JANA BUJHA

হাওয়া সিনেমা ২০২২ -কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠলো ?

হাওয়া সিনেমার হাওয়ায় ভাসছে বাঙালির
মন। কি এমন চমক থাকবে এই সিনেমার মধ্যে, যে মুক্তির আগেই সারা দেশ জুড়ে শুধু প্রশংসার
জুয়ারে ভাসছে হাওয়া সিনেমাটি? হাওয়া সিনেমা ২০২২ সালের ২৯ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে
প্রেক্ষাগৃহে।


কিন্তু মুক্তির আগেই এত প্রশংসা পাওয়া এটিই বোধ হয় প্রথম বাংলাদেশী সিনেমা।
মুক্তির আগে ছবির পোস্টার, ট্রেইলার আর সাদা সাদা কালা কালা গান দিয়েই বাজি মাত। কি
আছে এই ট্রেইলর আর গানে আর কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠলো ইতিমধ্যে?

 

হাওয়া সিনেমা ২০২২ -কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠলো ?

হাওয়া সিনেমার ট্রেইলার

দুই ‍মিনিট ঊনিশ সেকেন্ড এর ট্রেইলার রসহ্য আর আলো-আঁধারির মিশালে গা হিম
হওয়া ভয়ংকর সব সংলাপ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। প্রথমেই কয়জন জেলেকে দেখা যায় একটি মেয়েকে
ঘিরে দাড়িয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কোন বোডেতথইন আইছস? এই সংলাপ দিয়েই এক অদ্ভূত কৌতুহল
তৈরী করে সবার মাঝে। তারপর রাতের সমুদ্র, পানির নিচে জাল আটকে থাকার দৃশ্য, নায়িকার
তাকানো, হঠাৎ বরফখন্ড ভেঙ্গে পড়া। শেষের দিকে বিড়ি ফুকতে ফুকতে ভয় পাইছিস? সংলাপটা
যেন, যে কখনও ভয় পায় না তাকেও ভয় পাইয়ে দেয়। সবশেষে দেখা যায় প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর
সৃষ্টি চাঁদ, ছেড়া পালের ভেতর দিয়ে হাও মাও করে জলছে। আর এতে কি প্রকাশ পায়? ধ্বংস
আর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে যে জীবন বয়ে যায় তা কি চাঁদের মতই সুন্দর? মানুষ সবসময়ই উৎকণ্ঠা
পছন্দ করে। এর পর কি হবে তা জানার আগ্রহ তৈরী করে উৎকণ্ঠা। আর এখানেও ভৌতিক উৎকণ্ঠার
কোন কমতি পাওয়া যায় নি। প্রকৃতির সাথে জেলে জীবনের যে ভয়াবহ সংগ্রাম তা এই ট্রেইলারে
কিছুটা দেখানো হয়েছে। আর এতেই সিনেমাটা দেখার যে আগ্রহ আর কৌতুহলের জন্ম হয়েছে সবার
মনে তাতেই বোধ হয় সিনেমার সবচেয়ে বড় সফলতা।

 


 

সাদা সাদা কালা কালা গানের কথা

সহজ কথা যায়না বলা সহজে, কিন্তু সাদা সাদা কালা
কালা গানটিতে সহজ কথা যেন অতি সহজেই বলা হয়েছে। এর পেছনে অবশ্য কিছু কারণ রয়েছে-
আর তা হলো এই গানের গীতিকার এর ব্যক্তি জীবন।


যে কোন শিল্পী যে শিল্প সৃষ্টি করেন তার
সাথে তার ব্যক্তি জীবনের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। আর এখানেও ব্যতিক্রম নয়। এই গানের
গীতিকার হাশিম মাহমুদ সম্পর্কে আমরা যা জেনেছি তিনি একজন ভবঘুরে মানুষ এবং যার কোন
পরিবার নেই। 


আপনজন বলতে তার ভাইবোন আছেন। বলতে গেলে তিনি একা।
তাই একাকিত্বের যে আক্ষেপ তা তার মাঝে থাকাটাই স্বভাবিক।

 

আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে থাকি।
প্রত্যেকটি মানুষের ভেতরেই না বলা কিছু কথা থাকে। কেউ তার প্রিয় মানুষটিকে জীবনসঙ্গী
করে পায়, আবার কেউ পায় না। যে প্রিয় মানুষটিকে পেয়েছে সে তার মনের মত করে প্রিয়
মানুষটিকে পেতে চায়।


