JANA BUJHA

অনলাইন কোর্স কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে? / Best 2024

আপনি কি একজন ছাত্র, নাকি একজন চাকুরিজীবী না কি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাচ্ছেন? আপনি যে পেশা বা কাজের সাথেই জড়িত থাকেন না কেন, এই প্রতিযোগীতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনাকে নানা বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে (অনলাইন কোর্স )।
আর এই দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার দিন দিন উন্নয়ন ঘটছে। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন সবাই খুব সহজেই কোন কিছু শিখতে চাচ্ছে। আর অনলাইন কোর্স তেমনি একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে সহজেই কোন কিছু শিখতে পাচ্ছেন।
'অনলাইন কোর্স' কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে?

 

 

অনলাইন কোর্স কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে?

 

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রতিযোগীতার বাজারে টিকিয়ে রাখতে অনলাইন শিক্ষা গ্রহন অনেকাংশে অবধারিত। তাই এই লিখার মাধ্যমে অনলাইন কোর্স এর সুবিধা এবং জনপ্রিয়তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

 

 

আপনি যদি ভিন্ন গ্রহে বসবাস না করেন তবে নিশ্চয়ই ই-লার্নিং বিষয়ে শুনেছেন। এককথায় বলতে গেলে বলতে হবে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে শিক্ষা হচ্ছে ই-লার্নিং ।

 

 

আর ই-লার্নিং হচ্ছে টোটাল প্রক্রিয়ার নাম। আর  এই প্রক্রিয়ায় নানা বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক বা মেন্টর কোন একটা বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এই শিক্ষা দানের জন্যই তারা অনলাইন কোর্স চালু করেন।

 

 

 অনলাইন কোর্সের সুবিধা সম্পর্কে জানেন না বা কেবল জানতে চান তাদের জন্য, এখানে অনলাইন কোর্সগুলি ঠিক কী এবং কেন সেগুলি বিবেচনা করা উচিত তার একটি ধারণা তুলে ধরা হচ্ছে।

 

 

অনলাইন কোর্স কি?

 

 
অনলাইন কোর্স, ই-লার্নিং এবং দূরত্ব শিক্ষা সবই এক। সবই ইলেকট্রনিক মাধ্যমে হয়। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ডেস্কটপ বা মোবাইল ডিভাইসসহ যে কোন ডিভাইস যাতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে কাজ করা যায় তার
সাহায্যে কোন একটা স্পেসিফিক বিষয়ে কোন একজন মেন্টর এর কাছ থেকে জানা বা শিক্ষা লাভ করা হলো ‘অনলাইন কোর্স’ । একজন শিক্ষক বা বিশেষজ্ঞ কোন বিষয়ে অন্যকে শিখানোর জন্য যে সাজানো গাইডলাইন প্রস্তুত করে তাই হচ্ছে কোর্স।
আর এই কোর্স যখন ছাত্র –ছাত্রীরা অনলাইনে শিখে তখনই তা ‘অনলাইন কোর্স’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আরো পড়ুনঃ

 

 

 

 

সাধারণত, এই কোর্সগুলি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ পরিবেশের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। অনলাইনে কীভাবে অধ্যয়ন করা যায় তা নিয়ে অনেকেরই আশ্চর্য হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।

 

 

অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণের এর চেয়ে আর কোন সহজ পদ্ধতি হতে পারে না। কেননা যে কেউ ২৪/৭  অ্যাক্সেস পায় অনলাইনে যার জন্য শুধুমাত্র একটি ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। সম্পূর্ণ নমনীয় এবং বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে সম্পন্ন করা যেতে পারে শিক্ষাগ্রহণ।

 

 

কেন মানুষ অনলাইনে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে?

 

 
ই-লার্নিং শিল্প ২০০০ সাল এর পর থেকে ৯০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু অনলাইন কোর্সগুলি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গতানুগতিক শিক্ষাদানের প্রক্রিয়া থেকে ভিন্ন ও সহজ। তাই অনেক ক্ষেত্রে এটি শিক্ষাদান এবং গ্রহণের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে।
 
যে কোন দেশে অবস্থান বা যে কোন জায়গা থেকে নিজের সুবিধা মত সময়ে শিক্ষাগ্রহন করা যাচ্ছে। তাই ব্যস্ত মানুষজন নিজেকে সমৃদ্ধ করতে অনলাইনকেই বেছে নিচ্ছে।
এক গবেষণায় দেখা যায় , ৬০% এর মতো অনলাইন শিক্ষার্থী আছে যারা কোন না কোন পেশায় জড়িত এবং ফুল টাইম কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। আবার ৪৬% অনলাইন শিক্ষার্থী তাদের কর্মজীবনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনলাইন কোর্স করে থাকে।

 

 

 

সহজ,নমনীয়, যে কোন অবস্থান থেকে অংশগ্রহন, অল্প খরচ, সময়ের অপচয় রোধ, অনেক শিক্ষক বা মেন্টর পাওয়া যাওয়া, ক্লাস সংরক্ষন করে রাখতে পারা, সুবিধামত সময় কে বেছে নেয়া ইত্যাদি  নানা সুবিধার জন্যই মানুষ অনলাইনে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে।

 

 

‘অনলাইন কোর্স’ কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

 

