরে নিয়ে যাবে। আর একদিন আমি সফল গন্তব্যে পৌঁছাবো, ইনশাল্লাহ।

 

 

এই বাক্য আবার- আমি সফলতার চরম শিখড়ে পৌঁছাবো শুধুমাত্র লেখক হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকার কারণে।

আবার- আমি বহুদূর যাব আর সেখানে রাইটার হওয়ার ইচ্ছাই আমাকে নিয়ে যাবে, তখন আমি সফলতার সর্বচ্চ চূড়ায় পৌছাবো, ইনশাল্লাহ।

আবার- আমার সফলতার চরম সীমায় যেতে রাইটার হওয়ার ইচ্ছায়ই যথেষ্ট।

আবার- রাইটার হয়ে বহদূর যাব, সফলতাকে ছিনিয়ে আনব।

আবার- রাইটার হব, বহুদূর যাব। সফলতার সীমানায় ডানা মেলে উড়ব।

 

 

দেখলেতো একটি বাক্য কতভাবে লিখা হলো। এখানে এক জায়গায় ইচ্ছা এবং অন্য জায়গায় প্রয়াস ব্যবহার হয়েছে। বাক্যের অর্থ এক থাকলেও আবেদনটা একেক জায়গায় একেক রকম হয়েছে। তাই শব্দ নিয়ে খেলতে পারা রাইটার এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

 

 

আর তুমিও চেষ্টা করে দেখ এইভাবে শব্দ নিয়ে খেলা করতে পার কিনা। যদি অন্য কারও লিখা পড়তে থাক তখন অর্থ না বদল করে বিভিন্ন শব্দ সংযোজন বা বিয়োজন করার মাধ্যমে শব্দ নিয়ে খেলা শুরু করে দাও, যদি পার তাহলে বুঝে নাও রা্ইটার হওয়া তোমার স্বভাবেই আছে/বা স্বভাবগত। দেখেছ এখানে স্বভাবেই আছে আর স্বভাবগত দুটো শব্দ এক অর্থ প্রকাশ করছে। কিন্তু স্বভাবগত শব্দটি কত ভাল লাগে। তাই না? সেজন্য স্বভাবেই আছে ব্যবহার না করে স্বভাবগত শব্দটিই ব্যবহার করা উচিৎ বলে আমার মনে হয়। তোমার কি মনে হয়?

 

 

  • এখন আসি বাক্য গঠনে

 

উপরে একবার উদাহরণ দিয়ে আসলাম, যে একই বাক্যকে কতভাবে লিখা যায়। একই অর্থ কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল এবং আলাদা আলাদাভাবে সাজানো। আমার লেখক হওয়ার প্রয়াসই আমাকে দূর থেকে বহু দূরে নিয়ে যাবে। আর একদিন আমি সফল গন্তব্যে পৌঁছাবো, ইনশাল্লাহ। আমার সফলতার চরম সীমায় যেতে রাইটার হওয়ার ইচ্ছায়ই যথেষ্ট। আমি সফলতার চরম শিখড়ে পৌছাবো শুধুমাত্র লেখক হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকার কারণে।

 

 

এই তিনটি বাক্য একই অর্থ প্রকাশ করলেও বাক্য গঠনটি কিন্তু ভিন্ন। আর এইভাবে বাক্য নিয়ে কেমন খেলতে পার একবার পরীক্ষা করে নাও। যদি মনে কর তুমি পারছ, তাহলে তুমি রাইটার তা বলতে আর কেন দ্বিধা, আর কেন সন্দেহ রইবে মনে। এখানে দেখ দ্বিধা এবং সন্দেহ একই কথা তারপরও ব্যবহার করেছি দুটি শব্দই। কেন ব্যবহার করলাম? কারণ আমার ইচ্ছা, নাকি প্রয়াস। কোনটা? আসলে বলতে ভাল লেগেছে তাই লিখে ফেলেছি। এতকিছু ভেবে কি লিখা যায়?

 

 

না আসলেই এত গ্রামার মেনে মেনে লিখা যায় না। কিন্তু লিখতে লিখতে একটা সময় লিখার মধ্যে এমনেতেই গ্রামার চলে আসে। তাই তুমি রাইটার কি না তা বোঝার জন্য বাক্য আর শব্দ দিয়ে নিজেকে আগে পরীক্ষা করে নাও।

 