আর যখন না পায় তখন সে তার ভেতরের জমানো কথাগুলো আবেগ দিয়ে প্রকাশ
করতে চায়। আর গান যেভাবে মানুষের আবেগকে সুরে সুরে প্রকাশ করতে পারে তেমন আর কোন ভাষাই
পৃথিবীতে জন্ম হয়নি নিজের আবেগকে প্রকাশ করার জন্য। অন্যদিকে যে মানুষ তার  জীবনসঙ্গীকে পায়নি তার তো একটা আজন্ম আক্ষেপ থাকবে
সেটাই স্বাভাবিক। 


এই গানের গীতিকার
ও সুরকার হাশিম মাহমুদ এর ভেতরে যে আক্ষেপ তা এই গানের সুর আর কথায় চরম ভাবেই প্রকাশ
পেয়েছে। প্রিয় মানুষটির জন্য হাহাকার- নিখুঁত হয়ে ভেসে উঠেছে গানে। শিল্পী হাসেম
আলীর যে আকুতি তা আমাদের মাঝেও আছে।


অন্যদিকে মাসের পর মাস গভীর সমুদ্রে থাকা জেলেরও
পরিবারের জন্য এক আকুতি কাজ করে। আর তাই এই গান জেলেতো বটেই সাধারণ মানুষেরও মনের সুপ্ত
কথা গুলো প্রকাশ করে সহজ, সরল, সাবলীলভাবে।
 

 

ছোট ছোট বাক্যে যে কত বড় কথা বলা যায় তা লালন সাইজি
অথবা হাসন রাজার চেয়ে ভালো করে আর কেউ বলতে পারেন নি। ঠিক তেমনি এই যুগে সহজ কথা বলার
জাদুকর আর খুব একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু হাশিম মাহমুদ যেন তাদেরই একজন উত্তরাধিকার।


একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে সিনেমার পরিচালক তাঁর সিনেমার প্রয়োজনে  হাশিমের গানটি পছন্দ করেছেন। হাশিম কিন্তু নিজে
থেকে এই গানটি সিনেমার জন্য প্রস্তুত করেন নি। তাই এই গান রচনায় কোনো ব্যবসায়ীক চিন্তা
বা কৌশল নেই।


আপন কথা আপন সুরে অকপটে বলে ফেলেছেন হাশিম মাহমুদ।
আর মানুষ তো এটাই চায়, যে শিল্পে কোনো লুকোচুরি থাকবেনা। তাই দর্শক সহজ কথাগুলো আপন-মনে
সরলভাবেই গ্রহণ করেছেন। যে কারণেই গানের কথা দিয়ে এই গান হয়ে উঠেছে অনন্য। ঠিক যেন
সাদা সাদা কালা কালা সাদা সাদা কালা কালা, হৃদয়ে নাই কোন ঝামেলা।

 

 

হাওয়া সিনেমার গানের সুর

সাদা সাদা কালা কালা
গানের কথাগুলো যেমন সহজ সরলভাবে একজন মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও আক্ষেপের কথা বলে, ঠিক একইভাবে
এই গানের সুর খুব সরল। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম রিমিক্স, রক, ইংলিশ, হিন্দি বা অন্য যেকোন
ফর্মের গান যতই ভালোবাসুক না কেন দিন শেষে কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই বাঙালি। 


তাই আমাদের
দেশের নিজস্ব যে সুর রয়েছে তা যখন শুনি, তখন যতই ইংলিশ গান পছন্দ করি না কেন আনমনেই
দেশের গানের সুরে গেয়ে উঠি দু-চার লাইন। আর এই গানটির সুর মনে হয় যেন খুব পরিচিত।
কারণ গানটি যে লোকসংগীত। 


লোকসংগীত যে এখনো
বাঙালির প্রতিটি হৃদয়ে দোলা দেয় তা প্রমাণ করে এই গানটি সুপার হিট হওয়ার মধ্য দিয়ে।
তারমানে এখনো লোকসংগীত বেঁচে আছে, বেঁচে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ঠিক ততদিন এই গানটিও
বেঁচে থাকবে বাঙালি হৃদয়ে।

 

 

সাদা সাদা কালা কালা গানের তাল

এই গানে ব্যবহৃত
হয়েছে কাহারবা তাল। আমাদের দেশে যত জনপ্রিয় লোকসংগীত রয়েছে তার অধিকাংশই কাহারবা
তালের। কাহারবা তালটা কেমন যেন একটা দোলা দেয় শরীরে। মন না চাইলেও শরীর একটু আধটু
নেচে ওঠে। 


যদি তাও না হয় তবু পায়ে, হাতে অথবা হাততালি দিয়ে হলেও একটু তাল দিতে ইচ্ছে
করে যেকোনো বয়সের লোকেরই। তাই কাহারবা তালের জন্য এটি বাঙালি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে
গেছে।