  • ক্লাসরুমে যাতায়াতের প্রয়োজন ছাড়াই নিজের ঘরে বসে কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে গড়ে উঠা যায়।

 

  • পছন্দমত শিক্ষক বেছে নেয়া যাচ্ছে।

 

  •     ভিডিওর মাধ্যমে যেহেতু ক্লাস সংরক্ষন করে রাখা যাচ্ছে তাই বারবার ভিডিও দেখে সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে।

 

  •     সাধারণত প্রতিটি কোর্স এর সিলেবাস দেয়া থাকে এবং কোর্স নিয়ে আলোচনা থাকে যে কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা জানতে পারে যে আমারা কি শিখতে পারব।

 

·       


একজন ই-লার্নিং টিউটরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন। একজন বিশেষজ্ঞ আপনার প্রশ্নের পথনির্দেশ, অনুপ্রাণিত এবং উত্তর দিতে থাকবেন। এই টিউটররা আপনার পড়াশোনার সময় আপনাকে ট্র্যাকে রাখতে নির্ধারিত চেক-আপগুলিও প্রদান করবে।

 

·
শ্রেণীকক্ষের চাপ নেই – সবাই একটি বড়, শ্রেণীকক্ষ ভিত্তিক পরিবেশে শিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। ই-লার্নিং সেই চাপকে সরিয়ে দেয়।

 

   অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে আপনি আপনার শেখার গতির দায়িত্বে থাকেন – কোন তাড়াহুড়ো না করার অর্থ হল আপনি আপনার বিষয়ের ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক, গভীরভাবে বোঝার ও জানার ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজের জ্ঞনকে বিকাশ করাতে পারেন।

 

·
চাকরীর সুযোগ- আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠেন তখন আপনি সারা পৃথিবী ব্যাপি চাকুরীর সুযোগ পাচ্ছেন।

 

·
ছাত্র-ছাত্রীদের কোন বয়স সীমা না থাকার কারণে আপনি অনলাইনে অনেক অভিজ্ঞ সহপাঠীও পেয়ে যাচ্ছেন। কেউ হয়ত কোন একটি প্রতিষ্ঠানের সি.ই.ও।

 

    তার কোন একটা বিষয়ে স্কিল নাই থাকতে পারে। যখন তিনি আপনার সাথে একই মেন্টর এর কাছে একই বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে তখন আপনিও তাঁর সাথেই শিখছেন।

 

 

আর গতানুগতিকশিক্ষাব্যবস্থায় আপনি কখনও এমন সহপাঠী কল্পনাও করতে পারেন না। আপনার যদি চাকুরীর দরকারহয় তখন সেই সি.ই.ও কে বললে আপনি হয়ত তার কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে পারেন। অনলাইন আপনার পরিচিতির পরিধী বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

·       


অনলাইনে শিখাতে কোন সমস্যা হলে আপনি শিক্ষককে যে কোন সময় পাচ্ছেন। তাকে তাৎক্ষণিক পাওয়া না গেলেও টেক্সট করে রাখতে পারছেন আপনার সমস্যার কথা জানিয়ে। যার ফলে উনী তার সুবিধামত সময়ে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারছেন। যা অফলাইনে হয়ত সম্ভব নয়।

 

·
অনলাইনে পড়ানোর ক্ষেত্রে এসেছে আধুনিকতা। অনেক শিক্ষক এখন পাঠকে সহজ করার জন্য এনিমেশন এর মাধ্যমে ছবি, ভিডিও, চিত্র একে বুঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

 

 

    তাছাড়া যে কোন বিষয়ে উদাহরণ দেয়া অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে কেননা যে কোন বিষয় গুগুলে এখন এ্যাভেইলেভেল। অসংখ্য উদাহরণ দিয়ে বোঝার দরুন খুব সহজেই তা আপনার আয়ত্তে চলে আসছে। যে কারণে পাঠদান হচ্ছে সজহ এবং মজাদার।

 

 

 আরো পড়ুনঃ

 

 

 

এক গবেষণায় দেখা যায় যে, অনলাইন কোর্সের শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম ভিত্তিক প্রশিক্ষণের চেয়ে কম সময়ে ৫ গুণ বেশি উপাদান বা পাঠ এর বিষয়বস্তু শিখতে পারে। আর এইসব নানা সুবিধার জন্যই অনলাইন কোর্র্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

 

সবশেষ কথা হলো , সবকিছুরই ভাল-মন্দ দিক রয়েছে। অনলাইন কোর্স এর ভাল দিক যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে কিছু মন্দ দিক। তবে বড় কথা হলো আপনি কিভাবে কোন জিনিসকে ব্যবহার করছেন।

 

 

চাকু দিয়ে আপনি আপনার হাতে থাকা ফলও( আপেল,কমলা,আম) কাটতে পারেন আবার এই চাকু দিয়ে মানুষও খুন করতে পারেন। তাই অনলাইনকে ভালভাবে কাজে লাগানো উচিৎ।

 

 

এখন অনেকেই নিজেদের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন শুধু অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করে। যুগ আর সময়ের প্রয়োজনে অনলাইন কোর্স এর মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করে নিজেকে গড়ি সেই সাথে করি দেশের উন্নয়ন।

Leave a Comment