  • নানা কিছু নিয়ে ভাবতে আর লিখতে ভাল লাগে
 
লেখকরা ভাবুক হয়। তারা নানা কিছু নিয়ে ভাবে। কখন কি ভাবে তা হয়ত নিজেই মাঝে মাঝে জানে না। মূল কথা ভাবতে ভাল লাগে। কখনও সমাজ নিয়ে, কখনও পরিবার. আবার কখনও বন্ধু-বান্ধবী তো আবার কখনও অন্যের হাসি-কান্না ইত্যাদি নানা কিছু নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে। তোমারও কি এমন হয়? আমার এমন হয়। সারাদিনই কোন না কোন কিছু নিয়ে ভাবতেই থাকি। যে কা্রণে বোঝতে পারি আমি রাইটার।

 

আবার তুমি যদি কোন কিছু লিখ তাহলে কি ভেতরে অনেক আনন্দ হয়? যদি এমন হয় যে, তুমি কিছু লিখার পর খুব আনন্দ হচ্ছে এবং কাওকে না কাওকে লিখাটা পড়ে শোনাতে মন চাচ্ছে অথবা কেউ লিখা পড়ে প্রশংসা করবে তা মন থেকে তুমি চাইছ। তাহলে তোমার মাঝে রাইটার হওয়ার বীজ অলরেডি রোপন করা আছে। তাই লিখার মাধ্যমে নানা বিষয় তুলে ধরা রাইটার হওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

 

  • তথ্য সংগ্রহ ও গুছিয়ে ব্যবহার করা
 

এখন কথা বলি বর্তমান সময় এর বাজার চাহিদার উপর। বাজারে এখন কন্টেন্ট রাইটার এর ধুমধুমাকার ব্যাপার-স্যাপার। কারন কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা যায়। আর এটাই মূল কারণ কন্টেন্ট রাইটারদের এত কদর বাড়ার জন্য। কথা হলো এই রাইটাররা শুধু মাত্র তথ্যকে পুঁজি করে হয়ে যাচ্ছে সফল রাইটার। কন্টেন্ট রাইটাররা অনলাইন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা সাজিয়ে গুছিয়ে একটা লিখা তৈরী করে।

 

 

তাই তুমি যদি তথ্য সংগ্রহ করে তা সুন্দর করে গুছিয়ে কোন লিখা লিখতে পার তাহলে তুমি রাইটার। তথ্য সংগ্রহ করা এবং তা দিয়ে কোন নতুন লিখা লিখতে পারা কিন্তু খুব সহজ কাজ না। তাই তুমি কোন একটা টপিক সিলেক্ট কর এবং গুগুল থেকে তা সার্চ দিয়ে তথ্য বের কর।

 

 

তারপর সেই তথ্য গুলোকে সুন্দর করে রান্না (সাজানো) কর। যদি মনে কর রান্না শেষ তখন এই টপিক এর অন্য প্রবন্ধগুলো গুগুল থেকে পড়। এখন তাদের লিখা আর তোমার লিখার মধ্যে পার্থক্য নিজে নিজে খুঁজে বের কর। যদি মনে হয় তাদের মত করে ৪০% লিখতে পারছ তাও ধরে নিতে পার তুমি রাইটার।

 

আর এইভাবে পরীক্ষা করার মধ্য দিয়ে যদি তুমি বোঝ যে এই প্রতিটি অথবা অধিকাংশ বিষয় তোমার মাঝে আছে তাহলে আর সংশয় বা দ্বিধা রাখার দরকার নেই। নিজেকে নিজে একবাক্যে বলে দিবে আমি রাইটার।

 

 

আমরা অনেকে নিজেকেই নিজে রাইটার ভাবতে পারি না, তাহলে অন্য আর একজন কিভাবে রাইটার হিসেবে আমাকে মূল্যায়ন করবে? তাই নিজেকে নিজে আগে বিশ্বাস করাও আমি রাইটার । আর এই বিশ্বাসটুকুই একসময় তোমাকে রাইটার করে তুলবে। আর রাইটার হিসেবে নিজেকে পরীক্ষা করার উপায়গুলো তো আমি এখানে বলেই দিলাম, তাহলে আজ থেকেই একটি একটি করে পরীক্ষা শুরু করে দাও। যদি পরীক্ষায় পাশ কর তাহলে আমার জন্য এক কেজি মিষ্টি পাঠিয়ে দিও। কারণ মিষ্টি আমার খুবই পছন্দ।

 

 

আরো কিছু বিষয় বাদ রয়ে গেল । এই লিখাটাই অনেক বড় হয়ে গেছে তাই পরের লিখাতে আরো নানা বিষয় যুক্ত করবো বলে আশা করছি। এরপরের  লিখা আসবে কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে, সে পর্যন্ত ভাল থাক আ্ল্লাহ হাফেজ।

 

 

0 thoughts on “আমি রাইটার তা কিভাবে বুঝবো? Best 2024”

Leave a Comment