লোক সংগীতের সুর, কথা, তাল এইসবই যেন বাংলার মানুষের নাড়ির টান ও অন্তরের খুরাক।
লোকসঙ্গীত হলো সার্বজনীন। তাই একে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।

 

 

গানটির ভিডিও/ সিনেমেটোগ্রাফি

সিনেমার দর্শক কি
চায়? সিনেমার পর্দায় যেন সে নিজেকে দেখতে পায়। সাধারণত মানুষ আমাদের জীবনে বাস্তবে
যা ঘটে তাই দেখতে চায় সিনেমার পর্দায়। রিয়েলিস্টিক অভিনয় ও যথাযথ পরিবেশ যখন ফুটে
ওঠে পর্দায় তখনই দর্শকের মন বলে বাহ!


এইতো আমরা আমাদের জীবনকে দেখছি। আর এই গানটিতে
জেলেদের জীবনকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভিডিও ধারণ এতটাই যথাযথ ছিল
যে, যখন একজন আর একজনকে ড্রাম ছুড়ে দেয় ঠিক তখনি গানের মধ্যে বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ড্রামের
আওয়াজ পাওয়া যায়।


আবার দিনের সমুদ্র আর রাতের সমুদ্র যে কত ভয়াবহ সুন্দর হয়ে মানুষের
হৃদয়কে অবাক করতে পারে তা এই গানটি দেখলেই বোঝা যায়।

 

সব মিলে যথাযথভাবে জেলে জীবনকে ফুটিয়ে তুলতে যা যা
করণীয় তার কোনটারই কমতি পড়ে নি এই গানে। গানটি পাবলিশ হওয়ার পর থেকে মানুষের আগ্রহ
আর প্রশংসার কোন শেষ নেই। তাই শুধু জাজ মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে গানটির ভিউ এখন অব্দি (২৪.০৭.২০২২) ১১ মিলিয়ন। 


যেখানে কমেন্ট পড়েছে ৯১ হাজার। আর অন্য
একটি চ্যানেল হাওয়ায় ভিউ হয়েছে প্রায় ৩ মিলিয়ন।
কমেন্টে প্রত্যেকের বক্তব্য ছিল খুব খুব খুবই ইতিবাচক। বহু কমেন্ট পড়ে দেখেছি সেখানে
এমন একজন মানুষ পেলাম না যে গান এবং ট্রেইলারের বিষয়ে নেতিবাচক কোন একটা কথা বলেছে।


সবারই কথা এ এক অনন্য সৃষ্টি। গান, নাচ, ভিডিও ধারণ, পরিবেশকে ফুটিয়ে তোলা সব মিলে
এ যেন সত্যিই অসধারণ সৃষ্টি।

গানের মধ্যে গল্প

এই গানটিতে প্রথমে দেখা যায় যে কয়জন জেলে ডাকাডাকি
করছে সবাই আয় আজকে গান হবে। আর শুরুতেই আমরা লক্ষ্য করি যে দূরে কিছু নৌকা রাতের আধারে
জ্বলজ্বল করছে ইলেকট্রিক লাইট গুলো যাতে সহজেই বোঝা যায় যে বিশাল সমুদ্রের জেলেদের
নৌকাগুলো ভাসছে।


আমরা থিয়েটার বা অভিনয়ের ভাষায় বলে থাকি প্রদত্ত পরিস্থিতি ও পরিবেশকে
প্রথমেই এস্টাবলিশ করতে হয়। আর এখানে প্রথমেই তা করা হয়েছে অত্যন্ত নান্দনিকভাবে।
এরপর দেখা যায় একজন ঢেব খাওয়া কলসি 


বাজিয়ে গান ধরেছে। অন্যরা দৌড়ে এসে কেউ বাঁশ
নিয়ে, কেউ কেউ পাতিল, তেলের ড্রাম ইত্যাদি এক কথায় যার যা আছে তাই নিয়ে গানের তালে
তালে নাচ শুরু করে। সেইসাথে বাদ্যযন্ত্রের হিসেবে বাটি ,ঘটি, বাশ, ড্রাম ইত্যাদি নিয়ে
বাদ্যযন্ত্র হিসেবে বাজিয়ে গান ধরেছে সাদা সাদা কালা কালা।

 

এখানে যে নাচগুলো
ব্যবহৃত হয়েছে তাতে নেই কোনো গ্রামার নেই কোনো জটিল কোরিওগ্রাফি। মদ খাওয়ার দৃশ্য
আমরা এই গানের মধ্যে লক্ষ্য করি। মদ খেয়ে মাতাল হয়ে তাদের যে আনন্দ তাতে নেই কোনো
ধরাবাধা নিয়ম নেই কোন নাচের নিদৃষ্ট স্টেপ।


