বর্তমান সময়ে তথাকথিত ব্যবসার পলিসির বদলে নতুন নতুন পরিকল্পনা
নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আর এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি না আগায় তবে পিছিয়ে যাবে। আর এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সব কিছু ডিজিটাল হওয়ায় ব্যবসার প্রচারনার
জন্য বিভিন্ন সোস্যাল প্লাটফর্মকে বেছে নিয়েছি আমরা। তাই এই লিখায় সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট
করে ব্যবসার প্রচারনা করার মত দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন দুটি প্রচারপত্র
তুলে ধরা হলো।
অনলাইন ব্যবসা পরিচালনাকারী এজেন্সীর জন্য প্রচারনা কন্টেন্ট
বাংলাদেশের
ইকমার্স ব্যবসায় ২০২১ সালের বাজার ছিল ৫৬
হাজার ৮৭০ কোটি টাকার। যা পরের বছরই বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা । পরিসংখ্যান
বলছে ২০২৬ সালের মধ্যে এই বাজার এর আয়তন হবে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। কি কিছু বুঝতে পারছেন?
ভবিষ্যৎ এ ব্যবসা কোন দিকে যাচ্ছে? এই ইকমার্স এর যুগে ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার কি পরিকল্পনা?
আপনি জানেন কি , কোন ব্যবসায়ী ইকমার্স ব্যবসায় সফল হবে? শুধু ব্যবসা করে
গেলেই এখন হবে না। প্রতিযোগীতা যেহেতু বাড়ছে তাই স্মার্ট ওয়েতে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে
ব্যবসা করতে হবে। যার ব্যবসার রোডম্যাপ যত সুন্দর, গুছানো ও প্রজেন্টেবল তার ব্যবসার
সফলতা তত নিশ্চিত।
আর একজন সফল ইকমার্স ব্যবসায়ী হতে যে বিষয় গুলো আপনাকে জানতে হবে তার মধ্যে
অন্যতম হল টার্গেটেড কনজুমার/ ক্রেতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও ধারণা থাকা।
ক্রেতা যেহেতু ব্যবসার প্রাণ তাই প্রথমেই আপনার ক্রেতাকে চিনতে হবে, জানতে
হবে আর সেই সাথে বুঝতেও হবে। তাই আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করবো কিভাবে টার্গেটেড ক্রেতাকে
নিয়ে স্টাডি করে আপনার ব্যবসায় সফল হবেন।
আমরা কনজ্যুমার বা ক্রেতাকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করতে পারি। আর এই শ্রেণীকরণ
এর উপর ভিত্তি করেই একজন ক্রেতা তার পণ্য ক্রয় করে থাকেন। পণ্য ক্রয়ের অভ্যাস পর্যালোচনা
করেই এই শ্রেণীকরণ করা হয়েছে। যে যে শ্রণীতে ক্রেতাকে ভাগ করা যায় তা হলো –
লিঙ্গ অনুসারে ক্রেতা–
১. কিশোর ছেলে ও মেয়ে।
২. যুবক ছেলে ও মেয়ে।
৩. বিবাহিত নারী ও পুরুষ।
৪. বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ।
বয়স অনুসারে ক্রেতা
১. ১৪ থেকে ২০ বছর
২. ২০-৩০ বছর
৩. ৩০-৪৫ বছর
৪. ৪৫-৭০ বছর
পেশা বা আর্থিক অবস্থার
ভিত্তিতে ক্রেতা
১. সরকারী চাকুরী
২. প্রাইভেট চাকুরী
৩. ব্যবসায়ী
৪. প্রবাসীদের ইনকাম
৫. দিনমুজুর
শিক্ষাগত অবস্থার
ভিত্তিতে ক্রেতা
১. শিক্ষিত
২. অশিক্ষিত
৩. স্বল্প শিক্ষিত
রুচি বা পছন্দ নির্ভর
ক্রেতা
১. শিক্ষা ও আর্থিক অবস্থা
২. সামাজিক অবস্থা
৩. পারিবারিক শিক্ষা
বসবাসের অবস্থান
এর উপর ভিত্তি করে ক্রেতা
১. গ্রামে বসবাস
২. মফস্বলে বসবাস
৩. শহরে বসবাস
ব্যবসা করতে কেন ক্রেতার শ্রেণীবিভাগ জানা উচিৎ সেই বিষয়টিই এখন বলছি। আপনি
যখন কোন ব্যবসা শুরু করবেন তখন প্রথমেই ভাবতে হবে কে আমার পণ্যটি কিনবে। কেউ যদি আপনার
পণ্য না কেনেন তাহলে সেই ব্যবসা করে কি কোন লাভ হবে? তাই চলুন চটজলদি করে জেনে নেই
ক্রেতাকে এইভাবে বিভাজনের লাভ কি?
ধরুন, আপনি একটি অনলাইন শপ দিলেন। আপনার পণ্য হলো শাড়ী। ভাবুনতো কোন লিঙ্গের
জন্য আপনার এই পণ্য। হ্যা, নারীদের জন্য। তারপর দেখুন কোন বয়সের নারীরা বেশী শাড়ী পড়ে।
১৮ বছরের মেয়েরা বেশী শাড়ি পড়ে নাকি ৩০ থেকে ৩৫ বছরের নারীরা বেশী শাড়ী পড়ে?