কেউ লুঙ্গি তুলে, কেউ আবার হাত নাড়িয়ে,
কেউ নৌকার পাটাতনে বাঁশ দিয়ে তাল তোলে সৃষ্টি করে এক অনবদ্য পারফরম্যান্স। দেখে মনেই
হয় না যে এরা অভিনয় করছে। এরই মাঝে পাশের একটি নৌকা থেকে এক মেয়ে উকি দিয়ে দেখে
জেলেদের গানের পরিবেশনা।


এই এত রাতে এত পুরুষদের মাঝে কে এই নারী কেনইবা এখানে এসেছে?
কী এর রহস্য? যে এই গানটি একবার অন্তত দেখেছে তার মনেও এই প্রশ্নটি জেগেছে কে এই মেয়েটি
কি তার হেতু?

 

তারপর দেখা যায় একজন জেলে সেই মেয়েকে খুঁজতে যায়
কিন্তু কাউকে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে চঞ্চল চৌধুরী ও কয়েকজন মিলে মদ খায় আর তাস
খেলে। তারপর জেলেদের থাকার ঘর, ট্রলারের ইঞ্জিন, এর পর বিছানা কাঁথা-বালিশ এলোমেলো
এইসব কিছু দেখানো হয়।


সব মিলিয়ে গানটির মধ্যে একটা রহস্যের সৃষ্টি হয়। এরপর কি হবে
কি হতে পারে তার একটা উদগ্রীব আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে এই গানটি দর্শক-মনে। তাই গানটির মধ্যে
জেলে জীবনের এক রহস্য ঘেরা মুহূর্তের গল্প ফুটে উঠেছে। আর এই রহস্যই দর্শক হৃদয়ে তৈরি
করেছে বাকি সিনেমা দেখার আকাঙ্ক্ষা।

 

 

সেট,লাইট, কস্টিউমস ও প্রপস (অভিনেতারা ছোট ছোট যেসব জিনিস
বাটি, বাঁশ, ড্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করেছে) মেকআপ ইত্যাদির ব্যবহার

 

এই গানটিতে দেখা
যায় কেউ লুঙ্গি পড়ে, কেউ হাফ প্যান্ট পড়ে পারফরম্যান্স করছে। ভেতরে হাতাকাটা গেঞ্জি,
শার্ট এর বোতাম খোলা, পুরনো অনেকদিনের ব্যবহৃত সব পোশাক, দেখে মনে হবে যেন এরা আসলেই
জেলে।


চুলের কাটিং, গায়ের জামা, অভিনেতাদের মেকআপ আলো-আঁধারের খেলা সব মিলিয়ে এক
অসাধারণ সৃষ্টি। সব এত সুন্দর করে ফুটে উঠেছে যেন দেখে মনেই হবেনা এটি অভিনয়। সত্যিকারের
জেলে জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে যে সেট,লাইট, কস্টিউমস ও প্রপস (অভিনেতারা ছোট
ছোট যেসব জিনিস বাটি, বাঁশ, ড্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করেছে) 


মেকআপ ইত্যাদি যা কিছু ব্যবহার করা হয়েছে তার সবকিছুই
ছিল যথাযথ। দর্শক হিসেবে আমাকে ও আমি সহ অন্য সাধারণ দর্শককে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে
যে এটি জেলে জীবন। আর সেইসাথে তৈরি করেছে সিনেমাটি দেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।

 

অভিনয় ও অভিনেতা

এখানে এমন সব অভিনেতারা
অভিনয় করেছে যাদের অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে গানের মধ্যে যা দেখা গেছে
তাতে মনেই হয়েছে না এইবার হবে একটা কিছু। তাই অভিনয় নিয়ে বলার আর খুব একটা দরকার হবে
না আশা করি। সিনামা দেখার পরেই না হয় এ নিয়ে বলা যাবে।

 

সবশেষে কথা একটাই,
বাংলার প্রতিটি মানুষ চায় বাংলার সিনেমায় নতুন হাওয়া বয়ে যাক। আর আমরা সেই আশায় করছি
এই হাওয়ায় ভেসে যাবে পুরানোর যত গ্লানী, আসবে নতুন দিনের বাণী।হাওয়া সিনেমার সাফল্য
কমনায় শেষ করা যাক আজকের হাওয়া সিনেমা ২০২২ ।

 

 

0 thoughts on “হাওয়া সিনেমা ২০২২ -কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠলো ?”

Leave a Comment