নিশ্চয় ৩০ থেকে ৩৫ বছরের নারীরা। এখন দেখুন আপনার যে শাড়ীগুলো রয়েছে তা
কোন ধরণের নারীরা পড়তে চায়? সাধারণত যারা শিক্ষিত তারা অনেক রঙিন ও রঙচঙা বা প্রিন্ট
এর শাড়ী পড়তে চাইবে না। আবার গ্রামের বা কিছুটা কম শিক্ষিত নারীর কাছে এইটাই হয়ত বেস্ট
পছন্দ হবে।
আবার যে চাকুরী করে সে হয়ত এক কালার এর স্যান্ডার্ড শাড়ী কিনতে চাইবে। তাই
কম শিক্ষিত নারী বা গ্রামের নারীর কেনাকাটার রুচি এবং শহরে বসবাস করা শিক্ষিত নারীর
কেনাকাটার রুচি ও অভ্যাস অনেকাংশেই আলাদা।
আপনি আপনার অনলাইন শপের শাড়ী কাদের কাছে বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তার পেশা
কী, বয়স কত, ইনকাম কেমন, রুচি কেমন তার উপর নির্ভর করে ক্রেতাদের ক্রয়ের অভ্যাস বা
কেনাকাটা। তাই কিভাবে ক্রেতা শ্রেণীকরণ পদ্ধতি এ্যালাইসিস করে আপনার টার্গেটেড ক্যনজুমার
বা ক্রেতা নির্বাচন করবেন তার উপরই নির্ভর করবে ব্যবসার সফলতা।
আর কিভাবে টার্গেটেড ভোক্তা নির্বাচন করবেন, কে কিনবে আপনার পণ্য, কেন ক্রয়
করবে, কাকে টার্গেট করা উচিৎ ইত্যাদি নানা জটিল বিষয়ের সহজ সমাধান দিয়ে আমাদের কোম্পনি
আছে আপনার পাশে।
তাই – “ চিন্তা কেন আর , উদ্যোগ নিন ব্যবসার
এক্স ওয়াই জেড ( কোম্পানীর
নাম) নেবে বাকী সব দায়ভার”
আরো পড়ুনঃ
একটি মোবাইল ও ইলেক্ট্রিনিক গ্যাজেট দোকানের প্রচারনা কন্টেন্ট
একটা মোবাইল আসছে নতুন, হেডফোনটা নষ্ট হয়ে আছে, গান বাজানোর জন্য একটা সাউন্ডবক্স
দরকার, নিজের কথা রেকর্ড করার জন্য রেকর্ডার দরকার, ছবি তোলার ক্যামেরা নেব ইত্যাদি
বিষয়গুলো কতই না পরিচিত আমাদের। তাই না?
এই ছোট ছোট ইলেক্ট্রনিক গেজেট গুলোর প্রয়োজনীয়তা কি নতুন করে বলার দরকার
আছে? মোটেই না। এই অত্যন্ত প্রয়োজণীয় জিনিসগুলোর কোনটা ভাল কোনটা বাজে কোয়ালিটির তা
আমরা সকলেই জানি কী? আসলে তা সকলের জানার প্রয়োজনও নেই।
তাই অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আপনি যা চাচ্ছেন তা পাচ্ছেন না আবার যা পাচ্ছেন
তা চাচ্ছেন না। হয়ত কোনটা ভাল প্রডাক্ট তা আপনি জানেন না, আপনার বাজেট অনুযায়ী ভাল প্রডাক্টটি চিনতে পাচ্ছেন
না, আবার বেশী দাম দিয়ে নতুন প্রডাক্ট কেনার আগ্রহ অনেকের নাও থাকতে পারে।
এমনি হাজারও সমস্যা আর চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা এক্স ওয়াই জেড গ্যাজেট
আছি আপনার সকল সমস্যা সমাধানে। কি চাই আপনার ? জানান আমাদের।
মোবাইল থেকে ক্যামেরা, হেডফোন থেকে
ডিজিটাল ঘড়ি যেকোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতা হিসেবে অনলাইন বাজারে
আমরা সেবার দুয়ার রেখেছি খুলে। সাত পাঁচের অনলাইন বাজারে আস্থা আর বিশ্বাস রাখুন ঠাকুরগাঁও
গ্যাজেটে।
যা যা পাচ্ছেন আমাদের কাছে
১. সকল ধরনের ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট।
২. পাইকারী ও খুচরা পণ্য কেনার সুযোগ।
৩. নতুন ও পুরাতন পণ্য ক্রয় করতে পারা।
৪. পণ্যের ওয়ারেন্টি, গ্যারেন্টি, ও রিপ্লেইসমেন্ট এর সুবিধা।
৫. দেশের যেকোন জায়গা থেকে পণ্য অর্ডার করার সুযোগ।
৬. আপনার সাধ ও সাধ্যকে প্রাধান্য
দিয়ে পণ্য কেনার পরামর্শ দিতে আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ প্রডাক্ট এ্যানালাইসিস টিম।
৭. প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আমাদের ক্রেতাদের মধ্য থেকে ভাগ্যবান ক্রেতার
জন্য রয়েছে বিশেষ উপহার।
তাই আর দেরী কেন ! এখনই অর্ডার করুন আমাদের অনলাইন শপে।
যা লাগে যেমন লাগে, পেয়ে যাবেন এক্স ওয়াই জেড গ্যাজেটে।